৯:৩৬ পূর্বাহ্ন

মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অক্টোবর ১৮, ২০২২ ৩:৩২ অপরাহ্ন
“সিলেট প্রাইভেট ভেট এসোসিয়েশন” এর কমিটি গঠন
ক্যাম্পাস

সিলেটের প্রাইভেট ভেটেরিনারি ডাক্তারদের একমাত্র সংগঠন “সিলেট প্রাইভেট ভেট এসোসিয়েশন” এর ২০২২-২৩ সালের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৭ জন উপদেষ্টামণ্ডলীর নির্দেশনা ও পরামর্শক্রমে মোট ২১ জন নির্বাহী সদস্য নিয়ে আগামী ১ বছরের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে এই কমিটি।

সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে রয়েছেন ডা. দেবাশীষ ভট্টাচার্য্য (এসিআই গোদরেজ এগ্রোভেট প্রা. লি.), ডা. মো. খোরশেদ আলম (কাজী ফিড লি.), ডা. দেওয়ান মো. মাহবুবুর রাজীব (ভেট ল্যাব), ডা. জাকির হোসেন (সিপি বাংলাদেশ লি.), ডা. প্রদীপ চন্দ্র বৈন্ষব (আর আর পি ফিড লি.), ডা. মুরাদুজ্জামান প্রধান (এসিআই গোদরেজ এগ্রোভেট প্রাঃ লি.) এবং ডা. জামিল আহমেদ (প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, এলডিডিপি)।

‌সিলেট প্রাইভেট ভেট এসোসিয়ে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ডা. মো. জাকিরুল ইসলাম (নারিশ পোল্ট্রি এন্ড হ্যাচারি) এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ডা. মো. মাহফুজুল হক ( প্রভাষক, সার্জারী ও থেরিওজেনোলজি বিভাগ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়)।

এছাড়াও সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ডা. মো. কয়েস শাহ (প্রভিটা ফিড), ডা. ম. আকিকুল হক আকিক (পারটেক্স স্টার গ্রুপ), ডা. দীপন দেব (মেগা ফিড), ডা. মো. তানিমুল হোসাইন (গোল্ডেন হারভেস্ট ডেইরি লি.) এবং ডা. রাজীব রাজ (পুষ্টিরাজ ফিড লি.)।

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১ ৫:৫২ অপরাহ্ন
প্রফেসর ড.আবু হেনা ‘ভেট সোসাইটি অব পাবনা’র সভাপতি
প্রাণিসম্পদ

সিকৃবি প্রতিনিধি: দেশের ভেটেরিনারি খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে পাবনা জেলার ভেটেরিনারিয়ানরা প্রথম বারের মতো গঠন করলেন ‘ভেট সোসাইটি অব পাবনা’।

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি, এনিম্যাল এন্ড বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের সাবেক ডিন প্রফেসর ড.আবু হেনা মোস্তফা কামালকে সভাপতি করে ৬৭ সদস্যদের কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়েছে।

প্রফেসর ড.হেনা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।কর্মজীবনে তিনি সিলেট সরকারি ভেটেরিনারি কলেজের অধ্যক্ষ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, ডিন,বিভাগীয় চেয়ারম্যান সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।

প্রকাশ : এপ্রিল ২৩, ২০২১ ১০:৫৪ অপরাহ্ন
কোভিড-১৯ ক্রাইসিসে বাংলার ভেট সমাজের ভুমিকা ও আমার উপলব্ধি
প্রাণিসম্পদ

ডা. নাজমুল হুদাঃ আমি এমন একজন পেশাজীবি যার নামের ইংরেজী শব্দটি ব্যবহার করলে শিক্ষিত মানুষকে একটু দম নিতে হয় । কম শিক্ষিত মানুষেরা আবিষ্কার করেন এক নতুন শব্দ । আর আধা শিক্ষিত কীংবা অশিক্ষিত জনগণ সৃষ্টি করেন লেজে গোবরে পরিস্থিতি ।উদাহরণ দিলেই পরিষ্কার হবে । গ্রামের বাজারে কোন কারণে উপজেলা পরিষদের কয়েকজন কর্মকর্তা এসেছেন । তাদের সম্মানে ও আপ্যায়নে এগিয়ে আসেন ক্ষমতাসীন দলের নেতৃবৃন্দ ও বিত্তশালী লোকেরা । বিত্তশালীদের একজন হচ্ছেন এক ভেটেরিনারিয়ানের বাবা । সবাই পরিচয় করিয়ে দিলেন ইনি একজন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তার বাবা । কর্মকর্তাগণ ভদ্রলোককে সম্মান জানিয়ে পাশে বসালেন । একজন কর্মকর্তা জিজ্ঞেস করলেন ” চাচা আপনার ছেলে কিসে চাকুরি করে ? জবাবে ভেটেরিনারিয়ানের বাবা বললেন ” আমার ছেলে ব্যাটালিয়ান সার্জন ।”
সবাই একটু নীরব হয়ে চার পাশে তাকাতে লাগলেন । আকারে ইঙ্গিতে অন্যদের হস্তক্ষেপ কামনা করলেন । পরিস্থিতি যে গোলা হয়ে যাচ্ছে তা চাচা বুঝতে পেরে নিজেই বললেন ” আমার ছেলে এগ্রিকালচার ইনিভার্সিটি পড়ছে । বিসিএস পাশ করছে ।” কৃষি অফিসার বলেই ফেললেন তাহলে আপনার ছেলে ভেটেরিনারি সার্জন । গ্রামের সহজ সরল বাবা তাঁর ছেলেকে এমন একটি ডিসিপ্লিনে পড়াশুনা করালেন যার নামটাই তিনি সঠিক করে বলতে পারেন না । আরেকটু যদি উপরের দিকে যাই যারা কিছু পড়াশুনা করেছেন , দুই একটা সনদও সংগ্রহ করেছেন সরকারের নিকট থেকে । তারা আমার ডিসিপ্লিনকে কীভাবে উচ্চারণ করেন ? হয় তারা ভেটানি সাইন্স অথবা ভেটারি সাইন্স এর মত একটা উচ্চারণ করেন । যারা এই উচ্চারণগত জটিলতায় যেতে চান না তাদের হাতে সহজ একটা শব্দ আছে তা হচ্ছে পশু ডাক্তার । আরেকটু শ্রুতি মধুর শব্দ ব্যবহার করলে প্রাণি চিকিৎসক । জেনে রাখা দরকার পশু ডাক্তার/প্রাণি চিকিৎসক শব্দগুলি ভেটেরিনারিয়ান এর প্রতিস্থাপন নয় ।
কিছুটা তৃপ্তিবোধ নিয়ে লিখছি । বর্তমানে রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য সিটিকর্পোরেশন এলাকায় পোষা প্রাণি-পাখি লালন পালন এর ক্ষেত্রে একটা ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে । আমি হাসপাতালে গেলে সিএনজি কীংবা উবারে যাই । কিন্তু পোষা খরগোশ যখন আমার কাছে আসে সে মালিকের প্রাইভেট কারে আসে । আর ঐ মালিক কিন্তু আমাকে ভেট বলেই ডাকেন । আমাকে প্রাণি চিকিৎসক বললে আমাকে সংক্ষিপ্ত করা হয় । ছাটাই করা হয় আমার অনেক ভূমিকাকে । ভেটেরিনারি শব্দটার ব্রান্ডিং চাই । শুরু হয়ে গেছে । উপজেলা লাইভস্টক অফিস ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল লিখতে এখন আমরা বাধ্য । জেলায় জেলায় বসে পড়েছেন জেলা ভেটেরিনারি অফিসার । বিভাগীয় পর্যায়ে উপ-পরিচালক, ভেটেরিনারি পাবলিক হেলথ ।
বাংলাদেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের বর্ষপূর্তি হয়ে গেল । ইতিমধ্যে নতুন ভেরিয়েন্ট এর আমদানী হয়ে গেছে । শেষ কোথায় না পারছি আমরা বলতে না পারছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলতে । চলুন দেখি জীবন না থামিয়ে রেখে কীভাবে মোকাবেলা করে যাচ্ছে বাংলার ভেট সমাজ ।
০১) ভেটেরিনারিয়ানগণ জুনুটিক ডিজিজ নিয়ন্ত্রণে যৌথভাবে কাজ করেন ওয়ান হেলথ এর মাধ্যমে । কোভিড-১৯ সংক্রমনের সাথে সাথে পথে বসতে যাচ্ছিল প্রাণিসম্পদ প্রোডাক্টসমূহ । স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ব্যানার ফেস্টুনে পশু পাখির মাধ্যমেও ছড়ায় ধরণের তথ্যগুলি আসছিল মিডিয়াতে । ভেটসমাজ এর বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান দিয়েছেন । এক্ষেত্রে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে বাংলাদেশ ভেটেরিনারি এসোসিয়েশন ।বাংলাদেশে ওয়ান হেলথ কো-অর্ডিনেটর একজন ভেটেরিনারিয়ান যিনি আউটব্রেকের পর থেকে অদ্যবধি ওয়েবিনার , সেমিনার ইত্যাদির মাধ্যমে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ মুভমেন্টের সাথে জড়িত । ভেটেরিনারি নেতৃবৃন্দকে বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবসের শুভেচ্ছা ও লাল আমার সালাম ।
০২. প্রাণিজ প্রোটিনের উৎপাদন ও নিরবিচ্ছিন সরবরাহে ভেট সমাজ
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কোভিড প্রতিরোধ এর জন্য লক ডাউনের শিকল ভেঙ্গে মাঠে নেমেছে ভেট সমাজ । উৎপাদন অব্যাহত রাখার জন্য থাকছে খামারীর পাশে । উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণে যাতে সমস্যা না হয় সেজন্য সররকার চালু করেছেন ডিম, দুধ, মাংসের ভ্রাম্যমান বাজার । তাতে মনিটরিং করছেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভেট সমাজ । অনেকেই কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন । অনেকেই মৃত্যুবরণ করেছেন কেউবা ফিরে এসেছেন মৃত্যুর দুয়ার থেকে তবু পেশাগত দায়িত্বে থেকেছেন অটুট ।
০৩) কোভিড-১৯ ডায়াগনোসিস এ ভেট সমাজ ।
তৃণমূল পর্যায়ে পিসিআর ব্যবহারে যখন হিমশিম খাচ্ছিল সরকার তখনই রেপিড ডট ব্লট এর মাধমে কোভিড-১৯ সনাক্তকরণ কিট আবিষ্কারের ঘোষনা দিয়েছেন ভেট সমাজের অহংকার ড. বিজন কুমার শীল । কিট সরকার কিনেনি সেটা ভিন্ন কথা । কিন্তু তাঁর গবেষণা অব্যাহত । হয়তো আরও কোন বড় চাপটারে দেখা যাবে ড. শীলকে । স্বল্প প্রশিক্ষণে পিসিআর অপারেশনে যখন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিলেন বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকগণ তখন তাদের পাশে টেকনোলজি নিয়ে হাজির হয়েছে আইসিডিডিআরবি’র ভেটেরিনারিয়ান ড. সৈয়দ মাজেদুর রহমান শাকিল । ভেটদের ভূমিকায় সন্তুষ্ট হয আইইডিসিআর । পরবর্তীতে পিসিআর ল্যাবগুলিকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য গঠন করে ন্যাশনাল এক্সপার্ট পুল যেখানে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ০৩ জন ভেটেরিনারি একাডেমিশিয়ান । তারা হলেন ড. নাজমুল হুসাইন নাজির, প্রফেসর (মাইক্রোবায়োলজি), এবং প্যাথলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নুরুজ্জামান খোকন এবং ড. রোকসানা পরভীন মিথুন ।
সবার আগে হাত তোলে নিজেদের পিসিআর ল্যাবে মানুষের করোনা শনাক্তের দায়িত্ব নিলেন বিএলআরআই এর ভেটেরিনারিয়ানগণ । কোভিড-১৯ ক্রাইসিসে ইহা বাংলাদেশের ভেটেরিনারিয়ানদের জন্য একটি গৌরবময় অধ্যায় । চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারিয়ানগণও তাদের পিসিআর ল্যাবে করেছেন কোভিড-১৯ টেস্ট । শুধু তাই না ভেটিরিনারি শিক্ষার এই চমৎকার বিদ্যাপিঠ জামালপুরস্থ শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজকে পিসিআর মেশিন দিয়ে সহযোগীতা করেছে ।ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের কোভিড-১৯ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে পিসিআর মেশিন সরবরাহ থেকে শুরু করে অন্যান্য সাপোর্ট সার্ভিস ক দিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষক । তার মধ্যে ড. পূর্বা ইসলাম, প্রফেসর (ফার্মাকোলজি) অন্যতম ।
০৪) কোভিড-১৯ ক্রাইসিসে ক্ষতিগ্রস্থ খামারীদের পাশে ভেট সমাজ
কোভিড-১৯ ক্রাইসিস এ ক্ষতিগ্রস্থ খামারীদের প্রণোদনা দিয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এর এলডিডিপি প্রকল্প । আর তা বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ে কঠোর পরিশ্রম করছেন অধিদপ্তরে কর্মরত ভেটেরিনারিয়ানগণ ।
উপসংহার :
প্রাণি চিকিৎসক কীংবা পশু চিকিৎসক নয় আমার ভেটেরিনারিয়ান বা ভেট শব্দটা চাই । হিউম্যান ডিজিজ কন্ট্রোলে ভেটদের যে ভূমিকা আছে তার ব্রান্ডিং চাই । বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল ভেটেরিনারিয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা । বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস সফল হউক । করোনার কবল থেকে মুক্তি পাক মানব সমাজ ।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop