১০:২৫ পূর্বাহ্ন

মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অগাস্ট ১৯, ২০২২ ৮:২১ পূর্বাহ্ন
গরুর খাদ্য প্রস্তুত করার আগে যে বিষয়গুলো জানা জরুরি
প্রাণিসম্পদ

আমাদের দেশে এখন অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে গরু পালন করছে। গরু পালনের জন্য এর খাবারে প্রতি যত্নবান হতে হবে। গরুকে প্রতিদিন ভালো খাবার না দিলে খামার থেকে বেশি লাভবান হওয়া যাবে না।

গরুর জন্য যেসব খাদ্য উপকরণ স্থানীয় বাজারে সহজে ও সস্তায় পাওয়া যায়, খাদ্য তৈরির সময় সে সকল উপকরণ ব্যবহার করা উচিত। খাদ্য অবশ্যই সুস্বাদু ও সহজ পাচ্য হতে হবে। খাদ্যে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সঠিক মাত্রায় থাকতে হবে। অর্থাৎ খাদ্য সুষম হতে হবে। ময়লা, ছাতাপড়া, দুর্গন্ধ, ধুলাবালি ও ভেজাল ইত্যাদি মুক্ত হতে হবে। ভেজাল মুক্ত বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী দিয়ে খাদ্য তৈরি করতে হবে। খাদ্য উপকরণ হঠাৎ করেই পরিবর্তন করা উচিত নয়, পরিবর্তন করা প্রয়োজন হলে দিনে দিনে অল্প অল্প করে পরিবর্তন করতে হবে।

দুগ্ধবতী গাভীর খাদ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে খনিজ পদার্থ থাকতে হবে, খনিজ পদার্থের অভাবে দুধ উৎপাদন হ্রাস পাবে এবং দুধ দেওয়া শেষে গাভী অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়বে। খাদ্য প্রস্তুতের সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন পশুর পেট ভরা না থেকে।

খাদ্য অবশ্যই স ঠিকভাবে তৈরি করতে হবে। যেমন, ছোলা, খেসারি, মাসকালাই, ভুট্টা, গম, খৈল ইত্যাদি মিশ্রণের আগে ভেঙে (আধা ভাঙা) নিতে হবে। আস্ত শস্য দানা অনেক ক্ষেত্রেই পশু হজম করতে পারেন না।

ছোবড়া জাতীয় খাদ্য যেমন, খড়, কাঁচা ঘাস, ইত্যাদি আস্ত না দিয়ে কেটে কেটে ছোট করে খাওয়াতে হবে। এতে যেমন অপচয় কম হবে তেমনি পশুর সুবিধা হবে এবং হজমে সহায়ক হবে। শুকনা খড় কেটে ভিজিয়ে খেতে দিলে গরুর হজম সহজ ও বৃদ্ধি পায়।

প্রকাশ : মার্চ ৩০, ২০২২ ১:৪৮ অপরাহ্ন
গাভীর স্বাস্থ্য উন্নয়নে যেভাবে তৈরি করবেন দানাদার খাদ্য
প্রাণিসম্পদ

আমাদের দেশে এখন গ্রামাঞ্চলের প্রায় পরিবারগুলো গাভী পালনের দিকে ঝুঁকছেন। গাভী থেকে একদিকে পাওয়া যাচ্ছে বাছুর আর অন্যদিকে পাওয়া যায় পুষ্টিকর দুধ। যা দিয়ে অর্থনৈতিক সংকটও নিরসন করতে পারেন গ্রামের মানুষগুলো। তবে আমাদের অধিকাংশ খামারিরা জানেনা কিভাবে যত্ন নিতে হবে গাভীর। গাভীর স্বাস্থ্য উন্নত করতে করণীয় সম্পর্কে তারা খুব বেশি বিজ্ঞ নয়। তারা জানেন কিভাবে তৈরি করা লাগে গাভীর দানাদার খাবার।

গাভীর স্বাস্থ্য উন্নয়নে দানাদার খাদ্য তৈরির উপায়ঃ

প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
সবুজ ঘাস, খড়,পানি এবং দানাদার খাদ্য।
১০০ কেজি দৈহিক ওজন বিশিষ্ট একটি গাভীর জন্য সাধারণত ১-২ কেজি খড়, ৫-৬ কেজি সবুজ ঘাস এবং ১-১.৫ কেজি দানাদার খাদ্য দিতে হয়।

দানাদার খাদ্য মিশ্রনে:
চাউলের কুঁড়া ২০%, গমের ভূষি ৫০%, খেসারি ভাঙ্গা ১৮%, খৈল ১০%, খনিজ মিশ্রণ ১%, আয়োডিন লবন ১%
গাভী যদি দুধ উৎপাদন করে থাকে সে ক্ষেত্রে প্রথম ১ লিটার দুধ উৎপাদনের জন্য ৩ কেজি দানাদার খাদ্য এবং পরবর্তী প্রতি ৩ লিটার দুধ উৎপাদনের জন্য ১ কেজি হারে দানাদার খাদ্য প্রদান করতে হবে।

নিচে ২৫০ থেকে ৩০০ কেজি দৈহিক ওজনের দুগ্ধবতী গাভীর জন্য সুষম খাদ্য তালিকা দেওয়া হল-

উপাদান দৈনিক দেয়ার পরিমাণঃ
দানাদার খাদ্য মিশ্রণ ৪-৭ কেজি, কাঁচা সবুজ ঘাস ৯-১২ কেজি,পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি এবং শুকনো খড় ৩-৪ কেজি।

গাভীর খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে আধুনিক পদ্ধতি অবলম্বন করলে খাদ্যে পাচ্যতা, পুষ্টিগুণ ও উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায়।

প্রকাশ : মার্চ ২১, ২০২২ ১:৩১ অপরাহ্ন
গর্ভবতী গাভীকে খাদ্য প্রদানে যেসব বিষয় গুরুত্ব দিতে হবে
প্রাণিসম্পদ

গাভী গর্ভবতী হলে খাদ্য প্রদানে যে বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হবে সেগুলো খামারিদের ভালোভাবে জেনে রাখতে হবে। লাভজনক হওয়ার কারণে দিন দিন গাভী পালনে আগ্রহী হচ্ছেন অনেকেই। গাভী পালনকালে গর্ভবতী অবস্থায় বেশি যত্ন নিতে হয়। আজকে আমরা জানবো গাভী গর্ভবতী হলে খাদ্য প্রদানে যে বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হবে সেই সম্পর্কে

১। গর্ভবতী গাভীকে খাদ্য প্রদানে এমনভাবে খাদ্য প্রদান করতে হবে যাতে গাভীর দৈনিক খাদ্য চাহিদা পূরণ হয়। সম্ভব হলে একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর গাভীকে খাদ্য প্রদান করতে হবে। এতে গাভী সুস্থ-সবল থাকবে ও বাচ্চাও পরিপুষ্ট হবে।

২।  গাভীকে   যতটা সম্ভব নরম ও তরল জাতীয় খাদ্য বেশি খাওয়াতে হবে। শুকনো খাদ্য প্রদানের পাশাপাশি নরম ও তরল খাদ্য প্রদান করলে গাভীর খাদ্য হজমে সমস্যা দেখা দিবে না এবং গাভী সুস্থ থাকবে।

৩।  গাভীকে খাদ্য প্রদানের সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে গাভীর খাদ্যে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদন বিদ্যমান থাকে। গর্ভবতী থাকা অবস্থায় গাভীর শরীরে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টির দরকার হয়। এছাড়াও গাভীকে পুষ্টিকর খাদ্য গাভীকে প্রদান করলে গর্ভের বাচ্চা সুস্থ ও সবল থাকে।

৪। গর্ভধারণ করা গাভী বেশি দুর্বল হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে গাভীর খাদ্য প্রদান করতে হবে। এছাড়াও গাভীকে সবল রাখার জন্য খাদ্যের সাথে অতিরিক্ত উপাদান মিশ্রিত করে গাভীকে খাওয়াতে হবে।

৫। গর্ভবতী গাভীকে কাঁচা ঘাস খাওয়াতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়। গাভীকে নিয়মিত কাঁচা ঘাস খাওয়ালে গাভীর প্রয়োজনীয় সকল ভিটামিন ও পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে। এছাড়াও গাভী আরও বেশি শক্তিশালী হবে। ফলে বাচ্চা প্রসবের সময় তেমন কোন জটিলতা দেখা দিবে না।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০২২ ১:২৪ অপরাহ্ন
গাভীর স্বাস্থ্য উন্নয়নে যেভাবে তৈরি করবেন দানাদার খাদ্য
প্রাণিসম্পদ

আমাদের দেশে এখন গ্রামাঞ্চলের প্রায় পরিবারগুলো গাভী পালনের দিকে ঝুঁকছেন। গাভী থেকে একদিকে পাওয়া যাচ্ছে বাছুর আর অন্যদিকে পাওয়া যায় পুষ্টিকর দুধ। যা দিয়ে অর্থনৈতিক সংকটও নিরসন করতে পারেন গ্রামের মানুষগুলো। তবে আমাদের অধিকাংশ খামারিরা জানেনা কিভাবে যত্ন নিতে হবে গাভীর। গাভীর স্বাস্থ্য উন্নত করতে করণীয় সম্পর্কে তারা খুব বেশি বিজ্ঞ নয়। তারা জানেন কিভাবে তৈরি করা লাগে গাভীর দানাদার খাবার।

গাভীর স্বাস্থ্য উন্নয়নে দানাদার খাদ্য তৈরির উপায়ঃ

প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
সবুজ ঘাস, খড়,পানি এবং দানাদার খাদ্য।
১০০ কেজি দৈহিক ওজন বিশিষ্ট একটি গাভীর জন্য সাধারণত ১-২ কেজি খড়, ৫-৬ কেজি সবুজ ঘাস এবং ১-১.৫ কেজি দানাদার খাদ্য দিতে হয়।

দানাদার খাদ্য মিশ্রনে-
চাউলের কুঁড়া ২০%, গমের ভূষি ৫০%, খেসারি ভাঙ্গা ১৮%, খৈল ১০%, খনিজ মিশ্রণ ১%, আয়োডিন লবন ১%
গাভী যদি দুধ উৎপাদন করে থাকে সে ক্ষেত্রে প্রথম ১ লিটার দুধ উৎপাদনের জন্য ৩ কেজি দানাদার খাদ্য এবং পরবর্তী প্রতি ৩ লিটার দুধ উৎপাদনের জন্য ১ কেজি হারে দানাদার খাদ্য প্রদান করতে হবে।

নিচে ২৫০ থেকে ৩০০ কেজি দৈহিক ওজনের দুগ্ধবতী গাভীর জন্য সুষম খাদ্য তালিকা দেওয়া হল-

উপাদান দৈনিক দেয়ার পরিমাণঃ
দানাদার খাদ্য মিশ্রণ ৪-৭ কেজি, কাঁচা সবুজ ঘাস ৯-১২ কেজি,পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি এবং শুকনো খড় ৩-৪ কেজি।

গাভীর খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে আধুনিক পদ্ধতি অবলম্বন করলে খাদ্যে পাচ্যতা, পুষ্টিগুণ ও উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায়।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৪, ২০২২ ১:৪৪ অপরাহ্ন
গাভী হিটে না আসা কারণ
প্রাণিসম্পদ

গাভী হিটে না আসা বা গরম বা ডাক না আসা (Anestrum): বকনা পশু বয়:প্রাপ্ত হওয়া সর্ত্বেও ও গাভী বাচ্চা দেওয়ার ৩ মাসের মধ্যে গরম বা হিটে না আসাকে এ্যানস্ট্রাম (Anestrum )বলা হয়। আমাদের দেশের গরুর প্রায় ৮৬% এ্যান্ট্ট্রাম (Anestrum) হওয়ার তথ্য আছে।

হিটে না আসার কারণ

পুষ্টির অভাব যেমন: ফসফরাস, কপার, কোবাল্ট, মাঙ্গানিজ, সিলেনিয়াম ও

ভিটামিন এ, ডি ও ই ইত্যাদির অভাবে এ রােগ হয়।

জরায়ুতে প্রদাহ: বিভিন্ন ধরনের জীবানু দ্ধারা এ রােগ হয়।
ওভারীর সমস্যা: ওভারীতে বিভিন্ন ধরনের সিস্ট বা পানির থলি হলে ও

টিউমার হলে পশু সময়মত পশু গরম হয় না। হরমােনের ভারসাম্যহীনতা: ইস্টোজেন ও প্রজেস্টরেন, ফলিকুল স্টমুলেটিং হরমােন, এল এইচ, পােস্টাগ্লানডিন ইত্যাদির লেভেল রক্তে কম-বেশী হলে
এ রােগ হয়।

লক্ষণ
১) বকনা বা গাভী যথা সময়ে হিটে বা গরম না আসা।
২) হিট বা গরম হওয়ার কোন লক্ষণ প্রকাশ পায় না।

রোগ নির্নয়ঃ
১। পুষ্টিহীনতা, খাওয়া দাওয়ার অপ্রতুলতা ও জনন তন্ত্রের বিভিন্ন রােগের ইতিহাস।
২। রেক্টাল পালপেশন মাধ্যমে জনন অঙ্গের পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয় যেমন- ডিম্বাশয়ে ফলিকুলার বা লিউটিয়াল সিস্ট, জরায়ুতে সংক্রামন (স্ফীত ও ব্যাথাপূর্ণ) ইত্যাদি।

প্রকাশ : নভেম্বর ১২, ২০২১ ৫:১০ অপরাহ্ন
একসাথে ৩টি বাচ্চা প্রসব করল ফ্রিজিয়ান গাভী
ডেইরী

ঘটনাটি ঘটেছে (১১ নভেম্বর) নেএকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার ৩নং দলপা ইউনিয়নের নিবিড় পল্লি, দলপা গ্রামের দক্ষিণপাড়ার জিপন মিয়া র বাড়িতে।

জিপন মিয়ার একটি গাভী একত্রে ৩টি বাচ্চা প্রসব করে। আর এই ৩টি বাচ্চাই হলো মহিলা/বকনা বাছুর।

গাভীর মালিক জানান গাভীটি গর্ভাবস্তায় অন্যান্য গাভীর মতোই স্বাভাবিক ছিলো।আমি ভিবতেও পারিনি যে ৩টি বাচ্চার জননী হবে আমার গাভীটি।তিনি আরো জানান গাভী ও বাছুর ৩টি সুস্থ ও স্বাভাবিক আছে ।

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৯, ২০২১ ৯:২৮ পূর্বাহ্ন
খামারে গাভীর যত্ন ও দুধ উৎপাদনে যা করবেন
প্রাণিসম্পদ

বর্তমান সময়ে দুধ উৎপাদনের জন্য অনেকেই গাভী পালন করে থাকেন। আবার কেউ কেউ গাভীর খামার গড়ে লাভবান হচ্ছেন। খামারে গাভী পালনে সঠিক যত্ন ও দুধ উৎপাদন বাড়াতে বেশ কিছু কাজ করতে হয়।

খামারে গাভীর যত্ন ও দুধ উৎপাদন বৃদ্ধিতে যা করবেন:
খামারে গাভীর যত্নে গাভীর থাকার জায়গা ও ঘর নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। গাভীর খামারে সব সময় আলো ও বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। খামারের পরিবেশ ঠিক থাকলে গাভীর স্বাস্থ্য ঠিক থাকবে ও খামারে দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।খামারের গাভীকে পর্যাপ্ত পরিমাণে সবুজ ঘাস, খড় ও সুষম দানাদার খাদ্য সরবরাহ করতে হবে এবং রাতে গাভীর সামনে পরিষ্কার পানি দিয়ে রাখতে হবে। এতে গাভীর দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।

খামারে পালন করা গাভীকে প্রত্যেক দিন সঠিক নিয়ম মেনে গোসল করিয়ে দিতে হবে। নিয়মিত গাভীকে গোসল করালে গাভীর শরীর সতেজ থাকবে ও দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।প্রত্যেক দিন গাভীকে ব্রাস দিয়ে কিছু সময় আঁচড়ে দিতে হবে। এর ফলে গাভী আরাম বোধ করে এবং গাভীর দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

প্রত্যেক দিন একই সময়ে দুধ দোহান করতে হবে। এজন্য অভিজ্ঞ ব্যক্তি বা মেশিন ব্যবহার করে দুধ দোহান করতে হবে।

খামারে গাভীর বাছুরকে দুধ খেতে দিতে হবে এবং গাভীর নিকটবর্তী দুরত্বে বাছুর রাখতে পারলে ভালো হবে। বাছুরকে পর্যাপ্ত দুধ খাওয়াতে গাভীর দুধ উৎপাদন ভালো হয়। তাই গাভীকে বাছুরের সাথে কিছু সময় অতিবাহিত করার সুযোগ করে দিতে হবে।গাভীর থাকার জায়গা আরামদায়ক করার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। থাকার স্থানে গাভীকে কোনভাবেই বিরক্ত করা যাবে না।

প্রকাশ : অগাস্ট ২৬, ২০২১ ৪:৩৬ অপরাহ্ন
গাভীর খামার করে মাসিক আয় ৭০ হাজার টাকা
প্রাণিসম্পদ

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ফরিদাবাদ গ্রামের মাহামুদুল হক মাস্টার্স পাস করে গ্রামে গড়ে তুললেন গাভির খামার। ১০ বছরের মাথায় এখন তাঁর মাসিক আয় প্রায় ৭০ হাজার টাকা।

জানা যায়, ২০১০ সালে তিনি রংপুরের পীরগাছা উপজেলার জাদুলস্কর গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখানে বড় বড় গাভির খামার দেখে এসে গাভি পালনের পরিকল্পনা করেন। বিষয়টি নিয়ে মাহামুদুল তাঁর বাবা মোজাহারুল ইসলামের সঙ্গে পরামর্শ করেন। একই বছরের জুনে নিজের জমানো ২০ হাজার এবং বাবার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে দুটি শংকর জাতের বকনা বাছুর কেনেন।

বছর তিনেক পর বাছুর দুটি গাভিতে পরিণত হয়। প্রতিদিন ৩০ লিটার দুধ দিতে শুরু করে। এ দুধ বিক্রি করে খরচ বাদে দিনে প্রায় ৪০০ টাকা আয় হয়। এভাবে ২ বছরে আরও চারটি শংকর জাতের গাভি কেনেন। ছয়টি গাভি দিয়ে শুরু করেন ডেইরি খামার। বর্তমানে মাহামুদুলের খামারে দেশি-বিদেশি গাভি মিলে মোট গাভির সংখ্যা ২৬টি। প্রতিদিন খামার থেকে গড়ে ১৪০-১৫০ লিটার দুধ পান। প্রতি লিটার দুধ ৪০ টাকায় বিক্রি করে খরচ বাদে দৈনিক দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা পান। বছরে ২ লাখ টাকার গাভিও বিক্রি করেন তিনি।

মাহামুদুল জানান, খামারের আয়ের টাকায় আবাদি জমি কিনেছেন। মাছ চাষের জন্য খনন করেছেন পুকুর। গাভির খামারও করেছেন পাকা। বাড়িতে বসিয়েছেন বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট। আম, কাঁঠাল, লিচু, পেঁপেগাছ ও শাকসবজি লাগিয়েছেন বাড়ির চারদিকে।

স্থানীয় লোকজন জানান, গাভি পালন করে মাহামুদুল শুধু নিজের ভাগ্যই বদল করেননি। অন্যে যুবকদেরও পরামর্শ দিয়ে স্বাবলম্বী করে তুলেছেন। গ্রামের মাহাবুব রহমান, একরামুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, দেলওয়ার হোসেন, মিনহাজুল ইসলাম, আবু বক্করসহ অনেকে ছয়-সাত বছর ধরে গাভি পালন করে এখন অনেকেই ডেইরি খামারের মালিক।

২০০টি গাভির খামার করারও স্বপ্ন আছে মাহামুদুলের। বেকার তরুণেরা চাকরির পেছনে না ছুটে খামার করে নিজেরা স্বাবলম্বী হবেন, এমন স্বপ্নও দেখেন তিনি।

রাজুর স্ত্রী ফারিয়া খাতুন বলেন, এসব পরিশ্রমের ফল। গ্রামের অন্যদেরও তাই, আগের মতো গ্রামে বেকার কেউ নেই। সবাই এখন দুধে–ভাতে সুখি। এ কৃতিত্ব মাহামুদুলের।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ফরহাদ নোমান জানান, ‘আমি মনে করি, উদ্যম ও একাগ্রতাই মাহামুদুলের সাফল্যের মূল কারণ। আমি বেশ কয়েকবার তাঁর খামার পরিদর্শন করেছি। যেকোনো সমস্যায় আমরা তাঁর পাশে থাকি। শৃঙ্খলা ও পরিচ্ছন্নতায় তাঁর খামার অন্য খামারিদের কাছে উদাহরণ হতে পারে। তা ছাড়া তাঁর দেখানো পথে খামার করে তারাগঞ্জের অনেক তরুণ এখন স্বাবলম্বী হয়েছেন বলে জানান তিনি।

প্রকাশ : মে ৮, ২০২১ ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন
পরিমাণমতো খাদ্য না দিলে গাভীর যেসব সমস্যা হয়
প্রাণিসম্পদ

আমাদের দেশের বর্তমানে ব্যাপকহারে বাড়ছে গাভী পালন। গাভী পালনে ভাগ্য বদল করতে চায় গ্রামের অনেক প্রান্তিক কৃষক। আর এই পরিবর্তনের জন্য দরকার সুস্থ এবং মোটাতাজা গাভী। তাই দরকার গাভীর পরিমাণমত খাবারের নিশ্চয়তা। কারণ পরিমাণমত খাবার না দিলে গাভীর হতে পারে নানাবিধ সমস্যা।

গাভীকে পরিমাণমতো খাদ্য না দিলে যেসব সমস্যা দেখা দিবে:

১। গাভীকে তার শরীরের চাহিদা অনুযায়ী খাবার দিতে হবে। কারণ গাভীকে তার শরীরের চাহিদা মোতাবেক খাবার না দিলে দিনদিন গাভী শুকিয়ে যাবে এবং রোগাক্রান্ত হয়ে পড়বে।

২। গাভীকে তার চাহিদা মোতাবেক খাবার না দিলে গাভীর অনেক ক্ষেত্রে গর্ভধারণ ক্ষমতা হ্রাস পায়। এছাড়া গাভী অনেক সময় হিটেও আসে না। আর তখন গাভীকে হিটে আনার জন্য চিকিৎসায় খরচ করতে হয় বহু টাকা।

৩। প্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহ না করলে গাভীর শরীরের শক্তি কমে যায়। ফলে গাভী বাচ্চা প্রসবের সময় নানা জটিলতার সম্মুখীন হয়ে থাকে।

৪। পরিমাণমতো সুষম খাদ্য প্রদান না করলে গাভী বাচ্চা প্রদান করলেও বাচ্চা ঠিকভাবে দুধ পায় না। ফলে গাভীর পাশাপাশি বাছুরও দুর্বল হয়ে পড়ে যা গাভীর উৎপাদনে বাঁধার সৃষ্টি করে থাকে। ফলে গাভীর মালিক সার্বিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

৫। এছাড়া গাভীকে পরিমাণ মত খাবার না দিলে এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দিন দিন কমে যাবে । যারফলে গাভী সহজেই যেকোন রোগে আক্রাতন্ত হয়ে যেতে পারে।

প্রকাশ : এপ্রিল ৯, ২০২১ ২:৪৫ অপরাহ্ন
গর্ভবতী গাভীকে যা খাওয়াবেন
প্রাণিসম্পদ

গাভী গর্ভবতী হলে খাবারের আনতে হবে ভিন্ন যত্ন। তাতে করে ভালো থাকবে গাভী এবং গাভীর পেটের বাচ্চাও। আর এই জন্য জানা উচিত গর্ভবতী গাভী কি খাওয়াতে হবে।

গর্ভবতী গাভীকে যা খাওয়াবেন
গর্ভবতী গাভীকে প্রতিদিন ১৪-১৫ কেজি সবুজ ঘাস, ৩-৪ কেজি খড়, ২-৩ কেজি দানাদার খাদ্য একসঙ্গে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে।

দানাদার খাদ্য
দানাদার খাবারের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উপাদান হচ্ছে-
১. গমের ভূষি- ১ কেজি।
২. খেসারি ভাঙা- ১ কেজি।
৩. খৈল- ২৫০ গ্রাম।
৪. চাউলের গুড়া- ৫০০ গ্রাম।
৫. লবণ- ৫০ গ্রাম।
৬. খনিজ মিশ্রণ- ৫০ গ্রাম।
৭. চিটাগুড়- ১৫০ গ্রাম।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop