১১:১৩ পূর্বাহ্ন

মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুলাই ২৯, ২০২৩ ১:৪৫ অপরাহ্ন
ল্যাবের সহগবেষকদের সাথে হাওর ভ্রমণ
ট্যুরিজম

ছালেহা খাতুন রিপ্তা, নিজস্ব প্রতিনেদকঃ চারিদিকে যতদূর চোখ যায় বিস্তীর্ণ জলরাশি। খোলা আকাশের নিচে স্বচ্ছ পানিতে রোদের খেলা সেই সাথে মলয় বাতাস এ যেন রূপসী বাংলার চিরচেনা আবহ। জীববৈচিত্র্যে ভরপুর অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি কিশোরগঞ্জের নিকলী হাওর। বর্ষাকালে ২১৪ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই উপজেলার বেশিরভাগই পানিতে নিমজ্জিত থাকে। ভরা মৌসুমে এ হাওড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পাড়ি জমায় হাজার হাজার দর্শনার্থী।

নিকলী হাওর, কিশোরগঞ্জ
নিকলী হাওর, কিশোরগঞ্জ

গতকাল শুক্রবার কিশোরগঞ্জের নিকলী হাওর ভ্রমণ করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের একদল শিক্ষার্থী। মাস্টার্স এবং পিএইচডি শিক্ষার্থীদের সাথে উক্ত বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো: রফিকুল ইসলামের সপরিবারে উপস্থিতি এই ভ্রমণকে আরও প্রাণবন্ত করে৷

সপরিবারে অধ্যাপক ড. মো: রফিকুল ইসলাম
সপরিবারে অধ্যাপক ড. মো: রফিকুল ইসলাম

সেসময় শিক্ষার্থীরা হাওর অঞ্চলের পানি এবং উক্ত এলাকার মাটির গুণাগুণ পর্যবেক্ষণ, বোর ধানের ফলন সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ এবং হাওর অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা সরাসরি অবলোকনের সুযোগ লাভ করে।

সকাল ৭:৩০ টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গন থেকে সফর শুরু করে গবেষকদল। পথিমধ্যে গাইটাল বাজারে সকালের নাস্তা শেষে আবার শুরু হয় যাত্রা। সকাল ১১:৩০ টায় নিকলী বেড়িবাঁধ থেকে ইঞ্জিন চালিত বোটে শুরু হয় হাওরভ্রমণ। চারিদিকে অথৈ জলরাশি, মাঝিদের মাছ ধরার দৃশ্য, হাওরের মাঝে জেগে ওঠা চরে ছোট ছোট গ্রাম, জলাবন ইত্যাদি দেখতে দেখতে প্রকৃতির মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলা। মিঠামইন পৌঁছে নামাজের বিরতি শেষে হাওরের বুক চিরে গড়ে তোলা মিঠামইন – অষ্টগ্রাম সড়কে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে পরিদর্শন করা হয় বাংলাদেশের সাবেক মহামান্য রাষ্ট্রপতি জনাব মো: আব্দুল হামিদের বসত ভিটা। পাশেই অবস্থিত হাওর রেস্টুরেন্টে নিকলী হাওরের সুস্বাদু মাছ দিয়ে দুপুরের ভূরিভোজ শেষে পড়ন্ত বিকেলে হাওরের সোনালী সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে বাড়িফেরা। সবমিলিয়ে মনমুগ্ধকর অভিজ্ঞতা।

বাকৃবির মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের গবেষকদল
বাকৃবির মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের গবেষকদল

উল্লেখ্য যে, প্রফেসর ড. মো: রফিকুল ইসলাম মুখ্য গবেষক হিসাবে জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (Jica)’র সাথে সমন্বিতভাবে আর্সেনিকসহ অন্যান্য ভারী ধাতু প্রতিরোধী ধানের যাত উন্নয়ন এবং পরিকল্পিত সেচের পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ধানের উচ্চ ফলন নিশ্চিত করনের উপর বিশদ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। গবেষণার ফাঁকে এহেন বিনোদনের ব্যবস্থা গবেষকদের কাজের উদ্দীপনাকে বহুগুণে বৃদ্ধি করে বলে তিনি মনে করেন।

আরও পড়ুন, বাকৃবি’র গবেষণা অগ্রগতি শীর্ষক বার্ষিক কর্মশালা শুরু

প্রকাশ : জুন ১৪, ২০২৩ ১০:১৯ অপরাহ্ন
বাকৃবি ভিসির বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ
ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সদ্য সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান মন্টুর বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অবৈধ আয়ের মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এনিয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের ভেতরে-বাইরে আলোচনা-সমালোচনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারি নিয়োগে দুর্নীতি ও অবৈধ আয়ের মাধ্যমে ঢাকার পূর্বাচলে ১০ কাঠা জমি, ১৭/জি উত্তরায় ২টি ফ্লাট, জার্মান ও ইংল্যান্ডে বাড়ি এবং নিজ জেলা বরিশালেও বিপুল সম্পদ গড়েছেন বলেও দুদকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বাকৃবির সহকারি অধ্যাপক ইসফাক আহাম্মেদ।

গত ৩১ মে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক (দৈনিক ও সাম্প্রতিক অভিযোগ সেল) উত্তম কুমার মন্ডল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

চিঠিতে দুদক কর্মকর্তা আরও উল্লেখ করেন, বাকৃবি সদ্য সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান মন্টুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ চলতি বছরের ২৯ মার্চ দুদক ময়মনসিংহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দায়ের হয় (যাহার অভিযোগ নং- ২৮/২০২৩)। প্রাপ্ত এই অভিযোগ তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য বিশ^বিদ্যালয় মুঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবরে গত ৩১ মে গ্রেরণ করা হয়েছে।

লিখিত অভিযোগে ইসফাক আহাম্মেদ দাবি করেন, প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান মন্টু চাকরি বিধি লঙ্গন করে ২০১২ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আর্ন্তজাতিক ধান গবেষনা ইনস্টিটিটের আঞ্চলিক কার্যালয়ে গোন্ডেন রাইচ প্রকল্পে পরামর্শক (কনসালটেন্স) হিসাবে কাজ করেছেন। এতে অবৈধ ভাবে প্রায় ৮ কোটি টাকা আয় করে বিদেশে পাচার করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে এই পরামর্শক কাজে যাওয়া আসায় তিনি বিশ^বিদ্যালয়ের যানবাহন ও জ¦ালানি ব্যবহার করে প্রায় ২৫ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি করেছেন।
একই সঙ্গে প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান মন্টু বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি হওয়ার পর দুইটি বাসা দখলে রেখে এবং এতে পাহাড়া বসিয়ে প্রায় ৭৬ লাখ টাকা ক্ষতি করেছেন। এছাড়াও তিনি নিজের আত্মীয়কে দিয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ঠিকাদারি কাজ করিয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন।

ইসফাক আরও দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারি নিয়োগে বাণিজ্য করে বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান মন্টু। এতে তাঁর ছেলেরাও জড়িত রয়েছে। এছাড়াও লুৎফুল হাসান মন্টু নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য বিশ^বিদ্যালয়ের সুনামধন্য কয়েকজন শিক্ষককে ছাত্রলীগ লেলিয়ে দিয়ে লাঞ্চিত করেছেন বলেও অভিযোগ করেন ইসফাক।

তবে এসব অভিযোগ সম্পুন্ন মিথ্যা বানোয়াট ও ভুয়া বলে দাবি করেছেন প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান মন্টু। তিনি বলেন- যিনি নিজেকে সহকারি অধ্যাপক দাবি করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ও ভুয়া অভিযোগ করেছেন, তিনি নিজেই অস্তিত্বহীন। এই নামে কোন শিক্ষক বিশ^বিদ্যালয়ে নেই, আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখেন। তবে পূর্বচালে আমার ছয় ডেসিমেল জমি আছে, বরিশালে পৈত্রিকসূত্রেপ্রাপ্ত জমিতে ছোট একটি বাড়ি আছে এবং ঢাকার দক্ষিন কমলাপুরে পৈত্রিকসূত্রেপ্রাপ্ত জমি আছে। এর মধ্যে বোনদের অংশের কিছু জমি আমি কিনেছি। এর বাইরে পৃথিবীর কোথাও আমার বাড়ি নেই।

এ সময় চাকরিবিধি লঙ্গন করে ধান গবেষনায় পরার্মশক হিসাবে কাজ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিশ^বিদ্যালয়ের অনুমতি নিয়ে সেখানে আমি তিন বছর পরামর্শক ছিলাম। এটা নিয়ম মেনেই করেছি। তাছাড়া আমার কোন ঠিকাদার আত্মীয় বিশ^বিদ্যালয়ে কাজ করেনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০২০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন শতাধিক কর্মচারিরা নিয়োগ হয়েছিল। এটি শুরু করেছিলেন আগের ভিসি। তবে আমার সময়ে দুইটি পৃথক নিয়োগ কমিটি গঠনের মাধ্যমে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এতে কোন ধরনের নিয়োগ বাণিজ্য হয়নি।

এ সময় তিনি দাবি করেন, মূলত আমার দ্বায়িত পালনকালীন সময়ে কেউ হয়ত কোন সিদ্ধান্তে আমার প্রতি অসন্তোষ্ট হয়েছে। আর এ কারণেই হয়ত আমাকে হয়রানি করার জন্য এই মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে বলে আমি মনে করি।
সূত্র: ইনকিলাব

প্রকাশ : জুন ১৪, ২০২৩ ১০:০৫ অপরাহ্ন
বাকৃবির পশুপালন অনুষদের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ
ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশুপালন অনুষদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করা হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত গেজেটে নন ক্যাডার বা ক্যাডার বহির্ভূত পদে এনিমেল হাজবেন্ড্রির বিপরীতে কোনো ডিগ্রি না রাখায় এ কর্মসূচি ডেকেছেন শিক্ষার্থীরা। মন্ত্রণালয় প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনটি সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।

সোমবার (১৩ জুন) পশু পালন অনুষদের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে এ ঘোষণা দেন পশুপালন অনুষদ ছাত্র সমিতির ভিপি রেজওয়ান উল আমিন।

তিনি বলেন, ডক্টর অব ভেটেরিনারি সাইন্স (ডিভিএম) ডিগ্রিধারীরা যেমন ভেটেরিনারি কাউন্সিল থেকে রেজিস্ট্রেশন পান ঠিক তেমনি বি.এস.সি ভেট সায়েন্স অ্যান্ড এ.এইচ (কম্বাইন্ড) ডিগ্রিধারীরাও ভেটেরিনারি কাউন্সিল থেকে রেজিস্ট্রেশন পান। সেক্ষেত্রে স্পষ্টত দুইটা ডিগ্রি আলাদা কিছু নয়। এনিমেল হাজবেন্ড্রি (পশু পালন) ডিগ্রির সমতুল্য কোনো ডিগ্রি বাংলাদেশে নেই। অবিলম্বে এনিমেল হাজবেন্ড্রির বিপরীতে রাখা তথাকথিত কম্বাইন্ড ডিগ্রি তুলে দিতে হবে। অন্যথায় কঠিন আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে প্রাণির উৎপাদন বিষয়ক কয়েকটি নন-ক্যাডার পদে পশুপালন গ্রাজুয়েটদের পাশাপাশি ভেটেরিনারি সাইন্স ও এনিমেল হাজবেন্ড্রি তথা কম্বাইন্ড ডিগ্রিধারীদের একই পদে নিয়োগ সংশোধনের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে টানা ৫ দিন ধরে আন্দোলন করেছেন পশু পালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

প্রকাশ : মে ১৪, ২০২৩ ৫:০৫ অপরাহ্ন
ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্যে বাকৃবিতে খাদ্য প্রযুক্তি প্রদর্শনী
কৃষি বিভাগ

মাইক্রো, ছোট, মাঝারি উদ্যোক্তরা ফুড বেভারেজের ৯৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ সরবরাহ করে থাকে। একটা বয়সের পর শরীরে ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দেয় । যার মূল কারণ শরীরে সঠিকভাবে পুষ্টি গ্রহণ না করা। কথাগুলো বলেছেন প্রফেসর ড.লুৎফুল হাসান উপাচার্য বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) স্বাস্থ্যকর খাদ্য পণ্য নিশ্চিত করণে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি (এমএসএমই) উদ্যোক্তাদের জন্য আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় খাদ্য প্রযুক্তি প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন।

তিনি আরও বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য এই প্রদশর্নী গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে। এমএসএমইকে সঠিকভাবেভাবে পরিচালনা করতে পারলে একটি বৃহৎগোষ্ঠী উপকৃত হবে।

রোববার (১৪ মে) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অফিসের সম্মেলন কক্ষে ওই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাকৃবির ফুড টেকনোলজি এবং গ্রামীণ শিল্প বিভাগ এবং গ্লোবাল এলায়েন্স ফোর ইমপ্রুভড নিউট্রিশন (গেইন) ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

আলোচনা সভায় ফুড টেকনোলজি ও গ্রামীণ শিল্প বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলজারুল আজিজের সভাপতিত্বে এবং সহযোগী অধ্যাপক ড. আফজাল রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন (ভার্চুয়ালি) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপদ কর্তৃপক্ষের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলিম, বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের জাতীয় সমিতির( নাসিবের) সভাপতি মো নুরুল গনি।

এছাড়া নাসিবের ময়মনসিংহ ও জাতীয় পর্যায়ের সদস্যবৃন্দ এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনের সামনের মুক্তমঞ্চে একটি খাদ্য প্রযুক্তি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এখানে ৭ টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন খাদ্য পণ্য প্রদর্শন করা হয়। যেগুলো প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রক্রিয়াকরণ করে তৈরি করা হয়েছে।

প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম।
এ সময় প্রকল্প প্রধান ড. মোহাম্মদ গোলজারুল আজিজ বলেন, শিল্প কারখানাগুলোর খাদ্য পণ্য তৈরির ক্ষেত্রে যথেষ্ট জ্ঞানের অভাব আছে। তাই ইন্ডাস্ট্রি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন করতে আমরা এই প্রোগ্রামের আয়োজন করেছি। এতে জ্ঞান ভাগাভাগির মাধ্যমে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য মানুষের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হবে। গেইনের সাথে বাকৃবির প্রজেক্ট চলছে । এর একটি উদ্দেশ্য হলো মার্কেটে প্রচলিত কম খরচের খাদ্য পণ্যগুলো শনাক্তকরণ, যা খাদ্য নিরাপত্তায় ভূমিকা রাখবে। প্রযুক্তিগত সহায়তার মাধ্যমে খাদ্য প্রযুক্তি প্রদর্শনী ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোগক্তাদের শক্তিশালী করে পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের সক্ষমতা অর্জনই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. আব্দুল আলিম বলেন, এমএসএমই চাইলেই সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাবার প্রধান করতে পারে না। পণ্য উৎপাদনের জন্য তাদের ক্ষুদ্র অর্থ প্রদান করা হয়, যার জন্য চাইলেও স্বাস্থ্যকর খাবার প্রদান করতে পারে না। কারণ ভোক্তারা স্বাস্থ্যকর খাবার থেকেও বেশি তারা দাম কমের দিকে নজর বেশি দেয়। সরকার এখন বিভিন্ন প্রোগ্রামের মাধ্যমে এমএসএমইকে সমর্থন করে থাকে কারণ তা না হলে বড় কোম্পানিগুলো এইসব পণ্য সরবরাহের মাধ্যমে অনেক সুবিধা ভোগ করবে। তাই প্রত্যেক জেলার এমএসএমএইকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে খাবার গুণগত মান উন্নয়ন করণে প্রদর্শন ও প্রোগ্রামের আয়োজন করা হচ্ছে।

প্রকাশ : মে ৬, ২০২৩ ৭:৩৭ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন
ক্যাম্পাস

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের স্নাতক প্রথম বর্ষের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারে ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার ৯৬ দশমিক ০৬ শতাংশ।

শনিবার (৬ মে) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭৭টি কক্ষে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

বাকৃবি কেন্দ্রে ৮ হাজার ৬৪৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৮ হাজার ৩০৫ জন শিক্ষার্থী। পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস বা অন্য কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাকৃবির ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. মো নজরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, বাকৃবি কেন্দ্রে ঢাবির কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ঢাবির পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল কেন্দ্র পরিদর্শন করে সামগ্রিক পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

এর আগে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বাকৃবি কেন্দ্রের বিভিন্ন কক্ষ পরিদর্শন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। কক্ষ পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, বরাবরের মতো এবারও বাকৃবিতে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পরীক্ষায় উপস্থিতির হারও অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি। সারা দেশে কেন্দ্র হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি অনেক লাঘব হয়েছে, তারা নির্বিঘ্নে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছে।

পরীক্ষার সামগ্রিক পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। ময়মনসিংহ সদরের ভাটিকেশর এলাকা থেকে আগত মো. ইমরান নামের এক পরীক্ষার্থী বলেন, পরীক্ষার পরিবেশ খুব সুন্দর। প্রশ্নের মানও অনেক ভালো হয়েছে। বাকৃবিতে কেন্দ্র হওয়ায় পরীক্ষা দিতে আসতে কোনো সমস্যা হয়নি। ভোগান্তি ছাড়াই খুব সহজে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতে পেরেছি।

প্রকাশ : মার্চ ২৬, ২০২৩ ৪:৪৭ অপরাহ্ন
নানান আয়োজনে বাকৃবিতে স্বাধীনতা দিবস পালন
ক্যাম্পাস

নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি।

রোববার (২৬ মার্চ) সকাল ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মরণসাগর স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। এরপর মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে দোয়া ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

এ সময় জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি ও ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. খান মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মরণসাগর স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় প্রক্টর, সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা, জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

দিনের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অফিস, আবাসিক হল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ ও শারীরিক কসরত প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অবস্থিত স্কুল-কলেজের শিশু কিশোরদের অংশগ্রহণে এই কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। কুচকাওয়াজ ও শারীরিক কসরত প্রদর্শনী শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান।

প্রকাশ : মার্চ ১৬, ২০২৩ ৬:১২ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত
ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের নবাগত ছাত্রছাত্রীদের ওরিয়েন্টেশন ২০২২।

আজ (১৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে এই ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান।
ওরিয়েন্টেশন কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. খান মোঃ সাইফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিন পরিষদের আহবায়ক প্রফেসর ড. মোঃ নজরুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ আসলাম আলী, প্রভোস্ট পরিষদের আহবায়ক প্রফেসর ড. মোঃ নূরুল হায়দার, প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ আজহারুল ইসলাম এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ মোঃ অলিউল্লাহ ও সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড মুহাম্মদ জিয়াউল হক ।

এছাড়াও আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বাকৃবি শাখার সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ মেহেদী হাসানসহ ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছত্রফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ এবং নবীন শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিগন।

এসময় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান বলেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সন্ত্রাস ও র‌্যাগিংমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। যেকোনো সংকট দূরীকরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধভাবে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। তিনি প্রতিটি সেক্টরকে সমন্বয় করে কৃষিকে স্মার্ট কৃষিতে রূপান্তর করতে নবাগত ছাত্রছাত্রীদের ভূমিকা থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়াও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের যোগ্য সম্মান দেয়ার জন্য নবাগতদের আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সকল অনুষদীয় ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, নবীন শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

প্রকাশ : মার্চ ২, ২০২৩ ৪:৪৩ অপরাহ্ন
বাকৃবি’তে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব পেলেন মোঃ অলিউল্লাহ
ক্যাম্পাস

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু,বাকৃবিঃ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) এর রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সংস্থাপন শাখার এডিশনাল রেজিস্ট্রার জনাব মোঃ অলিউল্লাহ। তিনি গত ০১ মার্চ অপরাহ্নে এ দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।

গত রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রেজিস্ট্রার মোঃ ছাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জনাব মোঃ অলিউল্লাহকে রেজিস্ট্রার এর দায়িত্ব প্রদান করা হয়। তিনি বিদায়ী রেজিস্ট্রার মোঃ ছাইফুল ইসলাম এর স্থলাভিষিক্ত হলেন ।

মোঃ অলিউল্লাহ কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার শম্ভুপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মরহুম আলাউদ্দিন ও মাতা মরহুম শাহেরা খাতুন।

মোঃ অলিউল্লাহ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ থেকে ১৯৮৬ সালে স্নাতক, কৃষিতত্ত্ব বিভাগ থেকে ১৯৯০ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বাকৃবি শাখার সভাপতি, বাকসু ১৯৮৭-১৯৮৮ সালে ঈশা খা ছাত্র সংসদের নির্বাচিত ভিপি, বাকৃবি অফিসার পরিষদ এর সভাপতি, বাকৃবি অফিসার পরিষদ এর প্রধান নির্বাচন কমিশনার, বিভিন্ন প্রশাসনিক কমিটির সভাপতি, সদস্য-সচিবসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সফলতার সাথে পালন করেছেন। এছাড়াও অলিউল্লাহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন এবং বর্তমানেও আছেন ।

ব্যাক্তিগত জীবনে মোঃ অলিউল্লাহ বিবাহিত। তার স্ত্রী ডাঃ রুবীনা ইয়াসমিন ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ এর সহকারী অধ্যাপক এবং তিনি দুই কন্যা ও এক পুত্র এর পিতা ।

প্রকাশ : মার্চ ১, ২০২৩ ৯:৪৭ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে বাংলা ভাষায় গল্প বলা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী
ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলা ভাষায় গল্প বলা প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে ওই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হল ছাত্রলীগ।

জানা যায়, অনুষ্ঠান কার্যক্রমটি বাংলা ভাষায় গল্প বলা, বিচারকদের রায় এবং পুরস্কার বিতরণ মাধ্যমে পরিচালিত হয়। প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন ছাত্রী ও ছাত্র হলের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

আসিফ আহমেদ শুভ ও মেহেদী আলিফ অয়নের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি ও ফলিত পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম। এছাড়াও বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেরিন ফিশারিজ সায়েন্স বিভাগের প্রভাষক উম্মে অহিদা রহমান, হাওর ও চর উন্নয়ন ইন্সটিটিউটের প্রভাষক মো. মাহবুবুল আলম, মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ডা. চন্দ্রশেখর চৌহান এবং কৃষি ব্যবসায় ও বিপণন বিভাগের প্রভাষক এস. এম. শাহরিয়ার। অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষকের দায়িত্ব পালন করেন বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন হলের শতাধিক শিক্ষার্থী।

এসময় প্রধান বিচারক বলেন, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের এই বাংলা ভাষার অর্জন। তাই ভাষার ব্যবহারে আমাদের সচেতন হতে হবে। নতুন শব্দের জন্য আমাদের অনেক বই পড়তে হবে। ভাষার মাসে আমাদের সকল ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হবে।

এ ধরনের আয়োজন আমাদের অনেক নতুন নতুন শব্দের সাথে পরিচিত করে। আমরা নিজে লিখতে না পারলেও পাঠক হিসেবে আমাদের বন্ধুদের উৎসাহ দিতে পারি। নিজ নিজ আঞ্চলিক ভাষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। তবে প্রমিত বাংলা ভাষাটাও সকলকে জানতে হবে। সাবলীল বাংলায় উপস্থাপন করা শিখতে হবে আমাদের সকলকে।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৫, ২০২৩ ৭:৫৯ অপরাহ্ন
সুন্দরবন রক্ষায় ৯টি দাবি বাকৃবি গ্রীন ভয়েসের
ক্যাম্পাস

বাঁচুক বাঘ, বাঁচুক পাখি, সুন্দরবন সংরক্ষিত রাখি’ স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) সুন্দরবন দিবসে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবাদী যুব সংগঠন গ্রীন ভয়েস।

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তন সংলগ্ন মুক্তমঞ্চের সামনে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে পরিবেশবাদী যুব সংগঠন গ্রীন ভয়েস ৯টি দাবি তুলে ধরে। দাবিগুলো হলো সুন্দরবনের বাঘ ও অন্যান্য বন্যপ্রাণী রক্ষা করুন, সুন্দরবনের বিষ প্রয়োগে মাছ নিধন বন্ধ করুন, বাংলাদেশ বাঁচাতে সুন্দরবন বাঁচান, বদের অবৈধভাবে প্রবেশধিকার বন্ধ করুন, বনে গাছ কাটা বন্ধ করুন, সুন্দরবনের নদীতে যান চলাচল বন্ধ করুন, সুন্দরী ও গোলপাতাসহ সকল গাছপালা রক্ষা করুন, সুন্দরবনের জনসাধারণের চলাচল বন্ধ করুন, সুন্দরবনে অবৈধভাবে জমি দখল বন্ধ করুন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. খান মোঃ. সাইফুল ইসলাম, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. হারুন -অর – রশিদ ও ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আশরাফুজ্জামানসহ গ্রীন ভয়েসের সদস্যরা।

অধ্যাপক ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, সুন্দরবনের অভয়ারণ্য স্থানগুলোকে পর্যটন কেন্দ্র বানানো যাবে না। পরিবেশের সাথে আমাদের আরও সহনশীল হতে হবে। সরকারকে এ বিষয়ে আরো জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

অধ্যাপক ড. মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের সুন্দরবনের ৬৬ শতাংশ থাকা সত্ত্বেও বাঘের সংখ্যা ভারতের তুলনায় কম। ভারতে বন সংরক্ষণ ও বাঘ বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সময়ে পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়। ফলে বাংলাদেশ থেকে অনেক বাঘ ভারতে চলে যাচ্ছে। এই সমস্যা সমাধান করতে সরকারকে আরো দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ নিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop