১:১৪ অপরাহ্ন

মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মার্চ ১০, ২০২৪ ৪:১৫ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে সামদ্রিক ফিন ফিশ চাষ ব্যাবস্থাপনা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
মৎস্য

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মাৎস্য বিজ্ঞান অনুষদ ডিন কনফারেন্স হলে ভূমিতে স্থাপিত রিসার্কোলেটিং অ্যাকোয়াকালচার সিস্টেমে (আরএএস) সামদ্রিক ফিন ফিশ চাষ ব্যাবস্থাপনা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১০ মার্চ ২০২৪ (রবিবার) সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে মাৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন প্রফেসর ড. মোঃ আলী রেজা ফারুক এর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির সাবেক ছাত্র ও যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ নর্থ ক্যারোলাইনা উইলমিংটন এর প্রফেসর ড. মো: শাহ আলম।

এসময় প্রফেসর আলম যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ নর্থ ক্যারোলিনা উইলিনের রিসার্কোলেটিং অ্যাকোয়াকালচার সিস্টেমে (আরএএস) সামদ্রিক ফিন ফিশ চাষ রিসার্চ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বিস্তারিত বক্তব্য রাখেন এবং তিনি বলেন, সাধু পানির মাছ চাষ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে, বাংলাদেশের স্বল্পজমি বিবেচনায় রিসার্কোলেটিং অ্যাকোয়াকালচার সিস্টেমে (আরএএস) সামদ্রিক ফিন ফিশ নিয়ে কাজ করার এখনই উপযুক্ত সময়। বাংলাদেশের মৎস্য বিজ্ঞানীদের সামুদ্রিক ফিনফিশ নিয়ে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এ নিয়ে গবেষণা করছে এবং সফল হচ্ছে। এক্ষেত্রে মৎস্য বিজ্ঞানী, খামারি, অর্থনীতিবিদ, সরকারী, প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান সকলের সমন্বয়ে এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহারে মাছের উৎপাদন ও রপ্তানি বহুগুণে বৃদ্ধি সম্ভব।

ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগে প্রফেসর ড. হারুনুর রশিদ এর সমন্বয়ে আয়োজিত সেমিনারে মাৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের বিভিন্ন বিভাগীয় শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, মৎস্য অধিদপ্তর, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৭, ২০২৪ ৭:৫১ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে বাংলাদেশ ফিশারিজ সোসাইটির দ্বিবার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু
মৎস্য

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনুঃ ফিশারিজ সোসাইটি অফ বাংলাদেশ এর আয়োজনে সোসাইটির ৩য় দ্বিবার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ১৭ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন হলে শুরু হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মোঃ খুরশেদ আলম, বিএন।

প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। বাংলাদেশ ফিশারিজ সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ সামছুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি’র সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, মাৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এ.কে.এম. নওশাদ আলম, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী পরিচালক ড.নাথুরাম সরকার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফিশারিজ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোঃ সাদিকুল ইসলাম।সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন অধ্যাপক ড হারুন অর রশীদ। বক্তব্য রাখেন ডিপার্টমেন্ট অব ফিসারিজের (ডিওএফ) উপ-পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ মাৎস গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) পরিচালক ড. মোহসেনা বেগম তনু।

সম্মেলনে বক্তারা বাংলাদেশে মৎস্য খাতের অবদান, মৎস্য গবেষণার সফলতা, ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা, মাছের ভ্যাকসিন ডেভেলপমেন্ট, মুক্তাচাষ স¤প্রসারণ এবং জীবন্ত জীন ব্যাংক প্রতিষ্ঠাসহ নানান বিষয় তুলে ধরেন।
এছাড়াও এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবন নিয়ে আলোচনায় বলা হয় যে, এ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি ৮৩টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। যার মধ্যে ৭১ টি মাছের প্রজনন ও জিন পোল সংরক্ষণের জন্য এবং ১২ টি মুক্ত জলাশয়ে মাছের ব্যবস্থাপনার জন্য। যা দেশে মৎস্য উৎপাদনে বিরাট ভূমিকা রেখে চলেছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে নিরাপদ মৎস্য উৎপাদনের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলো নিয়ে এসময় আরোও আলোচনা করা হয়।

বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার নিশ্চিত করা এখন সময়ের একটা দাবি। যার গুরুত্ব আমাদের সংবিধানেও দেওয়া আছে। বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু পুষ্টির প্রাপ্যতা ২২৫০ কিলো ক্যালোরি। কিন্তু এই পুষ্টির ৭০ ভাগ আসে উদ্ভিজ্জ উপাদান বা কার্বোহাইড্রেট থেকে। একইভাবে বাংলাদেশের মানুষের প্রোটিন প্রাপ্ততার হার মাথাপিছু ৬৬ গ্রাম। এই প্রোটিনেরও ৭০ ভাগ আসে উদ্ভিজ্জ উপাদান থেকে। সে ক্ষেত্রে প্রাণিজ প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করার ক্ষেত্রে মাৎস্য সেক্টর একটি বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপাদান গুলো ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে তাহলে শ্রম ও কম জনবলে দেশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। স্মার্ট গ্র্যাজুয়েট তৈরীর সাথে সাথে স্মার্ট কৃষক তৈরি করতে হবে যাতে তারা স্মার্ট প্রযুক্তি গুলো ব্যবহার করতে সক্ষম হয়। স্মার্ট এগ্রিকালচার নিশ্চিত করতে না পারলে দেশ ভঙ্গুর হয়ে যাবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ মৎস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে যুগান্তকারী সাফল্য দেখিয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বব্যাপী অভ্যন্তরীণ উন্মুক্ত জলের মাছ উৎপাদনে তৃতীয় এবং বৈশ্বিক জলজ চাষ উৎপাদনে ৫ম স্থানে রয়েছে। অ্যাকুয়াকালচার চাষ থেকে বাংলাদেশের ৪৭% মাছ  উৎপাদন করা হয়। একটি মাছের সকল অংশ ব্যবহার যোগ্য। বর্তমানে সামুদ্রিক উদ্ভিদ ও মাছ থেকে ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং ব্যাথানাশকের মত ঔষুধ উৎপাদন করা হচ্ছে। অনেক মাছের চামড়া থেকে দামি জ্যাকেট উৎপাদন করা হচ্ছে। সামুদ্রিক উদ্ভিদ ব্যবহার করে হালাল খাবার ও জেলাটিন উৎপাদন নিশ্চিত করার ব্যাপারেও ব্যাপক গবেষণা করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, সমুদ্রের সম্পদকে রক্ষা করতে হলে সমুদ্রে প্লাস্টিক দূষণ কমাতে হবে। লিপস্টিক, ফাউন্ডেশনে এবং অন্যান্য বর্জ্যে উপস্থিত মাইক্রো প্লাস্টিক সমুদ্র দূষিত করার ফলে মাছ মারা যায়। কারণ মাছ এইগুলো হজম করতে পারে না। তাই সমুদ্রে দূষণ কমাতে হবে।

বাংলাদেশে সামুদ্রিক মৎস্য চাষকে সামাজিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বঙ্গোপসাগরে আমাদের জীবন্ত সম্পদের বিশাল বৈচিত্র্য রয়েছে। এটি ইকনোমিক সম্ভাবনা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সুযোগকে প্রসারিত করবে। দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে  বিভিন্ন কারিগরি সেশনে গবেষণা নিবন্ধের  ১৭০ টি  ওরাল এবং ৭০ টি পোস্টার উপস্থাপন করা হবে।

সম্মেলনে ফিশারিজ সোসাইটি অফ বাংলাদেশ এর সদস্যগণ ছাড়াও দেশি-বিদেশি মৎস্য বিজ্ঞানী আমন্ত্রিত অতিথিগণ অংশ নেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২৪, ২০২৪ ৬:১৫ অপরাহ্ন
গবেষণাধর্মী পরিকল্পনা নিয়ে ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়ানো হবে – মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মৎস্য

গবেষণাধর্মী পরিকল্পনা নিয়ে ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৩ এর মূল্যায়ন ও ভবিষ্যৎ করণীয় শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা কথা জানান।

মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুল কাইয়ূম। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মৎস্য অধিদপ্তরের উপপ্রধান মাসুদ আরা মমি। প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. জুলফিকার আলী এবং নৌপুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি শফিকুল ইসলাম। মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক, মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে সম্পৃক্ত নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ, নৌপুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও আনসার ভিডিপি-এর প্রতিনিধিগণসহ ইলিশ সংক্রান্ত বিভিন্ন অংশীজনরা কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, ২০০১-০২ সালে ইলিশ উৎপাদনের যে প্রবৃদ্ধি ছিল এবং ২০০৮ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছিল, সে সময়ের তুলনায় বর্তমানে ইলিশ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি অনেক বেশি। এ প্রবৃদ্ধি দ্বিগুণেরও বেশি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা, সদিচ্ছা এবং একটি জাতিকে গড়ে তোলার প্রয়াসের জন্য এটি হয়েছে। বর্তমানে ইলিশের উৎপাদন ৫ লাখ ৭১ হাজার মেট্রিক টন।
তিনি আরও বলেন, ইলিশ যেমন আমাদের গৌরবের জায়গা, তেমনি ইলিশ জাতীয় অর্থনীতিতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেরও একটা বড় ক্ষেত্র। তাই এটিকে লালন-পালন, পরিচর্যা এবং বিভিন্ন গবেষণাধর্মী পরিকল্পনা নিয়ে সামনে এটিকে আরও বেশি উৎপাদন বাড়ানো এবং এটিকে সত্যিকার অর্থে এটিকে একটি বড় সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করেই আমরা এগোতে চাই। সকলের যার যার যায়গা অবদান রাখলে ইলিশ উৎপাদনে আরও প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হবে।

ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন উল্লেখ করে এ সময় মন্ত্রী আরও যোগ করেন, দেশে ইলিশের অভায়শ্রম কিছু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। সে জায়গাগুলো থেকে উত্তরণ করা দরকার। ইলিশের বিচরণ পথ সুগম ও নিরাপদ করতে হবে। তা না হলে ইলিশের উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হবে। এজন্য সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। পাশাপাশি প্রকৃত মৎসীজীবীদের একটা সুনির্দিষ্ট তালিকা করা জরুরি। এক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এছাড়া মৎস্যজীবী বিভিন্ন সংগঠনকে দায়িত্ব নিয়ে সুষ্ঠুভাবে তা পালনের মানসিকতা তৈরি করতে হবে। জাটকা নিধন বন্ধ করতে হবে এবং কেউ অবৈধ জাল ব্যবহার করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এর পাশাপাশি অভয়াশ্রম সম্পৃক্ত এলাকার জেলে ও মৎস্যজীবীদের নিয়ে সামাজিক ক্যাম্পেইন করতে হবে। মাছ ধরা বন্ধ থাকাকালে তাদের জন্য ভিজিএফ এর পাশাপাশি বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।

এ সময় মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের উদ্যোক্তাদের চেয়েও দ্বিগুণ লাভ করার মানসিকতা পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন বলে জানান মন্ত্রী। দাদন ব্যবসায়ীদের হাত থেকে ইলিশ আহরণে সম্পৃক্ত জেলেদের রক্ষার উদ্যোগ নেয়ার প্রয়োজনীতা তুলে ধরেন মন্ত্রী। বাজারে ইলিশের পর্যাপ্ততা থাকা সত্ত্বেও মধ্যসত্ত্বভোগীদের জন্য ইলিশের দাম অনেক শ্রেণির মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যায় বলেও এ সময় জানানও মন্ত্রী। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করবে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিষয়ে এ সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, মানুষের মৌলিক বিষয়গুলোর নিশ্চয়তা দেওয়া বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রধান কাজ। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয় ইদানিং বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। কৃত্রিম মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে যারা জড়িত থাকবে বা আছে তাদের চিহ্নিতকরণের প্রক্রিয়া চলছে এবং এ অসাধু ব্যবসায়ী যারা কারসাজি করে মূল্য বৃদ্ধি করে মানুষকে কষ্ট দিতে চায় তাদের কোন অবস্থাতে ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার। মানুষের স্বস্তি, মানুষের শান্তি, তাদের জান-মালের নিরাপত্তা-এ মৌলিক বিষয়গুলো অবশ্যই বর্তমান সরকার প্রাধান্য দেবে।

তিনি আরও বলেন, ২০২৩ সালে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান যথাযথভাবে বাস্তবায়নের ফলে ৫২ দশমিক ৪ শতাংশ ইলিশ সফলভাবে ডিম ছাড়তে সক্ষম হয়েছে যা ভিত্তি বছর ২০০১-০২ এর তুলনায় ১০৪ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। ফলে এ বছর প্রায় ৪০ দশমিক ৫৮ হাজার কোটি জাটকা নতুন করে ইলিশ পরিবারে যুক্ত হয়েছে। মা ইলিশ সংরক্ষেণের সুফল পেতে হলে এ বছর উৎপাদিত ইলিশের পোনা (জাটকা) নিবিড়ভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। মা ইলিশ সংরক্ষণ ও জাটকা রক্ষার মাধ্যমে ইলিশের উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে এবং ইলিশ সাধারণ মানুষের জন্য আরো সহজলভ্য হবে বলে।

পরে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৩ এর প্রতিবেদন শীর্ষক প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করেন মন্ত্রী।

উল্লেখ্য, ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ২০২৩ সালে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ১২ অক্টোবর হতে ০২ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২২ দিন মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান, ২০২৩ বাস্তবায়ন করা হয়। এ সময় দেশের ইলিশ সম্পৃক্ত ৩৮ জেলার ১৭৪ উপজেলায় এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়। মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান, ২০২৩ বাস্তবায়নকালে জেলে ও মৎস্যজীবীদের জীবীকা নির্বাহের জন্য ৫ লক্ষ ৫৪ হাজার ৮৮৭টি জেলে পরিবারকে ২২ দিনে ২৫ কেজি হারে মোট ১৩ হাজার ৮৭২ মেট্রিক টন ভিজিএফ (চাল) বিতরণ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ৮, ২০২৪ ১১:১৪ পূর্বাহ্ন
জেনে নিন পাঙাশ মাছের খাদ্য তৈরির উপাদান
মৎস্য

পাঙাশ মাছের খাদ্য তৈরির প্রয়োজনীয় উপাদানসমূহ সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। প্রাকৃতিক উৎসগুলোতে মাছের উৎপাদন কমে যাওয়ায় আমাদের দেশে মাছের চাষ দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমান সময়ে চাষ হওয়া মাছগুলোর মধ্যে পাঙাশ মাছ অন্যতম।

পাঙাশ মাছ খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি এই মাছ চাষ করলে তা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। পাঙাশ মাছকে খাওয়ানোর জন্য খাদ্য তৈরি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আসুন আজ জেনে নেই পাঙাশ মাছের খাদ্য তৈরির প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো সম্পর্কে জেনে নেই-

পাঙাশ মাছের খাদ্যকে পিলেট করে খাওয়ানো সবচেয়ে ভাল হয়। নিচে পাঙাশ মাছকে পিলেট খাদ্য তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো দেওয়া হল-

পাঙাশ মাছকে খাদ্য খাওয়ানোর জন্য ১ টন হিসেবে নিচে উপাদানগুলো দেওয়া হল :

শুটকি অথবা ফিশমিল ১৫০ কেজি (৫০%=৭৫)
ডিওআরবি ১০০ কেজি (১৮%=১৮)

সোয়া মিল ২০০ কেজি (৪৪%=৮৮)
রাইস ব্রান ২০০ কেজি (১৪%=২৮)
এংকর ডাল ১২৫ কেজি (৩৬%=৪৫)

রেপসিড ১২৫ কেজি (৩৬%=৪৫)
লবণ ও ভিটামিন প্রিমিক্সআটা
আটা ১০০ কেজি (১০%=১০)

এই খাদ্য উপাদানের সাথে চিটাগুড়ও দেওয়া যেতে পারে। উপরোক্ত উপায়ে পিলেট খাদ্য উপাদানগুলো নিয়ে পাঙাশ মাছকে পিলেট খাদ্য তৈরি করে খাওয়াতে হবে। উপরে উল্লেখিত খাদ্য উপাদানগুলোকে পিলেট বানিয়ে নিয়ে তারপর পাঙাশ মাছকে খাদ্য হিসেবে দেওয়া হলে পাঙাশ মাছ খুব দ্রুত শারীরিকভাবে বৃদ্ধি পাবে। এই খাদ্য প্রদানের ফলে পাঙাশ মাছের প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদা পূরণ হবে। এই উপাদানগুলো দিয়ে মাছের খাদ্য তৈরি করলে পাঙাশ মাছের চাষ করে সহজেই লাভবান হওয়া যায়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২১, ২০২৩ ৯:৩৮ পূর্বাহ্ন
জেনে নিন পাঙাশ মাছের খাদ্য তৈরির উপাদান
মৎস্য

পাঙাশ মাছের খাদ্য তৈরির প্রয়োজনীয় উপাদানসমূহ সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। প্রাকৃতিক উৎসগুলোতে মাছের উৎপাদন কমে যাওয়ায় আমাদের দেশে মাছের চাষ দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমান সময়ে চাষ হওয়া মাছগুলোর মধ্যে পাঙাশ মাছ অন্যতম।

পাঙাশ মাছ খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি এই মাছ চাষ করলে তা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। পাঙাশ মাছকে খাওয়ানোর জন্য খাদ্য তৈরি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আসুন আজ জেনে নেই পাঙাশ মাছের খাদ্য তৈরির প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো সম্পর্কে জেনে নেই-

পাঙাশ মাছের খাদ্যকে পিলেট করে খাওয়ানো সবচেয়ে ভাল হয়। নিচে পাঙাশ মাছকে পিলেট খাদ্য তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো দেওয়া হল-

পাঙাশ মাছকে খাদ্য খাওয়ানোর জন্য ১ টন হিসেবে নিচে উপাদানগুলো দেওয়া হল :

শুটকি অথবা ফিশমিল ১৫০ কেজি (৫০%=৭৫)
ডিওআরবি ১০০ কেজি (১৮%=১৮)

সোয়া মিল ২০০ কেজি (৪৪%=৮৮)
রাইস ব্রান ২০০ কেজি (১৪%=২৮)
এংকর ডাল ১২৫ কেজি (৩৬%=৪৫)

রেপসিড ১২৫ কেজি (৩৬%=৪৫)
লবণ ও ভিটামিন প্রিমিক্সআটা
আটা ১০০ কেজি (১০%=১০)

এই খাদ্য উপাদানের সাথে চিটাগুড়ও দেওয়া যেতে পারে। উপরোক্ত উপায়ে পিলেট খাদ্য উপাদানগুলো নিয়ে পাঙাশ মাছকে পিলেট খাদ্য তৈরি করে খাওয়াতে হবে। উপরে উল্লেখিত খাদ্য উপাদানগুলোকে পিলেট বানিয়ে নিয়ে তারপর পাঙাশ মাছকে খাদ্য হিসেবে দেওয়া হলে পাঙাশ মাছ খুব দ্রুত শারীরিকভাবে বৃদ্ধি পাবে। এই খাদ্য প্রদানের ফলে পাঙাশ মাছের প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদা পূরণ হবে। এই উপাদানগুলো দিয়ে মাছের খাদ্য তৈরি করলে পাঙাশ মাছের চাষ করে সহজেই লাভবান হওয়া যায়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৩, ২০২৩ ১১:৫৩ পূর্বাহ্ন
চীন কেন মাছ চাষে প্রথম? তারা কি করে, যা আমরা করিনা?
মৎস্য

চীনে মাছের রোগ নিয়ন্ত্রণের নীতি হল Profylaxis: Prevention is Better then Treatment “চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম”। তারা মানে রোগ নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি হলো প্রতিরোধ।
পক্ষান্তরে আমরা বাংলাদেশে কি করি! যখন কোনো ডিজিজ ব্যাপকভাবে প্রকাশ পায় তখন আমরা ট্রিটমেন্ট শুরু করি।
এতে আমাদের খামারিদের খরচ অনেক বেশি হয়, কিছু মাছে মর্টালিটি আছে, খাবার অপচয় হয়, টক্সিক গ্যাস সৃষ্টি হয়, মাছের ওজন কমে যায়। তাহলে যদি আমরা চীনাদের মতো নিয়মিত প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা গ্রহন করতাম তাহলে কিন্তু উপরোক্ত ক্ষতি গুলোর সম্মুখীন হতে হতো না।

সংক্রামক রোগ সাধারণত মাছের টিস্যু এবং বিভিন্ন অঙ্গ (ত্বক, ফুলকা, অন্ত্র বা মলত্যাগের অঙ্গ) মাধ্যমে মাছকে আক্রমণ করে। তবে ত্বকের গঠন এবং মাছের শ্লেষ্মা ঝিল্লি সংক্রামক অণুজীবের প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করে। পাচনতন্ত্রের প্রবেশকারী প্যাথোজেনিক জীবাণুগুলি মাছের অন্ত্রে থাকা প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক দ্বারা নিধন হয়ে থাকে ।মাছের রক্তকণিকা, লিম্ফয়েড টিস্যু, প্লীহা, লিভার এবং রক্তনালীর রেটিকুলো এন্ডোথেলিয়াল কোষগুলি প্যাথোজেনিক অণুজীবকে নির্মূল করতে পারে। এছাড়াও, মাছের রক্তে ব্যাকটেরিসিডিন থাকে, যা প্যাথোজেনিক ব্যাকটেরিয়ার জন্য বিষাক্ত। কিন্তু শীতকালে পানি ঠান্ডা এবং সূর্যের আলো কম থাকায় মাছের এই প্রাকৃতিক ডিফেন্স ক্ষমতা অনেকাংশে কমে যায়।

জলাশয়ে মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণী দুই ভাবে সংক্রমিত হয় – ১) প্রাইমারি ইনফেকশন এবং ২) সেকেন্ডারি ইনফেকশন।

১) প্রাইমারি বা প্রাথমিক সংক্রমণ মাছের ইমিউনিটি ভেদে পুকুরের মধ্যেই তৈরি হয়। জীবাণু মাছকে সরাসরি অথবা “স্বাস্থ্যকর” মাছ রোগের বাহক হিসেবে কাজে লাগিয়ে অন্যান্য দুর্বল মাছ কে আক্রান্ত করে। কারণ একটি স্বাস্থ্যকর মাছ দুর্বল মাছ এর চেয়ে বেশি যায়গায় সাতার কাটে ফলে রোগ জীবাণু সর্বত্র পৌঁছাতে পারে।

২) সেকেন্ডারি ইনফেকশন বা গৌণ সংক্রমণ পুকুরের বাইরে থেকে প্রবেশ করে। যেমন, একটি রোগমুক্ত পুকুরে একটি রোগাক্রান্ত পুকুরের রোগাক্রান্ত বা দূষিত পলি মাটি, পানি, ব্যবহৃত জাল বা অন্যান্য মাছ ধরা সরঞ্জাম, বিভিন্ন মাছ খেকো পাখি দ্বারা রোগের আক্রমণ ঘটে।
চীনারা এক পুকুরে ব্যবহৃত সরঞ্জাম অন্য পুকুরে ব্যবহার করে না, এমনকি এক এক পুকুরের জন্য আলাদা আলাদা শ্রমিক নিয়োজিত করে। মুলত তারা বায়ো সিকিউরিটি শতভাগ মেনে চলে।

চীনারা, তাদের জলাশয়ে মাছের পোনা ছাড়ার পুর্বে হ্যাচারী থেকে আনা পোনা গুলো কে মৃদু জীবানুনাষক দিয়ে পরিশোধন করে তারপর কালচার পুকুরে অবমুক্ত করে। আমাদের দেশে কয়জন খামারি এটা করে !

চীনারা তাদের পুকুরে খাদ্য প্রয়োগ এর নিয়মিত জায়গায় কাপরের পোটলা বা টিস্যু ব্যাগে বিভিন্ন জীবানুনাষক (ব্লিচিং পাউডার/ পাউডার জীবানুনাষক) বেধে রাখে। ফলে মাছ যখন খাদ্য খেতে আসে তখন কাপরের পোটলা থেকে নিসৃত জীবানুনাষক এর সংস্পর্শে এসে মাছ জীবানু মুক্ত হয়।
আমাদের দেশে কেউ কি এটা মেইনটেইন করে !

চীনারা তাদের পুকুরে জৈব সার প্রয়োগ এর সময় প্রতি ৫০০ কেজি জৈব উপাদানের সাথে ১৫০ গ্রাম করে ব্লিচিং পাউডার মিশিয়ে নিয়ে তারপর প্রয়োগ করে। কারণ এই জৈব উপাদান গুলোতে বিভিন্ন রোগজীবাণু থাকতে পারে। আমাদের দেশে কি এটা করা হয় !

চীনারা শীতের পুর্বে তাদের পুকুরের মাছের ইমিউনিটি বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন হারবাল ইমিউনিটি বিল্ডার প্রয়োগ করে, যেমন: ২ কেজি রসুন এর পেস্ট প্রতি ৫০০ কেজি ফিডের সাথে মিসিয়ে পর পর ৬ দিন একটানা খাওয়ায়। এছাড়াও প্রতি ৫ কেজি ফিডের সাথে ৪০ গ্রাম করে লবণ ৬ দিন একটানা খাওয়ায়। ফলে মাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আমাদের দেশের কয়জন খামারি এটা করে !

এই সামান্য কয়েকটা পদ্ধতি যদি আমরা মেনে মাছ চাষ করি তাহলে মাছ চাষের বিপ্লব সময়ের ব্যাপার মাত্র।

 

লেখক
মাৎস্যবিদ মো: রাশেদুজ্জামান দিপু
দপ্তর সম্পাদক, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি
বাংলাদেশ ফিশারিজ এক্সিকিউটিভ এসোসিয়েশন।
ন্যাশনাল সেলস ম্যানেজার
এভানকো বাংলাদেশ লিমিটেড

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১, ২০২৩ ২:৫৩ অপরাহ্ন
সমুদ্রকেন্দ্রিক অর্থনীতির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর
মৎস্য

উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বর্তমান সরকার সমুদ্রকেন্দ্রিক অর্থনীতির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বদ্ধপরিকর বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বুধবার (০১ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রামে মেরিন ফিশারিজ একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে একাডেমির ৪২তম ব্যাচের ক্যাডেটদের পাসিং আউট প্যারেড ২০২৩ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, সমুদ্রসম্পদের গুরুত্ব উপলব্ধি করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে মেরিন ফিশারিজ একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি ১৯৭৪ সালে টেরিটোরিয়াল ওয়াটার্স অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট প্রণয়ন করেছিলেন। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কূটনৈতিক দূরদর্শিতা ও দৃঢ় ভূমিকায় ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৮ শত ১৩ বর্গকিলোমিটার সামুদ্রিক জলসীমায় আমাদের সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। যার ফলে সমুদ্রকেন্দ্রিক অর্থনীতির নতুন দিগন্ত উন্মোচন হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সমুদ্রের মৎস্যসম্পদ অনুসন্ধান, সংরক্ষণ ও টেকসই আহরণের লক্ষ্যে নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এ মন্ত্রণালয় থেকে প্রণয়ন করা হয়েছে সামুদ্রিক মৎস্য আইন, ২০২০, সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ নীতিমালা, ২০২২ এবং সামুদ্রিক মৎস্য বিধিমালা, ২০২৩। সমুদ্রে অবৈধ, অনুল্লিখিত ও অনিয়ন্ত্রিত মৎস্য আহরণ বন্ধে ন্যাশনাল প্ল্যান অব অ্যাকশন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মেরিন ফিশারিজ একাডেমির মাধ্যমে সমুদ্রসম্পদ অনুসন্ধান, আহরণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং টেকসই সংরক্ষণ ও ব্যবহারের বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা হচ্ছে। এ দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনশক্তি সমুদ্রসম্পদ আহরণের মাধ্যমে সুনীল অর্থনীতির বিকাশে কার্যকর ভূমিকা রাখছে।

ক্যাডেটদের উদ্দেশে এ সময় মন্ত্রী বলেন, অন্ধকার ভেদ করে আলোকবর্তিকা হাতে নিয়ে ক্যাডেটদের এগিয়ে যেতে হবে। দেশপ্রেম, দৃঢ় আত্মবিশ্বাস, অধ্যাবসায়, সুচিন্তিত লক্ষ্য এবং পরিশ্রম কখনো বৃথা যায় না। দেশে ও দেশের বাইরে মেরিন ফিশারিজ একাডেমির ক্যাডেটরা হবে আমাদের অ্যাম্বাসেডর। বিদেশের জাহাজে আমাদের যে ক্যাডেট কাজ করবে সে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করবে। ক্যাডেটদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, নৈপুণ্য, মেধা ও যোগ্যতা দেশপ্রেম ও কর্তব্যনিষ্ঠার মাধ্যমে সম্প্রসারণ করতে হবে, দেশের প্রয়োজনে কাজে লাগাতে হবে। নৈতিকতা, দেশপ্রেম ও মূল্যবোধ থেকে কখনো বিস্মৃত হওয়া যাবে না।

তিনি আরও যোগ করেন, মেরিন ফিশারিজ একাডেমির নারী ক্যাডেটরাও তাদের দক্ষতা ও নৈপুণ্যে কর্মক্ষেত্রে দেখাতে সক্ষম হচ্ছেন। এর পাশাপাশি দেশের সবক্ষেত্রেই নারীরা তাদের দক্ষতা ও যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব নৃপেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল ও মো. আবদুল কাইয়ূম, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, মেরিন ফিশারিজ একাডেমির অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ হাসান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, মৎস্য অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, মার্কেন্টাইল মেরিন ডিপার্টমেন্ট, সরকারি শিপিং দপ্তরসহ অন্যান্য মেরিটাইম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ পাসিং আউট প্যারেডে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এ বছর একাডেমির ৪২তম ব্যাচে নটিক্যাল বিভাগে ৬০ জন, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৫৯ জন এবং মেরিন ফিশারিজ বিভাগে ১৯ জন ক্যাডেটসহ সর্বমোট ১৩৮ জন ক্যাডেট পাসড আউট হন। এ বছর ৪২তম ব্যাচের ক্যাডেটদের মধ্যে সকল বিষয়ে সর্বোচ্চ মান অর্জনকারী ক্যাডেট হিসেবে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ক্যাডেট এইচ এম আবরার অয়ন বেস্ট অল রাউন্ডার গোল্ড মেডেল প্রাপ্ত হন। তিন বিভাগের সর্বোচ্চ মান অর্জনকারী ক্যাডেট হিসেবে নটিক্যাল সায়েন্স বিভাগ হতে ক্যাডেট এস এম মারুফ হোসেন নাবিল, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ হতে ক্যাডেট মো. আল রিফাত এবং মেরিন ফিশারিজ বিভাগ হতে ক্যাডেট মোহাম্মদ সাজিদ হোসেন বেস্ট ইন প্রফেশনাল ট্রেনিং সিলভার মেডেল পদক প্রাপ্ত হন। এছাড়াও মহিলা ক্যাডেটদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মহিলা ক্যাডেট হিসেবে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ক্যাডেট সুরাইয়া আক্তার বেস্ট ফিমেইল ইন প্রফেশনাল ট্রেনিং সিলভার মেডেল পদক প্রাপ্ত হয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী সাফল্যের স্বীকৃতি পুরস্কার হিসেবে ক্যাডেটদের মধ্যে পদক বিতরণ করেন।

এদিন দুপুরে একাডেমির পাসড আউট হওয়া ১৩৮ জন ক্যাডেটের হাতে সনদপত্র তুলে দেন মন্ত্রী।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২০, ২০২৩ ১১:৪৫ অপরাহ্ন
মৎস্য অধিদপ্তরে শেকৃবি-তে উদ্ভাবিত কৌটাজাতকৃত ইলিশ ও টুনা মাছের প্যানেল টেস্ট অনুষ্ঠিত
মৎস্য

গত ১৯ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ ঢাকার রমনায় অবস্থিত মৎস্য ভবনের সম্মেলন কক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট (এস.সি.এম.এফ.পি) এর আওতায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কাজী আহসান হাবীব এর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত গবেষণায় উদ্ভাবিত কৌটাজাতকৃত রেডি-টু-ইট ইলিশ ও টুনা মাছের প্যানেল টেস্ট অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের মাননীয় মহাপরিচালক জনাব খঃ মাহবুবুল হক, বিশেষ অতিথি ছিলেন এস.সি.এম.এফ.পি প্রকল্পের পরিচালক মোঃ জিয়া হায়দার চৌধুরী এবং সে সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

 

প্যানেল টেস্ট অনুষ্ঠানে শেকৃবি-তে ইলিশ ও টুনা ক্যানিং গবেষনার বর্তমান অবস্থা, সাফল্য, ও ভবিষ্যত নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ইলিশ ও অন্যান্য মাছের ক্যানিং এর জন্য বিভিন্ন বক্তব্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগ্রহ ও নির্দেশনার কথা বলেন। এরই ধারাবাহিকতায় মৎস্য অধিদপ্তরের এস.সি.এম.এফ.পি প্রকল্পের আওতায় এই গবেষণায় সহায়তার উদ্যোগের কথা বলেন এবং গবেষণার বর্তমান পর্যায়ের সফলতার প্রশংসা করেন। শেকৃবি এর গবেষণাগারে স্বল্প পরিসরে উদ্ভাবিত এই কৌটাজাতকৃত ইলিশ কিভাবে মৎস্য অধিদপ্তরের সহযোগিতায় মাঝারি উদ্যোক্তা ও ইন্ডাস্ট্রি পর্যায়ে উৎপাদন করে বাজারে নিয়ে আসা যায় ও বিদেশে রপ্তানির সুযোগ তৈরি করা যায়, এ বিষয়ে কাজ করতে প্রকল্পকে নির্দেশনা প্রদান করেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে ইলিশ ক্যানিং এর এই চলমান গবেষণায় কৌটাজাতকৃত ইলিশের নিরাপদ খাদ্যমান বজায় রাখা ও এর উৎকর্ষতা সাধনে আরো কিছু সুপারিশ আসে। প্যানেল টেস্ট অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল কর্মকর্তাবৃন্দ কৌটাজাতকৃত ইলিশ ও টুনা মাছ উপভোগ করেন ও তাদের মতামত প্রদান করেন। এখন পর্যন্ত গবেষণায় উৎপাদিত কৌটাজাতকৃত ইলিশের গুনাগুন ও খাদ্যমানের স্থায়িত্ব (শেল্ফ লাইফ) পরীক্ষণের ছয় মাসের ফলাফল হাতেপাওয়া গিয়েছে যেখানে এরখাদ্যমান অটুট থাকছে। এই শেল্ফ লাইফ এক বছর পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার জন্য গবেষণা চলমান রয়েছে। প্রকল্পের উদ্দেশ্য সফল হলেদেশেই রপ্তানিযোগ্য গুনাগুন সম্পন্ন কৌটাজাতকৃত ইলিশ ও টুনা উৎপাদন সম্ভব হবে। সে সাথে উদ্যোক্তা ও  ইন্ডাস্ট্রিয়াল পর্যায়ে উৎপাদনের মাধ্যমে ভোক্তার হাতে পৌঁছানো সম্ভব হবে ওদেশের সুনীল অর্থনীতিতেও অবদান রাখবে বলে মতামত প্রদান করেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত মৎস্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ।

 

অনুষ্ঠানের সভাপতি ও প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. কাজী আহসান হাবীব বলেন এই গবেষণায় প্রাপ্ত পদ্ধতি ব্যবহার করে শুধু ইলিশ ও টুনা নয়, অন্য যেকোনো সামুদ্রিক বা স্বাদু পানির মাছ কৌটাজাতকরণ সম্ভব হবে এবং উদ্যোক্তা তৈরি ও বিদেশে রপ্তানির সুযোগ তৈরি হবে।এই গবেষণায় অর্থায়নের জন্য তিনি মৎস্য অধিদপ্তরকে ধন্যবাদ প্রদান করেন এবং সেসাথে বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন শেকৃবি এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া এর প্রতি যিনি এই গুরুত্বপূর্ণ সম্ভাবনাময় এই গবেষনাটি পরিচালনায় একটি বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপনে জায়গা প্রদান করেন ও নিয়মিত খোঁজ খবর নেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২০, ২০২৩ ১১:১৮ অপরাহ্ন
মনোসেক্স তেলাপিয়ার চাষ পদ্ধতি
মৎস্য

মনোসেক্স তেলাপিয়া হলো পুরুষ তেলাপিয়া মাছের চাষ। তেলাপিয়া চাষের বড় সমস্যা হলো এর অনিয়ন্ত্রিত বংশবিস্তার। এই ধরণের অনিয়ন্ত্রিত বংশবিস্তারের কারণে পুকুরে বিভিন্ন সাইজের তেলাপিয়া মাছ দেখা যায়। যার কারণে আশানুরূপ ফলন পাওয়া যায় না। প্রাকৃতিকভাবেই পুরুষ তেলাপিয়া মাছের দৈহিক বৃদ্ধি বেশি। এই ধারনাকেই কাজে লাগিয়ে শুধুমাত্র পুরুষ তেলাপিয়া চাষকেই মনোসেক্স তেলাপিয়া চাষ বলা হয়।

বাংলাদেশের আবহাওয়া ও প্রকৃতি মনোসেক্স তেলাপিয়া চাষের জন্য খুবই উপযোগী। সমপূরক খাদ্য গ্রহণে অভ্যস্ততা, চাষে কম সময়, দ্রুত বেড়ে ওঠার ক্ষমতা এবং বাজার মূল্য বেশি থাকায় বর্তমানে অধিকাংশ মৎস্য চাষি মনোসেক্স তেলাপিয়া চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।

মনোসেক্স তেলাপিয়ার বৈশিষ্ট্যঃ
এই মাছ দ্রুত বর্ধনশীল ও অধিক ফলনশীল।
এ মাছ ৩-৪ মাসে বয়সেই বিক্রয়যোগ্য হয়ে ওঠে।
এটি ৫-৮ মাসে ৫০০-৮০০ গ্রাম হয়ে থাকে।
পাখনার বর্ণ কিছুটা লালচে, আকার অনেকটা গোলাকার, ও পুরুত্ব বেশি হওয়ায় বাজার মূল্য বেশি পাওয়া যায়।
সাধারণত পুরুষ তেলাপিয়ার বৃদ্ধির হার স্ত্রী তেলাপিয়ার চেয়ে ৩০ ভাগ বেশি।
অগভীর জলাশয়, স্বচ্ছ এবং লবনাক্ত পানিতেও এই মাছ চাষ করা যায়।
এটি অধিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন মাছ।
চাষ ব্যবস্থাপনা সহজ ও লাভের পরিমান বেশি।

 

পুকুর প্রস্তুতিঃ

পুকুরের আয়তন সাধারণত ৩০-৪০ শতাংশ হতে হবে।
পুকুর শুকিয়ে রাক্ষুসে মাছ ও মাংসাশী প্রাণি ধ্বংস করতে হবে। অথবা, প্রতি শতাংশে ৪০-৫০ গ্রাম ‘রোটেনন’ প্রয়োগ করে অবাঞ্ছিত প্রাণী দূর করতে হবে।
পুকুরের পানির গুনাগুণ পোনা চাষের উপযোগী করার জন্য প্রতি শতাংশে ১ কেজি হারে চুন প্রয়োগ করতে হবে।
চুন প্রয়োগের ৩-৪ দিন পরে প্রতি শতাংশে ৮-১০ কেজি গোবর সার অথবা ১০০ গ্রাম ইউরিয়া ও ৫০ গ্রাম টিএসপি প্রয়োগ করতে হবে।
পোনা মজুদের পূর্বে নার্সারি পুকুরের চারপাশে নাইলন/ফিল্টার নেটের বেড়া দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
সার প্রয়োগের ১ সপ্তাহের মধ্যে পুকুরে মনোসেক্স তেলাপিয়ার পোনা মজুদের ব্যবস্থা করতে হবে।

পোনা মজুদ ও খাদ্য ব্যবস্থাপনাঃ

পুকুর প্রস্তুতির পর প্রতি শতাংশে ১৫-২০ গ্রাম ওজনের সুস্থ সবল ২০০-২৫০ টি পোনা মজুদ করতে হবে।
পোনা মজুদের পর, প্রতিদিন ২৫-৩০% প্রোটিন সমৃদ্ধ সম্পূরক খাদ্য পুকুরে মজুদ করতে হবে। এটি মাছের মোট দেহ ওজনের ৩-১০% হারে প্রয়োগ করতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ৫, ২০২৩ ১১:১০ পূর্বাহ্ন
পুকুরে মাছ চাষের জন্য জৈব সার তৈরি করবেন যেভাবে
মৎস্য

খাদ্যের পাশাপাশি সারের খরচও চাষীদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় তাদের চাষের প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠ ভাবে চালিয়ে নিয়ে যেতে। কিন্তু তা অনেকটাই নিরাময় হয় যদি তারা তাদের চাষের পুকুরে ব্যবহার করে কিছু জৈব ও অজৈব সার।

এই সার মূলত পরিগণিত হয় সেই সমস্ত পূর্ব আলোচিত প্রাকৃতিক খাদ্যকনার খাদ্য দ্রব্য হিসাবে। তবে সার প্রয়োগের ক্ষেত্রে নীতি হওয়া উচিত – ‘কম মাত্রায় কিন্তু বেশি বার’ – এটা মেনে চলতে পারলে ভয় কম থাকবে।

এছাড়াও, বাধ্যতামুলক মাসে এক বার চুনের প্রয়োগ। আনুমানিক এক কাঠা পিছু এক কেজি – যা পরবর্তীতে একবার মেপে নিলে ভালো, পানির ‘pH’ যাচাই করে। যেহেতু পুকুরের পানি ও মাটির গুনাগুন, মূলত ‘pH’, মাছের বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে, ফলে, অন্তত ১৫ দিনে একবার পানির ‘ph’ দেখে নেওয়া অতি অবশ্যই প্রয়োজন।

জৈব সার তৈরি করার জন্য যে উপকরণগুলির প্রয়োজন হয় সেগুলি হল – গরুর গোবর, গোমূত্র, ঘরে রান্নার সবজির খোসা, চাল-ডাল ধোয়া পানি, সামান্য খোল ইত্যাদি বা কোনো সময় কুচো মাছ বা তাদের থেকে নির্গত বর্জ ইত্যাদি।

তবে, এদের মধ্যে, এই গোবর সারই আমাদের পশ্চিমবঙ্গের গ্রাম-বাংলায় বহুল প্রচলিত। এই সারটি তৈরি করতেও বিশেষ তেমন খরচ নেই, শুধু রয়েছে একটি খুবই ছোট পুকুর বা পিট তৈরির পরিশ্রম।

এই পিটটির কিছুটা অংশ কাচা গোবর, কিছুটা পরিমাণ পানি এবং চাইলে সেই কুচো মাছ বা তাদের থেকে নির্গত বর্জগুলি দিয়ে ভরিয়ে দিয়ে খেয়াল রাখতে হবে যেন সেই যৌগটি তার অক্সিডেশন বা ফারমেণ্টেশানের (পচন) জন্যে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায়। এই পচন প্রক্রিয়ার ইতি হলেই গোবর সারের প্রস্তুত প্রণালী শেষ। এছাড়া জৈব জুসের মধ্যমেও অনুরূপ ফল পাওয়া যায়।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop