১:০৪ অপরাহ্ন

মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : এপ্রিল ২৬, ২০২৩ ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন
সূর্যমুখী চাষে লাভের আশা খুলনার কৃষকদের
কৃষি বিভাগ

খুলনার কয়রা উপজেলায় লবণাক্ত জমিতে সূর্যমুখী চাষে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন কৃষক কালিপদ সরকার। তিনি আগের বছর ১৬ শতাংশ পতিত জমিতে সূর্যমুখী চাষ করে সফল হয়েছেন। সূর্যমুখী চাষে খরচ কম ও পরিশ্রম কম লাগে। তাই এ বছর তিনি ২ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ করছেন।

সুত্রে জানা যায়, খুলনার কয়রা উপজেলার আমাদি ইউনিয়নের পাটুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা কৃষক কলিপদ সরকার। এবার সবচেয়ে বেশি সূর্যমুখী চাষ হয়েছে আমাদি ইউনিয়নে। ইউনিয়নটিতে গত বছর ৪ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছিল। আর এবার ২৫ হেক্টর জমিতে। এবার সূর্যমুখী চাষে কৃষকরা লাভবান হতে পারবেন বলে আশা করছেন।

গ্রামের কৃষক চণ্ডীপদ সরকার বলেন, গত বছর ২ বিঘা জমি চাষাবাদে আমার খরচ হয়িছিল ২৫ হাজার টাকা। সূর্যমুখীর বীজ বিক্রি করিছিলাম ৭০ হাজার টাকা। লাভ হয়িছে ৪৫ হাজার টাকার মতো। তাই এবারও সূর্যমুখীর চাষ করিছি।’

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের খুলনা কার্যালয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. হারুনর রশীদ বলেন, এ উপজেলায় জমিতে নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে লোনা পানি প্রবেশ করার কারনে আমন ধান ছাড়া কোন সফল উৎপাদন হয় না। উপকূলের এসব লবণাক্ত জমিতে সূর্যমুখীর উৎপাদন বাড়াতে পারলে একদিকে যেমন অনাবাদি জমির পরিমাণ কমবে, অন্যদিকে দেশে ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতা অনেকাংশে কমে যাবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অসীম কুমার দাস বলেন, এক মণ সূর্যমুখীর বীজ থেকে ১৮-২০ কেজি তেল উৎপন্ন হয়। প্রতি কেজি তেল বিক্রি হয় ৪০০-৪৫০ টাকা। বর্তমানে সূর্যমুখী তেলের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে এ ফসল উৎপাদনের আগ্রহ বাড়ছে।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৫, ২০২৩ ৮:৪৯ অপরাহ্ন
কয়রায় লবণসহিষ্ণু বোরো ধানের আবাদ বেড়েছে
কৃষি বিভাগ

খুলনার উপকূলীয় উপজেলা কয়রায় দিন দিন বাড়ছে লবণসহিষ্ণু বোরো ধানের আবাদ। এ ছাড়া নতুন নতুন এলাকায় লবণপানির চিংড়ি চাষের পরিবর্তে লবণসহিষ্ণু বিভিন্ন জাতের বোরো ধানের চাষও বেড়েছে। কৃষি বিভাগ বলছে, এ বছর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

বর্তমানে কৃষকরা বোরো রোপণ-পরবর্তী পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। বোরো আবাদ চাষ ব্যয়বহুল হলেও ধানের বাজার ও (গোখাদ্য) খড়কুটার দাম বাড়ায় লাভজনক মনে করছেন কৃষকরা।

কয়রা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৩৬ হাজার বিঘা জমিতে বোরো চাষ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে, যা গত বছরের তুলনায় দুই গুণেরও বেশি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে প্রায় ২৭ হাজার মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হতে পারে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (অতিরিক্ত) অসীম কুমার দাস বলেন, উৎপাদন ভালো হওয়ায় এ উপজেলায় লবণসহিষ্ণু বোরোর আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি বোরো মৌসুমে এ উপজেলায় তিন হাজার কৃষকের মধ্যে বিনা মূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার কৃষককে ২০ কেজি সার ও পাঁচ কেজি উফশী জাতের এবং দুই হাজার কৃষককে দুই কেজি করে হাইব্রিড এসএলএইটএইচ জাতের ধান দেয়া হয়েছে।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৪, ২০২৩ ১০:১৯ অপরাহ্ন
খুলনায় আগাম তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা!
কৃষি বিভাগ

কৃষকরা বোরো ধানের মৌসুম শেষ হওয়ার সাথে সাথেই তরমুজ চাষ শুরু করে দিয়েছেন। গত বছরের মতো যেন এবছরও লোকসানে পড়তে না হয় তাই কৃষকরা আগাম তরমুজ চাষে নেমে পড়েছেন।

জানা যায়, খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার কাতিয়ানাংলা এলাকার বিলে চাষিরা তরমুজ চাষ শুরু করেছে। তারা আধুনিক পদ্ধতিতে জমি তৈরী করে বীজ বপন করেছেন। আসন্ন রমজান মাসে বিক্রি করাই তাদের লক্ষ্য।

বটিয়াঘাটার বিলে সরিজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চাষিরা তরমুজ চাষের জন্য জমি তৈরী বীজ বপন করছেন। কেউ কেউ আবার আধুনিক পদ্ধতিতে তরমুজের চারা উৎপাদন করে চারা দেড় থেকে দুই ইঞ্চি লম্বা হলে তা জমিতে রোপণ করছেন।

কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, গত বছর দাকোপ উপজেলায় ৭ হাজার ৬০৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ হয়। তারপরেই বটিয়াঘাটায় বেশি চাষ হয়। কৃষকরা ধান চাষের পরেই আর সময় নষ্ট না করে তরমুজ চাষে লেগে পড়েন। গত বছরের তুলনায় এবছর তরমুজ চাষ বেশি হতে পারে।

বিলের তরমুজ চাষি মো. নুর ইসলাম শেখ বলেন, আমি গত বছর ১১ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছিলাম। কিন্তু বিভিন্ন সমস্যার কারণে লাভের মুখ দেখতে পারিনি। গত বছর বোরো ধান উঠে যাওয়ার পর নাবী করে লাগানো তরমুজের ফলন ভালো হলেও পরবর্তিতে ক্ষেতেই নষ্ট হয়েছে হাজার হাজার তরমুজ।

তিনি আরো জানান, আমি এবছর সেই ১১ বিঘা জমিতে আগাম তরমুজ চাষ শুরু করেছি। ইতোমধ্যে জমিতে বীজও বপন করেছি। আবার কিছু জায়গায় উৎপাদিত চারাও লাগিয়েছি। এখন চলছে পানি দেওয়া ও পরিচর্যার কাজ। ফলন ভালো হলে এই ১১ বিঘা জমির তরমুজ ১২ -১৪ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো।

আরেক কৃষক মো. মোশারফ হোসেন শেখ বলেন, আমি এবছর ১০ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। গত বছর লাভ হয়নি। রমজান মাস শেষ হয়ে যাওয়ায় বড় বড় তরমুজ ক্ষেতেই নষ্ট হয়ে গেছে। গত বছরের মতো যেন এবছরও লোকসান না হয় তাই এবছর আগাম চাষ করছি। জমিতে রোপণ করা চারা তিন ইঞ্চি ছাড়িয়ে গেছে। তরমুজ গাছের ভালো ভাবে যত্ন নিচ্ছি। এবছর কাতিয়ানাংলার বিলে ৪৫ একর জমিতে আগাম তরমুজ চাষ হচ্ছে।’

বটিয়াঘাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রবিউল ইসলাম জানান, গত বছর চাষিরা লোকসানে পড়ায় এবছর আগাম তরমুজ চাষে ঝুঁকেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে তরমুজের ভালো ফলন হবে। আর রমজান মাসে তরমুজের চাহিদা থাকবে বলে তারা তখন ভালো দামে তরমুজ বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন বলে আশা করছেন।

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৭, ২০২২ ৯:৪২ পূর্বাহ্ন
খুকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. আসাদুজ্জামান ও সা. সম্পাদক ড. মো. আশিকুল
ক্যাম্পাস

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ২০২৩ সালের কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত শিক্ষক সংগঠন নীল দল কর্তৃক মনোনীত প্যানেল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয়লাভ করেছে।

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকার কারনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. মো. তসলিম হোসেন ২৬ ডিসেম্বর রোজ সোমবার ফলাফল ঘোষণা করেন।

নির্বাচিত অন্যান্য প্রার্থীরা হলেন সহ-সভাপতি জনাব তুষার কান্তি রায়, যুগ্ম -সম্পাদক (১) বিদ্যুৎ মাতুব্বর ; যুগ্ম -সম্পাদক (২) শাহীন ইমরান; কোষাধ্যক্ষ বাছির আহমদ; গবেষণা, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রচার সম্পাদক সৌরভ মোহন সাহা; ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক স্বরূপ কুমার কুন্ডু; সমাজকল্যাণ সম্পাদক জয়শংকর বৈদ্য; মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সুবর্না রানী কুন্ডু; সদস্য (১) রাকিবুল হাসান মো. রাব্বি; সদস্য (২) মো: হামিদুর রহমান; সদস্য (৩) নিগার আফসানা; সদস্য (৪) মো. হাবিবুর রহমান; সদস্য (৫) কারিমুন নেছা। ফলাফল ঘোষণার পরপরই ক্যাম্পাসে অবস্থিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নব-নির্বাচিত শিক্ষক সমিতির নেত্রীবৃন্দ।

নব-নির্বাচিত কমিটির সভাপতি ড. মো. আসাদুজ্জামান মানিক বলেন, এই শিক্ষক সমিতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা ও একাডেমিক সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতকরণে নিরলসভাবে কাজ করবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আশিকুল আলম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অকুণ্ঠ সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে মাননীয় উপাচার্য ড. মোহাম্মদ আবুল কাসেম চৌধুরী স্যারের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালের শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়ন এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে দক্ষিণবঙ্গের কৃষি শিক্ষার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ হিসেবে অধিষ্ঠিত করতে যুগপোযোগী সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

প্রকাশ : নভেম্বর ১৬, ২০২২ ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিযুক্ত হলেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল কাসেম চৌধুরী
ক্যাম্পাস

চার বছরের জন্য খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিযুক্ত হলেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল কাসেম চৌধুরী।

আজ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ নিয়োগ দেয়া হয়।

Open photo

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আগামী আগামী চার বছর তিনি খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করবেন। বিধি অনুযায়ী সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করবেন তিনি। এছাড়া তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। রাষ্ট্রপতি যেকোন সময় তার নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন বলে, প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

বর্তমানে ড. আবুল কাশেম চৌধুরী পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে নিয়োজিত আছেন। তিনি ১৯৬২ সালের ১ অক্টোবর নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং ১৯৮৮ সালে কৌলিতত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

ড. আবুল কাসেম চৌধুরী ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক পরিচালিত পটুয়াখালী কৃষি কলেজের (বর্তমান পটুয়াখালী বিজ্ঞান ওপ্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে শিক্ষকতা পেশা শুরু করেন এবং দীর্ঘ ৩৪ বছর সুনামের সঙ্গে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা ও গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছেন।

তাছাড়া তিনি ২০০১ সালে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে থাইল্যান্ডের ক্যাসেটসার্ট ইউনিভার্সিটি থেকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।  আন্তর্জাতিক (২৯টি) ও জাতীয় (২৪টি) পর্যায়ে বিভিন্ন জার্নালে তার ৫৩টি বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া অধ্যাপক ড. চৌধুরী জাপান, যুক্তরাষ্ট্র এবং থাইল্যান্ডের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে তার গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

সফল কর্মজীবনের অধিকারী অধ্যাপক ড. চৌধুরী কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ এবং বায়োটেকনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান, কৃষি অনুষদের ডিন, পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজের ডিন, রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য, একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য, ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক, হল প্রভোস্ট, প্রক্টর, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের প্রধান, রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের পরিচালক এবং শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি ছাত্রজীবনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন এবং স্বৈরাচার বিরোধী ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। শিক্ষকতার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অধ্যাপক ড. আবুল কাসেম চৌধুরী পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম চৌধুরীর দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা মাধ্যমে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম সামনে আরও বেগবান হবে একই সাথে তাদের গবেষণা কার্যক্রমেও সাফল্য নিয়ে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রকাশ : অগাস্ট ২৪, ২০২২ ৯:০৩ অপরাহ্ন
খুলনার পাবদা মাছ যাচ্ছে কলকাতায়
মৎস্য

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার হাসানপুর গ্রামের আলাউদ্দিন জোয়াদ্দার পাবদা মাছ চাষ করছেন অর্ধযুগ ধরে। গত বছর থেকে তাঁর পুকুরের মাছ কিনে ভারতে রপ্তানি করছেন দু’জন ব্যবসায়ী। এসব বিক্রি হচ্ছে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বাজারে। পাবদা মাছ চাষ করে বছরে আলাউদ্দিন প্রায় ২০ লাখ টাকা লাভ করছেন।

আলাউদ্দিন জোয়াদ্দার জানান, ১৯৯৬ সালে তিনি মাছ চাষ শুরু করেন। তিনি ৮টি পুকুরে মাছ চাষ করছেন। এসব পুকুরে টেংরা, পাঙাশ, ভাঙন, ফাইশ্যে, রুই, কাতলা, মৃগেল, মিনার কার্প, সিলভার কার্প, বেলে, দাতনে প্রভৃতি মাছ রয়েছে। ২০১৬ সালে তিনি পাবদা মাছ চাষ শুরু করেন। বর্তমানে ৬ একর জমিতে ৩টি পুকুরে এই মাছ চাষ করছেন। এর মধ্যে দেড় একরের দুটি পুকুর হচ্ছে নার্সারি পুকুর। সেখানে পোনা উৎপাদন করেন। সাড়ে ৪ একরের পুকুরে মাছ বড় করা হয়। দেশি প্রজাতির এই মাছ চাষের জন্য গভীর পুকুরের প্রয়োজন। বছরে দুইবার তিনি পুকুর থেকে মাছ ধরে বিক্রি করেন। এ ছাড়া এ বছর তিনি মিষ্টিপানিতে পরীক্ষামূলকভাবে বাগদা চিংড়ির চাষ শুরু করেছেন। বাগদা চিংড়ি সাধারণত লবণ পানিতে হয়ে থাকে।

আলাউদ্দিন বলেন, তাঁর পুকুরে যে পরিমাণ পাবদা মাছ উৎপাদন হয় তার সব স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতে পারেন না। গত বছরের আগস্টে তাঁর কাছ থেকে খুলনার ফুলতলা উপজেলার দামোদর গ্রামের টিটো মোল্লা মাছ কিনে নিচ্ছেন। তিনি মাছ কলকাতায় রপ্তানি করেন। এ ছাড়া গোপাল নামে খুলনার আরেকজন ক্রেতা পাবদা মাছ কিনে রপ্তানি করেন। গত বছর তার পুকুরের ২২৫ মণ মাছ কলকাতায় রপ্তানি হয়েছিল। এ বছর এখন পর্যন্ত ৮০ মণ মাছ রপ্তানি হয়েছে। দু’একদিনের মধ্যে আরও দেড়শ মণ মাছ রপ্তানি হওয়ার কথা। প্রতিকেজি মাছ তিনি ৩০০ টাকায় বিক্রি করেন। স্থানীয় বাজারে প্রতিকেজি মাছের দাম কমপক্ষে ৩৫০ টাকা হলেও ক্রেতা কম থাকায় বাইরে পাঠাতে হয়।

নিয়ম মেনে তাঁর পুকুরে খাবার ও ওষুধ দেওয়ার পাশাপাশি পানিতে অপিজেনের সরবরাহ ঠিক রাখতে সার্বক্ষণিক ৫টি অ্যারেটর চালানো হয়। গত বছর ও চলতি বছর পাবদা মাছ চাষে তাঁর ৬০ থেকে ৬৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। ইতোমধ্যে ৫৫ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করেছেন। এখন পুকুরে যে মাছ আছে তা আরও প্রায় ৪০ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন। পাবদা মাছের পুকুরগুলো আলাউদ্দিন বছরে ৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা দিয়ে লিজ নিয়েছেন।

মৎস্য অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় উপপরিচালক তোফাজ উদ্দিন আহমেদসহ একটি প্রতিনিধি দল সম্প্রতি আলাউদ্দিনের পুকুর পরিদর্শন করে। তাঁর পুকুর থেকে মাছ ধরার পর তা বরফ দেওয়া বাপে (ককসিটে) করে যশোরের বেনাপোল দিয়ে কলকাতায় পাঠানো হয়।

মাছ রপ্তানিকারক টিটো মোল্লা বলেন, তিনি বগুড়া ও ময়মনসিংহ থেকে পাবদার রেণু পোনা এনে চাষিদের কাছে বিক্রির পাশাপাশি মাছের খাবার ও ওষুধ সরবরাহ করেন। ৪-৫ মাস পর সেই খামার থেকে মাছ কিনে কলকাতায় পাঠান। সেখানে পাবদার ভালো চাহিদা রয়েছে।

ডুমুরিয়া উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, গলদা-বাগদা-রুই জাতীয় মাছের এলাকা বলে খ্যাত ডুমুরিয়াতে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির পাবদা মাছ চাষে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের পুষ্টির চাহিদা পূরণ, বেকার সমস্যার সমাধান, আর্থিক সমৃদ্ধি ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের লক্ষ্যে তাঁরা পাবদা চাষে উৎসাহ দিচ্ছেন।
সূত্র: সমকাল

প্রকাশ : অগাস্ট ৮, ২০২২ ১:৫৫ অপরাহ্ন
খুলনায় মৎস্য জরিপে মেশিন লার্নিং প্রযুক্তির ব্যবহার বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত 
বিজ্ঞান ও গবেষণা

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু,খুলনা থেকে:
হার্নেসিং মেশিন লানিং টু এস্টিমেট একোয়াকালচার প্রডাকশন এন্ড ভেল্যু চেইন পারফর্মেন্স ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আউটরিচ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (৮ আগস্ট) খুলনার হোটেল সিটি ইন লি এর কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রকল্পটির প্রধান গবেষক (বাংলাদেশ অঞ্চলের) এবং বাকৃবির একোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.মো.শহীদুর রহমান খান।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মো. তোফাজ উদ্দিন আহমেদ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, খুলনা এবং প্রফেসর ড. মো. গোলাম সারওয়ার, বিভাগীয় প্রধান, ফিশারিজ এন্ড মেরিন রিসোর্স ডিসিপ্লিন, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,
স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্পের প্রধান গবেষক (আমেরিকা অঞ্চলের) ও মিশিগান স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. বেন বেল্টন এবং কো-পিআই ড. রিকার্ডো হার্নান্ডেজ।

জানা যায়, প্রকল্পটি ইউএসএআইডি এর আওতাধীন ‘ফিড দ্যা ফিউচার ইনোভেশন ল্যাব ফর ফিশ’ এর অর্থায়নে আমেরিকার ‘মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি’ কর্তৃক পরিচালিত।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.মো.শহীদুর রহমান খান বলেন ‘মেশিন লার্নিং পদ্ধতি’ অত্যন্ত আধুনিক এবং সময়োপযোগী একটি পদ্ধতি, যার মাধ্যমে মাছ ও চিংড়ির উৎপাদন, কর্মসংস্থান ও আঞ্চলিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

প্রকল্পের প্রধান গবেষক (বাংলাদেশ অঞ্চলের) এবং বাকৃবির একোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক বলেন, মৎস্য জরিপে মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে খুলনা অঞ্চলের খামারীরা উপকৃত হবেন।এর মাধ্যমে সঠিক পরিসংখ্যানের জন্য মেশিন লার্নিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে।

এক্ষেত্রে কোনো এলাকার স্যাটেলাইট ছবির তথ্য ব্যবহার করে মাছচাষের সঙ্গে জড়িত জমির আয়তন নির্ধারণ করা হয়েছে । এ পদ্ধতিতে খুব কম সময়ে নির্ভুলভাবে মৎস্য জরিপ সম্ভব।

প্রকাশ : জুন ২৭, ২০২২ ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন
খুলনায় খামারগুলোতে কোরবানির গরু বেচা-কেনা শুরু
প্রাণিসম্পদ

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন খুলনার খামারিরা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ব্যস্ত গরুর পরিচর্যায়। এদিকে এবার খুলনায় আগেই কোরবানির গরু কেনাবেচা শুরু হয়ে গেছে। জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে খামারিরা বিভিন্ন সাইজের পশু সংগ্রহ করে এনেছেন। তবে গতবারের তুলনায় এবার গরুর দাম চড়া।

কারণ হিসেবে খামারিরা বলছেন, পরিবহন ও গোখাদ্যের দাম বাড়তি হওয়ায় মূলত পশুর দাম চড়া। নগরীর নিরালা সবুজবাগ এলাকায় রয়েছে কয়েকটি গরুর খামার। ঐ সব খামারে বর্তমানে গড়ে উঠেছে ছোটখাটো হাট। খামার মালিকরা জেলার গ্রামাঞ্চল ঘুরে সংগ্রহ করছেন বিভিন্ন প্রকারের পশু। ইতিমধ্যে সংগ্রহকৃত অনেক গরু বিক্রিও হয়ে গেছে।

ঢাকা এবং চট্টগ্রাম থেকে ক্রেতারা এসে খামার থেকে আগেভাহেই গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। নিরালা সবুজবাগের জমজম অ্যাগ্রোর ম্যানেজার মো. ইকরাম হোসেন বলেন, ‘এবার কোরবানিযোগ্য ২২টি গরুর মধ্যে ২০টি গরু বিক্রি হয়ে গেছে। ঢাকা ও চট্টগামের ক্রেতারা গরুগুলো কিনে নিয়ে গেছেন।’ নগরীর নিরালা সবুজবাগের একটি ফার্মে সোনাডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা শামসুল আলমের সঙ্গে কথা হয়।

তিনি বলেন, ‘হাটে ঘোরাঘুরির চেয়ে খামার থেকে গরু কেনা ভালো। তবে খামারিরা গতবারের চেয়ে এবার চড়া দাম চাইছেন। খামারগুলো ঘুরে দেখে পছন্দমতো গরু দেখেই কিনব।’

প্রকাশ : মে ১৩, ২০২২ ৫:১৭ অপরাহ্ন
খুলনা অঞ্চলে ভেনামি চিংড়ি চাষের অনুমতি
মৎস্য

হোয়াইট গোল্ড বা সাদা সোনা নামে পরিচিত ভেনামি চিংড়ি চাষে খুলনা অঞ্চলের ১২টি প্রতিষ্ঠানকে পরীক্ষামূলক ভেনামি প্রজাতির চিংড়ি চাষের অনুমতি  দিয়েছে মৎস্য অধিদফতর। এর মধ্যে খুলনার ছয়টি, সাতক্ষীরার একটি ও যশোরের একটি প্রতিষ্ঠানকে চলতি বছর থেকেই ভেনামি চাষের জন্য বলা হয়েছে। বাকি চারটি প্রতিষ্ঠানকে অবকাঠামো সংস্কারের পর প্রতিবেদন দাখিলের পর ভেনামি চাষে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে কক্সবাজারের দুই প্রতিষ্ঠানকেও পরীক্ষামূলক ভেনামি চিংড়ি চাষের অনুমতি দেওয়া হয়।

ব্যবসায়ী ও রফতানিকারকরা বেশ কয়েক বছর ধরে বেশি লাভজনক ভেনামি জাতের চিংড়ি চাষ করার দাবি জানিয়ে আসছিল।দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি থাইল্যান্ড থেকে ভেনামি প্রজাতির চিংড়ির পোনা এনে খুলনা অঞ্চলের আটটি প্রতিষ্ঠানকে পরীক্ষামূলক চাষের অনুমতি দেয় মৎস্য অধিদপ্তর।

এদিকে ৯ মে এমইউসি ফুডস থাইল্যান্ড থেকে ১২ লাখ ভেনামি জাতের পোনা এনে পাইকগাছার লবণ পানি গবেষণা কেন্দ্রের পুকুরে চাষ শুরু করেছেন। অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠান হচ্ছে- খুলনার বটিয়াঘাটার ফাহিম সী ফুডস, পাইকগাছা গ্রোটেক একোয়াকালচার লিমিটেড, কয়রার আয়ান শ্রিম্প কালচার, ডুমুরিয়ার ইএফজি একোয়া ফার্মিং, বটিয়াঘাটার জেবিএস ফুড প্রডাক্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও সাতক্ষীরা শ্যামনগরের রেডিয়েন্ট শ্রিম্প কালচার-১।

চিংড়ি ব্যবসায়িরা জানান, গলদা ও বাগদা চিংড়ির চাষ বছরে একবারের (চাষের সময় মারা গেলে দুবার) বেশি করা যায় না। আর ভেনামি চাষ করা যায় বছরে তিনবার। সাধারণ পুকুরে প্রতি হেক্টরে ৩০০-৪০০ কেজি বাগদা চিংড়ি উৎপাদন করা যায়। অন্যদিকে একই পরিমাণ জমিতে সাত-আট হাজার কেজি ভেনামি চিংড়ি উৎপাদন সম্ভব। ভারতে ভেনামি চিংড়ির পরীক্ষামূলক চাষ থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যেতে পাঁচ বছর সময় লেগেছিল। বাংলাদেশে তিন বছরের মধ্যে সম্ভব।

জানা গেছে, ভেনামি চিংড়ি প্রথম ১৯৭০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পরিচিতি পায়। ১৯৮০ সালের দিকে এই প্রজাতির বাণিজ্যিক চাষ শুরু হয়। এরপর থেকে চীন, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া এবং ভারতের মতো এশিয়ার অনেক দেশে ব্যাপকভিত্তিক চাষ শুরু হয়।

প্রকাশ : অগাস্ট ৩১, ২০২১ ৪:০৭ অপরাহ্ন
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষ্যে খুবি পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ
ক্যাম্পাস

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২১ উপলক্ষ্যে ‘বেশি বেশি মাছ চাষ করি, বেকারত্ব দূর করি’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে আজ ৩১ আগস্ট ২০২১ খ্রি. তারিখ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কটকা স্মৃতিস্তম্ভ সংলগ্ন পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। পরে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের মৎস্য সেক্টরে উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। এই অগ্রযাত্রাকে টেকসই করতে হবে। মৎস্যখাতে এখনও বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এই খাত আরও অবদান রাখতে পারে। তিনি বলেন, দেশের মানুষের আমিষের যোগানের প্রধান উৎস মৎস্যখাত। এছাড়া মাছ রপ্তানি বৃদ্ধির মাধ্যমে আরও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, মাছের মান নিয়ন্ত্রণ অর্থাৎ মানসম্মত মাছের উৎপাদনে নজর দিতে হবে। তাহলে বিদেশে চাহিদা বাড়বে। এক্ষেত্রে তিনি মাছের মানসম্মত খাদ্যের ওপর জোর দেন। মৎস্য খাতের উন্নয়নে তিনি বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করে বলেন, গবেষণার মাধ্যমে এ খাতের উন্নয়নে দিকনির্দেশনা দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নতুন নতুন গবেষণা প্রয়োজন। তিনি গবেষণার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সম্ভব সহায়তার আশ্বাস দেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা বলেন, মাছে ভাতে বাঙালি, এই প্রবাদের ঐতিহ্য অক্ষুণ্ন আছে। মাছ উৎপাদন দিন দিন বাড়ছে, যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ এন্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুর রউফ। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মোঃ গোলাম সরোয়ার, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারী অধ্যাপক সুদীপ দেবনাথ। এসময় ডিসিপ্লিনের অন্যান্য শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং মৎস্য বিভাগের বিভিন্ন উপজেলার কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop