২:১৫ পূর্বাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : নভেম্বর ২৪, ২০২২ ৯:১৫ পূর্বাহ্ন
জনপ্রিয়তার শীর্ষে কুষ্টিয়ার পান
কৃষি বিভাগ

কুষ্টিয়ায় পানের ব্যাপক ফলন হয়েছে। এখানকার পান দেশের বিভিন্ন এলাকায় খুব জনপ্রিয়। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহের পাশাপাশি কুষ্টিয়ার পান যাচ্ছে বিদেশেও। দেশে ও বিদেশে পানের চাহিদা থাকায় কুষ্টিয়া সদর, মিরপুর ও ভেড়ামারা উপজেলায় দিন দিন বাড়ছে পান চাষ।

জানা যায়, এই জেলার পান চাষিরা গত বছর পান চাষে লাভের মুখ দেখেছিলেন। ফলে অনেক চাষ আবারো পানের চাষ করেছেন এবং নতুন অনেকেই পান চাষে ঝুঁকেছেন। বর্তমানে পান চাষে জৈব বালাইনাশক পদ্ধতি ব্যবহার হওয়ায় একদিকে যেমন স্বাস্থ্যসম্মত পান উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে, তেমনি বেড়েছে ফলন। এতে করে কুষ্টিয়ার পানের কদর এখন দেশের গন্ডি পার হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে বিদেশে।

জানা যায়, কুষ্টিয়ায় বাংলা পান, মিঠা পান, দেশি পান, ঝালি পান, সাচি পান, কর্পূরী পান, গ্যাচ পান, মাঘি পান, উজানি পান, নাতিয়াবাসুত পান, বরিশাল পান ও উচ্চফলনশীল ও রোগ প্রতিরোধে সক্ষম বারি পান-১, বারি পান-২ এবং বারি পান-৩ ছাড়াও বেশ কয়েক জাতের পান চাষ হচ্ছে। তারমধ্যে বাংলা পান ও মিঠা পানের ব্যাপক চাষ হয়ে থাকে।

কুষ্টিয়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০-২১ অর্থবছরে ২১৪০ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে জেলায় ২২৩০ হেক্টর জমিতে পান চাষ হয়েছে। গত অর্থ বছরের তুলনায় এবছর ৯০ হেক্টর জমিতে পানের বেশি চাষ হয়েছে। আগামী অর্থবছরে এর চাষ আরও সম্প্রসারিত হবে বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা আশা করছেন।

কুষ্টিয়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, এ অঞ্চলের কৃষকের আধুনিক উপায়ে পানের বরজ সংরক্ষণ ও বরজে পান চাষে প্রশিক্ষিত করেছেন। কুষ্টিয়ার পানচাষিরা পান উৎপাদন প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণ বিষমুক্ত প্রযুক্তি জৈব বালাইনাশক পদ্ধতি ব্যবহার করছেন। একদিকে যেমন স্বাস্থ্যসম্মত পান উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে, তেমনি আগের তুলনায় পানের ফলনও বেড়েছে। চাষিরা আর্থিকভাবেও বেশ লাভবান হচ্ছেন। এখন এ অঞ্চলের পান চাষিরা বিঘাপ্রতি ১ থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা লাভ করছেন।

প্রকাশ : নভেম্বর ২০, ২০২২ ১:৪১ অপরাহ্ন
কৃষি জমি ঠিক রেখে শিল্পায়নকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
কৃষি বিভাগ

সারাদেশে শিল্প গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কৃষি জমি ঠিক রেখে শিল্পায়নকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।
রবিবার (২০ নভেম্বর) সকালে গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে ৫০টি শিল্প ও অবকাঠামোর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চাকরির পেছনে না ঘুরে নিজেরা শিল্প গড়ে তুলুন। অন্যকে কর্মসংস্থানের ‍সুযোগ করে দিন। আমাদের উদ্দেশ্য রপ্তানি বৃদ্ধি ও দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাওয়া।

তিনি বলেন, যত্রতত্র শিল্পায়ন করা যাবে না। ফসলি জমিতে ফসলই হবে। ফসলি জমি যেন নষ্ট না হয়। যেসব জায়গা কাজে আসে না সেগুলোতে আবাসন ব্যবস্থা করতে হবে। ধ্বংসপ্রাপ্ত রাস্তাঘাট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে উন্নয়ন করেছে। গবেষণার মাধ্যমে ফসল উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছি। দেশের চরাঞ্চল পর্যন্ত বিদ্যুৎ পৌঁছে দিচ্ছি, শিল্পায়নের ব্যবস্থা করেছি। তবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের কারণে কিছুটা সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের মান মর্যাদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে।

প্রকাশ : নভেম্বর ১৮, ২০২২ ৯:১৬ পূর্বাহ্ন
কৃষি-প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন
কৃষি বিভাগ

দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কৃষি ও প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। জামানতবিহীন সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা ঋণ ৪ শতাংশ সুদে দেয়া হবে। ব্যাংকগুলো ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এ ঋণ বিতরণ করবে।

এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এতে বলা হয়েছে, দেশের খাদ্য নিরপত্তা নিশ্চিতে কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৃষি খাতে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫ হাজার কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করেছে। এ স্কিমের আওতায় ধান চাষ, মৎস্য চাষ, কৃষি ও পল্লি ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচিতে শাক-সবজি, ফল ও ফুল চাষ, প্রাণিসম্পদ খাতের আওতায় পোল্ট্রি ও দুগ্ধ উৎপাতন খাতে কৃষক পর্যায়ে ৪ শতাংশ সুদহারে ঋণ বিতরণ করা হবে।

এছাড়া ব্যাংকগুলো শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ হার সুদে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পুনঃঅর্থায়ন ঋণ পাবে। ব্যাংকগুলো নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কৃষক বা গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ বিতরণ করবে। ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও বর্গাচাষিদের অনুকূলে শস্য ও ফসল (ধান, শাক-সবজি, ফল ও ফুল) চাষের জন্য শুধুমাত্র দায়বন্ধনের বিপরীতে জামানতবিহীন সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ বিতরণ করা হবে।

স্কিমে অংশ নেয়া ব্যাংকগুলো ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ঋণ বিতরণ করবে।

এ কর্মসূচির ফলে কৃষি ও প্রাণিসম্পদ খাতে উৎপাদন বাড়বে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

প্রকাশ : নভেম্বর ১৩, ২০২২ ৩:৫৯ অপরাহ্ন
বরিশালে কৃষি উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশালে কৃষি উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার(১৩ নভেম্বর) নগরীর কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের হলরুমে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।

এ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশালের কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এস এম মাহবুব আলম।

বরিশালের সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. রাসেল খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনার কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মো. নুর হাসান এবং কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষি উদ্যোক্তা মো. আবদুল হামিদ, কৃষক মো. মেহেদী হাসান, কিষাণী মোসাম্মৎ শারমিন আরা প্রমুখ।

প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথি বলেন, কৃষিউৎপাদন বৃদ্ধি এবং চাষাবাদকে আরো লাভজনক করতে কৃষকদের দক্ষতা বাড়ানো চাই। এছাড়াও পণ্যকে প্রক্রিয়াজাতকরণ করার জন্য তাদের উন্নত ধারণা থাকা দরকার। আর তা প্রয়োগের মাধ্যমেই পণ্যকে গুণগত করা যাবে। এতে ভোক্তাদের আগ্রহ বাড়বে। ফলে এর প্রভাব পড়বে হাট-বাজারে। সেই সাথে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে রাখবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

খুলনার কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আয়োজিত এই প্রশিক্ষণে কৃষি উদ্যোক্তা, কৃষক ও ব্যবসায়ীসহ ৩০ জন অংশগ্রহণ করেন।

প্রকাশ : নভেম্বর ৩, ২০২২ ৮:১৭ অপরাহ্ন
আগাম আলু চাষে ব্যস্ত দিনাজপুরের কৃষকরা
কৃষি বিভাগ

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় স্বল্পমেয়াদী আগাম আমন ধান ঘরে তুলে সে জমিতেই আলুর জন্য হালচাষ, পরিচর্যা, সার প্রয়োগ, হিমাগার থেকে বীজ সংগ্রহ ও বপনে ব্যস্ত দিনাজপুরের কৃষকরা। দিনাজপুর জেলায় এবার ১০ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আলু হবে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

জানান যায়, বিঘাপ্রতি ৩ ট্রলি গোবর সার, ২০ কেজি পটাশ ও ১ বস্তা ফসফেট সার দিয়ে আলু চাষের জন্য জমি তৈরি করেছেন কৃষকরা। জমি তৈরি করে বীজ আলু জমিতে লাইন ধরে রোপণ করছেন। এক বিঘা জমিতে প্রায় ১৪ মণ বীজ আলুর প্রয়োজন হয়। এসব বীজ আলু ৮০০ টাকা মণ হিসেবে ক্রয় করছেন কৃষকরা। এক বিঘা জমিতে আলু চাষ করতে খরচ হয় ২৩ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা। তবে বিঘাপ্রতি ৭০ থেকে ৭৫ মণ আলুর ফলন হয়। লাগানোর ৫০ থেকে ৫৫ দিনের মধ্যেই ফসল ঘরে তোলেন কৃষকরা। আগামী অগ্রহায়ণ মাসে আলু চাষের মৌসুম হলেও বেশি দাম পাওয়ার আশায় আশ্বিন মাসেই আগাম আলু চাষ করছেন কৃষকরা।

বিরামপুর উপজেলার আলুচাষি আফজল হোসেন জানান, তিনি মৌসুমে ৬ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেন। আমন ধান কাটা-মাড়াই শুরুর আগেই প্রতিবছর এক বিঘা জমিতে আগাম আলু চাষ করেন। আগাম চাষের আলুর দাম অনেক বেশি পান। আগামী অগ্রহায়ণ মাসেই আলু বাজারজাত করতে পারবেন।

বেলাল হোসেন জানান, এ অঞ্চলের জমি উঁচু এবং বালুমাটি মিশ্রিত। ভারি বৃষ্টি হলেও তেমন কোনো বড় ধরনের ক্ষতির ভয় থাকে না। অতিবৃষ্টি হলেও শুকিয়ে যায় মাটি। তাই আগেভাগে দ্বিগুণ লাভের আশায় আগাম আলুবীজ বপন করছেন। তিনি আগাম রোজাডা জাতের আলুর বীজ বপন করছেন বলে জানান।

কৃষকরা অভিযোগ করেন, তাদের বেশি দামে সার কিনতে হচ্ছে। ৭৫০ টাকার ৫০ কেজির বস্তার পটাশ কিনতে হচ্ছে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায় এবং ১১০০ টাকার ৫০ কেজির বস্তা কিনতে হচ্ছে ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকায়। এতে কিছুটা খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

বিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার নিক্সোন চন্দ্র পাল জানান, চলতি আলু মৌসুমে উপজেলায় ১ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। উপজেলার অনেক জায়গায় কৃষকেরা ভালো দাম পাওয়ার আশায় আগাম আলুর চাষ শুরু করেছেন।

ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুম্মন আক্তার জানান, উপজেলায় চলতি বছর ১ হাজার ৯৯৪ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বছর আগাম আমন ধান ঘরে তুলে আগাম আলুচাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. নুরুজ্জামান জানান, দিনাজপুর জেলায় আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। খসড়া তালিকা অনুয়ায়ী দিনাজপুরে ৪৮ হাজার ৫৯০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হবে। এরমধ্যে আগাম জাতের আলু চাষ হবে ১০ হাজার হেক্টর জমিতে। এ পর্যন্ত ৫০০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আলু বীজ রোপণ হয়ে গেছে।

প্রকাশ : অক্টোবর ৩১, ২০২২ ৯:০০ পূর্বাহ্ন
গত ৫ বছরে নওগাঁয় বেড়েছে সরিষা চাষ
কৃষি বিভাগ

নওগাঁয় ক্রমাগত সরিষা চাষের পরিমাণ বাড়ছে। হালকা শীতের আমেজ পরায় চাষিরা জমি চাষাবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আমন ধান কেটে কেউ আলু আবার কেউ সরিষা রোপণ করবেন। ভালো দাম পাওয়ায় গত কয়েক বছর ধরে তারা সরিষা চাষে বেশি মনোনিবেশ করছেন। গত ৫ বছরে নওগাঁ জেলায় সরিষা চাষের পরিমাণ বেড়েছে ১৪ হাজার ৪৩০ হেক্টর।

নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে রবি মৌসুমে জেলায় মোট ৪৩ হাজার ৬৯৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে। গত ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ২৯ হাজার ২৬৫ হেক্টর, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৩১ হাজার ১৭৫ হেক্টর, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ৩১ হাজার ৩২০ হেক্টর এবং ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ৩৪ হাজার ৭৪৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছিল। অর্থাৎ গত ৫ বছরে জেলায় সরিষা চাষের পরিমাণ বেড়েছে ১৪ হাজার ৪৩০ হেক্টর।

চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছর উপজেলা ভিত্তিক সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রার পরিমাণ নওগাঁ সদর উপজেলায় ২ হাজার ৩১০ হেক্টর, রানীনগরে ৩ হাজার ৫৯০ হেক্টর, আত্রাইয়ে ৩ হাজার ১২৫ হেক্টর, বদলগাছীতে ১ হাজার ২৫০ হেক্টর, মহাদেবপুরে ২ হাজার ৩০৮ হেক্টর, পত্নীতলায় ৬ হজার ৪৫০ হেক্টর, ধামইরহাটে ৩ হাজার ২৩৫ হেক্টর, সাপাহারে ৪ হাজার ৫১০ হেক্টর, পোরশায় ৪ হাজার ৪৭০ হেক্টর, মান্দায় ৬ হাজার ৩০০ হেক্টর এবং নিয়ামতপুরে ৬ হাজার ৭৫ হেক্টর। এ পরিমাণ জমি থেকে ৬৭ হাজার ৪০৫ মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদিত হবে বলে কৃষি বিভাগের প্রত্যাশা।

বর্তমানে কৃষকরা উন্নত জাতের বারী-১৪, বারী-১৫, বারী-১৭, বারী-১৮, বিনা-৪, বিনা-৭, বিনা-৯ এবং টরি-৭ জাতের সরিষার আবাদ করছেন। কৃষি বিভাগ থেকে প্রণোদনা ও সরিষা তেলের দাম বেশি হওয়ায় চলতি বছরে কৃষকদের মাঝে সরিষা চাষে আগ্রহ বেড়েছে।

নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আবু হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে সরকার সরিষা চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে প্রণোদনাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। বাজারে সরিষার ভালো দাম পাওয়া, নতুন নতুন উন্নত জাতের উদ্ভাবনের ফলে ফলন বৃদ্ধি এবং পতিত জমিতে মধ্যবর্তী ফসল হিসেবে সরিষা চাষের মাধ্যমে লাভজনক হওয়ার কারণে কৃষকরা সরিষা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। সরিষা উত্তোলন করেই তারা ওই জমিতে বোরো চাষ করতে পারছেন। এতে খরচ কিছুটা কম হয়।’

প্রকাশ : অক্টোবর ৩০, ২০২২ ৬:০৬ অপরাহ্ন
বাকৃবি ভেটেরিনারি অনুষদের নতুন ডিন প্রফেসর ড. মো. আব্দুল আউয়াল
কৃষি বিভাগ

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ভেটেরিনারি অনুষদের নতুন ডিন এর দায়িত্ব গ্রহণ করলেন এনাটমি এন্ড হিস্টোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল আউয়াল।

রবিবার(৩০ অক্টোবর) সকাল ১১ ঘটিকায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদ কন্ফারেন্স হলে সাবেক ডিন প্রফেসর ড. মোঃ মকবুল হোসেন ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন এর দায়িত্ব প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল আউয়াল এর নিকট হস্তান্তর করেন।

দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি ভাইস চ্যান্সেলর (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলাম।

প্রফেসর ড. আউয়াল ১৯৮৮ সনে বাকৃবিতে লেকচারার হিসেবে যোগদান করেন। পরে তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৯১ সনে সহকারী প্রফেসর, ১৯৯৭ সনে সহযোগী প্রফেসর এবং ২০০২ সন থেকে অদ্যবধি প্রফেসর হিসেবে শিক্ষাদান করে যাচ্ছেন।

এছাড়াও তিনি পোহাং ইউনির্ভাসিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি, দক্ষিন কোরিয়ায় ২০০৪-০৫ পর্যন্ত ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রফেসর ড. আউয়াল বিভিন্ন সময় এনাটমি এন্ড হিস্টোলজি বিভাগের প্রধানসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেন। তার জাতীয় এবং আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে মোট ৬৪ টি গবেষনা প্রবন্ধ রয়েছে।
অনুষ্ঠানে ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষকমন্ডলীগণসহ আমন্ত্রিত অতিথিগন উপস্থিত ছিলেন।

প্রকাশ : অক্টোবর ২৪, ২০২২ ৯:০২ অপরাহ্ন
সিত্রাং মোকাবিলায় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল
কৃষি বিভাগ

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি নিজেদের অধীন সব দপ্তর বা সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করেছে। সেই সঙ্গে তাদের সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে অবস্থানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জরুরি প্রস্তুতিমূলক সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। কৃষিতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় এ সভা হয়।

এতে যেসব এলাকায় ৮০ ভাগ আমন ধান পেকেছে, সেগুলো কর্তনের জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়া সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কৃষি বিভাগের অফিসে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় পূর্ব প্রস্তুতি ও পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শদান, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক মাঠে অবস্থান করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে জরুরি ভিত্তিতে মন্ত্রণালয়ে রিপোর্টদান এবং ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পুনর্বাসন পরিকল্পনা অগ্রিম প্রস্তুত রাখা, যাতে দ্রুততম সময়ে কৃষকদের পুনর্বাসন সহায়তাদান করা যায়। সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

উপকূলীয় এলাকায় ফসল ক্ষেতে পানি প্রবেশ করলে দ্রুততম সময়ে তা নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক সমন্বয় সাধন এবং স্লুইচ গেট অপারেশনের মাধ্যমে লবণাক্ত পানি শস্য ক্ষেতে প্রবেশ রোধ, অধিক উচ্চতায় জোয়ারের কারণে লবণাক্ত পানি প্রবেশ করলে তা নিষ্কাশনের দ্রুত ব্যবস্থা করা- এসব বিষয়ে কৃষি বিভাগ নিয়মিতভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করবে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম। এতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) রবীন্দ্রশী বড়ুয়া, অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা), অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা), মহাপরিচালকসহ (বীজ) মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সংস্থা প্রধান, ঘূর্ণিঝড়প্রবণ জেলাগুলোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রকাশ : অক্টোবর ২৪, ২০২২ ৫:০৪ অপরাহ্ন
দেশে খাদ্য সংকট হবে না: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে মাঠভর্তি ফসল রয়েছে। আমনের অবস্থা ভালো, সোনালী ফসল হবে। এছাড়া, দেশে যথেষ্ট খাদ্য মজুদ রয়েছে। কাজেই, বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে বাংলাদেশে খাদ্যের কোন সংকট হবে না, দুর্ভিক্ষ হবে না। পৃথিবীর অন্য যে কোনো দেশে খাদ্যের অভাব হতে পারে, দুর্ভিক্ষ হতে পারে, কিন্তু বাংলাদেশ কোনো খাদ্য সংকটে পড়বে না। এই মুহূর্তে দেশে খাদ্যের কোনো হাহাকার নাই, আগামী দিনেও হাহাকার হবে না।

আজ সোমবার টাঙ্গাইল শহরের পৌর উদ্যানে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

রাজপথের নিয়ন্ত্রণ বিএনপির নিকট থাকবে না মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, রাজপথের নিয়ন্ত্রণ সবসময়ই আওয়ামী লীগের হাতে ছিল, এখনও আছে, আগামী দিনেও থাকবে। রাজাকার আর জামায়াতকে সাথে নিয়ে বিএনপি যতই আন্দোলন করুক, রাজপথের নিয়ন্ত্রণ তাদের কাছে থাকবে না। তিনি বলেন, বিএনপি আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না। বর্তমান সরকার একটি ন্যায়সঙ্গত, জনগণের নির্বাচিত সাংবিধানিক সরকার, মেয়াদের শেষ দিন পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে।

মন্ত্রী বলেন, আন্দোলনের নামে বিএনপি রেল লাইনে আগুন দিবে, বিদ্যুৎ লাইন কেটে দিবে, ঘরে-গাড়িতে আগুন দিবে জীবন্ত মানুষ মারবে আর পুলিশ চুপ করে বসে থাকবে তাতো হতে পারে না। মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় যা যা করা দরকার, সরকার তাই করবে। তিনি বলেন, ২০১৫ সালে একটানা ৯০ দিন হরতাল দিয়েছিলো বিএনপি, তখনও তারা সফল হয় নি। আন্দোলন ফেলে মাথা নিচু করে বাড়িতে ফিরে গিয়েছিলো। আগামী দিনেও বিএনপিকে খালি হাতে নতমুখে ঘরে ফিরে যেতে হবে।

সম্মেলনে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমিরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, সদস্য এ বি এম রিয়াজুল কবির কাওছার, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন ।

প্রকাশ : অক্টোবর ১৫, ২০২২ ১২:২৪ অপরাহ্ন
রোগের প্রতিষেধক কালো ধান
কৃষি বিভাগ

ব্ল্যাক রাইস বা কালো ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার চাষিরা। এই ধানের চালে পুষ্টিগুণ বেশি বলে দাবি তাঁদের। এ ধানে ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে।

কালো ধান চাষে খরচ কম। প্রতি কেজি ধান বিক্রি হয় ৫০০ টাকায়। কৃষি বিভাগ বলছে, কৃষককে ধান বিক্রির সুযোগ করে দিতে পারলে ব্ল্যাক রাইসের চাষ বাড়বে।

পাংশা পৌর শহরের কুড়াপাড়া এলাকায় ডা. আব্দুল কাদের বালিকা মাদ্রাসার সুপার আব্দুল কুদ্দুস এবার পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করেছেন ব্ল্যাক রাইস। তাঁর বাড়ির পাশের জমিতে সবুজ পাতার ফাঁকে দোল খাচ্ছে কালো রঙের ধান। এর থেকে হবে কালো রঙের চাল।

আব্দুল কুদ্দুস জানান, ইউটিউবে এই ধানের চাষাবাদ শিখেছেন। তাঁর মতে, চীনের রাজা-বাদশাহদের সুস্বাস্থ্যের জন্য কালো ধান চাষ হতো, যা ছিল প্রজাদের জন্য নিষিদ্ধ। ঔষধি গুণাগুণের কারণে এই ধান চাষের ইচ্ছা জাগে তাঁর। পরে ২০০ গ্রাম বীজ সংগ্রহ করে চার শতাংশ জমিতে চাষাবাদ করেন। চারা রোপণের নব্বই দিনের মধ্যে ধান ঘরে তোলা যায়। অন্যান্য ধানের চেয়ে রোগ বালাইও কম। ফলনও ভালো পাবেন বলে প্রত্যাশা তাঁর।

কৃষক আল-আমিন হোসেন জানান, তিনিও ইউটিউবে ভিডিও দেখে এই ধানের চাষ শিখেছেন। এই ধান প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৫০০ টাকায়। তিনি জানতে পেরেছেন, পাংশা পৌর শহরে এই ধানের চাষ হচ্ছে। তাই দেখতে এসেছেন। আগামীতে তিনিও চাষ করতে চান।

স্থানীয় শাহীন রেজা জানান, ‘শুনেছি এই চালে ঔষধি গুণ আছে। অনেক রোগবালাই কমে যায় এই চালের ভাত খেলে। এই চালের ভাত কেমন, তা খাওয়ার জন?্য ধান সংগ্রহ করে চাষাবাদ করব।’

কৃষি কর্মকর্তা রতন কুমার ঘোষ জানান, কালো ধানের দাম ও চাহিদা অনেক বেশি। কালো ধানে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকায় শরীরের রোগ প্রতিরাধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে থাকা ফাইবার হার্টকে রাখে সুস্থ। এছাড়া ডায়াবেটিস, স্নায়ুরোগ ও বার্ধক্য প্রতিরোধক।

সূত্র: সমকাল

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop