১২:২১ অপরাহ্ন

মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৫, ২০২২ ১২:০৩ অপরাহ্ন
সংগীত প্রযোজনা ছেড়ে খামারে উদ্যোক্তা রায়হান
প্রাণিসম্পদ

উপজেলা শহর থেকে প্রায় ১৯ কিলোমিটার দূরে বীরগঞ্জের চৌপুকুরিয়া গ্রাম। বছর দশেক আগে সংগীত প্রযোজনা ছেড়ে খামারে নামেন এ গ্রামের যুবক রায়হান হোসেন রিন্টু। ৯ একর জায়গাজুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে অহনা অ্যাগ্রো ফার্ম।

ফার্মে খোলামেলা পরিবেশে গরু লালনপালন করা হয়। এ ফার্মের উৎপাদিত দুধ সম্পূর্ণ অ্যান্টিবায়োটিকমুক্ত। অহনা অ্যাগ্রো ফার্মকে বলা হয় একটি আদর্শ খামার।

পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় দীর্ঘ তিন বছরে আটটি গরুতে রায়হানকে লোকসান গুনতে হয়েছে ৩৫ লাখ টাকা। পরে ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় ঘুরে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টায় সফল হন তিনি।

ফার্মের বর্তমান অবস্থানে সন্তুষ্ট হলেও এখানেই থেমে থাকতে চান না রায়হান হোসেন। তাঁর পথ অনুসরণ করে আরও অনেকে এখন খামার গড়ে তুলেছেন। নিজে প্রতারিত হলেও অন্যদের ব্যাপারে সব সময় সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন তিনি। সেই সঙ্গে দেন প্রয়োজনীয় পরামর্শ।

দুধ উৎপাদনের পাশাপাশি রায়হান শুরু করেন প্রাকৃতিক জৈব সার উৎপাদন। ২০১৫ সালে শুরু করেন মাছ চাষ। ভেজালমুক্ত উৎপাদনের জন্য নিজের খামারেই ঘাস উৎপাদন শুরু করেন।

বর্তমানে রায়হান হোসেনের খামারে প্রতিদিন প্রায় ১০০ লিটার দুধ উৎপাদিত হয়। বীরগঞ্জ থেকে দুধ নিয়ে দিনাজপুর শহরে এনে বিক্রি করেন তিনি। শহরের সচেতন মানুষ রায়হানের খামারের দুধের বড় গ্রাহক। বর্তমানে অহনা অ্যাগ্রো খামারে দুধের পাশাপাশি ঘি, পনির ও মাখন উৎপাদিত হচ্ছে।

চাকরির পেছনে না ছুটে যুবকেরা খামার, পশুপালন, কৃষিকাজ, মাছ চাষসহ বিভিন্ন উৎপাদনমুখী কাজে নিয়োজিত করে বেকার সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারে বলে মনে করেন রায়হান হোসেন।

প্রকাশ : নভেম্বর ২৬, ২০২২ ১০:৩০ পূর্বাহ্ন
একটি ডেইরী ফার্ম শুরু করবেন যেভাবে
ডেইরী

ডেইরী ফার্ম কিভাবে শুরু করা যেতে পারে এটা অনেকের মনেই প্রশ্ন আসে। ফার্ম শুরু করার আগে ও পরে যে ব্যাপারগুলো বিবেচনা করা দরকার যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উদাহারণ হিসেবে বলা যায়, ফার্মের জায়গাটা কোথায়, সেখানে ডাক্তার, গরুর খাবার, দুধের দাম, দুধ বিক্রি খুব সহজে করা যায় কিনা তা জানতে হবে। এসবের পাশাপাশি অনেকে জানতে চান ফার্মটা কি রকম হবে, কয়টা গরু দিয়ে শুরু করলে ব্যবসাটা লাভবান হতে পারে। তবে লিখাটা তাদের জন্য যারা খুব ছোট আকারে, একেবারে কম খরচে পাইলট প্রোজেক্ট আকারে শুরু করে বুঝতে চান অথবা যাদের বাজেট কম।

পরিকল্পনা এবং কৌশল: বাজেট টাকা ৩৮০,০০০/- এবং কমপক্ষে ১৫ লিটার দুধের গরু (বাছুরসহ) ২ টা। গোয়াল ঘর: ৩০ ফিট বাই ১৫ ফিট, ইলেক্ট্রিক আর পানির ব্যবস্থা অবশ্যই থাকতে হবে। এবার হিসাব নিকাশ এ আসা যাক।

এককালীন খরচ: ২ টা দুধের গরুর দাম : ৩০০,০০০/- গোয়াল ঘর : ৬০,০০০/- ইলেক্ট্রিক/ পানি : ২০,০০০/- মাসিক আয়-ব্যায়ের হিসাব: ‪‎দুধ বিক্রি থেকে আয়: ২০ লি: x ৫০ = ১০০০ টাকা প্রতিদিনের আয়। তাহলে মাসিক আয়: ১০০০ x ৩০ = ৩০০০০ টাকা। (দুধ ২০ লিটার দেখানো হয়েছে কারণ একটা ১৫ লিটার দুধের গরু ৮ মাসই ১৫ লিটার দুধ দেবে না, ধীরে ধীরে কমতে থাকবে, তাই গড়পড়তা ১০ লিটার প্রতিদিন দেখানো হয়েছে) ‪

‎মাসিক ব্যয়: কর্মচারীর মাসিক বেতন: ৭০০০ টাকা, গরু প্রতি খাবার খরচ: ১৫০ টাকা প্রতিদিন, তাহলে মাসিক খরচ: ৯০০০ টাকা। মেডিসিন এবং অন্যান্য: ২০০০ টাকা। তাহলে মোট ব্যয়: ১৮,০০০ টাকা। (গরু যত বেশি হবে ১ জন কর্মচারীর বেতন বাবদ গড়পড়তা খরচ অনেক কম হবে)।

মাসিক লাভ: ৩০০০০-১৮০০০= ১২,০০০ টাকা। এককালীন উপরের ৩৮০,০০০ টাকা খরচগুলো উঠে আসতে সময় লাগবে ৩১ মাস বা ২ বছর ৭ মাস। কৌশলগতভাবে এই মাসিক আয়কে ধরে রাখতে ৮ মাস পরে আবার ২ টা দুধের গরু কিনতে হবে ২য় পদক্ষেপে। তাহলে একটা সার্কেলের মধ্যে পড়ে যাবে এবং সেক্ষেত্রে কখনই পকেট থেকে টাকা খরচ করে খাবার খরচ আর বেতনাদি পরিশোধ করতে হবে না। আর বড় ধরনের দুর্ঘটনা বা অসুখ-বিসুখ যা আমাদের নিয়ন্ত্রিত নয় তা এখানে দেখানো হয়নি।

২.৫ বছর পর ব্যলান্সসিট কেমন হবে? সম্পদের পরিমাণ কত হবে (মানে কতগুলো গরু আছে এবং তার মূল্য কত), এটা বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি তা বের করা যায়, তাহলেই বোঝা যাবে ডেইরী ব্যবসা কেমন হবে।

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৯, ২০২২ ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন
ডেইরি ফার্ম শুরু করবেন যেভাবে
প্রাণিসম্পদ

ডেইরি ফার্ম করার দিকে এখন অনেকেই ঝুঁকছেন। তবে শুরুটা শুরু করতে গিয়ে অনেকে হিমশিম খাচ্ছেন। কোথায় থেকে, কিভাবে করবেন এটা নিয়ে শুরু হয় দুশ্চিন্তা। কত টাকা লাগবে, কয়দিন লাগবে। সব মিলিয়ে থাকে নানান চিন্তা। তবে কিছু বিষয় জেনে রাখলে ডেইরি ফার্ম নিয়ে এতটা বেগ পেতে হবে না আগ্রহীদের।

একটি পরিকল্পনা
বাজেট ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কমপক্ষে ১৫ লিটার দুধের গরু বাছুরসহ ২টি। মনে রাখতে হবে গাভি সব সময় সমপরিমাণ দুধ দেবে না। কম-বেশি হতে পারে। তবে গড়ে ১০ লিটার ধরে নিতে পারেন। গোয়াল ঘর করতে হবে ৩০ ফিট বাই ১৫ ফিট। তাতে ইলেক্ট্রিক আর পানির ব্যবস্থা অবশ্যই থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, ফ্লর যেন পাকা হয়। উপরে টিনের চাল থাকলেই হবে। চারদিকে আলো-বাতাস ঢোকে এমন বেড়া দিতে হবে।

এককালীন খরচ: ২টি দুধের গরুর দাম ৩ লাখ টাকা। গোয়াল ঘর খরচ ৬০ হাজার টাকা। ইলেক্ট্রিক ও পানি খরচ ২০ হাজার টাকা।
দুধ থেকে আয়: ২০ লিটার দুধ ৫০ টাকা করে ১ হাজার টাকা প্রতিদিনের আয়। তাহলে মাসিক আয় ৩০ হাজার টাকা। ‪

‎মাসিক ব্যয়: কর্মচারীর মাসিক বেতন ৭ হাজার টাকা। গরুর খাবার খরচ ১৫০ টাকা প্রতিদিন। তাহলে মাসিক খরচ ৯ হাজার টাকা। ওষুধ এবং অন্যান্য ২ হাজার টাকা।

মাসিক লাভ: আয় ও ব্যয় বাদ দিলে মাসে লাভ হবে ১২ হাজার টাকা। এককালীন খরচের ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা উঠে আসতে সময় লাগবে ২ বছর ৭ মাস।

পদক্ষেপ: এভাবে মাসিক আয় ধরে রাখতে ৮ মাস পর আবার ২টা দুধের গরু কিনতে হবে। তাহলে একটি সার্কেলের মধ্যে পড়ে যাবে। সেক্ষেত্রে কখনোই পকেট থেকে টাকা খরচ করতে হবে না।

দুর্যোগ: বড় ধরনের দুর্ঘটনা বা অসুখ-বিসুখ আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তাই এখানে তার হিসাব দেখানো হয়নি।

ব্যবসা: ২-৫ বছর পর লাভের পরিমাণ কেমন হবে? সম্পদের পরিমাণ কত হবে? এটি বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি তা বের করা যায়, তাহলেই বোঝা যাবে ডেইরি ব্যবসা কেমন হবে। সূত্র: জাগো নিউজ

প্রকাশ : অগাস্ট ১৩, ২০২২ ৮:৫২ পূর্বাহ্ন
জেনে নিন দুধ উৎপাদনে সেরা জাতের গরুর পরিচয়
প্রাণিসম্পদ

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দুধ উৎপাদনকারী গাভী হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান। এখন পর্যন্ত দুধ উৎপাদনের যত রেকর্ড আছে, সবই এই জাতের গাভী দখলে।

মাংসের বাজারেও এদের রয়েছে সরব উপস্থিতি। সারা বিশ্বে মোট উৎপাদিত দুধের প্রায় ৫০ শতাংশ এই জাতের গরু থেকে পাওয়া যায়।

একে শুধু দুধ উৎপাদনকারী গাভী হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও এই জাতের ষাঁড়ও বৃহৎ আকৃতির হয়ে থাকে। এই জাতের এক একটি পূর্ণবয়স্ক ষাঁড়ের ওজন ৭০০ থেকে এক হাজার কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। আর এক একটি গাভীর উচ্চতা প্রায় ৫৫ থেকে ৭০ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়ে থাকে।

হোলস্টাইন অর্থ সাদা-কালো ডোরাকাটা আর স্থানের নাম ফ্রিজল্যান্ডের সঙ্গে মিলিয়ে এই গরুর নাম হয় হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান। জাতের গরুর আধিনিবাস জার্মানিতে। মূলত জার্মানির কালো জাতের গরু এবং নেদারল্যান্ডের সাদা জাতের গরুর সংকরায়ণের মাধ্যমে সৃষ্টি হয় যুগান্তকারী এই নতুন জাতের গরু।

সাদা-কালো মিশেলের জন্ম নেয়ায় এই গরুর দুধ উৎপাদনের সক্ষমতা সবাইকে চমকে দেয়। এই জাতের গরু এখন আর শুধু জার্মানির আর নেদারল্যান্ডের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। পাশাপাশি তৈরি করেছে খ্যাতিও। বর্তমান বিশ্বে হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ানের সঠিক সংখ্যা কত তা জানা যায় না।

তবে ১৯৯০ সালে শুধু আমেরিকায় নিবন্ধনকৃত এই গরুর সংখ্যা ছিল ৪০ মিলিয়নেরও বেশি।

এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ায় পালনকৃত এক দশমিক ছয় মিলিয়ন ডেইরি গরুর প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশই হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান।

লাতিন আমেরিকা থেকে নিউজিল্যান্ড, কানাডা থেকে রাশিয়া পর্যন্ত পৃথিবীর এমন কোনো গরু পালনকারী ভূখণ্ড নেই, যেখানে কালো সাদা জাতের গরু ব্র্যান্ডিং হয়নি।

তবে সর্বোচ্চ সংখ্যায় পালনকারী দেশ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, ইংল্যান্ড, কেনিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ভারত। বিশাল দেহি এই নরম জাতের এবং দুর্বল হজম ক্ষমতার গরু হিসেবে পরিচিত হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান।

এরা সাধারণত সাদা খর বিশিষ্ট হয়ে থাকে। মাথার উপরে সাদা টিক দেখে সহজে সনাক্তযোগ্য হলেও বিশুদ্ধ কালো জাতের গরু ও দেখা যায়।

এই জাতের গরুর জীবনকাল ছোট হওয়ায় দুধ উৎপাদনের সময়ও কম। ইংল্যান্ডের এই জাতের গরুর গড় জীবনকাল ১২ থেকে ১৪ বছর হয়ে থাকে। এরা বাচ্চাপ্রদান গড়ে পাঁচটি। একটি হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ানগরুর বাচ্চার ওজন ৪০ থেকে ৬০ কেজি পর্যন্ত হয়।

প্রকাশ : জুলাই ৩০, ২০২২ ২:০৫ অপরাহ্ন
দুধ উৎপাদনে সেরা যে জাতের গরু
প্রাণিসম্পদ

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দুধ উৎপাদনকারী গাভী হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান। এখন পর্যন্ত দুধ উৎপাদনের যত রেকর্ড আছে, সবই এই জাতের গাভী দখলে।

মাংসের বাজারেও এদের রয়েছে সরব উপস্থিতি। সারা বিশ্বে মোট উৎপাদিত দুধের প্রায় ৫০ শতাংশ এই জাতের গরু থেকে পাওয়া যায়।

একে শুধু দুধ উৎপাদনকারী গাভী হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও এই জাতের ষাঁড়ও বৃহৎ আকৃতির হয়ে থাকে। এই জাতের এক একটি পূর্ণবয়স্ক ষাঁড়ের ওজন ৭০০ থেকে এক হাজার কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। আর এক একটি গাভীর উচ্চতা প্রায় ৫৫ থেকে ৭০ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়ে থাকে।

হোলস্টাইন অর্থ সাদা-কালো ডোরাকাটা আর স্থানের নাম ফ্রিজল্যান্ডের সঙ্গে মিলিয়ে এই গরুর নাম হয় হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান। জাতের গরুর আধিনিবাস জার্মানিতে। মূলত জার্মানির কালো জাতের গরু এবং নেদারল্যান্ডের সাদা জাতের গরুর সংকরায়ণের মাধ্যমে সৃষ্টি হয় যুগান্তকারী এই নতুন জাতের গরু।

সাদা-কালো মিশেলের জন্ম নেয়ায় এই গরুর দুধ উৎপাদনের সক্ষমতা সবাইকে চমকে দেয়। এই জাতের গরু এখন আর শুধু জার্মানির আর নেদারল্যান্ডের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। পাশাপাশি তৈরি করেছে খ্যাতিও। বর্তমান বিশ্বে হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ানের সঠিক সংখ্যা কত তা জানা যায় না।

তবে ১৯৯০ সালে শুধু আমেরিকায় নিবন্ধনকৃত এই গরুর সংখ্যা ছিল ৪০ মিলিয়নেরও বেশি।

এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ায় পালনকৃত এক দশমিক ছয় মিলিয়ন ডেইরি গরুর প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশই হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান।

লাতিন আমেরিকা থেকে নিউজিল্যান্ড, কানাডা থেকে রাশিয়া পর্যন্ত পৃথিবীর এমন কোনো গরু পালনকারী ভূখণ্ড নেই, যেখানে কালো সাদা জাতের গরু ব্র্যান্ডিং হয়নি।

তবে সর্বোচ্চ সংখ্যায় পালনকারী দেশ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, ইংল্যান্ড, কেনিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ভারত। বিশাল দেহি এই নরম জাতের এবং দুর্বল হজম ক্ষমতার গরু হিসেবে পরিচিত হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান।

এরা সাধারণত সাদা খর বিশিষ্ট হয়ে থাকে। মাথার উপরে সাদা টিক দেখে সহজে সনাক্তযোগ্য হলেও বিশুদ্ধ কালো জাতের গরু ও দেখা যায়।

এই জাতের গরুর জীবনকাল ছোট হওয়ায় দুধ উৎপাদনের সময়ও কম। ইংল্যান্ডের এই জাতের গরুর গড় জীবনকাল ১২ থেকে ১৪ বছর হয়ে থাকে। এরা বাচ্চাপ্রদান গড়ে পাঁচটি। একটি হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ানগরুর বাচ্চার ওজন ৪০ থেকে ৬০ কেজি পর্যন্ত হয়।

প্রকাশ : জুন ২৫, ২০২২ ৯:৩৬ পূর্বাহ্ন
১টি গরু দিয়ে শুরু করে ১৭ বছরে কোটিপতি হলেন আজিজ
প্রাণিসম্পদ

আজিজ ২০০২ সালে শংকর জাতের মাত্র ১টি গরু দিয়ে যাত্রা শুরু করেন। ১৭ বছর ধরে তিল তিল করে গড়ে তুলেছেন নীলফামারী জেলার মোহাম্মদ শাহিদ আজিজ। বর্তমানে তার খামারে ৪০টি গাভি, ১৫টি বকনা, ৫টি ষাঁড় ও ১৫টি বাছুর রয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ১ কোটি টাকা।

জানা যায়, বর্তমানে তার খামারে ১৫টি দুধের গাভি রয়েছে। এসব গাভি থেকে প্রতিদিন ১৫০-২০০ লিটার পর্যন্ত দুধ পেয়ে থাকেন। স্থানীয় বাজারে নিজস্ব একটি মিষ্টির দোকান রয়েছে। সেখানকার চাহিদা মিটিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাত কোম্পানিকে দুধ সরবরাহ করে থাকেন।

আজিজের ডেইরি খামারের পাশাপাশি রয়েছে ছোট একটি ছাগলের খামার। যেখানে দেশি ও উন্নত জাতের প্রায় ১৭টি ছাগল রয়েছে। টেলিভিশনে দেখে উৎসাহিত হয়ে স্থাপন করেছেন তিনটি বায়োগ্যাস প্লান্ট। বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করার আগে গরুর গোবর তেমন কাজে আসত না। বর্তমানে গোবর থেকেও আয় হচ্ছে তার। একটি নিজে ব্যবহার করছেন আর দুটি ভাড়া দিচ্ছেন।

একটি চুলা থেকে ভাড়া বাবদ আয় হচ্ছে ৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ মাসে ৬ হাজার টাকা অতিরিক্ত লাভ করছেন। নিজের কর্মসংস্থান করার পাশাপাশি এখানে কাজ করছেন ৪ জন শ্রমিক। তাদের ৬ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন দিচ্ছেন। শ্রমিকরা জানান, এখানে কাজ করতে পেরে তারা অনেক খুশি।

মোহাম্মদ শাহিদ আজিজ জানান, প্রত্যেক মাসে খরচ বাদ দিয়ে ৫০-৬০ হাজার টাকা আয় হয়ে থাকে। গরুর খাদ্যের দাম ও দুধের বাজার ওঠা-নামার সাথে আয়ও ওঠা-নামা করে থাকে। তিনি আরও জানান, তার খামারের সফলতার পেছনে স্থানীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার সহযোগিতা রয়েছে।

খামার করার পর থেকে আজ পর্যন্ত বড় ধরনের তেমন কোন সমস্যা হয়নি। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশে বেকারত্ব দূর করতে হাতিয়ার হতে পারে গরুর খামার। সরকারের সহযোগিতা আরও বাড়লে এ খাতে ২০ শতাংশ বেকারত্ব দূর করা সম্ভব।

প্রকাশ : জুন ২, ২০২২ ৯:২৪ পূর্বাহ্ন
দুধের উৎপাদন বাড়াতে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে – মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

দুধের উৎপাদন বাড়াতে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। বুধবার (০১ জুন) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে  বিশ্ব দুগ্ধ দিবস ২০২২ উদযাপন ও ডেইরি আইকন সেলিব্রেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পারিনি, কিন্তু মাছ, মাংস ও ডিমে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। অনেক শিক্ষিত মানুষ এখন প্রাণিসম্পদ খাতে বিনিয়োগ করছে। তারা নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করছে। বেসরকারি খাত ছাড়া প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন সম্ভব হতো না। দুধ উৎপাদন বৃদ্ধিতে বেসরকারি খাতকে আরো এগিয়ে আসতে হবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফএও’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন, বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র এগ্রিকালচার স্পেশালিস্ট ক্রিশ্চিয়ান বার্জার। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. আব্দুর রহিম। ডেইরি আইকন সেলিব্রেশন এর ওপর উপস্থাপন করেন প্রকল্পর চীফ টেকনিক্যাল কোঅর্ডিনেটর ড. মো. গোলাম রব্বানী। এছাড়া মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ এবং ডেইরি খাতের উদ্যোক্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতকে সমৃদ্ধ করার জন্য বঙ্গবন্ধু বিদেশ থেকে গবাদিপশু এনেছিলেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পরে পিতার অসমাপ্ত কাজ সফল করার জন্য বিশেষ করে প্রাণিসম্পদ খাতকে সামনে এগিয়ে নেয়ার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা ও প্রকল্প গ্রহণ এবং যেখানে যে সহযোগিতা প্রয়োজন তা দিতে তিনি কুণ্ঠিত হননি।

তিনি আরও বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতের সমস্যা দূর করার জন্য আমরা অনেক কৌশলগত অবস্থান নিয়েছি। একসময় ভারত ও মিয়ানমার থেকে কোরবানির পশু আসতো। এ খাতের খামারি ও উৎপাদকদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে এখন আমরা বিদেশ থেকে কোনভাবেই পশু দেশে আসতে দিচ্ছি না।

তিনি আরও বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে সহযোগিতার হাত সরকার সম্প্রসারণ করে রেখেছে। যারা প্রাণিখাদ্য ও মাছের খাদ্য উৎপাদন করতে চান, তাদের কর রেয়াতসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সরকার দিতে চায়। কিছু কৌশলগত সমস্যার কারণে প্রাণিখাদ্য ও অন্যান্য খাদ্যের দাম বাড়ছে। কিছু মজুতদার ও মুনাফালোভী খারাপ লোক আছে, তারা নিজেরা অনেক কিছু গোপন করে, আটকে রেখে বাইরে ছাড়ছেন কম। প্রাণিখাদ্য তৈরিতে বাইরে থেকে যে উপাদান আনতে হয় তা অতিরিক্ত নিয়েও অনেকে সেটা গুদামজাত করে রেখে কৃত্রিম সংকট দেখান।

মেধাবী জাতি বিনির্মাণে দুধের চেয়ে ভালো খাবার হয় না উল্লেখ করে এ সময় মন্ত্রী বলেন, দেশে দুধের উৎপাদন ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। দুধের উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অত্যন্ত চমৎকার। সরকার মানসম্পন্ন দুধ উৎপাদনে গুরুত্ব দিচ্ছে। এ জন্য দুধ উৎপাদনে পশুকে দেওয়া খাবারের মান বৈজ্ঞানিক উপায়ে নির্ধারণ করতে হবে। শুধু লিটারের পর লিটার দুধ বাড়লেই আমরা লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারবো না। গুণগতমানের দুধ না হলে দুধ থেকে উৎপাদিত খাবারের পুষ্টিমান নিয়েও প্রশ্ন থেকে যাবে।

তিনি আরও বলেন, ডেইরি আইকন পুরস্কারপ্রাপ্তরা রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পাচ্ছেন। এটি সম্মানের বিষয়। এ ধারা অব্যাহত থাকবে এবং বড় পরিসরে করা হবে। ডেইরি খাতে বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে আমরা উদাহরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই।

মন্ত্রী আরও যোগ করেন, দেশে গুঁড়ো দুধ আমদানি হয়। আমরা বিদেশ থেকে গুঁড়োদুধ আনতে চাইনা। বেসরকারি উদ্যোক্তারা এক্ষেত্রে এগিয়ে আসুন। দেশে প্রয়োজনে গুঁড়োদুধ তৈরির শিল্প প্রতিষ্ঠায় সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। পাশাপাশি দুধের বহুজাতিক ব্যবহার করতে হবে। দুধ থেকে বহুমুখী পণ্য উৎপাদন ও বহুমুখী ব্যবহারের মাধ্যমে এ খাতকে সমৃদ্ধ করতে হবে।

পরে মন্ত্রী ডেইরি আইকন ২০২১ পুরস্কারপ্রাপ্ত খামারি ও উদ্যোক্তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

উল্লেখ্য ‘পরিবেশ, পুষ্টি ও আর্থ-সামাজিক ক্ষমতায়নে টেকসই ডেইরি খাত’ প্রতিপাদ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপন করা হচ্ছে।দুধ উৎপাদন বৃদ্ধিতে ডেইরি খামারি ও উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে দেশে প্রথমবারের মতো চারটি ক্যাটাগরিতে ডেইরি আইকন পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। দুগ্ধ খাতে দেশের সফল খামারি ও উদ্যোক্তাদের মধ্য থেকে বাছাইকৃত ৩৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ডেইরি আইকন ২০২১ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে । ডেইরি খামার, পশুখাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, দুধ ও মাংস প্রক্রিয়াকরণ এবং খামার যান্ত্রিকীকরণ ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রতিটি পুরস্কারের আর্থিক মূল্য এক লক্ষ টাকা। সেই সাথে প্রত্যেককে দেয়া হয়েছে ক্রেস্ট ও সনদ।

প্রকাশ : এপ্রিল ১৮, ২০২২ ২:৫৩ অপরাহ্ন
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে গরুর দুধ উৎপাদনে করণীয়
ডেইরী

গবাদিপশু দিয়ে লাভবান হওয়ার আশায় অনেকে খামার গড়ে তুলেছেন। গবাদিপশু তথা গরু পালনে লাভবান হওয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে দুধ উৎপাদন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে গরুর দুধ উৎপাদনে যা জানা জরুরী তা আমাদের অনেকেরই জানা নেই।

স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে গরুর দুধ উৎপাদন করবেন যেভাবে:

১. যথাসম্ভব কম লোক দিয়ে খামারের সকল গরুর দুধ দোহন করতে হবে। খামারের প্রবেশদ্বারে জীবানু নাশক সহ ফুটবাথ রাখতে হবে।

২. দুধ দোহনের পরে গাভীকে খাবার দিতে হবে, ফলে ওলান ফুলা রোগ বা ম্যাসটাইটিস হবার সম্ভবনা থাকবে না।

৩. ম্যাসটাইটিস প্রতিরোধে নিয়মিত সিএমটি পরীক্ষা করা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। চিকিৎসা ও কৃত্রিম প্রজনন গুরুত্ব দেয়ার সাথে সাথে খামার ব্যবস্থাপনায় অধিক গুরুত্ব দিতে হবে।

৪. বছরে ২-৩ বার সঠিক পরিমানে কৃমি নাশক ওষুধ খাওয়াতে হবে। রোগ প্রতিরোধে নিয়মিত সঠিক মাত্রায় টিকা প্রদান করতে হবে।

প্রকাশ : এপ্রিল ৬, ২০২২ ৯:০৫ অপরাহ্ন
ঢাকায় সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংসের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রমের পরিধি বৃদ্ধি
প্রাণিসম্পদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রাজধানীতে পরিচালিত সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংসের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রমে জনসাধারণের ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। একইসাথে বেড়েছে এ সব পণ্যের চাহিদাও। এ বিষয়গুলো বিবেচনা করে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রমের পরিধি বৃদ্ধি করেছে মন্ত্রণালয়।

বুধবার (৬ এপ্রিল) ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রমের স্থান বাড়ানোর পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে পণ্যের সরবরাহও বৃদ্ধি করা হয়েছে।

পূর্বনির্ধারিত সচিবালয় সংলগ্ন আব্দুল গণি রোড, খামারবাড়ি গোল চত্বর, মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন সিটি, মিরপুর ৬০ ফুট রাস্তা, আজিমপুর মাতৃসদন, নয়াবাজার, আরামবাগ, নতুন বাজার, কালশী এবং যাত্রাবাড়ির পাশাপাশি আজ থেকে খিলগাঁও, নাখালপাড়ার লুকাস মোড়, সেগুনবাগিচা ও উত্তরার দিয়াবাড়িতে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

স্থান বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রতিটি ভ্রাম্যমান গাড়িতে দুধ, ডিম ও মাংসের সরবরাহ বৃদ্ধি করা হয়েছে। আজ (৬ এপ্রিল) মোট ১ হাজার ৫০০ কেজি গরুর মাংস, ১৫০ কেজি খাসির মাংস, ৫০০ কেজি ড্রেসড্ ব্রয়লার, ৩ হাজার লিটার দুধ ও ২০ হাজার ডিম বিক্রির জন্য সরবরাহ করা হয়েছে। ৩ হাজার ২৩০ জন ক্রেতা আজ ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্র থেকে পণ্য ক্রয় করেছেন।

অপরদিকে এ ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রম তদারকি ও সমন্বয়ের জন্য প্রতিটি স্থানে একজন উপসচিবকে দায়িত্ব প্রদান করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। গতকাল মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত এক অফিস আদেশে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দৈনন্দিন প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও এ কার্যক্রম তদারকি করছেন।

উল্লেখ্য, রাজধানীতে ১ রমজান থেকে শুরু হওয়া এ কার্যক্রম চলবে ২৮ রমজান পর্যন্ত। প্রতিটি ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে পাস্তুরিত তরল দুধ প্রতি লিটার ৬০ টাকা, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫৫০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৮০০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার প্রতি কেজি ২০০ টাকা এবং ডিম প্রতি হালি ৩০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প ভ্রাম্যমাণ এ কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করছে। এছাড়াও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল এ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত রয়েছে।

প্রকাশ : এপ্রিল ৩, ২০২২ ৪:৩৫ অপরাহ্ন
রাজধানীতে সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংসের ভ্রাম্যমান বিক্রয় কার্যক্রম শুরু
প্রাণিসম্পদ

রমজান মাসে বাজার মূল্য স্থিতিশীল রাখতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংসের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়ের বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

রবিবার (৩ এপ্রিল) রাজধানীর ফার্মগেটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর চত্বরে রমজান মাসে সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংসের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বেইলি রোডের সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।

তিনি আরো বলেন, “১ রমজান আজ থেকে ২৮ রমজান পর্যন্ত রাজধানী ঢাকার ১০টি স্থানে ভ্রাম্যমাণ এ বিপণন কার্যক্রম চালু থাকবে। প্রাথমিকভাবে সচিবালয় সংলগ্ন আব্দুল গণি রোড, খামারবাড়ি গোল চত্বর, জাপান গার্ডন সিটি, মিরপুর ৬০ ফুট রাস্তা, আজিমপুর মাতৃসদন, নয়াবাজার, আরামবাগ, নতুন বাজার, কালশী এবং যাত্রাবাড়ি ভ্রাম্যমাণ বিপণন ব্যবস্থা চালু করা হবে। মাংস, দুধ এবং ডিমের সরবরাহ বৃদ্ধি ও সাপ্লাই চেইন সচল রেখে রমজান মাসে বাজারমূল্য স্থিতিশীল রাখা আমাদের লক্ষ্য। চাহিদা ও দ্রব্যের সরবরাহ বিবেচনা করে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়ের পরিসর বৃদ্ধির পরিকল্পনাও আমাদের রয়েছে”।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আরো বলেন, “প্রতিটি ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে পাস্তুরিত তরল দুধ প্রতি লিটার ৬০ টাকা, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫৫০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৮০০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার প্রতি কেজি ২০০ টাকা এবং ডিম প্রতি হালি ৩০ টাকা দরে বিক্রি করা হবে। ভ্রাম্যমাণ বিপণনে ব্যবহৃত পরিবহনগুলোতে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। কারণ মানুষকে নিরাপদ খাবার পৌঁছে দেয়া সাংবিধানিক দায়িত্ব। কোনভাবেই যাতে খাবারে ভেজাল না আসে, খাবার যাতে মেয়াদোত্তীর্ণ, অস্বাস্থ্যকর বা জীবাণুযুক্ত না হয় এই বিষয়টিতে খামারিদের বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। খাবার যাতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিক্রি না হয় সে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের লক্ষ্য রাখতে হবে”।

মন্ত্রী আরো জানান, “গত বছর রমজান মাসে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং ডেইরি ও পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংসের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় ব্যবস্থায় ৩৪ কোটি ৮৫ লক্ষ ৮৬ হাজার ৪৭ টাকার পণ্য বিক্রয় হয়েছে। এর মাধ্যমে ৪৭ লক্ষ ৩১ হাজার ৩১০ জন ভোক্তা এবং ৮১ হাজার ৩৭৭ জন খামারি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন”।

মন্ত্রণালয় থেকে এ ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়ের সব কার্যক্রম নিয়মিত মনিটর করা হবে বলে এ সময় জানান মন্ত্রী। কম মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংসের ভ্রাম্যমাণ বিক্রির পদক্ষেপ এর আগে কেউ নেয়নি বলেও জানান মন্ত্রী। রমজান মাসে একজন লোকও যাতে কোনভাবে কষ্ট না পায় সেটা সরকারের লক্ষ্য উল্লেখ করে এ সময় অধিক মুনাফা লাভ থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানান মন্ত্রী।

করোনায় প্রাণিসম্পদ খাতের খামারি ও উদ্যোক্তাদের সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “কোন কোন ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয়ভাবে ভ্যাট-ট্র্যাক্স মওকুফের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এতে সরকার কোটি কোটি ছাড় দিলেও উৎপাদন প্রক্রিয়ায় জড়িতরা লাভবান হয়েছেন। প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদন, পরিবহন, বিপণন সবকিছু স্বাভাবিক রাখতে আমরা সক্ষম হয়েছি। করোনায় দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার গতি কোনভাবেই যাতে স্থবির না হয়ে পড়ে সে লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন”।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. আব্দুর রহিম। এছাড়া বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন ও বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের সভাপতি মশিউর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তৌফিকুল আরিফ ও এস এম ফেরদৌস আলমসহ মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রাণিসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্প ভ্রাম্যমাণ এ বিক্রয় কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করছে। এছাড়াও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল কার্যক্রমে সম্পৃক্ত রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop