৬:৫৮ পূর্বাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জানুয়ারী ৩০, ২০২৩ ১২:৫৩ অপরাহ্ন
মরিচ গাছের পোকা দমনে কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরামর্শ
কৃষি বিভাগ

নানা সময় মরিচ গাছের যত্ন নিয়ে সমস্যায় পড়েন কৃষকরা। বিশেষ করে পোকা দমন নিয়ে। কারণ মরিচ গাছের কচি পাতা ও ডগার রস শুষে খেয়ে ফেলে পোকা। এতে দুর্বল হয়ে যায় গাছ। ফলে কমে যায় ফলন। এ থেকে প্রতিকারের উপায় জানিয়েছে কৃষি তথ্য সার্ভিস।

মরিচের ফল ছিদ্রকারী পোকার লক্ষণ
এই পোকা কচি ফল ও ডগা ছিদ্র করে ভেতরে কুরে কুরে খায়। এরা ফুলের কুঁড়িও খায়।

প্রতিকার
ক্ষেত পরিষ্কার রাখতে হবে। আক্রান্ত ডগা ও ফল সংগ্রহ করে নষ্ট করতে হবে। চারা রোপণের ১৫ দিন পর থেকে ক্ষেত ঘন ঘন পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। জৈব বালাইনাশক ব্যবহার যেমন- নিমবিসিডিন ৩ মি.লি. বা লিটার হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

এছাড়া শতকরা ১০ ভাগের বেশি ক্ষতি হলে যে কোনো একটি বালাইনাশক ব্যবহার করতে হবে। যেমন- সাইপারমেথ্রিন ১ মি.লি. বা ডেল্টামেথ্রিন ০.৫ মিলি বা প্রোপেনোফস (৪০%), সাইপামেথ্রেন (২.৫%) ২ মিলি বা সুমিথিয়ন ২ মিলি অথবা ডায়াজিনন ২ মি.লি. বা লিটার হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

মরিচের জাব পোকার লক্ষণ
এই পোকা গাছের কচি পাতা ও ডগার রস শুষে খেয়ে ফেলে। গাছকে দুর্বল করে দেয়।

প্রতিকার
গাছের আক্রান্ত অংশ অপসারণ করা। প্রাথমিক অবস্থায় শুকনো ছাই দেওয়া। পরিষ্কার পানি জোরে স্প্রে করা। ক্ষেত পরিষ্কার রাখা। হলুদ রঙের ফাঁদ ব্যবহার করা। তামাকের গুড়া (১০ গ্রাম), সাবানের গুড়া (৫ গ্রাম) ও নিমের পাতার নির্যাস প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা। প্রতি গাছে ৫০টির বেশি পোকা দেখা দিলে ইমিডাক্লোপ্রিড ০.৫ মিলি/লিটার হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।

মরিচের সাদা মাছি পোকার লক্ষণ
এরা পাতার রস চুষে খায়, ফলে দুর্বল হয়ে পড়ে গাছ। পাতায় অসংখ্য সাদা সাদা পাখাযুক্ত মাছি দেখা যায়। ঝাঁকি দিলে উড়ে যায়।

প্রতিকার
সাদা আঠাযুক্ত বোর্ড স্থাপন বা আলোর ফাঁদ ব্যবহার করা। নিয়মিত ক্ষেত পরিদর্শন করা। ৫০ গ্রাম সাবানের গুড়া ১০ লিটার পানিতে গুলে পাতার নিচে সপ্তাহে ২-৩ বার ভালো করে স্প্রে করা। সাথে পাঁচ কৌটা গুল (তামাক গুড়া) পানিতে মিশিয়ে দিলে ভালো ফল পাওয়া যায়। ইমিডাক্লোপ্রিড ০.৫ মিলি/লিটার বা ২ মিলি ডায়মেথয়েড গ্রুপের কীটনাশক প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

মরিচের থ্রিপস পোকার লক্ষণ
এর আক্রমণে পাতা কুঁকড়ে যায়। পোকা গাছের কচি পাতা ও ডগার রস শুষে খেয়ে গাছকে দুর্বল করে ফেলে।

প্রতিকার
গাছের আক্রান্ত অংশ অপসারণ করা। প্রাথমিক অবস্থায় শুকনো ছাই প্রয়োগ করা। পরিষ্কার পানি জোরে স্প্রে করা। ক্ষেত পরিষ্কার রাখা। হলুদ রঙের ফাঁদ ব্যবহার করা। তামাকের গুড়া (১০ গ্রাম), সাবানের গুড়া (৫ গ্রাম) ও নিমের পাতার নির্যাস প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা। বেশি পোকা দেখা দিলে ইমিডাক্লোপ্রিড গ্রুপের কীটনাশক ০.৫ মিলি/ লিটার হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।

প্রকাশ : জানুয়ারী ২৩, ২০২৩ ১০:২৩ অপরাহ্ন
ফেনীতে সরিষা মাঠে কৃষি আড্ডা
কৃষি বিভাগ

সরিষার ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে মাঠ। মাঝে খালি মাঠে সমবেত হয়েছেন সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, কৃষক, শিক্ষার্থী এবং উৎসুক জনতা। সকলেই কৃষি আড্ডায় মেতেছেন।
আজ সোমবার বিকালে ফেনী সদর উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে ভিন্নধর্মী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের উত্তর কাশিমপুর এলাকার খাল পাড়ে।

সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীল-এর সঞ্চালনায় আড্ডায় অংশ নেন ফেনীর পুলিশ সুপার জাকির হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মাসুদুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক একরাম উদ্দিন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসাইন পাটোয়ারী, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান একে শহীদ উল্ল্যাহ খোন্দকার ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জোৎস্না আরা জুসি, ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন, পাঁচগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক লিটন প্রমুখ।

আড্ডায় বক্তারা কৃষকদের সরিষা আবাদে উৎসাহিত করেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কৃষকদের সবধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
জেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক একরাম উদ্দিন জানান, এবছর ফেনীতে তিনহাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। লক্ষ্যমাত্রার প্রায় দিগুন বেশী উৎপাদিত হয়েছে । পাঁচগাছিয়া ব্লকে গতবছর আবাদ ছিল ২৫ হেক্টর, বর্তমানে ৭৫ হেক্টর আবাদ হয়েছে।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার জানান, তেলবীজ চাষ বাড়ানোর জন্য ফেনী সদরে সাড়ে ১৪ হাজার কৃষককে সরিষা চাষে সরকার প্রণোদনা দিয়েছে। যাতে করে ফসল উৎপাদনের পাশাপাশি ডাল ও তৈল বীজ উৎপাদনে কৃষকদের উৎসাহিত করা যায়।

উল্লেখ্য, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলার চলতি বছর সরিষা চাষ হয়েছে তিনহাজার ৪৯৪ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে আবাদের পরিমাণ বেড়েছে একহাজার ১৪৭ হেক্টর। চাষাবাদ অনুযায়ী ৪৬৭০ মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রকাশ : জানুয়ারী ২৩, ২০২৩ ৮:৩৩ পূর্বাহ্ন
খামার করে বছরে ১০ লাখ টাকার বেশি আয় করেন মজিদ!
পোলট্রি

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার পৌরসভাধীন ৩নং ওয়ার্ডের কৃষ্ণপুর গ্রামের সাবেক পৌর কাউন্সিলর মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে আব্দুল মজিদ মণ্ডল। বয়স ৩৪ বছর। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান আব্দুল মজিদ মণ্ডল পড়াশোনা শেষ করে উদ্যোক্তা তৈরির প্রশিক্ষণ নিয়ে একইসঙ্গে মাছ, মুরগি ও গাভী পালনের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করেন। এতে নিজে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি এলাকার বেকার ছেলেমেয়েদের কর্মসংস্থার সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করার স্বপ্ন দেখেন আব্দুল মজিদ মণ্ডল।

জানা যায়, আব্দুল মজিদ মণ্ডল তার পিতা মৃত গোলাম মোস্তফার রেখে যাওয়া কৃষি জমির সঙ্গে রাস্তার দু’পাশের অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিতে একইসঙ্গে মাছের খামার, মুরগি খামার ও গাভীর খামারসহ বায়োগ্যাস প্লান্ট গড়ে তুলেছেন। কৃষি কাজে সেচ সুবিধার জন্য ব্যক্তি উদ্যোগে একটি সেচ পাম্প স্থাপন করেছেন। তার প্রকল্প দেখে মনে হয়েছে এ যেন একের ভেতর অনেক কিছু বিদ্যমান। শুরুতে ৭০ হাজার টাকার পুঁজি বিনিয়োগ করে প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করলেও এখন সেই প্রকল্প থেকে বছরে আয় ১০ লাখ টাকারও বেশি। আব্দুল মজিদের সাফল্য দেখে একই পদ্ধতিতে একই জমিতে মাছ, মুরগি খামার করেছেন এলাকার মকলেছুর রহমান নবাব।

কৃষ্ণপুর গ্রামের পাশে পাঁচ একর জমিতে আব্দুল মজিদ মণ্ডল গড়ে তুলেছেন মাইশা ডেইরি ফার্ম ও সিজান পোল্ট্রি ফার্ম নামের আলাদা দুইটি খামার। একই খামারে রয়েছে দুইটি পুকুর, সেচ ব্যবস্থার জন্য একটি গভীর নলকূপ। খামারের কর্মচারি ও শ্রমিকদের খাবার রান্নার জন্য গরুর গোবর দিয়ে নির্মাণ করেছেন একটি বায়োগ্যাস প্লান্ট। খামারের চার পাশ দিয়ে চাষাবাদ করা হয়েছে নানা ধরনের শীতকালীন শাক-সবজি। আবার কিছু জমিতে ধান আর কিছু জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। গরুর খামারে রয়েছে ৫০ টি উন্নত জাতের গরু এবং মুরগির খামারে রয়েছে ১০ হাজার লেয়ার জাতের মুরগি।

সফল উদ্যোক্তা আব্দুল মজিদ মণ্ডল জানান, লেখাপড়া শেষ করে নারায়ণগঞ্জে শক্তি ফাউন্ডেশন নামের একটি এনজিও’তে চাকরি নেন। সেখানে দেখতে পান নানাভাবে উদ্যোক্তা হওয়ার মাধ্যমে স্বাবলম্বী হওয়া যায়। উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন থেকে এনজিও’র চাকরি ছেড়ে যুব উন্নয়ন থেকে পশু পালনের ওপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এরপর ঋণের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন নিবেদন করেও ঋণ না পেয়ে চাকরিকালীন জমাকৃত ৭০ হাজার টাকা দিয়ে ছোট্ট কলেবরে শুরু করেন মুরগি খামার। এরপর আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এরপর পর্যায়ক্রমে গরু খামার, মৎস্য খামার ও মুরগির খাদ্য ব্যবসাসহ আব্দুল মজিদ মণ্ডল পুরোপুরি হয়ে ওঠেছেন একজন সফল উদ্যোক্তা খামারি, ব্যবসায়ি ও আদর্শ কৃষক। প্রতি বছর তার খামার, ব্যবসা ও কৃষি থেকে সব খরচ বাদ দিয়ে আয় হচ্ছে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা। একই সঙ্গে তার সব প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে ২০ জন কর্মচারি কর্মরত থেকে কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. রবিউল ইসলাম জানান, খামার একটি লাভজনক ব্যবসা। আব্দুল মজিদের মতো অনেকেই খামার করে স্বাবলম্বী হয়ে হয়েছেন। বেকার যুবকদের কর্মসংস্থার সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রাণিসম্পদ পালন করে উদ্যোক্তা তৈরিতে প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হয়ে থাকছে।

প্রকাশ : জানুয়ারী ২২, ২০২৩ ৮:৪৮ পূর্বাহ্ন
কর্মকর্তা সঙ্কটে ভুগছে রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ
কৃষি বিভাগ

দেশের আশি ভাগ মানুষ কৃষির উপর এখনো নির্ভরশীল। তাই বাংলাদেশকে কৃষি প্রধান দেশ বলা হয়ে থাকে। দেশের অর্থনৈতিক চাকার মূল চালিকা শক্তি হলো কৃষি। কৃষির যত উন্নতি হবে ততই দেশের অর্থনীতি দৃঢ় ও সমৃদ্ধিশালী হবে।

মানুষের মৌলিক চাহিদার প্রধান হলো খাদ্য। দেশের মানুষের খাদ্যর যোগান দিতে সরকার রাজস্ব খাত থেকে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা ভর্তুকী দিচ্ছে। নানা রকম গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা প্রণয়ন করছে। দেশের কৃষিকে দিনদিন আধুনিকায়ন করছে।

তবে কৃষিকে এগিয়ে নিতে হলে দক্ষ জনবলের প্রয়োজন হয়। যারা কৃষকদের জন্য পথের সারথী হয়ে কাজ করবে। দক্ষ জনবল না থাকলে কৃষিকে এগিয়ে নেওয়া কোনোদিন সম্ভব নয়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর রাঙামাটি জেলা কার্যালয় দীর্ঘদিন ধরে কৃষি কর্মকর্তা সঙ্কটে ভুগছে। দেশের এত বড় বৃহৎ জেলায় কৃষি কর্মকর্তা না থাকায় কৃষি কাজকে এগিয়ে নেওয়া অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। দেশের বড় জেলাটির কৃষি কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে কয়েকজন কর্মকর্তার পক্ষে অত্যন্ত দুরুহ হয়ে পড়ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর রাঙামাটি জেলা কার্যালয় সৃত্রে জানা গেছে, রাজস্থলী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ে উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা নেই। দুর্গম এই এলাকাটিতে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা দিয়ে এ উপজেলার কৃষি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। অর্থাৎ উপজেলায় কৃষি কর্মকর্তা সঙ্কট রয়েছে।

বিলাইছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঙ্কট রয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষি কর্মকর্তার হয়ে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছে।
জেলার আরেক দুর্গম উপজেলা জুরছড়ি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নেই। কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাই কৃষি কর্মকতার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছে।

বরকল উপজেলায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এবং কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নেই। জেলা থেকে একজন কৃষি কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে এ গুরুত্বপূর্ণ কৃষি প্রধান উপজেলার কৃষি খাতকে পরিচালিত করা হচ্ছে।

জেলার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা লংগদু উপজেলায় কৃষি কর্মকর্তা নেই। কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাকে দিয়ে এ উপজেলার কৃষি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

এছাড়াও জেলা কৃষি সম্প্রসারণের গুরুত্বপূর্ণ পদ অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য)-১, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্ভিদ)-১ এবং অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্যান)-১ খালি রয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগে ২০জন কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে ৮ জন কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাকে দিয়ে দেশের বৃহৎ জেলার কৃষি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। যে কারণে জেলার কৃষি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সরকারের নির্দেশিত কৃষি উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে কৃষি বিভাগকে চরম ভাবে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর রাঙামাটি জেলার উপ-পরিচালক তপন কুমার পাল জানান, কৃষির উন্নয়নে সরকার বদ্ধপরিকর। সরকার দেশের কৃষির উন্নয়নে আমাদের যে নির্দেশ দিচ্ছে তা আমরা বাস্তবায়নে সর্বাত্বক চেষ্টা করছি।

বলেন, এখানে কৃষির উন্নয়ন করতে হলে অনেক জনবলের দরকার। আমাদের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী সঙ্কট রয়েছে। অনেক কর্মকর্তাকে কৃষির উন্নয়নে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হয়। যে কারণে আমাদের গতির কাজ কিছুটা ধীর হচ্ছে। কাজের গতি বাড়াতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে যাতে শূন্যপদগুলোতে দ্রুত সময়ের মধ্যে কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়।

প্রকাশ : জানুয়ারী ২২, ২০২৩ ৮:৩৩ পূর্বাহ্ন
বান্দরবানে কৃষি উপকরণ বিতরণ করলেন পার্বত্যমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ও যন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে বান্দরবানে কৃষকদের মধ্যে কৃষি উপকরণ বিতরণ করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।

শনিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে বান্দরবানের রাজবিলা ইউনিয়নে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কৃষি যন্ত্রপাতি ও উপকরণ বিতরণ করেন মন্ত্রী।

এসব উপকরণের মধ্যে রয়েছে কম্বাইন্ড হারভেস্টিং মেশিন, ট্রান্সপ্ল্যান্টার ও পাওয়ার টিলার। আধুনিক এই যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ফলে কৃষকরা এখন খুব কম সময়ে এবং সহজেই ধান রোপন ও কর্তন করতে পারবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও কৃষি বিভাগের সহায়তায় এসব আধুনিক কৃষিযন্ত্র বিভিন্ন সমিতির মধ্যে দেওয়া হয়।

পরে পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, জেলা পরিষদ ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) বাস্তবায়নে প্রায় ৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে রাজবিলা ইউনিয়নে বিভিন্নস্থানে নির্মিত ব্রীজ, বৌদ্ধ বিহার ,সেচ ড্রেইন,সড়ক,বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।

এসময় রাজবিলা ইউনিয়ন পরিষদে মাঠে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন, পাহাড়ের উন্নয়ন এখন সবার মুখে মুখে। এখন পাহাড়ের কৃষিজ ফলমুল থেকে সমতলের বাসিন্দারা আগ্রহী হয়ে বসে থাকে। একসময় পার্বত্য অঞ্চল অনেক দুর্গম এবং কষ্টসাধ্য এলাকা হলে ও বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর পার্বত্য চট্টগ্রামের ব্যাপক উন্নয়ন কাজ তরান্বিত হয়েছে যার সুফল পাচ্ছে সাধারণ জনগণ। এসময় পার্বত্যমন্ত্রী উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে সকল জাতিগোষ্টিকে একসঙ্গে বসবাস করার পাশাপাশি সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের থেকে সাধারণ জনগণকে দুরত্ব বজায় রেখে জীবনধারণের আহ্বান জানান।

মন্ত্রী বলেন, পাহাড়ের উন্নয়নে অনেক সময় অনেক কুচক্রী মহল কার্যক্রম পরিচালনা করে উন্নয়ন বাঁধা করতে চায় আর এই দুষ্ট প্রকৃতির ব্যক্তি থেকে সবাইকে সচেতন ও সাবধান থাকতে হবে।

কৃষকদের আধুনিক যন্ত্রপাতি বিতরণের ফলে পাহাড়ের উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে মন্ত্রী বলেন, আগামীতে দেশের রাজস্ব খাতে পার্বত্য চট্টগ্রামের নাম সবার উপরে উঠবে। আর পার্বত্য জেলাগুলোর কৃষকরা অর্থনৌতিকভাবে আরও স্বাবলম্বী হবে।

অনুষ্ঠানে বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহ্ আলম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া আফরোজ, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ক্যসাপ্রু মারমা, কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক এম এম শাহনেয়াজ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মো. ইয়াছির আরাফাত, পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জিয়াউর রহমান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল ইসলাম মজুমদারসহ জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং এলাকার চাষিরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রকাশ : জানুয়ারী ১৬, ২০২৩ ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন
সিংড়ায় কৃষি উপকরণ পেলেন ২০০ কৃষক
কৃষি বিভাগ

নাটোরের সিংড়া উপজেলায় ২০০ কৃষকের মাঝে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে। যাদের অন্তত দেড় শতক জায়গা অনাবাদি পড়ে আছে, সে জায়গায় আবাদ করতে এই উপকরণ দেওয়া হয়।

এ সময় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ রকম বীজ ও ৩৫ কেজি সারসহ কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে কৃষক সমাবেশ ও কৃষি উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আল ইমরান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওহিদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা হক রোজী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা প্রমুখ।

প্রকাশ : জানুয়ারী ৬, ২০২৩ ১০:৪৪ অপরাহ্ন
বোরো ধানের পরিচর্যায় সার ব্যবহারে যে তথ্য জানালো কৃষি তথ্য সার্ভিস
কৃষি বিভাগ

বোরো মৌসুমে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি উভয় ধানের জাত চাষ করে চাষিরা। সেক্ষেত্রে ধানের সঠিক সার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত তথ্য জানিয়েছে কৃষি তথ্য সার্ভিস। দীর্ঘমেয়াদি জাত যার জীবনকাল ১৫০ দিনের বেশি তাতে বিঘাপ্রতি (৩৩ শতক) সারের মাত্রা-

এ ধরনের জমিতে ইউরিয়া ৪০ কেজি, টিএসপি বা ডিএপি ১৩ কেজি, এমওপি ২২ কেজি, জিপসাম ১৫ কেজি ও দস্তা (মনোহাইড্রেট) ১.৫ কেজি প্রয়োগ করতে হবে।

দীর্ঘমেয়াদি জাতের ক্ষেত্রে টিএসপি, এমওপি, জিপসাম ও দস্তা সারের পুরোটাই শেষ চাষের সময় মাটিতে প্রয়োগ করতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে দস্তা ও টিএসপি একসঙ্গে না মিশিয়ে পৃথকভাবে প্রয়োগ করতে হবে।

অন্যদিকে ইউরিয়া সারকে সমান তিন ভাগে ভাগ করে প্রয়োগ করতে হবে। প্রথম কিস্তি শেষ চাষের সময়, দ্বিতীয় কিস্তি চারা রোপণের ২০-২৫ দিন পর অর্থাৎ গোছায় কুশি দেখা দিলে এবং শেষ কিস্তি কাইচথোড় আসার ৫-৭ দিন আগে।

স্বল্পমেয়াদি জাত যার জীবনকাল ১৫০ দিনের কম তাতে বিঘাপ্রতি সারের মাত্রা-ইউরিয়া ৩৫ কেজি, টিএসপি ১২ কেজি, এমওপি ২০ কেজি, জিপসাম বা গন্ধক ১৫ কেজি, দস্তা ১.৫ কেজি।

স্বল্পমেয়াদি জাতের ক্ষেত্রে টিএসপি, এমওপি, জিপসাম ও দস্তা সারের পুরোটাই শেষ চাষের সময় মাটিতে প্রয়োগ করতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে দস্তা ও টিএসপি একসঙ্গে না মিশিয়ে পৃথকভাবে প্রয়োগ করতে হবে।

স্বল্পমেয়াদি জাতের ক্ষেত্রে ইউরিয়া সারকে সমান তিন ভাগে ভাগ করে প্রয়োগ করতে হবে। প্রথম কিস্তি চারা রোপণের ১৫-২০ দিন পর দ্বিতীয় কিস্তি চারা রোপণের ৩০-৩৫ দিন পর এবং শেষ কিস্তি কাইচথোড় আসার ৫-৭ দিন আগে।

এদিকে, সংস্থাটি বলছে, ডিএপি সার প্রয়োগ করলে তিন ভাগের একভাগ ইউরিয়া সার জমিতে কম দিতে হয়। ডিএপি সার ব্যবহার লাভজনক ও পরিবেশবান্ধব।

অন্যদিকে ধান কাটার সময় গাছের গোড়া থেকে ১০-১২ ইঞ্চি ওপরে কেটে নাড়া মাটিতে মিশিয়ে দিলে পটাশ সারের পরিমাণ তিন ভাগের এক ভাগ কম লাগে।

জৈব সারের সঙ্গে রাসায়নিক সার সমন্বয় করে ব্যবহার করলে রাসায়নিক সারের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায় ও ভালো ফলন হয়। জমিতে বছরে একবার হলেও বিঘাপ্রতি ৭০০-৮০০ কেজি জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে।

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২১, ২০২২ ৭:৫৪ অপরাহ্ন
বরগুনায় ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ
কৃষি বিভাগ

জেলায় ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সূর্যমুখী ফুলের আবাদ ও উৎপাদনের দিক থেকে বরগুনা জেলা দেশে অন্যতম।

এছাড়াও জেলার ৩৯ হাজার ১০০ কৃষককে বিনামূল্যে বীজ ও সার দেয়া হচ্ছে প্রণোদনা হিসেবে।

বরগুনা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষের লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছে। এ ছাড়া জেলার ছয় উপজেলায় চলতি মৌসুমে ডাল ও তেল জাতীয় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৩৯ হাজার ১০০ কৃষককে বিনামূল্যে সার ও বীজ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। এসব ফসলের মধ্যে ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, বোরো ধান, বোরো হাইব্রিড, মুগডাল ও খেসারি ডাল রয়েছে।

বরগুনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু সৈয়দ মো. জোবায়দুল আলম জানান, এবার চাষিরা গত বছরের তুলনায় হঠাৎ করে সূর্যমুখীর চাষে ঝুঁকছেন। এ কারণে গত বছরের তুলনায় এবার সূর্যমুখী বীজের কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। এবার কৃষি বিভাগ চাষিদের সূর্যমুখী বীজ প্রণোদনা দিয়েছে। এতে ঘাটতি পূরণ হয়ে যাবে। আর কৃষক পর্যায়েও কিছু বীজ মজুদ আছে।

তিনি আরও বলেন, দেশে প্রতি বছর ২৮ হাজার কোটি টাকার সয়াবিন তেল আমদানি হয়। তেলের আমদানি কমাতে সরকার এর চাষ বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। তাতে করে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। সূর্যমুখীর গাছ জ্বালানির কাজেও ব্যবহার হয়। আগামীতে এর চাষ আরও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে।

কৃষিবিদ বদরুল আলম জানিয়েছেন, সূর্যমুখী তেলে আছে মানবদেহের জন্য উপকারী ওমেগা ৯ ও ওমেগা ৬ ও ফলিক অ্যাসিড। শতকরা ১০০ ভাগ উপকারী ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট প্রোটিন ও পানিসহ এ তেল ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলমুক্ত। এ ছাড়া ভিটামিন-ই, ভিটামিন-কে, মিনারেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদান যুক্ত এ তেল হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি রোগীদের জন্য উপকারী।

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৯, ২০২২ ৮:০৪ অপরাহ্ন
বরিশালে কচুফসলের আবাদ বিষয়ক এসএএও প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশালে কচু ফসলের উন্নত জাত ও উৎপাদন বিষয়ক উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) রহমতপুরের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের হলরুমে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। কন্দালফসল গবেষণা কেন্দ্র এবং আরএআরএসর যৌথ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা অনুবিভাগ) ড. মহা. বশিরুল আলম।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের (আরএআরএস) মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বিমল চন্দ্র কুন্ডু এবং কন্দালফসল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মোশাররফ হোসেন মোল্লা।

আরএআরএসর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে রাখেন ভাসমান কৃষি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম কিবরিয়া, পিএসও ড. মো. আলিমুর রহমান, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।

প্রধান অতিথি প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, কচু একসময়ে অবহেলিত হলেও এখন অনেকের পছন্দের সবজি। এর বেশ কয়েকটি উন্নত জাত রয়েছে। এগুলোর ফলন আশানুরূপ। তাই অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি এসব জাত এবং নতুন নতুন প্রযুক্তি কৃষকের দ্বারে সময়মত পৌঁছাতে হবে। তবেই হবে জনকল্যাণকর। হবে উৎপাদন বৃদ্ধি।
দিনব্যাপি এই প্রশিক্ষণে উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা, উধর্বতন বৈজ্ঞানিক সহকারি এবং বৈজ্ঞানিক সহকারি মিলে ৩০ জন অংশগ্রহণ করেন।

প্রকাশ : নভেম্বর ২৫, ২০২২ ৫:৫৬ পূর্বাহ্ন
সিলেটের কানাইঘাটে কৃষকদের মধ্যে বোরোধান বীজ ও সার বিতরণ
কৃষি বিভাগ

২০২২-২৩ অর্থবছরে রবি মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে সিলেটের কানাইঘাটে বিনামূল্যে হাইব্রিড বীজ সহায়তা এবং উফশী বোরোধান বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।

কানাইঘাট উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিন চৌধুরী।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জির সভাপতিত্বে ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আবুল হারিছ এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এমদাদুল হক, বক্তব্য রাখেন সিলেট প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি সাংবাদিক এম.এ হান্নান, শিক্ষা কর্মকর্তা গোপাল চন্দ্র সূত্রধর, কানাইঘাট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, সাতবাঁক ইউপি চেয়ারম্যান আবু তায়্যিব শামীম, লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান মাও. জামাল উদ্দিন প্রমুখ।

অনুষ্ঠান শেষে অতিথি বৃন্দ কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের মাঝে ১টি কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার ও ১টি রাইস ট্রান্স-প্ল্যান্টার বিতরণ করেন।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop