১২:৫৯ অপরাহ্ন

মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : নভেম্বর ২৫, ২০২৩ ৬:০৫ অপরাহ্ন
গৌরীপুরে মৃত্তিকার কৃষক প্রশিক্ষণ ও সুষম সার সুপারিশ কার্ড বিতরণ
কৃষি বিভাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, আঞ্চলিক গবেষণাগার, ময়মনসিংহের তত্ত্বাবধানে ‘সরেজমিনে ভেজাল সার সনাক্তকরণ ও সুষম সার প্রয়োগ পদ্ধতি বিষয়ক’ এক দিনের কৃষক প্রশিক্ষণ ও ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা গবেষণাগার MSTL-যমুনা কর্তৃক মাটি পরীক্ষার ভিত্তিতে গৌরীপুরের চাষীদের জন্য প্রস্তুতকৃত ৫০টি সার সুপারিশ কার্ড বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব ড. মো: আনিছুর রহমান, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও অফিস প্রধান আঞ্চলিক গবেষণাগার, ময়মনসিংহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন MSTL-যমুনা এর দলনেতা ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জনাব মো: সিরাজুল ইসলাম,। আরও উপস্থিত ছিলেন MSTL -যমুনার সদস্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো: মেহেদী হাসান, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো: রাকিবুল হাসান।

উপস্থিত ৫০ জন প্রশিক্ষণার্থী কৃষক- কৃষাণীদের মাঝে সুষম সার সুপারিশ কার্ড প্রদান করা হয় এবং সরেজমিনে ভেজাল সার সনাক্তকরণের ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জনাব নিলুফার ইয়াসমিন জলি এবং সঞ্চালনা করেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জনাব কৃষিবিদ মো: আবুল বাশার।

‘মাটি পরীক্ষা করে সার দিন, অধিক ফলন ঘরে নিন, মাটি স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সচেতন হই’ স্লোগানকে সামনে রেখেই ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা ল্যাবরেটরি যমুনা ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের ৬ টি উপজেলায় উক্ত কর্মসূচি পালন করছে। কৃষকের দোরগোড়ায় এসআরডিআই এর যুগোপযোগী সেবা পৌঁছে দেওয়ার এই চমৎকার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য মাননীয় মহাপরিচালক, এসআরডিআই মহোদয়কে গৌরীপুরের চাষিদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয় এবং চাষীরা এই ধরনের কর্মসূচি বেশি বেশি আয়োজন করার দাবি জানান। আলোচকবৃন্দ মাটি পরীক্ষা করে সুষম সার প্রয়োগের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।তারা বলেন, মাটি পরীক্ষা করলে ফলন বেশি হয়, সারের অপচয় রোধ হয়, খরচ কমে, মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা হয়, মানুষের যেমন সুষম খাবার দরকার ঠিক তেমন ই মাটিরও সুষম সার, জৈব সার বেশি করে প্রয়োজন। কৃষক আমিনুল ইসলাম বলেন, আগে ইচ্ছামতো বস্তা বস্তা সার দিতেন, এখন জমির মাটি পরীক্ষা করে জেনেছেন তার জমির জন্য এত সার লাগবে না, এখন ওনি মৃত্তিকার সার সুপারিশ কার্ড অনুসরণ করে জমিতে সার দিবেন এবং আশেপাশের অন্যান্য চাষিদের বিষয়টি অবগত করবেন।

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৩ ৮:৪৯ অপরাহ্ন
এসএসসি পাসেই চাকরি মিলবে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে
চাকুরির খবর

জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট। পৃথক ২৮ পদে মোট ১৯৮ জনকে নিয়োগ দেবে প্রতিষ্ঠানটি। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট
পদের বিবরণ:

চাকরির ধরন: স্থায়ী/অস্থায়ী
প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ
কর্মস্থল: যেকোনো স্থান

আবেদন ফি: টেলিটক প্রি-পেইড সিমের মাধ্যমে ১-৪ নং পদের জন্য ৬৬৯ টাকা, ৫-৬ নং পদের জন্য ৫৫৮ টাকা, ৭ নং পদের জন্য ৩৩৫ টাকা, ৮-১৭ নং পদের জন্য ২২৩ টাকা, ১৮-২৮ নং পদের জন্য ১১২ টাকা অফেরতযোগ্য হিসেবে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পাঠাতে হবে।

আবেদনের প্রক্রিয়া: আগ্রহী প্রার্থীরা এই bari.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের সঙ্গে ৩০০-৩০০ সাইজের ছবি ও ৩০০-৮০ সাইজের স্বাক্ষর স্ক্যান করে যুক্ত করতে হবে। এছাড়া বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।

আবেদনের সময়সীমা: আগ্রহী প্রার্থীরা ০৫ সেপ্টেম্বর, সকাল ৯টা থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ইং বিকেল ০৫টা পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

প্রকাশ : অগাস্ট ২৫, ২০২৩ ১১:৩০ অপরাহ্ন
রোপা-আমন ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত আত্রাইয়ে কৃষকরা
কৃষি বিভাগ

উত্তর জনপদের শস্য ভান্ডার খ্যাত নওগাঁর আত্রাইয়ে চলতি আমন মৌসুমে সবুজ নীলিমায় একাকার বিস্তীর্ণ প্রতিটি ফসলের মাঠ। দিগন্তজুড়ে যেদিকে তাকাই শুধু সবুজ আর সবুজ। উপজেলার আটটি ইউনিয়নের প্রতিটি মাঠে এখন রোপা-আমন ধান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক ও শ্রমিকরা। বোরো কর্তন শেষে রোপা-আমন চাষে কোমর বেঁধে মাঠে নামছেন তারা। বর্তমানে ধান গাছের পরিচর্যায় যেন দম ফেলার সময় নেই তাদের।

সরজমিনে উপজেলার বিভিন্ন মাঠে গিয়ে দেখা যায়, কেউ ধান গাছের আগাছা পরিষ্কার করছেন। আবার কেউ সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। সবুজ পাতায় বাতাসে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন।। রোপা-আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশায় কৃষকের মুখে এখন হাসির ঝিলিক।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে ৬ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে রোপা-আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তারপরও কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাস পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশাবাদী কৃষি দপ্তরের সংশ্লিষ্টরা।

উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের কৃষক আজম প্রামাণিক বলেন, এবার আমার মনে হচ্ছে বন্যার আশঙ্কা নেই, তাই অন্যান্য বারের তুলনায় এবার আমরা অধিকহারে আমন ধান চাষ করেছি। আশা করছি, এবার আমন ধানে বাম্পার ফলন হবে।

উপজেলার শলিয়া গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, ধান গাছে সময়মতো পানি পাওয়ায় এখন গাছ সবুজ বর্ণ ধারণ করেছে। চারিদিকে যেন সবুজের সমারোহ। যেদিকে তাকাই দৃষ্টি যেন জুড়িয়ে যায়। এবার বড় ধরনের বন্যা না হলে আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে করে আমরা অনেক উপকৃত হব এবং বিগত দিনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারব বলে মনে করছি।

উপজেলার তারাটিয়া ছোটডাঙ্গা গ্রামের কৃষক ছামাদ প্রামাণিক বলেন, এবার স্বর্ণা-৫, গুটি স্বর্ণা, চিনি আতপ জিরাশাল ও ব্রি-৭৫.৯০ জাতের ধান রোপণ করা হয়েছে। এরমধ্যে বেশির ভাগ জমিতে সুমন স্বর্ণা ও জিরাশাল চাষ করছি। তবে যেসব জমিতে আগাম জাতের আলু রোপণ করা হবে, কেবল ওই জমিতে জিরাশাল ধান রোপণ হয়েছে।

উপজেলার তারাটিয়া ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান বলেন, রোপা-আমন ধান চাষে কৃষকরা যাতে লাভবান হতে পারেন এবং কৃষকরা যেন আমন চাষে কোনো প্রকার সমস্যায় না পড়েন এ জন্য আমরা সার্বক্ষণিক নজর রাখছি। যেখানেই সমস্যা সেখানেই আমাদের উপস্থিতি এবং সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তাপশ কুমার রায় বলেন, অধিক ফলনের জন্য পরিমিত সার ব্যবহার, পানি সাশ্রয় এবং সার্বিক পরিচর্যায় কৃষকদের সচেষ্ট হতে আমরা সব সময়ই পরামর্শ দিয়ে আসছি। এবার এ উপজেলার কোথাও কোন পোকা-মাকরের আক্রমণ নেই। ফলে আমরা আশা করছি, এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে রোপা-আমন ধানের বাম্পার ফলন হবে।

প্রকাশ : জুন ২, ২০২৩ ৯:০০ পূর্বাহ্ন
কিশোরগঞ্জে দিনব্যাপী কৃষক প্রশিক্ষণ ও সারের অপচয় রোধে করনীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
কৃষি গবেষনা

মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (এসআরডিআই) আঞ্চলিক গবেষণাগার কিশোরগঞ্জ কর্তৃক করিমগঞ্জের ভাটিয়া গ্রামে মাটি পরীক্ষার গুরুত্ব, মৃত্তিকা নমুনা সংগ্রহ পদ্ধতি, রাসায়নিক সারের অপচয় রোধে করনীয়’ শীর্ষক দিনব্যাপী কৃষক প্রশিক্ষণ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশিষ্ট ও বিজ্ঞ মৃত্তিকা বিজ্ঞানীগণ মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানান এবং মাটি পরীক্ষা করে সুষম সার ব্যবহার করার জন্য গুরুত্বারোপ করেন। কৃষি প্রধান দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য মাটি পরীক্ষার বিকল্প নেই এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আগামী দিনে সুষম সার প্রয়োগের উপর বক্তারা জোর দেন।এছাড়াও কৃষির বিভিন্ন বিষয়ে ও পুষ্টিউপাদানের উপর গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও সুপরামর্শ প্রদান করেন।

আঞ্চলিক গবেষণাগার কিশোরগঞ্জের উদ্যোগে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ জালাল উদ্দিন, মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বিভাগীয় কার্যালয়, ঢাকা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব ড. মোঃ আবদুর রউফ, মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, এনালাইটিক্যাল সার্ভিসেস উইং, ঢাকা, ড. মো: হুমায়ুন কবীর সিরাজী, প্রকল্প পরিচালক, ড. মো: লুৎফর রহমান, প্রকল্প পরিচালক। ড. এ.বি.এম. শহীদুল ইসলাম, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও অফিস প্রধান আঞ্চলিক গবেষণাগার কিশোরগঞ্জের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে আরও মূল্যবান বক্তব্য রাখেন জনাব এম.এ.হানিফ,চেয়ারম্যান ৬নং দেহুন্দা ইউনিয়ন পরিষদ, জনাব মোঃ শফিকুল ইসলাম শফিক, সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, দেহুন্দা ইউনিয়ন, জনাব মনিরুজ্জামান, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, জনাব মোঃ হাছিবুল হক ও জনাব সালেহ আহমদ, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদ্বয়।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জনাব কৃষিবিদ মোঃ আবুল বাশার। প্রায় ৭০ জন চাষিদের হাতে-কলমে মাটি নমুনা সংগ্রহ করার প্রশিক্ষণ দেন এবং ২০ জন কৃষক তাদের ফসলের পুষ্টি মান জানতে মাটির নমুনা জমা দেন। রাসায়নিক বিশ্লেষণ পূর্বক তাদেরকে সার সুপারিশ কার্ড বিতরণ করা হবে।সাবেক মেম্বার শফিউদ্দিন শোভনসহ অত্র এলাকার চাষিদের সার্বিক সহযোগিতায় এবং আঞ্চলিক গবেষণাগার কিশোরগঞ্জের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সফল একটি কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রকাশ : মে ১৪, ২০২৩ ১:৩৯ অপরাহ্ন
মোখা আতঙ্কে ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত বরিশালের কৃষকরা
কৃষি বিভাগ

চলতি মৌসুমে ধানে ভালো ফলন হওয়ায় খুশি দক্ষিণাঞ্চলের কৃষকরা। এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোখা তাদের চিন্তিত করে তুলেছে। আর তাই এখন পুরোদমে চলছে মাঠে থাকা পাকা ধান কেটে ঘরে তোলার চেষ্টা। যদিও শ্রমিক সঙ্কটে কিছুটা হতাশা রয়েছে, তারপরও কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে জমিতে থাকা প্রায় ৯০ ভাগ ধান ইতোমধ্যে কাটা হয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।

ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় জমিতে থাকা বাকি ধান কেটে দ্রুত ঘরে তোলার আহ্বান জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। কৃষি বিভাগ ও আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, যদি প্রবল শক্তি নিয়ে ভয়াবহ রূপ ধারণ করে ঘূর্ণিঝড় মোখা, তাহলে উপকূলের নিচু এলাকা প্লাবিত হবে। সেই সাথে ভারী বর্ষণ ও ঝড়ো বাতাসে পাকা ধান গাছের ক্ষতি হতে পারে। তাই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই উপকূলীয় এলাকায় ধান পেকে যাওয়ায় তা কেটে তোলার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

বরিশাল বিভাগীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে বিভাগের ছয় জেলায় বোরো আবাদের ল্যমাত্রা ছিল এক লাখ ৯৩ হাজার ৪৬০ হেক্টর জমিতে। আর আবাদ হয়েছে এক লাখ ৯৪ হাজার ২৩৩ হেক্টর জমিতে।

এ দিকে ঘূর্ণিঝড় মোখা সম্পর্কে আগেভাগেই সতর্ক ছিল বরিশাল কৃষি বিভাগ। বিরূপ আবহাওয়ায় ফসলের যাতে ক্ষতি না হয় সে লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা কৃষকদের সচেতন করার পাশাপাশি বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। যার ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিভাগের ছয় জেলায় প্রায় ৯০ ভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে। আর ধান কাটতে গত তিন দিন ধরে ব্যস্ত সময় পার করেছেন বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, ঝালকাঠি ও পিরোজপুরের কৃষকরা। এর মধ্যে যারা শ্রমিক পাচ্ছেন না- সেসব কৃষক পরিবারের পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও এগিয়ে এসেছেন ধান কাটায় সাহায্য করতে।

বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের উলাল বাটনার ধানের জমির মালিকরা জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখা তাদের দুশ্চিন্তায় ফেলেছে। অতিরিক্ত টাকা দিয়েও শ্রমিক পাচ্ছেন না ধান কাটার।

এ দিকে বরিশাল সদর উপজেলার কৃষক শুক্কুর মিয়া জানিয়েছেন, সারের মূল্য বৃদ্ধিতে উৎপাদন ব্যয় বাড়লেও আবহাওয়ার কারণে বোরো ধানের ফলন এবার ভালো হয়েছে। ধান পেকে যাওয়ায় কেটেও ফেলেছেন অনেকে। এখন ন্যায্য দাম পাওয়ার অপেক্ষা। তবে ভালো দাম না পেলে ব্যয় ওঠা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বরিশালের উপ-পরিচালক মুরাদুল হাসান জানান, বরিশাল জেলায় ৬১ হাজার ১৪০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ৮০ ভাগ ধান কাটা হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ শওকত ওসমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে উদ্ভূত সমস্যা মোকাবেলা এবং ফসল রার জন্য আগেভাগেই মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কৃষকদের সচেতন করা হয়েছে। ফলে এখন পর্যন্ত প্রায় ৯০ ভাগ ধান কাটা সম্ভব হয়েছে।

প্রকাশ : মে ৮, ২০২৩ ১০:০৬ পূর্বাহ্ন
ঠাকুরগাঁওয়ে সবজি চালে বিপ্লব
কৃষি বিভাগ

গত কয়েক বছর ধ‌রে লাভের মুখ দেখায় সবজি চাষে ঝুঁকেছেন ঠাকুরগাঁও‌য়ের কৃষকরা। এর মধ্যে সদর উপ‌জেলার গ‌ড়েয়া ইউ‌নিয়‌নের ৬‌টি গ্রা‌মে সব‌জি চাষ ক‌রে বিপ্লব ঘ‌টি‌য়ে‌ছেন কৃষকরা। এখানকার উৎপা‌দিত সব‌জি বিক্রি হচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।

সরেজমিনে সদর উপ‌জেলার গ‌ড়েয়া ইউনিয়‌নের মিলনপুর, খামার, চখহল‌দি, সিংপাড়া ও মাঝ‌দিসহ বি‌ভিন্ন এলাকায় গি‌য়ে দেখা যায়, মিষ্টিকুমড়া, চালকুমড়া, ধন্দুল ও কাঁকরোলসহ নানা ধর‌নের সব‌জি চাষ কর‌ছেন চা‌ষিরা। উৎপা‌দিত এসব সব‌জি বি‌ক্রি করছেন ওই ইউনিয়‌নের বা‌গেরহাট আড়‌তে। আড়তে বি‌ক্রির ফ‌লে উৎপাদিত সব‌জির দাম ভা‌লো পা‌চ্ছেন তারা। অন‌্যদি‌কে আড়তে ১০০ ‌থে‌কে ১৫০ জন মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। ত‌বে সার ও ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় একদি‌কে যেমন দু‌শ্চিন্তা অন্যদিকে কাঙ্ক্ষিত ফলন না পেয়ে হতাশ তারা।

কৃষক জাহাঙ্গীর আলম জানান, আড়‌তে সব‌জি বি‌ক্রি কর‌তে আস‌ছি। ত‌বে সব‌জির দাম খুব কম। বৈরী আবহাওয়ার কার‌ণে ফলনও কম হ‌য়ে‌ছে। ৮০০ টাকার সার ১ হাজার ৬০০ টাকায় কিন‌তে হ‌চ্ছে। এতে সব‌জিতে লাভ তো দূ‌রের কথা, আসল টাকাই উঠ‌ছে না। সব‌জির বি‌ভিন্ন প্রকা‌রের রো‌গের প্রাদুর্ভারের পাশাপাশি সব‌জির দাম কম হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন অনেক কৃষক। এ কৃষ‌কের দা‌বি, তিন বিঘা জ‌মি‌তে সব‌জি চা‌ষে ১ লাখ ৩ হাজার টাকা খরচ হ‌লেও আসল টাকাই উঠ‌বে না তার।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলার জমি অনেক উচু এবং উর্বর, তার পাশাপাশি কৃষক যারা রয়েছেন তারা নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে ব্যাপক উৎপাদন করছেন। এর ফলে ঠাকুরগাঁওয়ে সবজির বিপ্লব ঘটেছে।

প্রকাশ : মে ৫, ২০২৩ ১০:৫৩ অপরাহ্ন
রাজশাহীতে হলুদের বাম্পার ফলন
কৃষি বিভাগ

রাজশাহীতে মসলা জাতীয় ফসল হলুদ চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। এই ফসলটি রান্নায় ব্যাপক ব্যবহার। ফলে সারাবছরই এর চাহিদা রয়েছে। গত কয়েক বছর যাবত এই ফসল চাষ করে কৃষকরা লাভবান হতে পারছেন বলে দিন দিন এর চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও এবছর হলুদের ভাল ফলনের পাশাপাশি বর্তমান বাজারদরেও খুশি কৃষকরা।

জানা যায়, রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের চাষিরা ব্যাপক পরিমানে হলুদ চাষ করছেন। অল্প খরচে ও কম পরিচর্যায় বেশি ফলন পাওয়া যায় বলে কৃষকরা এর চাষ করে থাকেন। এছাড়াও পুরো বছর জুড়েই এর চাহিদা রয়েছে। এই জেলায় চাষের পরিমান বাড়ার পাশাপাশি অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর হলুদের ফলন বেশি হয়েছে। আশানুরূপ ফলন ও বাজার ভাল পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র মতে, চলতি বছর জেলার বছর পুঠিয়া উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নে প্রায় সাড়ে চারশত হেক্টর জমিতে হলুদের চাষ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ৪০ হেক্টর বেশি। আর ৮ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন হলুদ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

বানেশ্বর হাটে আগত হলুদ চাষী কাওসার আলী বলেন, প্রায় প্রতিটি রান্নায় ব্যবহার হয় বলে সারাবছর হলুদের চাহিদা থাকে। এর চাষে সার ও কীটনাশকের পরিমান খুবই কম লাগে। গত বছরের তুলনায় এবছর ফলন বেশি পেয়েছি। চাহিদার কথা মাথায় রাখতে হয় না। এর চাষে লাভবান হতে পারায় অনেকেই এর চাষ করছেন।

হলুদ ব্যবসায়ী আজগর উদ্দিন বলেন, সারাদেশে পুরো বছরজুড়ে হলুদের চাহিদা রয়েছে। এর চাহিদা কখনো কমেনি। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর হলুদের বাজারদর ভাল। বর্তমানে প্রকারভেদে প্রতি মণ হলুদ ১৩০০-১৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, রাজশাহী জেলায় দিন দিন হলুদ চাষ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। কৃষকরা আবাদি জমির পাশাপাশি অনাবাদি পতিত জমিতেও এর চাষ করছেন। অল্প পুঁজি ও সঠিক পরিচর্যায় বেশি ফলন পাওয়া যায়। এছাড়াও সারাবছর জুড়ে এর চাহিদা ও দাম দুটোই ভাল পাওয়া যায়। আমরা কৃষকদের মাঠপর্যায়ে যেয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা করছি।

প্রকাশ : এপ্রিল ১৩, ২০২৩ ২:০৪ অপরাহ্ন
আগামী ৭ মে থেকে খাদ্যশস্য সংগ্রহ করা শুরু করবে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

চলতি বোরো মৌসুমে ৩০ টাকা কেজি দরে ৪ লাখ মেট্রিক টন ধান, ৪৪ টাকা কেজি দরে সাড়ে ১২ লক্ষ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল এবং ৩৫ টাকা কেজি দরে ১ লাখ মেট্রিক টন গম কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

আগামী ৭ মে  থেকে শুরু হয়ে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে খাদ্যশস্য সংগ্রহ।

বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে খাদ্য পরিধারন কমিটির বৈঠক শেষে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এ কথা জানান।

প্রকাশ : এপ্রিল ১, ২০২৩ ৪:২৭ অপরাহ্ন
নামের শেষে ‘সরকার’ থাকায় জমি চলে গেল সরকারি মালিকানায়!
কৃষি বিভাগ

নামের শেষে ‘সরকার’ থাকায় জমির মালিকানা সরকারি খাতায় চলে গেছে। দক্ষিণ ভারতের কর্নাটক রাজ্যে বাংলাদেশ (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) থেকে পালিয়ে কর্নাটকে গিয়ে স্থায়ী হওয়া ৭২৭ হিন্দু শরণার্থীর ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (৩১ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বল হয়, কয়েক দশক ধরে মালিকানায় থাকা জমি হঠাৎ করে সরকারি সম্পত্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পরে জানা যায়, কর্মকর্তারা জমির দলিলে মালিকের নামের সঙ্গে সরকার দেখে এটিকে সরকারি সম্পত্তি হিসেবে ধরে নেন।

৬৫ বছর বয়সী কৃষক বিভূতি সরকার তাদেরই একজন, কর্নাটকের রায়চুর জেলার সিন্ধানুর তালুকে থাকা বিভূতির পাঁচ একর জমি বেহাত হয়ে যায়। এক বছরের বীমা না পরিশোধ করায় বিভূতির জমি সরকারি খাতে চলে যায়।

বিভূতি সরকারের অভিযোগের ভিত্তিতে স্বাধীন তদন্তে বেরিয়ে আসে অদ্ভুত তথ্য। তাদের নামের একটি অংশ সরকার দেখে ভুলে সরকারি খাতায় জমি নিয়ে নেওয়া হয়।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পূর্ব পাকিস্তান ছেড়ে হাজার হাজার হিন্দু ভারতে আশ্রয় নেয়। তৎকালীন ভারত সরকার কর্নাটকসহ পাঁচ রাজ্যে বিশেষ ক্যাম্পে থাকতে দেয় শরণার্থীদের। একই সঙ্গে নতুন করে জীবন শুরু করতে প্রত্যেককে পাঁচ একর করে জমি দেওয়া হয়।

প্রকাশ : এপ্রিল ১, ২০২৩ ৪:১৮ অপরাহ্ন
হাত পেতে নয়, বাঁচতে চাই আত্মসম্মান নিয়ে: চাষাবাদে তৃতীয়লিঙ্গের সাফল্য
কৃষি বিভাগ

গাজীপুরের কোনাবাড়ির বাইমাইল বিলের, উঁচু একটি মাঠে একসময় ছিলো ইটভাটা। বছর পাঁচেক আগে বন্ধ হয়ে যায় সেটির কার্যক্রম। পড়ে থাকা জমি বর্গা নিয়ে পরম যত্নে চাষ উপযোগী করা হয়েছে। ১৩ বিঘার ধান কাটা হবে এ মাসেই।

তবে সচরাচর যাদের চাষাবাদে দেখা যায় তারা নয়, এ ফসল তৃতীয় লিঙ্গের একদল মানুষের শ্রমে-ঘামে। সমাজে যাদের পরিচয় হিজড়া।

ধানের পাশাপাশি আরও প্রায় তিন বিঘা জমিতে চাষ করেছেন টমেটো, করলা, লালশাক, লাউসহ নানা জাতের সবজি। কদিন আগেই খেত থেকে তোলা হয়েছে পেঁয়াজ।

গরু-ছাগল-হাঁস-মুরগি-কবুতরের খামারও করেছেন তারা। আয়ও হচ্ছে বেশ। তাদের আশা আরও বড় পরিসরে কাজ করবেন তারা।
৫০ জনের দলটির নেতৃত্বে থাকা কালু জানালেন, প্রতিনিয়ত নানা প্রতিকূলতা মোকাবিলা করেই চলতে হয় তাদের। একটু ভালো থাকার আশায়, মাস পাঁচেক হলো কৃষিকাজ শুরু করেছেন। তিনি আরও বলেন, হাত পেতে নয়, আত্মসম্মান নিয়ে বাঁচতে চাই। কৃষি উদ্যোগ নিয়েছি কারণ এটি জনগণের জন্যেও ভালো আমাদের জন্যেও ভালো। আর জনগণও দেখলো আমরাও কিছু করতে পারি।

শুরুতে ছিলো নানা আলোচনা-সমালোচনা। কাজের মাধ্যমেই সেসবের জবাব দিয়েছেন কালু। বলেন, লোকজন বলেছে ওরা হিজড়া, ওরা কি করবে, কেমনে ফসল ফলাবে, কেমনে কৃষি কাজ করবে। ওরা পারবে না, শুধু শুধুই টাকা-পয়সা নষ্ট করতেছে। কিন্তু আমাদের কাছে পরিশ্রম করে খেলে সেটাই সম্মানের।

এ চাষিদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। প্রয়োজনে বিশেষ বিবেচনারও আশ্বাস তাদের। জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ওনাদেরকে প্রযুক্তিগত, কারিগরি সবধরনের সহযোগিতা থেকে বীজ-সারে আর্থিক সহায়তা করতে চেষ্টা করবো। এছাড়া সরকারি প্রণোদনা যদি দিয়ে থাকে প্রতি বছর তবে সেই খাত থেকে আমরা চেষ্টা করবো ওনাদের সহযোগিতা করতে।

এ কর্মকর্তা জানান, আসছে আমন মৌসুমেই এ সহায়তা দেয়া সম্ভব।

সৎপথে যেকোনো উপার্জনই সম্মান ও গৌরবের। সেই চিন্তা থেকেই কৃষি কাজের এই উদ্যোগ বলে জানান তৃতীয় লিঙ্গের এই মানুষগুলো। তারা বলছেন, সুযোগ ও সহযোগিতা পেলে দেশ ও সমাজ গঠনে তারাও রাখতে পারেন ভূমিকা।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop