৮:৪৬ অপরাহ্ন

বুধবার, ২৪ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মার্চ ৩১, ২০২৩ ৭:৫৮ অপরাহ্ন
কোটালীপাড়ায় ৯৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদ বৃদ্ধি
কৃষি বিভাগ

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় ৯৫০ হেক্টর জমিতে বোরধানের চাষাবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে চলতি বোরো মৌসুমে এ উপজেলার ৬০০০ মেট্রিক টন ধানের উৎপাদন বাড়বে। যার বাজার মূল্য ৭৫ লাখ টাকা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রেখে চাষাবাদের আওতায় এনে দেশের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির আহবান জানান। প্রধানমন্ত্রী বন্ধবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার আহবানে সাড়া দিয়ে কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদের তত্ত্ববধানে এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত উন্নয়ন প্রতিনিধি অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকারের দিক নির্দেশনায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বোরোধান আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাঠে নামে। তারা ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষকদের নিয়ে ৩২ টি উদ্বুদ্ধ করণ সভা করে। বিভিন্ন খালের কচুরিপানা পরিস্কার, জলাবদ্ধতা নিরসন ও খাল খনন করে অনেক জলাবদ্ধ পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় আনে। এছাড়া বোরো মৌসুমে সমলয় পদ্ধতি, কচুরিপানার বেডে ভাসমান পদ্ধতি ও ঢিবি পদ্ধতিতে কোটালীপাড়ায় চাষাবাদ শুরু হয়। এসব উদ্যোগের ফলে কোটালীপাড়া উপজেলায় ধানসহ অন্যন্য ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণের কোটালীপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিটুল রায় বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে কোটালীপাড়া উপজেলায় ২৫ হাজার ৫২০ হেক্টর জমিতে বোরোধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক ইঞ্চি জমিও ফাঁকা না রেখে সব জমি চাষাবাদের আওতায় আনার নির্দেশ দেন। সেই লক্ষ্য পূরণে আমরা কৃষককে সরকারি প্রণোদনার বীজ সার দিয়েছি। সেই সাথে অধিক জমিতে চাষাবাদে কৃষককে উদ্বুদ্ধ করেছি।

কৃষকরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবানে সাড়া দিয়ে ২৬ হাজার ৪৭০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানেরআবাদ করেছে। ফলে এ উপজেলায় ৯৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এ বছর কোটালীপাড়া উপজেলায় ৬০০০ মেট্রিক টন ধানের উৎপাদন বাড়বে। যার বাজার মূল্য ৭৫ লাখ টাকা। কোটালীপাড়ায় সমলয় পদ্ধতিতে ১০০ একর জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে। এছাড়া কৃষক কচুরিপানার ভাসমান বেডে ও ঢিবি পদ্ধতিতে সবজির আবাদ করেছেন । এখান থেকে অন্তত ৩০ লাখ টাকা মূল্যের সবজি উৎপাদিত হচ্ছে। এ কাজগুলো তত্ত্ববধান করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ। প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত উন্নয়ন প্রতিনিধি মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার দিক নির্দেশনা দিয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণের মহা-পরিচালক বাদল কৃষ্ণ বিশ্বাস এসব চাষাবাদ এলাকা একাধিকবার পরিদর্শন করেছেন। তিনি সার্বক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে খোঁজ খবর রাখছেন। ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহাবানে সাড়া দিয়ে কৃষকরা উৎসাবের আমেজে ধান রোপণ করেছেন। সবজিও আবাদ করছেন। এসব কারণে এতবড় কর্মযজ্ঞ আমরা চালিয়ে নিচ্ছি।

কোটালীপাড়া উপজেলার পীড়ারবাড়ি গ্রামের কৃষক অনন্ত বিশ্বাস বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেশি বেশি করে ফসল উৎপাদন করতে বলেছেন। এছাড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আমাদের প্রণোদনার সার বীজ দিয়েছে। বেশি করে ফসল রোপণের জন্য উদ্বুদ্ধ করেছে ও পরামর্শ দিয়েছে। এ কারণে আমি এ বছর ১ একর ২০ শতাংশ জমিতে বোরো ধানের আবাদ বৃদ্ধি করেছি। এখান থেকে আমি ১০০ মণ ধান পাব।

একই উপজেলার কান্দি গ্রামের কৃষক সন্তোষ মধু বলেন, আমাদের জমি জলাবদ্ধ থাকত। তাই ধান চাষ করতে পারতাম না । এ বছর খালের কচুরিপানা পরিস্কার করা হয়েছে। সেই সাথে খাল খনন করে দেওয়া হয়েছে। জমি থেকে পানি নেমে গেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ধানের চারা দিয়েছে। এছাড়া ধান রোপণে শ্রমিক দিয়ে সহযোগিতা করেছে। তাই আমার ১ একর জমিতে ধান রোপণ করা সম্ভব হয়েছে। এ জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে ধন্যবাদ জানাই।

ধারাবাশাইল গ্রামের কৃষক সন্তোষ বিশ্বাস বলেন, আমাদের ইউএনও, কৃষি কর্মকর্তা, কৃষি সম্প্রসারণের মহা পরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন প্রতিনিধি মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার স্যার,ভাসমান বেডে সবজি চাষ প্রকল্পের পিডি ড. বিজয় কৃষ্ণ বিশ্বাস বারবার আমাদের কাছে এসেছেন। ফসল চাষ বৃদ্ধিতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। তাদের আন্তরিকতায় ও সহযোগিতায় আমরা ফসল চাষ বৃদ্ধি করেছি। মাঠে ধানের অবস্থাও বেশ ভালো দেখা যাচ্ছে। আশা করছি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ফসলের বাম্পার ফলন পাব।
কান্দি ইউপি চেয়ারম্যান তুষার মধু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবানে সাড়া দিয়ে । কোটালীপাড়ায় এবার ৯৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া ৫ কিলোমিটার জুড়ে বিভিন্ন খালে কচুরিপানার ভাসমান বেডে সবজি ফলেছে। ঢিবি পদ্ধতিতে এখানে চাষাবাদ হয়েছে। এ ভাবে ফসল উৎপাদন অব্যাহত থাকলে আমাদের কৃষকের আয় বৃদ্ধি পাবে। আর্থসামাজিক অবস্থা বদলে যাবে।

প্রকাশ : মার্চ ২৭, ২০২৩ ৭:০৬ অপরাহ্ন
তরমুজে লাভের আশা দাকোপের চাষিদের
কৃষি বিভাগ

চলতি মৌসুমে তরমুজ চাষে বাম্পার ফলনের আশায় বুক বেঁধেছেন দাকোপের কৃষকরা। কেউ চারা গাছের পরিচর্যা করছেন, কেউ ক্ষেতে সেচ দিচ্ছেন। আবার কেউ দিচ্ছেন সার। এভাবেই চলছে তরমুজ চাষাবাদের কর্মযজ্ঞ। এই কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে ব্যস্ত সময় পার করছেন দাকোপের তরমুজ চাষিরা।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকাজুড়ে চাষিদের স্বপ্নের তরমুজ গাছগুলো বেড়ে উঠেছে। এরই মধ্যে ফলনও এসেছে অধিকাংশ গাছে। দাকোপের কৃষক থেকে শুরু করে দিনমজুর, নারী, পুরুষ, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া, কিশোর, কিশোরীসহ সাধারণ মানুষ স্বপ্নের তরমুজ ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত।

সরেজমিনে জানা যায়, সূর্য যখন মাথার ওপর; তপ্ত রোদ তখন। এসময়ে উপজেলার অধিকাংশ মাঠে নারী-পুরুষ মিলে পানি দিচ্ছেন সোনালি ফসলে। উপজেলায় ড্রাগন, পাকিজা, সুইট ড্রাগন ও বিগপাকিজা জাতের তরমুজ চাষ করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নসহ চালনা পৌরসভায় শোভা পাচ্ছে তরমুজ গাছ। আগামী ১ মাসের মধ্যে শুরু হবে ফল বিক্রি। ন্যায্যমূল্য পেলে কৃষকেরা বেশ লাভবান হবেন। গত বছর দাম না পাওয়ার কারণে অধিকাংশ চাষি লোকসানের মুখে পড়েন। ফলে এবছর তরমুজ চাষ অনেক কম হয়েছে। অনেকে ফিরে গেছেন বোরো ধান চাষে।

উপজেলায় মোট আবাদি জমি ২০ হাজার ৮৮৩ হেক্টর। লবণ অধ্যুষিত হওয়ায় শতভাগ জমি আমন চাষের আওতায় আসে। দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক ফসল হিসেবে তরমুজ চাষ ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। গত বছর উপজেলায় ৭ হাজার ৬০৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছিল। কিন্তু উপযুক্ত দাম না পাওয়ায় অধিকাংশ চাষি পুঁজি ফিরে পাননি। অনেকের ক্ষেত ছিল অবিক্রিত অবস্থায়। যার প্রভাবে এবছর তরমুজ চাষ কম হয়েছে। চলতি মৌসুমে ৬ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে।

উপজেলার বাজুয়া গ্রামের তরমুজ চাষি রণজিৎ মন্ডল জানান, তিনি এ বছর ৫ বিঘা জমিতে পাকিজা জাতের তরমুজ চাষ করেছেন। আগামী মাসের শেষের দিকে তরমুজ বাজারজাত করা শুরু হবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো ফলন পাওয়ার প্রত্যাশা করেছেন তিনি।

একই এলাকার রাধারানী মন্ডল বলেন, ‘আমি ২ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। আশা করি লাভবান হবো। তবে বাজারে যার তরমুজ যত আগে উঠবে, তার লাভ তত বেশি হবে। তাই আগে-ভাগেই তরমুজ চাষ করেছি। এ বছর বীজ ও সারের দাম একটু বেশি। এজন্য খরচও বেশি হচ্ছে। সব মিলিয়ে বিঘাপ্রতি ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ হবে। আবহাওয়া অনুকূলে ও বাজার ভালো থাকলে আয় লাখ টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

শুধু রণজিৎ মন্ডল কিংবা রাধারানী মন্ডল নন, তরমুজ চাষ করেছেন কামাল হোসেন, হুমায়ুন কবির, প্রণয় মন্ডল, সূর্য মন্ডল, সোহেল মল্লিক, ব্রজেন মন্ডল, আইয়ুব আলী ও আব্দুল মজিদের মতো অনেক কৃষক। কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ ও বিভিন্ন ধরনের সহায়তা দিচ্ছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মীরা।

উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান খান বলেন, ‘চলতি তরমুজ মৌসুমে দাকোপ উপজেলায় ৬,৩২০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। তাই মাঠ পর্যায়ে আমি এবং আমার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সব সময় কৃষকদের সঙ্গে রয়েছি। তরমুজ চাষিদের বিভিন্ন মেয়াদে প্রশিক্ষণসহ ক্ষেতের সব ধরনের সমস্যার সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করে চলেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে তাদের স্বপ্নের ফসল বিক্রি করে অনেক লাভবান হবেন।’

প্রকাশ : মার্চ ২৬, ২০২৩ ৪:৩১ অপরাহ্ন
স্বাধীনতার চেতনায় করে কাজ করলে দেশ এগিয়ে যাবে: সিকৃবি উপাচার্য
ক্যাম্পাস

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঁঞা বলেন, স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিতি দেখেই বোঝা যায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা স্বাধীনতার চেতনাকে লালন করে। এই চেতনা লালন করে কাজ করলে দেশ এগিয়ে যাবে।

রোববার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দেয়া বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

উপাচার্য আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ নয় মাসে ত্রিশ লক্ষ শহিদ হয়েছে কিন্তু জাতিসংঘ এখনো তা গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী এই স্বীকৃতি নেয়ার জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন।’

বক্তব্যে তিনি মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যার স্বীকৃতির জন্য প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের সাথে একাত্মতা পোষণ করেন এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি কর্তৃক হত্যাযজ্ঞের নিন্দা জানান।

এর আগে রোববার সকাল ১০টায় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে উপাচার্যের নেতৃত্বে প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের মূল সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহিদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রা শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের স্মরণ করে শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঁঞা।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. সাদ উদ্দিন মাহফুজের সঞ্চালনায় পর্যায়ক্রমে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি, ডিন কাউন্সিল, প্রভোস্ট কাউন্সিল, প্রক্টর কার্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, বিভিন্ন আবাসিক হল, শিক্ষক সমিতি, অফিসার পরিষদ, কর্মচারী পরিষদ, গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদ, সাদা দল, গণতান্ত্রিক অফিসার পরিষদ, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ, ল্যাপ্স, বিভিন্ন অনুষদীয় ছাত্র সমিতি, কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংঘ, সাংবাদিক সমিতি, প্রাধিকার, আমুস, বাঁধন, পাঠশালা, একুশসহ অন্যান্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।

পুস্পস্তবক শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঁঞা সিকৃবির শরীরচর্চা শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত শিশুদের দৌড় প্রতিযোগিতা, শিক্ষার্থীদের প্রীতি ভলিবল ম্যাচ ও শিক্ষক-কর্মকর্তাদের প্রীতি ভলিবল ম্যাচ উপভোগ করেন।

এ সময় সিকৃবির রেজিস্ট্রার, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী, সিকৃবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মী এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রকাশ : মার্চ ৬, ২০২৩ ১:৫৬ অপরাহ্ন
চরের ৭ হাজার কৃষককে কৃষি সহায়তা দেবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড
কৃষি বিভাগ

কৃষি উৎপাদন বাড়াতে চরের ৭ হাজার কৃষককে কৃষি সহায়তা হিসেবে সৌর-চালিত সেচ ব্যবস্থা, আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ সুবিধা এবং বাজার সম্প্রসারণে যৌথ সহায়তা দেবে সমাজসেবা খাতের বেসরকারি সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশ।

রোববার এক সংবাত বিজ্ঞপ্তিতে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশ জানিয়েছে, চরের বাসিন্দাদের দারিদ্র্য বিমোচন, উত্পাদন দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বাজার সহায়তা নিশ্চিতে ১৬ কোটি টাকা অনুদান দেবে।

ব্যাংকের এ পদক্ষেপের আওতায় দেওয়া অর্থে ৩৬টি চরের ৭ হাজার জলবায়ু-প্রভাবিত কৃষকদের টেকসই কৃষি প্রযুক্তি সহায়তা দেওয়া হবে; যা আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের বাজার সম্প্রসারণে সহায়ক হবে।

এই সহায়তা দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর কৃষি কার্যক্রমে বিপ্লব ঘটাবে বলে আশা করছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড। এই সহায়তার মধ্যে কৃষিকাজ সংক্রান্ত মৌলিক ধাপের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যার মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে মোকাবিলা করে টিকে থাকার কৌশলগুলো শেখানো হবে কৃষকদের। পাশাপাশি জলবায়ু ও লবণ সহনশীল বীজ, সার, কীটনাশকের মতো প্রয়োজনীয় উপকরণ কৃষকদের কাছে সরবরাহ করা হবে।

এ প্রসঙ্গে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ-এর প্রধান নির্বাহী নাসের এজাজ বিজয় বলেন, “দেশের প্রত্যন্ত চরগুলোয় বসবাসকারীদের জলবায়ু জটিলতার মধ্যেও জীবন-জীবিকা টিকিয়ে রাখতে এবং প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতে আমাদের সাহায্য করা প্রয়োজন।

“সাত হাজার কৃষক, তাদের পরিবার ও চরের অসহায় বাসিন্দাদের সাহায্য করতে পেরে আমরা গর্বিত। এই উদ্যোগে আমাদের পাশে থাকবে ফ্রেন্ডশিপ।”

তিনি বলেন, “এর মাধ্যমে চরের কৃষকরা জ্ঞান, উদ্ভাবন, শিক্ষা এবং টেকসই রিসোর্সগুলো ব্যবহার করতে পারবে, যা তাদের অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন সাহায্য করবে। যার মাধ্যমে গ্রামীণ ও শহুরে অঞ্চলের মধ্যকার ভেদাভেদ দূর হবে বলে আমি মনে করি।”

এসব কৃষককে বাজার নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত করবে ফ্রেন্ডশিপ এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, যা তাদের বৃহত্তর পরিসরে আরও সহজে পণ্য বিক্রয়ে সাহায্য করবে বলে আশা করছে প্রতিষ্ঠান দুটি।

এর মাধ্যমে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান এবং সরকারী সংস্থাগুলোর সাথে সংযুক্তির মাধ্যমে কৃষকরা তহবিল সংগ্রহ, কাঁচামাল এবং এলাকা-নির্দিষ্ট সহায়তা গ্রহণ করতে পারবেন। সৌরচালিত পাম্প ও ক্রপ ড্রায়ারের মতো টেকসই ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তি কৃষিকাজ অনেক সহজ করবে এবং অবকাঠামো নির্মাণ করে বৈরী আবহাওয়াতেও চরের বাসিন্দারা দৈনন্দিন কৃষিকাজ অব্যাহত রাখতে পারবে।

ফ্রেন্ডশিপ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক রুনা খান বলেন, “স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের সাথে অংশীদারিত্ব করতে পেরে আমি আনন্দিত। সাশ্রয়ী মূল্যে কৃষি প্রযুক্তি, উদ্ভাবন, প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং বাজার সম্প্রসারণের মাধ্যমে আমরা কৃষকদের সাহায্য করতে পারবো।”

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০২৩ ৭:২০ অপরাহ্ন
ফলন বাড়াতে কৃষিবিদদের গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
কৃষি গবেষনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈশ্বিক প্রতিকূল পরিস্থিতি ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে খাদ্যশস্যের ফলন বাড়াতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার জন্য কৃষিবিদদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী আজ বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)’র সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে একথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে, আমাদের নিজেদের খাদ্যশস্য উৎপাদন করতে হবে।’ শেখ হাসিনা আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষিতেও বাংলাদেশকে ঐতিহ্যগত শস্যের পাশাপাশি নতুন জাতের শস্য উৎপাদন করতে হবে।

তিনি গাজীপুরে ব্রি-তে বঙ্গবন্ধু-পিয়েরে ট্রুডো কৃষি প্রযুক্তি কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন।

টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরতে বহুমুখী গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন অংশীদারিত্বে সহযোগিতার লক্ষ্যে কানাডার সাচকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্লোবাল ইনস্টিটিউট অব ফুড সিকিউরিটির সাথে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর ব্রি-তে এই কেন্দ্রটি স্থাপিত হয়।

যদিও প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, বাংলাদেশ শুধু খাদ্যশস্য উৎপাদনেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেনি, বরং বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি, ফলমূল ও অন্যান্য কৃষিপণ্যও উৎপান করে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুদ্ধে প্রবেশ করতে যাচ্ছে, তাই তাঁর সরকার দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলতে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে তাল মেলাতে, আমরা ন্যানো-প্রযুক্তি, বায়ো-ইনফরমেটিক্স, মেশিন, ইন্টারনেট ও অত্যাধুনিক কৃষি প্রযুক্তি সম্পর্কে জেনেছি। আমাদের এই প্রযুক্তিগুলো কাজেও লাগাতে হবে।’

কৃষিমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে ব্রি’র মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবির স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
এ সময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ‘ব্রি’র ৫০ বছরের গর্ব ও সাফল্য’ শীর্ষক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

এর আগে, প্রধানমন্ত্রী ব্রি’তে আগমন করে সেখানে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করেন। এছাড়াও তিনি ব্রি’র সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে উড়িয়ে দেন।

এ সময় কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি)’র নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জিন বালি, গ্লোবাল ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর অ্যান্ড চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার স্টেভেন ওয়েব অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন। প্রধানমন্ত্রী চারাগাছ রোপন, ব্রি ল্যাবরোটরি ও এর বিভিন্ন উদ্ভাবন পরিদর্শন এবং ‘ধান-কাব্য’ নামের একটি সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করাসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেন। এছাড়াও তিনি ব্রি ও বিএআরসি এর পাঁচটি গবেষণা গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, সবাইকে মনে রাখতে হবে, দেশের জনসংখ্যা দিন দিনই বাড়ছে। তিনি বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও আমরা তাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে স্বনির্ভর করে এবং দেশের বছওে ৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি মিটিয়ে খাদ্য উদ্বৃত্ত রেখে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। ২০০১ সালে বিএনপি জামাত জোট ক্ষমতায় আসে এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ পুনরায় খাদ্য ঘাটতির সম্মুখিন হয়।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে ২০০৯ সালে সরকার গঠন করেই দেশে ২৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি পায়। আওয়ামী লীগ সরকার এ অবস্থা মোকাবেলায় কৃষি গবেষণা, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য পদক্ষেপ গ্রহন করে এবং কৃষকদের মধ্যে উচ্চ ফলনশীল বীজ-সার বিতরণ করে এবং কৃষকদেরকে সব ধরনের সহায়তা দেয়া হয়। এই উদ্যোগের ফলে আমরা খারাপ পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠে সামনে এগিয়ে যাই। ]

প্রধানমন্ত্রী বলেন, উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন জাতের ফসল চাষ এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করায় কৃষি উৎপাদন পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বলেন, ব্রি উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন জাতের ধান উদ্ভাবন করেছে।

এ পযর্ন্ত ১১১ ধরণের ধানের আধুনিক জাত উদ্ভাবন করেছে। এর মধ্যে ১০৪ টি ইনব্রিড এবং ৭ হাইব্রিড। এর মধ্যে ২৪টি বিভিন্ন প্রতিকুলতা সহিঞ্চু জাত রয়েছে। যার ১০টি লবনাক্ততা সহিঞ্চু, তিনিটি ডুবে যাওয়া সহিঞ্চু, তিনটি খরা সহিঞ্চু, চারটি শীত সহিঞ্চু, দু’টি জলোচ্ছ্বাসে ডুবে যাওয়া সহিঞ্চু, একটি আধা গভীর জল এবং দ্বৈত সহিঞ্চু (সাল+সাব)।

এ ছাড়াও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ১৩টি প্রিমিয়াম মানের, পাঁচটি জেডএন সমৃদ্ধ, এবং তিনটি নি¤œ জিআই (গ্লাইসেমিক ইনডেক্স) ধান উদ্ভাবন করা হয়েছে। দেশের মোট ধানি জমির ৮০ শতাংশেরও বেশি ব্রি ধানের চাষ করা হচ্ছে। জাতীয় ধান উৎপাদনে এর অবদান প্রায় ৯১ শতাংশ।

প্রধানমন্ত্রী বিজ্ঞানীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ব্রি’র বিভিন্ন জাতের ধান উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তি দারিদ্র্য বিমোচন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশে একটি মাত্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। আওয়ামী লীগ সরকার ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছে। এর মধ্যে দুটি করা হয়েছে কৃষি শিক্ষার জন্য। এদু’টি হচ্ছে দিনাজপুর হাজী দানেশ ও পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি আরও বলেন, তার সরকার শেরে বাংলা ও বঙ্গুবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে।

প্রধানমন্ত্রী প্রায় আড়াই কোটি শিক্ষার্থীকে শিক্ষা বৃত্তি প্রদানের উল্লেখ করে বলেন, তার সরকার বিশেষ করে গবেষণার জন্য বৃত্তি প্রদান করছে। তিনি বলেন, আমি সব সময় মনে করি গবেষণা ছাড়া ভাল কিছু করা সম্ভব নয়। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ হিসাবে সরকার কৃষি গবেষণায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। পাশাপাশি, সরকার স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং বিজ্ঞান গবেষণায়ও দৃষ্টি দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী কৃষিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু’র পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমরা কৃষিতে পদক্ষেপ নিয়েছি। কৃষির যান্ত্রিকায়নের জন্য আমরা বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছি।

সরকার প্রধান দেশের তরুণদের কৃষিতে সম্পৃক্ত হওয়ার ওপর অধিক গুরুত্বারোপ করে বলেন, তাদের স্কুল জীবন থেকেই এটি শুরু করতে হবে। বাসস

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০২৩ ৭:১১ অপরাহ্ন
বঙ্গবন্ধু-পিয়েরে ট্রুডো কৃষিপ্রযুক্তি কেন্দ্র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু-পিয়েরে ট্রুডো কৃষিপ্রযুক্তি কেন্দ্র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে এই কেন্দ্র উদ্বোধন করেন তিনি।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গাজীপুরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।

উদ্বোধনের পর তিনি বঙ্গবন্ধু-পিয়েরে ট্রুডো কৃষিপ্রযুক্তি কেন্দ্রের ইনোভেশনস পরিদর্শন করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কানাডার গ্লোবাল ইনস্টিটিউট অব ফুড সিকিউরিটির (সিইইউ) নির্বাহী পরিচালক ড. স্টেভিন ওয়েব, ফিলিপাইনের ইন্টারন্যাশনাল রাইস রিচার্স ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর জেনারেল ড. জেইন বালিই, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৪, ২০২৩ ১০:০১ পূর্বাহ্ন
বিষমুক্ত সবজি চাষে লাভবান বগুড়ার কৃষকরা!
কৃষি বিভাগ

পরিবেশবান্ধব জৈব সার ব্যবহার করে সবজি চাষে সফলতা পেয়েছেন শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের কৃষকরা। রোগ ও পোকা-মাকড়ের আক্রমণ তেমন না থাকায় কম খরচে অধিক ফসল পাচ্ছেন তারা। বিষমুক্ত সবজি হওয়ায় বাজারেও অধিক দাম পাচ্ছেন কৃষকেরা।

জানা যায়, বগুড়ার শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের কৃষকরা বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করে লাভবান হচ্ছেন। একসময় এই এলাকার কৃষকরা বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, করলা, মিষ্টিকুমড়া ও শিম চাষ করতে যেখানে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতেন, এখন তারা এসব সবজি উৎপাদন করছেন কোন প্রকার রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ছাড়াই। মানুষ যেন বিষমুক্ত সবজি বাজার থেকে সহজে কিনতে পারেন, সেজন্য ছোট ফুলবাড়ি বাজারে স্থাপন করা হয়েছে নিরাপদ সবজি কর্ণারও।নিরাপদ সবজি কর্ণারে সবজি নিয়ে যাওয়ার জন্য ২০টি কৃষক গ্রুপের মাঝে বিনামূল্যে ২০টি ভ্যান বিতরণ করা হয়েছে। ১০০ একর জমিতে ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, করলা, মিষ্টিকুমড়া ও শিম চাষ হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার ফারজানা আক্তার জানান, এ বছর ঊপজেলায় সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১৭৮০ হেক্টর জমিতে। ইতোমধ্যে ১৭৩০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। এখানে সম্পূর্ণ আইপিএম পদ্ধতি ব্যবহার করেই সবজি উৎপাদন করা হচ্ছে। নিরাপদ উপায়ে সবজি চাষের জন্য কৃষক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিভিন্ন আধুনিক জৈব প্রযুক্তি সম্পর্কে জানানো হচ্ছে।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০২৩ ৭:৪২ অপরাহ্ন
কৃষিকে বাণিজ্যিকিকরণ করা গেলে বহু কৃষিবিদের কর্মসংস্থান হবে: কৃষিমন্ত্রী 
কৃষি বিভাগ

দীন মোহাম্মদ দীনু: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত সেমিনারে এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, এম.পি।সেমিনার শুরুর আগে ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক কৃষিবিদ দিবসের র‌্যালি উদ্বোধন করেন ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি চত্বরে পুষ্পস্তক অর্পণ করেন।

এসময় তিনি আরোও বলেন, অপার সম্ভাবনার দেশ বাংলাদেশ। এখানে পৃথিবীর সব ফসল হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আধুনিক প্রযুক্তির অনেক কর্মসূচি নিয়েছেন। কৃষিকে গুরুত্ব দিয়ে বায়োটেকনোলজি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবট, ন্যানো টেকনোলজি, এডিটেড ব্রিডিং ইত্যাদি ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছেন। খাদ্য রপ্তানির লক্ষ্য নিয়েও তিনি কাজ করছেন। আমাদের কৃষিবিজ্ঞানীরা যদি আরো ডেডিকেশন নিয়ে কাজ করেন তবে ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে সমৃদ্ধশালী দেশ। যেখানে কৃষিবিদরা অগ্রজ ভুমিকা পালন করবে। বঙ্গবন্ধু আমাদের অনেক দিয়েছেন, তিনি ছিলেন মহামানব।

বাংলাদেশকে একটি সত্যিকারের শান্তির, সমৃদ্ধির দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কৃষিবিদরা স্ব-স্ব অবস্থান ও পেশা থেকে কঠোর পরিশ্রম করবেন, সত্য-নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করবেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে কাজ করে ও মিথ্যাচার করে তাদের মূল থেকে উৎপাঠন করে বাংলাদেশকে সত্যিকারের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রতিষ্ঠা করবেন।
এসময় কৃষিবিদরাই গ্রামকে শহরে রূপান্তর করতে সবচাইতে বড় ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সেমিনারে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জনাব কে এম খালিদ বাবু, প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান।

গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ আবু হাদী নূর আলী খান এর সভাপতিত্তে¡ সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জনাব ইকরামুল হক টিটু, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জনাব এহতেশামুল আলম এবং সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাকৃবি সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড এম. এ. সাত্তার মন্ডল।

এছাড়াও অনুষ্ঠানের সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি কৃষিবিদ আবুল ফয়েজ কুতুবী, তৎকালীন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ভিপি কৃষিবিদ মোঃ ইয়াছিন আলী, বাকৃবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোঃ রহমতুল্লাহ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি জনাব মোঃ নজিবুর রহমান।

অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোঃ রমিজ উদ্দিন ও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাকৃবি ছাত্রলীগের সভাপতি জনাব খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ। এছাড়াও মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন কৃষিবিদ ড. মোঃ সালেহ আহমেদ, কৃষিবিদ ড. হামিদুর রহমান, বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. আসলাম আলী, কৃষিবিদ ড. মোঃ আওলাদ হোসেন, কৃষিবিদ আরীফ জাহাঙ্গীর, গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. সুবাস চন্দ্র দাস, কৃষিবিদ মিজবা-উজ-জামান, কৃষিবিদ সারোয়ার মোর্শেদ জাস্টিজসহ অনেক বরেন্য কৃষিবিদ।

উল্লেখ্য সেমিনারে বাংলাদেশের বিভিন্নপ্রান্ত হতে প্রায় চার হাজার কৃষিবিদ উপস্থিত ছিলেন।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০২৩ ১০:৪১ পূর্বাহ্ন
ডোমারে বেড়েছে সরিষা চাষ, আশা বাম্পার ফলনের
কৃষি বিভাগ

স্বল্প চাষ, কম খরচে সাময়িক সময়ে পরিত্যক্ত থাকা চাষের জমিতে সরিষা চাষে ব্যাপক আগ্রহ বেড়েছে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার কৃষকদের। কৃষকরা গত বছরের তুলনায় এবারে আড়াইশ হেক্টর জমিতে বেশি সরিষা চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকুল থাকলে বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা করছেন সরিষা চাষীরা।

উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের কৃষক ইদ্রীস আলী বলেন, এক বিঘা(৩৩শতাংশ) জমিতে বারী-১৪ জাতের সরিষা চাষ করেছি। ক্ষেতে ভালো ফলন দেখা যাচ্ছে। কিছু দিনের মধ্যে ফসল ঘরে তুলতে পারবো।

নয়ানী গ্রামের বাবু অনাথ চন্দ্র রায় জানান, আমন ধান কাটার পর বোরো চাষ পর্যন্ত কৃষকদের জমি প্রায় আড়াই হতে তিন মাস পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকে। দেড় বিঘা জমিতে বারী-৯ জাতের সরিষা চাষ করেছি। এক সপ্তাহের মধ্যে সরিষা কেটে ফসল ঘরে তুলবো। ওই জমিতে বোরো ধান চাষ করবো।

একই ইউনিয়নের তরিকুল ইসলাম, চয়ন রায়, মধূসুধন রায় জানান, এবারে তুলনামূলক ভাবে সরিষার ফলন ভালো হয়েছে। তেমন একটা রোগ বালাই দেখা দেয়নি। ফসল ঘরে তুলতে পারলেই লাভবান হবো।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সরিষা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়াতে এক হাজার চারশত পঞ্চাশ জন কৃষককে কৃষি প্রনোদনা দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে জনপ্রতি এক কেজি সরিষা বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফরহাদুল হক বলেন, গত বছর সাতশত ষাট হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ অর্জন হয়েছে। এবারে কৃষি বিভাগের প্রচার প্রচারনা ও কৃষি প্রনোদনা পাওয়ায় সরিষা চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষকরা সরিষা কাটাই মাড়াই শুরু করেছে। আশা করা হচ্ছে গত বছরের তুলনায় এবারে অধিক ফলন পাওয়া যাবে।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২, ২০২৩ ৬:৫০ অপরাহ্ন
কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রাখতে সার, বীজের দাম বাড়ানো হবে না : কৃষিমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

কৃষি উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রাখতে সার, বীজসহ কৃষি উপকরণের দাম বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের পলিসি হলো যেকোন মূল্যে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করা।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার অদূরে সাভারের ব্র্যাক সিডিএম মিলনায়তনে সার্কভুক্ত দেশসমূহে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।
বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন নেটওয়ার্ক (বায়েন) ও ভারতের পার্টিসিপেটরি রুরাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ সোসাইটি (প্রাডিস) যৌথভাবে তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনের আয়োজন করে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। রেকর্ড পরিমাণ খাদ্য মজুত আছে। দেশে দুর্ভিক্ষ হবে না। ফসলের গবেষণা ও সম্প্রসারণের মধ্যে বিরাট গ্যাপ রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, গবেষক বা বিজ্ঞানীর উদ্ভাবিত জাত যেটি গবেষণা পর্যায়ে বিঘাতে ৮ মণ উৎপাদন হয়, সেটি সম্প্রসারণের পর কৃষক পর্যায়ে দেখা যায় উৎপাদন হয় বিঘাতে ৩ থেকে ৪ মণ। এই বিশাল গ্যাপ কমিয়ে আনতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত ফসলের মধ্যে লবণসহিষ্ণু জাতও রয়েছে। কিন্তু এগুলো মাঠে কৃষকের কাছে যেতে সময় নিচ্ছে বেশি। এই দেরির কারণ খুঁজে বের করতে হবে।

অনুষ্ঠানে প্রাডিসের সিনিয়র এডভাইজর ভিভি সাডামাতে, খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বিশেষ প্রতিনিধি দানিয়েল গুস্তাফসন, বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট সিম্পসন, বায়েনের সভাপতি হামিদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সেকান্দর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন ভূঁইয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

কৃষি সম্প্রসারণকর্মীদের তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনে ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশের ৩৫০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop