১২:৩৫ অপরাহ্ন

মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অগাস্ট ২৬, ২০২৩ ১১:৫২ অপরাহ্ন
রঙিন মাছ চাষে চমক দেখাচ্ছেণ মর্তুজা
মৎস্য

ইউটিউব দেখে রঙিন মাছ চাষ শুরু তিন বছর আগে। বাড়ির ছাদে কয়েকটি প্লাস্টিকের ক্রেটে ছোট্ট পরিসরে এই মাছ চাষ শুরু করলেও ধীরে ধীরে পরিধি বাড়িয়ে বাণিজ্যিক রূপে পরিণত করেছেন। এখন বেশ কয়েকটি হাউজ তৈরি করা হয়েছে। প্রজননের মাধ্যমে উৎপাদিত রঙ বে-রঙয়ের মাছ বিক্রি করে প্রতি মাসে গড়ে বাড়তি আয় করছেন ১৫ হাজার টাকা। রঙিন মাছ চাষে এখন বর্ণিল ঠাকুরগাঁওয়ের গোলাম মর্তুজার জীবন।

অক্সিজেন মটর ব্যবহারের মাধ্যমে বিদ্যুতের সাহায্যে মাছের প্রজনন ঘটাচ্ছেন হাউজগুলোতে। গাপ্পি, মলি, গোল্ড ফিস, গোরামি, জেব্রা ফিসসহ একুরিয়ামের সৌন্দর্য বর্ধনে আঠারো থেকে বিশটি জাতের রঙিন মাছ উৎপাদন করছেন তিনি।

উৎপাদিত প্রতি পিস মাছ ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা পর্যন্ত দরে বিক্রি করছেন অনলাইন ও বাড়ি থেকে। সখের এ মাছ ক্রয়ে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা। অনেকে আবার তার মতো মাছ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করে পরামর্শও নিচ্ছেন।

রঙিন এ মাছের খামার দেখতে ও মাছ ক্রয় করতে আসা মানুষেরা জানান, উদ্যোক্তার ছাদে নানা প্রকার মাছ রয়েছে। আগে এসব মাছ ক্রয়ে অন্য জেলায় যেতে হলে এখন হাতে কাছে পাওয়া যাচ্ছে। যারা সৌন্দর্য বর্ধনে সখ করে একুরিয়ামে মাছ রাখে তাদের জন্য অনেক সুবিধা হয়েছে। এছাড়া তাকে দেখে অনেকেই এ ধরনের মাছ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করে পরামর্শও নিচ্ছেন বলে জানান তারা।

এ বিষয়ে উদ্যোক্তা গোলাম মর্তুজা জানান, ইউটিউব দেখে মাছ চাষ শুরুটা ছোট্ট পরিসরে হলেও এখন তা বাড়ানো হয়েছে। মাত্র তিন বছরে বিশ প্রকারের বেশি মাছ বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রত্যেকটি মাছ থেকে প্রজনন ঘটানো হচ্ছে। বর্তমানে মাছ বিক্রি করে কমপক্ষে পনের হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়তি আয় হচ্ছে। তেমন কোন পরিশ্রম নেই। কোন শ্রমিকেরও প্রয়োজন হয় না। মানুষ অনলাইনে ও বাড়ি থেকে মাছ ক্রয় করছে। ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের সরকারপাড়ায় নিজ বাড়িতে ২০২০ সালে এ রঙিন মাছ চাষ শুরু করেন মর্তুজা।

প্রকাশ : অগাস্ট ২৩, ২০২৩ ৯:৫২ অপরাহ্ন
গুরুদাসপুরের মাছ রপ্তানি হয় ভারতে!
মৎস্য

সরকারি ও বেসরকারি জরিপ মতে, গুরুদাসপুরে বাণিজ্যিকভাবে পুকুরে চাষ করা কার্প এবং মিশ্র প্রজাতির ২০ হাজার টন মাছ বিক্রি করে গত বছর এসেছে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার বেশি। চলতি বছর সরকারিভাবে মাছের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সাড়ে ১৬ হাজার টন।

গুরুদাসপুর মৎস্য অফিসের তথ্যমতে- ২০২০ থেকে ২৩ সাল পর্যন্ত ৬ হাজার হেক্টর আয়তনের চাষযোগ্য বাণিজ্যিক পুকুর ছিল ১০ হাজারের বেশি। এসব পুকুর থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে মাছ উৎপাদন হয়েছে প্রায় ১৪ হাজার টন। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারি এ হিসাবের তুলনায় বর্তমানে উপজেলায় বাণিজ্যিক পুকুরের সংখ্যা এবং উৎপাদনের পরিমাণ আরও বেশি। এ ছাড়া ৯টি প্রবাহমান নদী, ৩টি খাল, ৬টি বিল থেকে বছরে প্রায় ১শ টন এবং ৩০টি প্লাবন ভূমি থেকে ১ হাজার ১৬ টন ও অন্যান্য জলাশয় থেকে ২শ টন মাছ উৎপাদন হয়েছে। সব মিলিয়ে বছরে মাছ উৎপাদন হয়েছে ১৫ হাজার টনেরও বেশি। খাল-বিল, নদী, জলাশয়ের মাছ উপজেলার অভ্যন্তরে বাজারজাত করা হয়। এ ছাড়া চাষের উৎপাদিত সব মাছই সারাদেশের অভ্যন্তরের বিভিন্ন আড়তে বিক্রি করা হয়। চলতি বছর মাছের উৎপাদন আরও বাড়বে বলবে আশা অধিদপ্তরের।

জানা যায়, মৎস্য দপ্তর থেকে গৃহীত পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় ২০২১-২২ নাগাদ মাছের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল সাড়ে ১৬ হাজার টন। কিন্তু বেসরকারি মাঠ জরিপে ২০২১-২২ সাল নাগাদ প্রকৃত উৎপাদন ২০ হাজার টন ছাড়িয়ে গেছে।

মাছ চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়- রুই, কাতলা, মৃগেল, কালবাউশ, সিলভার কার্প, ব্রিগেড, গ্লাসকার্প, ব্লাককার্প জাতের মাছ চাষ হয়। একইসঙ্গে প্রতিটি পুকুরে নিবিড় এবং আধা নিবিড় দুই পদ্ধতিতে মিশ্র হিসেবে কই, সিং, পাবদা, গুলসা-টেংড়াসহ বেশ কয়েক প্রজাতির মাছ চাষ করা হয়। এর মধ্যে মিশ্র প্রজাতির সুস্বাদু পাবদা, সিং, পাঙ্গাস মাছ ভারতে রপ্তানি করছেন চাষিরা। বিদেশে মাছ রপ্তানি করা চাষি আবদুস সালাম বলেন, পার্শ্ববর্তী

চলনবিল ও জলবায়ু রক্ষা কমিটির সদস্য সহকারী অধ্যাপক সাজেদুর রহমান জানান, দখল-দূষণের ফলে চলনবিলে কমেছে প্রাকৃতিক জলাধার। ফলে আশঙ্কাশজনক হারে কমেছে মিঠাপানির মাছ। তবে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গড়ে উঠেছে মাছ চাষের পুকুর। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বাণিজ্যিকভাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে চাষের মাছ। এমনকি বিদেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে।

গুরুদাসপুরের উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রতন চন্দ্র সাহা বলেন, উপজেলাজুড়ে বছরে মাছের চাহিদা সাড়ে চার হাজার টন। চাহিদার তুলনায় গুরুদাসপুরে মাছ উৎপাদন হচ্ছে প্রায় তিনগুণ বেশি। বিদেশে মাছ রপ্তানি করতে পেরে ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। এ উপজেলা থেকে আগামী বছর আরও বেশি মাছ রপ্তানি হবে বলে আমরা আশা করছি।

প্রকাশ : মে ১১, ২০২৩ ৩:৪৮ অপরাহ্ন
নিষিদ্ধকালে সমুদ্রে মৎস্য আহরণ বন্ধে মনিটরিং জোরদার করতে হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় নিষিদ্ধকালে মৎস্য আহরণ বন্ধে মনিটরিং জোরদারের নির্দেশনা দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সকল প্রকার মৎস্য নৌযান দিয়ে যেকোন প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন সংক্রান্ত প্রস্তুতিমূলক সভায় নিষিদ্ধকাল বাস্তবায়নে সম্পৃক্তদের এ নির্দেশনা দেন মন্ত্রী। সভায় মন্ত্রী সভাপতিত্ব করেন।

এ বিষয়ে মন্ত্রী আরো বলেন, সমুদ্রগামী সকল প্রকার মৎস্য নৌযান ট্র্যাকিং এর আওতায় আনা হচ্ছে। নিষিদ্ধকালে আমাদের সমুদ্রসীমায় কোনভাবেই যেন বিদেশি নৌযান প্রবেশ করে মাছ ধরতে না পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমাদের নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রায় সমপরিমাণ জলসীমা অর্জিত হয়েছে। এ জলসীমায় পূর্বের চেয়ে গতবছর নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ, র‌্যাবসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকাল বাস্তবায়নে অনেক সাফল্য দেখিয়েছে। এ সাফল্য এবারও ধরে রাখতে হবে। তবে কখনো কখনো দুর্বৃত্তরা বেপরোয়া হয়ে উঠে, এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

মন্ত্রী আরো বলেন, মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন এলাকায় বরফকল বন্ধ রাখা গেলে এবং কঠোরভাবে বাজার তদারকি করতে পারলে নিষিদ্ধ সময়ে মৎস্য আহরণ বন্ধ করা যাবে। এ জন্য সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা, বাজার ও বরফকল কঠোর মনিটরিংয়ের আওতায় আনতে হবে।

তিনি আরো যোগ করেন, সামুদ্রিক জলসীমায় ৬৫ দিন মৎস্য আহরণ বন্ধ রাখলে সামুদ্রিক মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। সমুদ্রে মাছ বড় হলে মৎস্যজীবীরাই লাভবান হবেন। সমুদ্রগামী জেলেরাই এ মাছ আহরণ করবে। ফলে তাদের স্বার্থেই নিষিদ্ধকালে মৎস্য আহরণে তাদের নিবৃত্ত করতে হবে। মাছের উৎপাদন বাড়লে দেশের মানুষের মাছের চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত মাছ পাওয়া যাবে। খাবারের একটি বড় যোগান আসবে এ মাছ থেকে। তাই মাছ নিধন করলে খাবারের যোগান নষ্ট হবে। মৎস্য খাতে সম্পৃক্ত জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান ব্যাহত হবে। এজন্য দেশের মৎস্য খাতকে সম্মিলিতভাবে পরিচর্যা করতে হবে।

শ ম রেজাউল করিম আরো বলেন, নিষিদ্ধকাল বাস্তবায়নে জনপ্রতিনিধিদেরও সম্পৃক্ত করা হবে। তাদের মাধ্যমে এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা হবে। সমুদ্রে মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকাকালে সে সব এলাকার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের শ্রমিকসহ অন্যান্যদের সরকারি সহায়তার আওতায় আনার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

৬৫ দিন সমুদ্রে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালে মৎস্য অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি তৎপর থাকার জন্য এ সময় নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল, আব্দুল কাইয়ূম ও মো. তোফাজ্জেল হোসেন, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (ব্লু ইকোনমি) ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশালের বিভাগীয় কমিশনারগণ, সমুদ্র উপকূলীয় ১৪ জেলার জেলা প্রশাসকগণ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, সশস্ত্রবাহিনী বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ, র‌্যাব, বন বিভাগ এবং মৎস্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ, মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশন ও মৎস্যজীবী সমিতির প্রতিনিধিগণ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

গতবছরের ন্যায় এবারও বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন সকল প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক যে কোন প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ থাকবে। গতবছর ২৪ এপ্রিল সামুদ্রিক মৎস্য আইন ২০২০ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। উপকূলীয় বিভাগ চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনার ১৪ টি জেলার ৬৭ টি উপজেলা ও চট্টগ্রাম মহানগরে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধের এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। নিষিদ্ধকাল বাস্তবায়নকালে ৩ লাখ ১১ হাজার ৬২ জন সমুদ্রগামী জেলের জন্য ১ম ধাপে ১৭ হাজার ৪১৯ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। এ সময় ভিজিএফ-এর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য সরকার উপকরণ সহায়তা প্রদান করবে।

প্রকাশ : মে ৬, ২০২৩ ৭:০৯ অপরাহ্ন
উদ্ভোধন হলো সংসদ ভবনে মাছ ধরার কার্যক্রম
মৎস্য

জাতীয় সংসদ লেকে সৌখিন মৎস্য শিকারীদের জন্য বড়শি দিয়ে মাছ-ধরা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার সকালে লেকের ১৯ ও ২০ নম্বর ফিশিং পয়েন্টে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাব।

জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ ও পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাবের সভাপতি নূর-ই-আলম চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

এসময় একাদশ জাতীয় সংসদের রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি তাজুল ইসলাম, খাদিজাতুল আনোয়ার এমপি ও আদিবা আনজুম মিতা এমপি উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া অনুষ্ঠানে সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তি, বড়শি দিয়ে মাছ শিকারী ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রকাশ : এপ্রিল ১৩, ২০২৩ ১০:০৩ পূর্বাহ্ন
২০ এপ্রিল থেকে মাছ ধরা নিষিদ্ধ কাপ্তাই হ্রদে
মৎস্য

হ্রদের পানি কমে যাওয়ায় এবং কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে আগামী ২০ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে হ্রদে সকল প্রকার মাছ আহরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন।

সোমবার (১০ এপ্রিল) রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত জরুরী সভায় সর্বসম্মতভাবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অংশ নেন বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের রাঙ্গামাটি জেলার ব্যবস্থাপকসহ জেলার মাছ ব্যবসায়ীরা।

মৎস্য সম্পদ রক্ষায় অবৈধভাবে মাছ শিকার বন্ধে হ্রদ এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে বলেও জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

প্রকাশ : এপ্রিল ২, ২০২৩ ৫:৪৪ অপরাহ্ন
নদী দূষণে মরে যাচ্ছে মাছ
মৎস্য

চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে পানি দূষণে জাটকাসহ নির্বিচারে মারা পড়ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছসহ জলজ প্রাণী। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গার কল-কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য পানিতে মিশে দূষণের সৃষ্টি করেছে দাবি স্থানীয় জেলেদের।

পানির গুণাগুণ পরীক্ষা করে মৎস্য বিজ্ঞানীরাও প্রাথমিক পর্যায়ে এর সত্যতা পেয়েছেন। তারা বলছেন, নদী দূষণ বন্ধ করা না গেলে আগামীতে মেঘনায় ইলিশসহ সব মাছের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ঘুরে ঘুরে উড়ে উড়ে মনের আনন্দে উদরপূর্তি করছে এক ঝাঁক কাক, তবে কোনো অনুষ্ঠানের ফেলে দেয়া উচ্ছিষ্ট নয়। মেঘনা নদীর তীরে মরে পড়ে থাকা মাছ খাওয়ায় মেতে উঠেছে তারা।

শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এমন দৃশ্যের দেখা মিলছে মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল ইউনিয়নের বাবু বাজার এলাকার মেঘনা নদীর তীরে।

সম্প্রতি ওই ইউনিয়নে মেঘনার পানি দূষণের ফলে বাবু বাজার, ইস্পাহানির চর, গজারিয়া, ষাটনল, সটাকি, মহনপুর, এখলাসপুরসহ প্রায় তিন কিলোমিটার জুড়ে নদীর সকল মাছ মরে ভেসে উঠেছে তীরে। জাটকা, পোয়া, বেলে, চেউয়া, চিংড়ি, কাঁকড়া, শামুক, ঝিনুকসহ নদীতে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনাসহ বেঁচে নেই কোনো জলজ প্রাণী। নদীর তীরে পড়ে থাকা এসম মাছ পচে, গলে পরিবেশের বিপর্যয় ডেকে আনছে। দুগন্ধের পাশাপাশি কালচে বর্ণ ধারণ করে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে নদীর পানি।

মতলব উত্তর উপজেলার বাবু বাজার এলাকার জেলে রতন দাস বলেন, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন কল-কারখানার দূষিত বর্জ্য মেঘনা নদীতে ছড়িয়ে পড়ায় নদীতে থাকা সব মাছ মরে তীরে ভেসে উঠেছে। গত কয়েক দিন ধরে শতশত মানুষ মৃত মাছ সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছেন। অনেক মাছ নদীর তীরে পচে গন্ধ চড়াচ্ছে। কাক, চিল খাচ্ছে এসব মাছ। সরকার ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধিতে জাটকা রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। অথচ পানি পচে গিয়ে জাটকাসহ সকল মাছ মরে ভেসে উঠেছে। এখন নিষেধাজ্ঞা শেষে আমরা কী ধরবো নদীতে!

শনিবার দুপুরে গুণাগণ পরীক্ষায় নদীর পানি সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, নদী কেন্দ্র চাঁদপুরের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মেজবাবুল আলম। দূষণের কারণে পানিতে অ্যামোনিয়ার উপস্থিতি বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় মাছ মরে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।

প্রকাশ : মার্চ ৩০, ২০২৩ ৪:২৭ অপরাহ্ন
দেশের সব মানুষের কাছে পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও সুদৃশ্য ইলিশ পৌঁছানো সরকারের লক্ষ্য:  প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

দেশের সব মানুষের কাছে পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও সুদৃশ্য ইলিশ পৌঁছানো সরকারের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে মৎস্য জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ, ২০২৩ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা জানান।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, ইলিশ মাছ সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ, ২০২৩ উদযাপন করা হচ্ছে। অন্যান্য বছরের ধারাবাহিকতায় এবার ১ এপ্রিল থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ পালন করা হবে। এ বছর জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের প্রতিপাদ্য ‘করলে জাটকা সংরক্ষণ, বাড়বে ইলিশের উৎপাদন’। দেশের ইলিশ সমৃদ্ধ ২০ জেলায় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদযাপন করা হবে। ১ এপ্রিল পিরোজপুরের হুলার হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদ্বোধন করা হবে। আমাদের লক্ষ্য ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণ ও উন্নয়নে জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষায় জনগণকে সম্পৃক্ত ও সচেতন করা।

ইলিশ সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের নানা কার্যক্রম তুলে ধরে এ সময় মন্ত্রী বলেন, ইলিশের বিজ্ঞানভিত্তিক প্রজনন সময় বিবেচনা করে মা ইলিশ আহরণের নিষিদ্ধ সময় ২২ দিন নির্ধারণ, জাটকা নিরাপদে বৃদ্ধির জন্য ১ নভেম্বর হতে ৩০ জুন পর্যন্ত সারাদেশে ৮ মাস জাটকা ধরা, পরিবহন, মজুদ, ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করা, দেশের ইলিশ সমৃদ্ধ নদ-নদীতে ৬টি ইলিশ অভয়াশ্রম স্থাপন ও নির্দিষ্ট সময়ে এ অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সব ধরণের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা, নিষিদ্ধকালে জেলেদের প্রতিবছর ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা প্রদান, জাটকা আহরণে বিরত অতি দরিদ্র জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প বাস্তবায়ন, ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প বাস্তবায়নসহ সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। ফলে ২০০৮-০৯ অর্থবছরে যেখানে ইলিশের উৎপাদন ছিল ২ লক্ষ ৯৮ হাজার মেট্রিক টন, ২০২১-২২ অর্থবছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৫ লক্ষ ৬৭ হাজার মেট্রিক টনে পৌঁছেছে। জাটকা ও মা ইলিশ সংরক্ষণ করতে পারলে ইলিশের উৎপাদন আরো অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে।

তিনি আরো বলেন, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে এমন জাল যেমন বেহুন্দি জাল, কারেন্ট জালসহ অন্যান্য অবৈধ জাল যাতে কেউ ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য সরকার আইন দ্বারা নিষিদ্ধ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা রয়েছে শুধু সমুদ্রে বা নদীতে নয় বরং যেখানে এসব অবৈধ জাল তৈরি হয় সেখানে আঘাত হানতে হবে। এ বছর জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহে যেখানে বেআইনি জাল উৎপাদন হবে, সে কারখানায় আমাদের অভিযান চলবে। যারা জাটকা নিধনের চেষ্টা করবে, মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি যে অঞ্চলে জাটকা ধরা হবে সে অঞ্চলে বরফ কল বন্ধ রাখা হবে। বাজারেও মোবাইল কোর্ট থাকবে। জাটকা পরিবহন ও বিপণনে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।

মন্ত্রী আরো জানান, জাটকা নিধনে সবচেয়ে ক্ষতিকর জাল ধ্বংসে ২০২৩ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের ১৭টি জেলায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সহায়তায় বিশেষ কম্বিং অপারেশন পরিচালনার মাধ্যমে মোট ৯৮৭ টি মোবাইল কোর্ট ও ৩ হাজার ২২৬ টি অভিযান পরিচালনা করে ৭ হাজার ৫৪ টি বেহুন্দি জাল, ৫৪৯ দশমিক ১৯ লক্ষ মিটার কারেন্ট জাল এবং ১২ হাজার ৪৮ টি অন্যান্য নিষিদ্ধ জাল আটক করা হয়েছে।

শ ম রেজাউল করিম আরো যোগ করেন, ২০২২ সালে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান সফলভাবে বাস্তবায়নের ফলে ৫২ শতাংশ ইলিশ প্রজননক্রিয়ায় অংশ নিতে পেরেছে যা ২০০১-০২ অর্থবছরের তুলনায় অনেক বেশি।

মাছ ধরা নিষিদ্ধ সময়ে সরকার জেলেদের জন্য ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করেছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২০ জেলার ৯৭ উপজেলায় জাটকা আহরণে বিরত ৩ লাখ ৬০ হাজার ৮৬৯ টি জেলে পরিবারকে মাসিক ৪০ কেজি হারে ৪ মাসে ৫৭ হাজার ৭৩৯ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বিতরণ চলমান রয়েছে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বিগত সাত বছর যাবৎ মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের সময়ও জেলেদের ভিজিএফ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। পাশাপাশি জেলেদেরকে বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। দেশের সব মানুষের কাছে পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও দেখতে সুন্দর ইলিশ মাছ পৌঁছানো সরকারের লক্ষ্য। এ লক্ষ্য নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

মন্ত্রী আরো যোগ করেন, সারাবিশ্বের বিস্ময়কর সুস্বাদু ইলিশ যার ৮০ শতাংশ বাংলাদেশে উৎপাদন হয়, যার জিআই সনদ আমাদের, এ ইলিশ যেন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেটাই জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ, ২০২৩ এর লক্ষ্য। একটা সময় বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার মত অবস্থায় চলে যাওয়া ইলিশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আজ আমরা সর্বোচ্চ উৎপাদন প্রক্রিয়ায় নিয়ে এসেছি। এ প্রক্রিয়ায় মৎস্যজীবী সংগঠন, নৌ পুলিশ, কোস্ট কার্ড, সাধারণ পুলিশ, সিভিল প্রশাসন, মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, সাংবাদিকসহ সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। ইলিশ উন্নয়নের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করতে চাই। ইলিশের স্বাদ সকলের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। সুযোগ হলে বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করতে চাই।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান কাজী আশরাফ উদ্দীন, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক এবং মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনের আগে মন্ত্রী ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২২ এর মূল্যায়ন ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন।

প্রকাশ : মার্চ ১৯, ২০২৩ ৫:১৬ অপরাহ্ন
নদীতে ভাসছে লাখ লাখ মরা মাছ
মৎস্য

অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের ডার্লিং-বাকা নদীতে মারা গেছে বিভিন্ন প্রজাতির লাখ লাখ মাছ। আর এ ঘটনায় শোরগোল পড়ে গেছে মেনিন্ডি শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে।

মরা মাছের দুর্গন্ধে টিকতে পারছে না তারা। ফলে বন্ধ রাখতে হচ্ছে ঘরের দরজা-জানালা। খবর বিবিসি ও সিএনএনের।

মেনিন্ডি শহরে মাত্র ৫০০ জনের মতো মানুষ বসবাস করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা ধারণা করছেন, পচনশীল মাছগুলো পানি থেকে আরও অক্সিজেন শুষে নেবে, যার ফলে মারা যাবে আরও বেশি মাছ।

স্থানীয় বাসিন্দারা ধোঁয়া ও গোসলের জন্য নদীর পানির ওপর নির্ভর করে। কিন্তু লাখ লাখ মাছ মারা যাওয়ার কারণে নদীর পানি মৌলিক প্রয়োজনে ব্যবহার করা কঠিন হয়ে উঠেছে।

এর আগে গত শুক্রবার সকালে নদীতে লাখ লাখ মরা মাছ ভাসতে দেখেন শহরের বাসিন্দারা। স্থানীয় নদী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তীব্র গরমে পানি কমে মারা গেছে মাছগুলো।
অবশ্য তিন বছর আগে ২০১৯ সালের ৯ জানুয়ারি এ ধরনের আরেকটি ঘটনার মুখোমুখি হয়েছিলেন মেনিন্ডি শহরের বাসিন্দারা। তবে এবার মারা যাওয়া মাছের সংখ্যা অনেক বেশি।

নিউ সাউথ ওয়েলসের ডিপার্টমেন্ট অব প্রাইমারি ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিপিআই) বলছে, লাখ লাখ মরা মাছ দেখতে পাওয়া স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য পীড়াদায়ক অনুভূতি।

 

প্রকাশ : মার্চ ১৭, ২০২৩ ১১:১৫ পূর্বাহ্ন
কাপ্তাই লেকে মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা
মৎস্য

কাপ্তাই লেকে সব ধরনের জাল দিয়ে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র (কপাবিকে) কর্তৃপক্ষ। কপাবিকের তালিকাভুক্ত জেলে ছাড়া এখন থেকে অন্য কোনো জেলে লেকে মাছ ধরতে পারবেন না বলেও কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এই নিষেধাজ্ঞা এখন থেকে (১৫ মার্চ) কার্যকর হবে বলেও কপাবিকে সূত্রে জানা গেছে।

কপাবিকের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এ টি এম আব্দুজ্জাহের গতকাল (১৫ মার্চ) গণমাধ্যমকে জানান, কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউটিলিটি সার্ভিসের আওতাধীন এলাকায় মাছ ধরার জন্য কপাবিকে কর্তৃক নির্ধারিত জেলে আছেন। নির্ধারিত জেলেরা ম্যাশ সাইজের জাল দিয়ে লেকের মাছ ধরবেন এবং কাপ্তাই প্রজেক্ট এলাকায় নির্দিষ্ট বাজারে মাছ বিকিকিনি করবেন। কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে তালিকাভুক্ত জেলা ছাড়াও অনেকে বিভিন্ন ম্যাশ সাইজের জাল দিয়ে কাপ্তাই লেকের মাছ শিকার করছেন। অত্যন্ত ছোট সাইজের জাল ব্যবহারের ফলে জালে সব ধরনের মাছ উঠে আসছে। বিশেষ করে সব ধরনের ডিমওয়ালা মাছ, ছোট রেণু এমনকি যে মাছ সদ্য পানিতে ডিম ছেড়েছে সেই মাছও ছোট জালে উঠে আসছে। সেই রেণু ক্ষুদ্র মাছের পোনা বা ডিম জালে উঠে এলেও সেটি কোনোভাবে হাতে ওঠে না এবং খাওয়াও যায় না। এই জাল ব্যবহারের ফলে কাপ্তাই লেক মাছশূন্য হয়ে পড়ছে। এখন এমনিতেই কাপ্তাই লেকে মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। তারপরও যা সামান্য পাওয়া যাচ্ছে ছোট ম্যাশ সাইজের জাল দিয়ে মাছ ধরার ফলে অচিরেই কাপ্তাই লেক মাছশূন্য হয়ে পড়বে। তাই মাছের বংশ রক্ষা করতে এবং আগামী দিনের শিশুরা যাতে মিঠা পানির মাছ খেতে পারে সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাপ্তাই লেকে নির্ধারিত জেলে এবং নির্ধারিত জাল ছাড়া অন্য কেউ মাছ শিকার করতে পারবেন না। এর ব্যতিক্রম করলে প্রশাসনিক কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান। এ ব্যাপারে কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসন, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার, হেডম্যান, কারবারি, পুলিশ, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিজিবিসহ সর্বস্তরের জনগণের কাছে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা চেয়েছেন কপাবিকের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এ টি এম আব্দুজ্জাহের।

প্রকাশ : মার্চ ৭, ২০২৩ ১:৪৮ অপরাহ্ন
পটুয়াখালীতে ৫ মন ওজনের ৭টি শাপলা পাতা মাছ জব্দ
মৎস্য

পটুয়াখালীর মহিপুরে অভিযান চালিয়ে ৫ মন ওজনের শিকার নিষিদ্ধ ৭টি শাপলা পাতা মাছ জব্দ করেছে নিজামপুর কোষ্টগার্ড।

সোমবার (৬ মার্চ) শেষ বিকেলে আলীপুর বিএফডিসি মার্কেট সংলগ্ন পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে এসব মাছ জব্দ করা হয়। কোস্টগার্গের উপস্থিতি টের পেয়ে পারিয়ে যাওয়ায় ওই ঘরের মালিক রহিম ভান্ডারিকে আটক করতে পারেনি কোষ্টগার্ড। রাতে এসব মাছ কোষ্টকার্ড স্টেশনের অদুরে মাটিতে পুতে ফেলা হয়।

নিজামপুর কোষ্টগার্ডের কন্টিজেন্ট কমান্ডার আরিফ মাহামুদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মৎস্য বন্দর আলীপুর বাজারের তালাবদ্ধ একটি ঘরে অভিযান চালানো হয়।

লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যান ও মৎস্য কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ঘরের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে মাছগুলো উদ্ধার করা হয়। ৭টি শাপলাপাতা মাছের ওজন প্রায় ২০০ কেজি। অসাধু জেলেদের বিরুদ্ধে কোষ্টগার্ডের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop