৪:৫৬ পূর্বাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অগাস্ট ১, ২০২১ ৫:৫৬ অপরাহ্ন
খুলনায় বিষ প্রয়োগে কৃষকের লক্ষাধিক মাছ নিধন
মৎস্য

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরখালী ইউনিয়নের ঝরঝরিয়া গ্রামের কৃষক রবীন্দ্রনাথ মণ্ডলের ঘেরে বিষ প্রয়োগে লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা।

রোববার (১ আগস্ট) সরেজমিনে এ চিত্র দেখা যায়। এ ঘটনায় চাষি রবীন্দ্রনাথ মুষড়ে পড়েছেন। তবে, মাছ মরার কারণ খুঁজে না পেলেও তার ক্ষতি করতে কেউ ঘেরে বিষ দিতে পারে বলে সন্দেহ করছেন তিনি। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছেন রবীন্দ্রনাথ।

মৎস্য চাষি রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল জানান, তিনি নিজ বাড়ি সংলগ্ন ৭ বিঘা জমির দু’টি ঘেরে চলতি মৌসুমে বাগদা, গলদা, জাপানি রুই, তেলাপিয়া, মৃগেলসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করেন। এ মৌসুমে প্রতিদিনই ৪/৫ কেজি করে বাগদা-গলদা ধরে বিক্রি করছিলেন। এছাড়া সাদা মাছও হয়েছিল প্রচুর পরিমানে। সর্বশেষ শুক্রবারও (৩০ জুলাই) তিনি তার ঘের থেকে মাছ আহরণ করেন। কিন্তু শনিবার (৩১ জুলাই) ভোরে মাছ ধরতে গিয়ে দেখতে পান বিভিন্ন স্থানে মাছ মরে ভেসে উঠেছে। রোববারও মাছ মরে ভেসে ওঠে। এতে লক্ষাধিক টাকার মাছ মরে গেছে বলে ধার ধারণা। ঘেরজুড়ে মরা মাছ দেখে হতাশ হয়ে পড়েন তিনি।

রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল জানান, ‘আমার কারও সঙ্গে তেমন কোনো শত্রুতা নেই। তার পরেও মনে হচ্ছে কেউ শত্রুতা করে ঘেরে বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলেছে। কিন্তু মাছের সঙ্গে এ কেমন নিষ্ঠুরতা বুঝলাম না।’

প্রকাশ : অগাস্ট ১, ২০২১ ১০:০৪ পূর্বাহ্ন
৭৬৬৪ হেক্টর বীজতলা ও সবজি ডুবে গেছে খুলনায়
কৃষি বিভাগ

খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরায় টানা চার দিনের বৃষ্টিতে সাত হাজার ৬৬৪ হেক্টর জমির আমন বীজতলা, আউশ ধান ও সবজি ডুবে গেছে। এর মধ্যে রয়েছে চার হাজার ৮০০ হেক্টর জমির আমন বীজতলা। চরম ভোগান্তিতে আছেন সেখানকার অধিবাসী এবং ভোগান্তিতে আছেন কৃষকরা। জেলার মধ্যে শরণখোলায় সবচেয়ে বেশি জমি ডুবে গেছে।

শনিবার (৩১ জুলােই) খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক হাফিজুর রহমান জানান, টানা চার দিনের বৃষ্টিতে খুলনায় এক হাজার ৮১৫ হেক্টর জমির আমন ধানের বীজতলা ডুবে গেছে। এর মধ্যে কয়রায় এক হাজার ১৫ হেক্টর জমি রয়েছে। কয়রার সুইস গেটের কপাট খুলে যাওয়ায় পানি আটকানো মুশকিল হয়ে পড়েছে।

আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে পানি নেমে না গেলে কয়রার বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া দাকোপের ৭০০ হেক্টর জমির বীজতলা ডুবে গেছে।

তিনি আরও জানান, খুলনায় এ বছর পাঁচ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি হয়েছে। বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ছিল চার হাজার ৭৩০ হেক্টর জমি। বৃষ্টির কারণে ৩১৭ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন সবজি জমি ডুবে গেছে। বৃষ্টির সঙ্গে বাতাস থাকায় আউশ ধানের ২২ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. নুরুল ইসলাম জানান, টানা বৃষ্টিতে সাতক্ষীরার এক হাজার ৭০০ হেক্টর আমন বীজতলা নিমজ্জিত হয়েছে। পাশাপাশি ৮৬০ হেক্টর রোপা আমন জমি ও ৫০০ হেক্টর সবজি ডুবে গেছে।

বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, বাগেরহাটে এক হাজার ২৮৭ হেক্টর জমির আমন বীজতলা পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এ জেলায় পাঁচ হাজার ৬৪২ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি হয়েছিল। রোপা আমনের ১৫ হেক্টর জমি ডুবে গেছে।

তিনি আরও জানান, জেলায় ২৯৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষ হয়। আউশ ধানের ৯৫০ হেক্টর জমি পানিতে নিমজ্জিত। আউশ চাষ হয় পাঁচ হাজার ২৯৮ হেক্টর জমিতে। গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষ হয় ছয় হাজার ৩০৫ হেক্টর। এর মধ্যে ২০৯ হেক্টর পানিতে নিমজ্জিত।

প্রকাশ : জুন ১, ২০২১ ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন
কোরবানিকে সামনে রেখে ব্যস্ত খুলনার গরু খামারিরা
প্রাণিসম্পদ

আসন্ন কোরবানিতে গরুতে লাভবান হওয়ার আশায় খুলনার জেলার খামারিরা গরু নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তারা এই উপলক্ষে গরু-ছাগল মোটাতাজাকরণে শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। অধিক পুষ্ট গরু-ছাগলের ক্রেতার কাছে চাহিদা অনেক বেশি। সেখানকার খামারিরা তাই এই সময়টাতে ব্যস্ত সময় পার করেন।

জানা যায়, কোরবানির চাহিদার তুলনায় এ জেলায় ৪০ শতাংশ পশু প্রস্তুত করা হচ্ছে। এবার করোনার তাণ্ডবে অর্থনীতির অবস্থা সব দিকেই নাজেহাল। আর এই শঙ্কায় স্বল্প সংখ্যক পশু প্রস্তুত করেছেন তারা। নিরাপদ মাংস নিশ্চিতে খামারিদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ।

জেলা প্রাণি সম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়,গত বছর কোরবানির ঈদে জেলায় ৭৪ হাজার ৮০০ গবাদীপশু কোরবানি করা হয়। এগুলোর মধ্যে ৩৮ হাজার ষাঁড়-বলদ এবং ৩২ হাজার ৮৬৯ টি ছাগল-ভেড়া। শুধুমাত্র নগরীতে বারো হাজার ১৮৬ ​টি ষাঁড়-বলদ কোরবানি হয়।

গত বছর কোরবানির পর পরই খামারিরা নতুন করে ষাড়, ছাগল মোটা তাজাকরণ প্রকল্পের কাজ শুরু করেন। ইয়াসের কারণে কয়রা উপজেলায় এ প্রকল্পে যথারীতি খাদ্য সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া করোনায় মন্দা অর্থনীতির কারণে অন্যান্য উপজেলার খামারিরা খুব বেশি বিনিয়োগ করেননি।

খুলনা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ডাঃ মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে অনেক খামারি গবাদিপশু মোটাতাজা করছেন। স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে মাংস উৎপাদনের জন্য আমরা তাদের পরামর্শ দিচ্ছি বলে জানান তিনি।

প্রকাশ : মে ১৭, ২০২১ ৯:১৮ অপরাহ্ন
ঘেরে বিষ প্রয়োগে ১০০ মণ মাছের মৃত্যু!
মৎস্য

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার আঁঠারমাইলের মাগুরাঘোনায় মইনুর রহমান নামের এক ব্যক্তির মাছের ঘেরে বিষ দিয়ে ১০০ মণ মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় ডুমুরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের ভুক্তভোগী। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, প্রতি বছরের মতো এবারও ডুমুরিয়ার কাঞ্চনপুর বিলে ২০ একর জমি ইজারা নিয়ে মাছের ঘের তৈরি করেছেন মইনুর রহমান। সেখানে তিনি রুই, কাতলা ও মৃগেলসহ বিভিন্ন প্রজাতির সাদা মাছ চাষ করেছেন।

তার বড় ছেলে মুন্না সরদার ঘেরটি দেখাশুনা এবং পাহারা দিতেন। প্রতিদিনের মতো শনিবার (১৫ মে) রাত আনুমানিক ১১টার দিকে তিনি ঘেরের বাসায় গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর রাত দেড়টার দিকে ঘেরের ক্যানেলের মধ্যে মাছের লাফালাফির শব্দে তার ঘুম ভেঙে যায়। তিনি দেখেন বিভিন্ন প্রজাতির সাদা মাছ ছটফট করে মারা যাচ্ছে। তখন তিনি ঘেরের পানি নাকের কাছে নিয়ে বিষের গন্ধ পান।

এজাহারে কাঞ্চনপুর গ্রামের মৃত কওসার আলী সরদারের ছেলে আরিজুল সরদার (৪৬), মো. হালিম শেখের ছেলে মো. তালিম শেখ (২৭), আরশাফ আলী সরদারের ছেলে মো. মহসিন সরদার (২৫) ও আব্দুল কাদের মোড়লের ছেলে আলিমুল মোড়লের (২৮) নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বাদী মইনুর রহমান বলেন, তার ছেলে মুন্না বিবাদীদের শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঘেরের বেড়িতে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখেছেন। এ জন্যই তাদের নামে মামলা করা হয়েছে।

১ নং বিবাদী মো. আরিজুল সরদার তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন।

ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবাইদুর রহমান জানান, শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিষ দিয়ে মাছ মারা হয়েছে এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

প্রকাশ : এপ্রিল ২৯, ২০২১ ১১:১১ পূর্বাহ্ন
১ লাখ টাকা খরচে ৬ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করবে চাষিরা
কৃষি বিভাগ

খুলনার উপকূলীয় উপজেলা পাইকগাছার লবণাক্ত এলাকায় এ বছর উপজেলায় ১১শ’ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলেও তরমুজের ফলনের কোন সমস্যা হয়নি ওই অঞ্চলে। তাই এবার সেখান তরমুজ চাষিদের মুখে সফলতার হাসি। গত বছর উপজেলায় ৫১০ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ১১শ’ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। যার মধ্যে দেলুটি ইউনিয়নে এক হাজার হেক্টর ও গড়ইখালী ইউনিয়নে ১শ’ হেক্টর।

গড়ইখালী ইউপির প্রিতিষ মন্ডল ও দ্বিজেন মন্ডল জানান, আমরা দু’জন সাড়ে ৪ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। এ জমিতে চাষ করতে ৫৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশা করছি ৩ লাখ টাকা বেচা-কেনা হবে।

তারা আরো বলেন, আমরা এক বিঘা জমিতে পানি, সার কীটনাশক ছাড়াই চাষ করেছি। দেখা গেছে পানি কীটনাশক ছাড়া চাষে প্রতি বিঘা জমিতে ৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। এ এক বিঘা জমিতে প্রায় ১ লাখ টাকা বিক্রি হবে বলে আশা করছে। একই এলাকার প্রসনজিৎ ও দিপক জানান আমরা ৬ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। আমাদের মোট খরচ হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। আশা করছি ৬ লাখ টাকার মত বিক্রি হবে।

দেলুটির দারুণ মল্লিক এলাকার নিশিত জানান, এ বছর আমি ৫ বিঘা জমিতে তরমুজের চাষ করেছি। বর্তমানে ফসলের অবস্থা খুবই ভালো। এ বছর তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, তরমুজ একটি লাভজনক ফসল। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে চাষ শুরু করা হয় এবং এপ্রিলের শেষের দিকে বাজারজাত করা যায়। তরমুজ চাষে এক বিঘা জমিতে ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা খরচ হয়।
খুব বেশি পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। সার-পানি দিলেই হয়। এক বিঘা জমির উৎপাদিত তরমুজ ১ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে এই এলাকার তরমুজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এখানকার উৎপাদিত তরমুজ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হয় বলে তিনি জানান।

প্রকাশ : এপ্রিল ১৮, ২০২১ ৩:৫১ অপরাহ্ন
খুলনায় দরিদ্র পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে সবজি বিতরণ
কৃষি বিভাগ

করোনা সংক্রমণ রোধে সারাদেশে চলছে কঠোর লকডাউন। আর এই লকডাউন এবং পবিত্র রমজানে মাস উপলক্ষে খুলনায় কর্মহীন হতদরিদ্রদের মধ্যে শুরু হয়েছে বিনামূল্যে সবজি বিতরণ।

শনিবার (১৭ এপ্রিল) মহানগরীর চার নম্বর ওয়ার্ডের দৌলতপুর দেয়ানা যশোর মোড় এলাকায় মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র পরিবারের মধ্যে সবজি বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক মো. শফিকুর রহমান পলাশ।

মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক মো. শফিকুর রহমান পলাশ বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে দেশব্যাপী চলছে কঠোর লকডাউন। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। কর্মহীন ও দরিদ্র এসব মানুষের জন্য সহায়তার হাত বাড়িয়েছে খুলনা মহানগর যুবলীগ। যার ধারাবাহিকতা লকডাউন চলাকালীন সময় প্রতিটি ওয়ার্ডে বিনামূল্যে সবজি, ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। ৪ নম্বর ওয়ার্ড দিয়ে শুরু হওয়া এ কার্যক্রম প্রতিটি ওয়ার্ডে পর্যায়ক্রমে শুরু হবে।

খুলনা মহানগর যুবলীগের আয়োজনে সরকারি বিএল কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও মহানগর যুবলীগের সদস্য মেহেদী হাসান মোড়লের উদ্যোগে সবজি বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুর ইসলাম, দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, চার নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওহিদুজ্জামান, চার নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু আসলাম মোড়ল, মহানগর যুবলীগের সদস্য অভিজিৎ চক্রবর্তী দেবু, আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফুজ্জামান খোকন, শেখ শহিদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম বাপ্পী, সাফায়েত হোসেন, হাবিব মোড়ল, মাহবুব মোড়ল, সাবেক ছাত্রনেতা বাচ্চু মোড়ল, পলাশ মন্ডল, আসাদুজ্জামান আসাদ, নওরজ জাহান আদর, যুবলীগ নেতা ইবাদ মোড়ল, আরিফ মোড়ল, ইব্রাহিম মোড়ল, শেখ নাদিম, সুমন দাস, ছাত্রনেতা রিপন মোড়ল, লিপু মোড়ল, নাজিম হোসেন ইমু, আল আমিন প্রমুখ।

প্রকাশ : এপ্রিল ৭, ২০২১ ১:০৬ অপরাহ্ন
ডুমুরিয়ায় ক্ষুরা রোগে চার সপ্তাহে শতাধিক গরুর মৃত্যু
প্রাণিসম্পদ

গত চার সপ্তাহে খুলনার ডুমুরিয়ায় ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে শতাধিক গরুর মৃত্যু হয়েছে। এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে আরও তিন শতাধিক গরু।

খামারিদের অভিযোগ, প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে তারা কোনো সহযোগিতা পান না তারা। তবে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের দাবি, ক্ষুরা রোগে সম্প্রতি মাত্র ১২টি গরু মারা গেছে। আর বেশকিছু গরু আক্রান্ত হয়েছে। তবে গরুর চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোনো ত্রুটি ছিল না তাদের।

জানা যায়, ক্ষুরা রোগে উপজেলার পূর্ব ডুমুরিয়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম গাজীর ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা মূল্যের একটি গাভি মারা গেছে। ডুমুরিয়া আইতলা এলাকার শংকর প্রসাদ রাহার ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যের দুটি গরু মারা গেছে। আরাজী ডুমুরিয়া নারায়ণ পালের একটি গাভি ও একটি বকনা বাছুর, গুটুদিয়া গ্রামের হাফিজ খানের একটি গাভি এবং উপজেলার খলশি গ্রামের ওহিদুল ইসলামের দুটি গাভি মারা গেছে।

একইভাবে ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে উপজেলার ডুমুরিয়া সদর ইউনিয়নে, ধামালিয়া, খর্নিয়া, ভান্ডারপাড়া, রুদাঘারা ও রংপুর ইউনিয়ন এলাকার বিভিন্ন গ্রামে গত চার সপ্তাহে শতাধিক গরু খুরা রোগে মারা গেছে এবং আক্রান্ত হয়েছে আরও তিন শতাধিক বলে জানা যায়।

সদরের গোলনা গ্রামের খামারি খান অহিদুল ইসলাম জানান, তিন সপ্তাহ আগে ক্ষুরা রোগে আক্রান্তু হয়ে তার হাইব্রিড জাতের ৩টি গাভি, একটি বড় বকনা ও ৪টি বাছুর মারা গেছে। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ টাকার।

গরুর খামারি খান ওহিদুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম গাজী জানান, খুরা রোগের লক্ষণ হচ্ছে, প্রথমে গরুর গায়ে তাপমাত্রা প্রচণ্ড বৃদ্ধি পায়, মুখ দিয়ে লালা বের হতে থাকে, গরুর মুখে ও খুরায় ঘা দেখা দেয়। ফলে আক্রান্ত গরু কোনো খাদ্য খেতে পারে না। এরপর অল্প দিনের মধ্যে ওই গরু মারা যায়। সে ক্ষেত্রে খুরা রোগ প্রতিরোধে গরুকে নিয়মিত ভ্যাকসিন দিতে হয়। প্রাণিসম্পদ অফিসে ভ্যাকসিন সংকটের কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। শত চেষ্টার পরও আক্রান্ত গরুগুলো বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

খামারি শংকর প্রসাদ রাহা জানান, প্রাণিসম্পদ অফিসে ভ্যাকসিন পাওয়া মুশকিল। গরুর চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রাণিসম্পদ অফিসের চিকিৎসকদের অনীহা রয়েছে। বারবার তাদের ডেকেও পাওয়া যায় না।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহমুদা সুলতানা বলেন, মূলত ক্ষুরা রোগের চিকিৎসা নেই। আগে থেকে গরুর খুরা রোগের ভ্যাকসিন দিতে হয়। গরুর বা ছাগলের কোনো সমস্যা হলে চিকিৎক না ডেকে খামারিরা নিজেই চিকিৎকসা দেন। খামারিদের অভিযোগ সঠিক নয়। এ ছাড়া ডুমুরিয়া উপজেলাটি প্রায় একটি জেলার সমান। প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের অফিসে জনবল অপ্রতুল।

ডুমুরিয়া প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্যমতে, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় ১৪টি ইউনিয়নে ১ হাজার ২৫২টি হাইব্রিড জাতের গরুর খামার রয়েছে। হাইব্রিড ও দেশি জাতের গরুর সংখ্যা এখানে ১ লাখ ৯০ হাজার। প্রতিদিন এ উপজেলায় প্রায় ৮০ হাজার লিটার দুধ উৎপাদিত হয়, যা ডুমুরিয়ার চাহিদা মিটিয়ে খুলনা ও যশোর জেলা শহরে বিভিন্ন কোম্পানি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে বিক্রি হয়ে থাকে।

প্রকাশ : মার্চ ২৬, ২০২১ ১১:০৬ পূর্বাহ্ন
খুলনায় দিনব্যাপি বন সংরক্ষণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
প্রাণ ও প্রকৃতি

খুলনায় তালের চারা উত্তোলন, বনায়ন, বনের প্রয়োজনীয়তা ও বন সংরক্ষণ বিষয়ক দিনব্যাপি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

গত বৃহস্পতিবার খুলনার ডুমুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রশিক্ষণে ২৫ জন স্থানীয় প্রশিক্ষণার্থী অংশ গ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের ম্যানগ্রোভ সিলভিকালচার বিভাগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ।

এজাজ আহমেদ বলেন, গাছ না থাকলে প্রাণের অস্তিত্ব থাকবে না। গাছই একমাত্র নিয়ামক যে বাতাসে অক্সিজেন ছেড়ে দিয়ে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণের মাধ্যমে সুশীতল বায়ু প্রদান করে। দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত গাছের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তাই সকলকে গাছ লাগানো ও গাছ সংরক্ষণে ভূমিকা রাখতে হবে।

বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের ম্যানগ্রোভ সিলভিকালচার বিভাগের খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আসম হেলাল উদ্দিন আহম্মেদ সিদ্দীকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্তিত ছিলেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোসাদ্দেক হোসেন, ডুমুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আইযুর হোসাইন প্রমুখ।

বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত প্রযুক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত প্রশিক্ষণ দেন ম্যানগ্রোভ সিলভিকালচার বিভাগের গবেষণা কর্মকর্তা মোঃ আকরামুল ইসলাম।

প্রকাশ : মার্চ ১২, ২০২১ ৭:৪৯ অপরাহ্ন
ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগল উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় খুলনা জেলায় ছাগল পালন খামারীদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম
প্রাণিসম্পদ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগল উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় খুলনা জেলায় প্রকল্পের আওতাভুক্ত ৯টি উপজেলার নির্বাচিত ছাগল পালন খামারীদের নিয়ে এনজিও ফোরাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ১২-১৪ই মার্চ, ২০২১ এর  ০৩ (তিন) দিনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ আবদুল জব্বার শিকদার, মহাপরিচালক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ, ঢাকা, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ মোঃ আমিনুল ইসলাম মোল্যা, পরিচালক, বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তর, খুলনা। সার্বিক  তত্ত্বাবধানে ছিলেন জনাব মোঃ শরিফুল হক, প্রকল্প পরিচালক, ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগল উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ, ঢাকা। উক্ত প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. সর্দার শফিকুল ইসলাম, ডাঃ নন্দ দুলাল টীকাদার, অন্যান্য উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাগণ প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।

উক্ত প্রশিক্ষণে অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক দ্বারা অংশগ্রহণকারী সকল খামারীদের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালনে করনীয়, রোগ প্রতিরোধ, টিকা প্রদান, ছাগলের বিকল্প দুধ হিসেবে মিল্ক রিপ্লেসার তৈরি করে খাওয়ানোর নিয়মাবলি, প্রাকৃতিক প্রজনন সেবাসহ ছাগলের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয় ও হাতে কলমে শেখানো হয়।

ছাগল বাংলাদেশের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রাণিসম্পদ ও বিশ্বে ^ ছাগল পালনে বাংলাদেশ চতুর্থ স্থান দখল করে আছে। আমাদের দেশে আদিকাল থেকে যে ছাগল লালিত পালিত হচ্ছে তা ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, আর বিদেশ থেকে বিশেষত: ভারত থেকে আমদানীকৃত রামছাগল। এ দেশের আবহাওয়া ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগল পালনে অত্যন্ত উপযোগী। ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগল পালনের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর বেকারত্ব দূরিকরণ এবং দারিদ্র বিমোচন সহজেই সম্ভব। “ব্ল্যাক বেঙ্গল” পৃথিবীর ৫টি সেরা মাংস উৎপাদন জাতের মধ্যে অন্যতম। এদের বাচ্চা উৎপাদন ক্ষমতা অধিক, মাংস সুম্বাদু, চামড়া আন্তর্জাতিক মানের, দেশের জলবায়ুতে এর জীবনযাপনের উপযোগিতা বেশি এবং দারিদ্র বিমোচনের হাতিয়ার। যে কেউ কম পুঁজিতে ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগল পালন করতে পারে।

ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রাম ছাগলের চেয়ে বেশি, ফলে ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের চিকিৎসার খরচ, বিড়ম্বনা এবং মৃত্যুহার কম। ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল রাম ছাগলের চেয়ে অনেক আগে বয়োঃপ্রাপ্ত হয় এবং একই সময় রাম ছাগলের তুলনায় ২ থেকে ২.৫ গুন বেশি বাচ্চা জন্ম দেয়। ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগলের মাংস ও চামড়ার গুনাগুন রাম ছাগলের চেয়ে উন্নত।

খামারী পর্যায়ে ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের প্রাকৃতিক প্রজনন সেবা প্রদান, অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক দ্বারা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে রোগ নিয়ন্ত্রনের ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, ছাগল পালন ও পাঁঠা পালনে আগ্রহী দক্ষ জনবল তৈরিতে বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রনালয় “ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগল উন্নয়ন সম্প্রসারন প্রকল্প” গ্রহণ করেছেন। উক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের জাতটি পুনরুদ্ধার হবে এবং এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে খামারীরা ছাগল পালনে আরও উৎসাহিত হচ্ছেন এবং ছাগলের এই ব্ল্যাক বেঙ্গল জাত সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ফলে বেকারত্ব দূরীকরণ, পুষ্টি চাহিদা পূরণ, অর্থনৈতিক স্বাবলম্বীতা অর্জন সহ বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পথ সুগম হচ্ছে।

প্রকাশ : মার্চ ২, ২০২১ ১০:০০ পূর্বাহ্ন
খুলনায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বিনা চাষে আলু আবাদ
কৃষি বিভাগ

খুলনার কয়রা উপজেলায় বিনা চাষে আলুর আবাদ করা হচ্ছে। দিন দিন এই পদ্ধতি কৃষকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কোনো চাষ ছাড়াই কাদার মধ্যে রবি ফসল আলু উৎপাদন করে লাভবান হচ্ছে কৃষক।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, সরেজমিন গবেষণা বিভাগ এমএলটি সাইট কয়রা কৃষকদেরকে আলু উৎপাদনে দিচ্ছেন ফ্রি বীজ, সার, কীটনাশক ও নানান রকম পরামর্শ।

২০২০ সালে কয়রা উপজেলার কয়রা সদর ইউনিয়নের ৩নং কয়রা গ্রামে রবীন্দ্র ঢালী ১৬ শতাংশ জমিতে বিনা চাষে আলু আবাদ শুরু করেন। তার এ অভিনব চাষাবাদ দেখে এলাকার অনেক কৃষক সরেজমিন কৃষি গবেষণা বিভাগের পরামর্শক্রমে বিনা চাষে আলু আবাদে ঝুঁকে পড়েছেন।

কৃষক আব্দুল হালিম জানান, বিগত বছর স্থানীয় কৃষক রবীন্দ্র ঢালীর বাড়িতে বিনা চাষে আলু উৎপাদন দেখে তার মধ্যে আগ্রহ জাগে। তিনি বর্ষা মৌসুম শেষ হওয়ার পরই সরেজমিন গবেষণা বিভাগের সহযোগিতায় পানি সরে যাওয়ার পরই কাদার মধ্যে ৩৩ শতক জমিতে বিনা চাষে আলু রোপন করেন। উক্ত আলুর খেতে খড়কুটা দিয়ে ঢেকে দেন।

মহারাজপুর গ্রামের আব্দুল হালিম ও রবীন্দ্র ঢালী বিনা চাষে আলু চাষ করে লাভবান হয়েছেন। এদিকে, বিনা চাষে আলুর বাম্পার ফলন দেখে আগামীতে এ ধরনের আলু আবাদ বৃদ্ধি পাবে এমনটি ধারণা অনেকের।

উপকূলীয় লবণাক্ত জমিতে আলুর ভালো ফলন দেখে কৃষি গবেষণা বিভাগ ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা এ পদ্ধতিতে আলু চাষের পরামর্শ দিচ্ছেন।

তারা বলছেন, কম খরচ, কম সার ও পানি ব্যবহার করে বেশি ফসল পাওয়া যাবে।

ওই বিভাগের এমএলটি সাইটের কয়রার দায়িত্বরত বৈজ্ঞানিক সহকারী জাহিদ হাসান এলাকায় পতিত জমি দেখে বিনা চাষে আলু রোপন করতে উদ্বুদ্ধ করেন কৃষকদের।

প্রথমে কেউ রাজি না হলেও পরে রাজি হয়ে ঝুঁকি নেন কৃষক আব্দুল হালিম। ৩৩ শতক জমিতে রোপন করেন ২২০ কেজি আলুর বীজ। কৃষক আব্দুল হালিমের বিশ্বাস ছিল না বিনা চাষে গাছের গোড়ায় এত আলু হবে।

আব্দুল হালিমের স্ত্রী তানজিলা বিনা চাষের আলুর খেতের নাড়া সরিয়ে গাছ তুলে দুই হাত ভরে আলু দেখিয়ে বলেন, আলুর আকার বেশ বড়। কয়েকদিন পর বাজারে বিক্রি করা যাবে।

চাষের ধরণ ব্যাখ্যা করে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল শাহাদাৎ বলেন, ধান কাটার পর জমি তখনো পুরোপুরি শুকায় না, জমিতে কাদা থাকে। সেই কাদা মাটির ওপর দড়ি টানিয়ে সারি সোজা করে বীজ আলু বসিয়ে দিতে হয়। আলুর ওপর গোবর ছড়িয়ে তার ওপর নাড়া দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।

খুলনার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. হারুনর রশিদ বলেন, বাংলাদেশের উপকূলীয় দক্ষিণাঞ্চলে আমন ধান কাটার পর বিস্তীর্ণ জমি পতিত থাকে। মূল কারণ দীর্ঘ জীবনকাল সম্পন্ন আমন ধান, এটেল মাটি, স্বল্পমেয়াদি শীত এবং জমিতে ‘জো’ না আসা। এই সব প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবিলা করার জন্য বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত লবণ ও তাপ সহনশীল আলুর জাত বারি আলু- ৭২, ৭৩, ও ৭৮ এ ধানের খড় ব্যবহার করে বিনা চাষে আলু উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। যা এ অঞ্চলের মানুষের জন্য মুজিব শতবর্ষের এক নতুন উপহার।

তিনি বলেন, এ পদ্ধতিতে খরচ কম, চাষের প্রয়োজন নেই। মাটিতে লবণ উঠার আগেই বাড়তি একটা ফসল ঘরে তুলতে পারা যায়।সূত্র : ইউএনবি

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop