৪:৫২ পূর্বাহ্ন

বুধবার, ২৪ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুলাই ২৯, ২০২৩ ১:৪৫ অপরাহ্ন
ল্যাবের সহগবেষকদের সাথে হাওর ভ্রমণ
ট্যুরিজম

ছালেহা খাতুন রিপ্তা, নিজস্ব প্রতিনেদকঃ চারিদিকে যতদূর চোখ যায় বিস্তীর্ণ জলরাশি। খোলা আকাশের নিচে স্বচ্ছ পানিতে রোদের খেলা সেই সাথে মলয় বাতাস এ যেন রূপসী বাংলার চিরচেনা আবহ। জীববৈচিত্র্যে ভরপুর অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি কিশোরগঞ্জের নিকলী হাওর। বর্ষাকালে ২১৪ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই উপজেলার বেশিরভাগই পানিতে নিমজ্জিত থাকে। ভরা মৌসুমে এ হাওড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পাড়ি জমায় হাজার হাজার দর্শনার্থী।

নিকলী হাওর, কিশোরগঞ্জ
নিকলী হাওর, কিশোরগঞ্জ

গতকাল শুক্রবার কিশোরগঞ্জের নিকলী হাওর ভ্রমণ করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের একদল শিক্ষার্থী। মাস্টার্স এবং পিএইচডি শিক্ষার্থীদের সাথে উক্ত বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো: রফিকুল ইসলামের সপরিবারে উপস্থিতি এই ভ্রমণকে আরও প্রাণবন্ত করে৷

সপরিবারে অধ্যাপক ড. মো: রফিকুল ইসলাম
সপরিবারে অধ্যাপক ড. মো: রফিকুল ইসলাম

সেসময় শিক্ষার্থীরা হাওর অঞ্চলের পানি এবং উক্ত এলাকার মাটির গুণাগুণ পর্যবেক্ষণ, বোর ধানের ফলন সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ এবং হাওর অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা সরাসরি অবলোকনের সুযোগ লাভ করে।

সকাল ৭:৩০ টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গন থেকে সফর শুরু করে গবেষকদল। পথিমধ্যে গাইটাল বাজারে সকালের নাস্তা শেষে আবার শুরু হয় যাত্রা। সকাল ১১:৩০ টায় নিকলী বেড়িবাঁধ থেকে ইঞ্জিন চালিত বোটে শুরু হয় হাওরভ্রমণ। চারিদিকে অথৈ জলরাশি, মাঝিদের মাছ ধরার দৃশ্য, হাওরের মাঝে জেগে ওঠা চরে ছোট ছোট গ্রাম, জলাবন ইত্যাদি দেখতে দেখতে প্রকৃতির মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলা। মিঠামইন পৌঁছে নামাজের বিরতি শেষে হাওরের বুক চিরে গড়ে তোলা মিঠামইন – অষ্টগ্রাম সড়কে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে পরিদর্শন করা হয় বাংলাদেশের সাবেক মহামান্য রাষ্ট্রপতি জনাব মো: আব্দুল হামিদের বসত ভিটা। পাশেই অবস্থিত হাওর রেস্টুরেন্টে নিকলী হাওরের সুস্বাদু মাছ দিয়ে দুপুরের ভূরিভোজ শেষে পড়ন্ত বিকেলে হাওরের সোনালী সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে বাড়িফেরা। সবমিলিয়ে মনমুগ্ধকর অভিজ্ঞতা।

বাকৃবির মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের গবেষকদল
বাকৃবির মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের গবেষকদল

উল্লেখ্য যে, প্রফেসর ড. মো: রফিকুল ইসলাম মুখ্য গবেষক হিসাবে জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (Jica)’র সাথে সমন্বিতভাবে আর্সেনিকসহ অন্যান্য ভারী ধাতু প্রতিরোধী ধানের যাত উন্নয়ন এবং পরিকল্পিত সেচের পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ধানের উচ্চ ফলন নিশ্চিত করনের উপর বিশদ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। গবেষণার ফাঁকে এহেন বিনোদনের ব্যবস্থা গবেষকদের কাজের উদ্দীপনাকে বহুগুণে বৃদ্ধি করে বলে তিনি মনে করেন।

আরও পড়ুন, বাকৃবি’র গবেষণা অগ্রগতি শীর্ষক বার্ষিক কর্মশালা শুরু

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২ ১২:৩৪ অপরাহ্ন
যেসব কারণে মুরগি খাবার কম খায়
ট্যুরিজম

মুরগি পালন একটি লাভজনক পেশা হলেও এর পালনে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেয়। এর মধ্যে মুরগি খাবার খেতে না চাওয়া একটি বড় সমস্যা।

বিভিন্ন কারণে মুরগি কম খাবার খায়। আবহাওয়া পরিবর্তন হলে মুরগি খাবার কম খায়। যেমন শীতকালের শেষে গরম পড়তে শরু করলে। মুরগির ধকল হলে খাবার কম খায়। যেমন মুরগির ঠোঁট কাটা হলে ব্যাথাজনিত কারণে এবং ভয় পাওয়ার কারণে খাবার কম গ্রহণ করে।

অন্যদিকে হটাৎ খাদ্য পরিবর্তন করলে। হটাৎ প্রি স্টাটার খাদ্য থেকে স্টাটার কিংবা স্টাটার থেকে গ্রোয়ার খাদ্য দিলে খাবার কম খায়। মুরগি অসুস্থ হলে খাবার কম গ্রহণ করে। অসুস্থ মুরগি ঝিমায়, মুখ থেকে লালা ঝরে ও মাথা নিচের দিকে দিয়ে ঠোঁঠ মাটিতে লাগিয়ে দেয়। এক্ষেত্রে খাবার কম খাওয়া স্বাভাবিক।

খাদ্যের সঙ্গে কোনো কিছু মেশালে খাবার কম খায়। ঝিঁনুকের গুঁড়া মিশিয়ে দিলে মুরগি খাবার কম খেতে পারে। এছাড়া অন্যান্য খাদ্য উপাদনের সংযুক্তিতে মুরগি খাবার কম খায়। খাদ্যের পাত্র উঁচুতে হলে খাবার খেতে পারে না। অপ্রচলিত পাত্রে খাবার দিলে মুরগি খাবার কম খায়। তাছাড়া শরীরে ভিটামিন মিনারেলের অভাব দেখা দিলে মুরগি কম খাবার খায়।

মুরগি কম খাবার খেলে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। ঋতু পরিবর্তনের আগেই খামারের পরিচর্যা নিতে হবে। শীতকালে খামার ঘিরে দেওয়া থাকলে তা তাপমাত্রা বুঝে আস্তে আস্তে সরাতে হবে। যেন মুরগির উপর তাপমাত্রার প্রভাব না পড়ে।

ধকল জনিত কারণে খাবার কম খেয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। কয়েকদিন পর এমনিতেই খাবার খাবে। খাদ্য পরিবর্তনের জন্য স্বাভাবিক খাওয়া কমে যেতে পারে। মুরগির খাবার কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রেজিস্টার্ড ডাক্তার কিংবা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। সঠিক উচ্চতায় খাবারের পাত্র দিতে হবে। যাতে মুরগি ভালোভাবে খাবার খেতে পারে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১২, ২০২১ ১১:৩৬ অপরাহ্ন
কৃষির সম্বৃদ্ধি যেখানে আকাশ চুম্বি…
ট্যুরিজম

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনোলোজি ডিসিপ্লিনের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা আজ (১৬ নভেম্বর, ২০২১) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কার্যাবলি ও সবজি চাষ সরেজমিনে দেখার উদ্দেশ্যে সেশনাল ট্যুরে গমন করে। তাদের যাত্রায় অভিভাবক হিসেবে ছিলেন এগ্রোটেকনলোজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মোঃ ইয়ামিন কবির এবং প্রফেসর ড. মো মতিউল ইসলাম। বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গন থেকে সকাল ৯ঃ৩০ এ যাত্রা শুরু হয়। খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলা কমপ্লেক্সে পৌছানোর পর উপজেলা কমপ্লেক্সের অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ মোসাদ্দেক হোসেন (২৮তম বিসিএস) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদধারী কর্মকর্তার কার্যাবলি ছাত্রছাত্রীদের সামনে বিশদভাবে তুলে ধরেন।

উপজেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর সম্পর্কে সম্যক ধারণা প্রদানের পর কৃষিবিদ মোঃ মোসাদ্দেক হোসেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের “টিপনা শেখপাড়া কৃষকদের বীজ সংরক্ষণ ও বিক্রয়কেন্দ্রে” নিয়ে যান। সেখানে শেখ মোঃ মনজুর রহমান শিক্ষার্থীদের তাদের বীজ সংরক্ষণাগারের সব যন্ত্রপাতি এবং সেসবের ব্যবহারবিধি সম্পর্কে আলোকপাত করেন। তিনি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ মোসাদ্দেক হোসেনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং কথার এক পর্যায়ে বলেন ” মাস্টার্স পাস করার পর চাকরি না পাওয়ায় আমি হতাশ ছিলাম। কৃষিকর্মকর্তা স্যার আমাকে অনুপ্রাণিত করেন এবং এখন আমি একজন সফল কৃষক এবং ব্যবসায়ী। আমি এখন মোটরসাইকেলে চড়ি, পাঁচ বছর পর আমি প্যাজেরুতে চড়বো ইনশাআল্লাহ।”

হাস্যোজ্জ্বল কৃষক

এরপর ছাত্রছাত্রীরা সরেজমিনে সবজি চাষ দেখার জন্য কৃষকদের সবজি খেতে গমন করে। সেখানে তারা সীম, টমেটো, বাঁধাকপি, ফুলকপি, লালশাক, পটোল সহ আরো নানা জাতের সবজি চাষ প্রত্যক্ষ করে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০২১ ১২:১২ পূর্বাহ্ন
মানিকগঞ্জে গাজর চাষে বাম্পার ফলন
এগ্রিবিজনেস

চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও জমি চাষের উপযোগী হওয়ায় গাজর চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন মানিকগঞ্জের গাজর চাষিরা। এছাড়া বাজারে পাচ্ছেন গাজরের ভালো দাম।

উপজেলার কৃষি অফিসের তথ্যমতে, এবারের মৌসুমে জেলায় ১ হাজার ৫৫ হেক্টর জমিতে গাজরের চাষ করেছেন চাষিরা। মাটি ও জলবায়ু গাজর চাষের উপযোগী হওয়ায় ফলন ভালো পেয়েছেন কৃষকরা। কৃষি অফিস থেকে চাষিদের সকল ধরণের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

উপজেলার কৃষি অফিসার টিপু সুলতান বলেন, লাভজনক হওয়ায় এ উপজেলার কৃষকরা গাজর চাষে ঝুঁকছেন। আমাদের মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা চাষিদের সকল ধরণের সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।

কৃষক আবুল কালাম বলেন, একই জমিতে অন্য সবজির জায়গায় গাজর চাষ করে বেশি লাভবান হওয়া যায়। এই এলাকার মাটি ও আবহাওয়া গাজর চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এবারও ফলন ভালো হওয়ায় পাশাপাশি দামও ভালো পেয়েছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০২১ ১২:১১ পূর্বাহ্ন
মাছের উৎপাদন বাড়াতে চালু করা হয়েছে ‘ফিশটেক ল্যাবরেটরি’
এগ্রিবিজনেস

মাছ চাষিদের জন্য সুখবর। এবার মাছ ও চিংড়ির রোগ রোগ নির্ণয়ের মাধ্যমে চাষিদের পরামর্শ সেবা দেয়া ও গবেষণার জন্য চালু হয়েছে অ্যাকোয়াটেক অ্যানিমেল হেলথ ল্যাবরেটরি। যার নাম দেয়া হয়েছে ফিশটেক ল্যাবরেটরি। নতুন এ গবেষণাগারটি মৎস্য খাতের সমস্যা সমাধান ও উৎপাদন বাড়াতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) খুলনায় এ ল্যাবরেটরির উদ্বোধন করা হয়। ওয়ার্ল্ড ফিশ বাংলাদেশ ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ফিশটেক (বিডি) লিমিটেডের যৌথ অংশীদারিত্বের এই গবেষণাগারে অর্থায়ন করছে মার্কিন সহায়তা সংস্থা ইউএসএইড বলে জানা যায়।

জানা যায়, এর মাধ্যমে মাছ ও চিংড়ির রোগ নির্ণয়, সংশ্লিষ্ট খামারের মাটি-পানি পরীক্ষা, পুকুরের সঠিক সমস্যা নির্ণয়সহ নির্দিষ্ট খরচে বিভিন্ন সেবা নিতে পারবেন মাছ চাষিরা।

ওয়ার্ল্ড ফিস জানায়, ২০১৭-১৮ সালে খুলনা জেলায় মাছ উৎপাদন হয়েছে ৬ লাখ ৮১ হাজার ২৭৪ টন। মাছ ও চিংড়ির বিভিন্ন রোগের মারাত্মক প্রাদুর্ভাবের কারণে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দিনদিন মাছ বিশেষ করে চিংড়ি চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। ফলে দেশের রফতানি আয় কমেছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০২১ ১২:১০ পূর্বাহ্ন
মৌলভীবাজারে বেড়েছে ছাগল কমেছে গরু
এগ্রিবিজনেস

মৌলভীবাজারে গরুর সংখ্যা না বাড়লেও বেড়েছে ছাগল ভেড়া ও মুরগির সংখ্যা। কর্মকর্তাদের মতে, গরুর কোয়ান্টিটি না বাড়লেও কোয়ালিটি বেড়েছে। ছাগলের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩৫ হাজার।

জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, মৌলভীবাজারে ২০১৯ সালে মোট গরু ছিল পাঁচ লাখ ৬০ হাজার ৪৩৫টি, ছাগল ছিল এক লাখ ৮১ হাজার ৭৬০, ভেড়ার সংখ্যা ছিল ১৯ হাজার ৮৯৬ ও ২৫ লাখ ৫৫ হাজার ১৩টি মুরগি ছিল।

গত বছরের তথ্য মতে গরুর সংখ্যা ছিল পাঁচ লাখ ৬৩ হাজার ২৩৮টি, ছাগল দুই লাখ ১৫ হাজার ২৩৩টি, ভেড়া ছিল ২১ হাজার ৭২৮টি এবং মুরগির সংখ্যা ছিল ৩৯ লাখ ৭৮ হাজার ৫৩৭টি।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুস ছামাদ বলেন, করোনা মহামারির কারণে পশু পালনে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। আগের তুলনায় গরু, ছাগল, মুরগি পালন বেড়েছে। গরু কোয়ান্টিটি না বাড়লেও কোয়ালিটি বেড়েছে। ছাগলের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩৫ হাজার।

শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভৈরব বাজারের ছাগল বিক্রেতা সাজ্জাদ মিয়া জানান, গত বছরের চেয়ে সরবরাহ বাড়ায় আনুপাতিক হারে ছাগলের দাম আগের তুলনায় কমেছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০২১ ১২:০৯ পূর্বাহ্ন
ক্যালেন্ডুলা ফুল ছাড়া বাগানের সৌন্দর্য যেন অর্থহীন
এগ্রিবিজনেস

এমনিতেই দেখতে খুবই অসাধরণ লাগে ক্যালেন্ডুলা ফুলকে। তারউপর শীত আসলে এই ফুল যেন সাজে আর অসাধারণ ভঙ্গিমায়। বলা চলে এই ফুল ছাড়া বাগানের সৌন্দর্য যেন একেবারেই অর্থহীন। এই ফুলের বিস্তার এখন রাজধানী ছাড়িয়ে মফস্বলে গিয়েও তার সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে। এই ফুলের রয়েছে বহু জান। অনেকে এগুলোকে ভুল করে জার্বেরা বা জিনিয়াও ভেবে থাকেন।

মূলত এরা দক্ষিণ ইউরোপের প্রজাতি। গাছ ঝোপাল, ৩০ থেকে ৬০ সে.মি. পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। পাতা লম্বা, খসখসে, রোমশ এবং কিছুটা আঠালো। বৃন্তের ওপর প্রায় ১০ সে.মি. চওড়া বড়সড় ফুলগুলো চ্যাপ্টা ধরনের, থাকে জোড়ায় জোড়ায়। রং গাঢ় কমলা, ক্যানারি-হলুদ, ঘন হলুদ এবং কমলা লাল।

জোড়া ফুলের পরিচিত জাতগুলো হলো- বল, ক্যাম্পফায়ার, গোল্ডপিঙ্ক গ্রান্ডিফ্লোরা, প্যাসিফিক বিউটি, পার্সিমোন বিউটি, অরেঞ্জ কিং, অরেঞ্জ সান, রেডিও, হলুদ কলোসাল ইত্যাদি। নোভা জাতের ফুলগুলো জার্বেরার মতো একক, রং কমলা, কেন্দ্রের দিকটা গাঢ় একরকম চকলেট বর্ণের হয়ে থাকে।

নতুন জাতের ভোলানেকস ক্রেস্টেড মিক্স ফুলগুলো ভারি সুন্দর। একসারি করে পাপড়ি, কেন্দ্রস্থল সরু সরু নলের ঝুঁটির মতো বা ভাঁজ করা। ক্যালেন্ডুলা (Calandula officinalis) ব্যবহূত হয় ভূমিশয্যায় এবং কলম করার কাজে। টবেও চাষযোগ্য।

ভালো ফলনের জন্য সূর্যের আলো এবং সেচ দুটোই দরকার। বীজ বপনের সময় সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাস। আড়াই থেকে তিন মাসের মধ্যে ফুল ফোটে। তবে পাহাড়ি ও বৃষ্টিবহুল অঞ্চলে সময়ের কিছুটা তারতম্য পরিলক্ষিত হয়। আমাদের বাগানগুলোতে চারার মাধ্যমেই চাষ। পাতার রস কৃমি দমনে কাজে লাগে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০২১ ১২:০৮ পূর্বাহ্ন
গবাদি পশুর খাদ্যের কার্যকারিতা বৃদ্ধির পদ্ধতি উদ্ভাবন
এগ্রিবিজনেস

বাংলাদেশে গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবে ওষুধি ঘাসের ব্যবহার নতুন নয়। কিন্তু বায়োএক্টিভ কম্পোনেন্ট বিশ্লেষণের মাধ্যমে এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ঘাসের মাধ্যমে গবাদিপশুর প্রচলিত খাদ্যের কার্যকারিতা বৃদ্ধির পদ্ধতি দেশে প্রথমবারের মতো উদ্ভাবিত হয়েছে। এই উদ্ভাবন আগামীতে বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে ও সুস্থ-সবল প্রাণি ও মানবদেহ গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে। খবর জাগোনিউজ।

বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশুপালন অনুষদের পশু-পুষ্টি বিভাগের আয়োজনে দুগ্ধজাত গাভীর প্রচলিত খাদ্যের কার্যকারিতা বৃদ্ধি, নিরাপদ ও এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ দুধ উৎপাদনে ওষুধি ঘাসের প্রভাব বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ওই কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পশুপালন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া, বাউরেসের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. আবু হাদি নুর আলি খান, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট (প্রাণিসম্পদ) ড. মো. মেহেদি হোসাইন।

কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রধান গবেষক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আল-মামুন। তিনি বলেন, আমরা প্রথমে দেশীয় ১১টি ঘাসের নির্বাচন করে তাদের থিন লেয়ার ক্রোমাটোগ্রাফ ও ডিপিপিএইচ-এর মাধ্যমে সেরা ৭টি ঘাস নির্বাচন করি। তারপর এদের বায়োএক্টিভ কম্পোনেন্ট নির্ণয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন ফর্ম যেমন- ফ্রিজ, শেড ও সান ড্রাইয়ের মাধ্যমে ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ ৬টি ঘাস নির্বাচন করি। খামারিদের জন্য ঘাসের সহজলভ্যতা ও খরচ বিশ্লেষণ বিবেচনা করে বায়োমাস ও খনিজ পদার্থের পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে সেরা ৪টি ঘাস (আনারসের উচ্ছিষ্টাংশ, তেলাকুচার পাতা, সজিনার পাতা ও লেমন ঘাস) নির্বাচন করেছি।

তিনি জানান, তারপর আমরা বিভিন্ন ফর্মে এদের টোটাল ফেনোলিকসের পরিমাণ, গরুর দুধ উৎপাদন ও তাতে এন্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ, ফ্যাটি এসিড প্রোফাইল অ্যানালাইসিস করে শেড ড্রাই ফর্মে ভালো রেজাল্ট পেয়েছি। নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে প্রধানমন্ত্রী যে উদ্যোগ নিয়েছেন সেটি সফল করতে ও পরোক্ষভাবে এএমআর-এর ভয়াবহতা থেকে মানবদেহকে রক্ষা করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০২১ ১২:০৭ পূর্বাহ্ন
নেত্রকোনায় ফসলের ধুম, বাঁধ নিয়ে দুশ্চিন্তায় চাষিরা
এগ্রিবিজনেস

বেশ কয়েক বছর ধরেই নেত্রকোনার কৃষকরা পাচেছ না তাদের ন্যায্য মূল্য। তবে এবার আমন মৌসুমে ধানের দাম ভালো পাওয়ায় নেত্রকোনার কৃষকরা অধিক পরিমাণ জমিতে ধান আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠছে। প্রচণ্ড শৈত্য প্রবাহ ও কনকনে শীত উপেক্ষা করে নেত্রকোনায় ইরি-বোরো আবাদের ধুম পড়েছে। অন্যদিকে দুশ্চিন্তায় ভোগছে ফসল রক্ষা বাঁধ সংস্কার সময়মতো শুরু না হওয়াতে সেখানকার চাষিরা।

জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নীতিমালা অনুযায়ী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পিআইসি গঠন, ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু করে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তা শেষ করার কথা।

সম্প্রসারণের দেয়া তথ্যমতে, নেত্রকোনায় চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৮৫ হাজার ২ শত ৫০ হেক্টর। এর মধ্যে ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে হাইব্রিড, ১ লাখ ৫৫ হাজার হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল এবং ২ শত ৫০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ লাখ ৬৪ হাজার ৪ শত ৯৩ মেট্রিক টন। ফেব্রুয়ারি মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত চলবে ইরি-বোরো ধানের আবাদ।

জেলা পাউবো’র সূত্র অনুযায়ী, নেত্রকোনার ছোট বড় মোট ১৩৪টি হাওর রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে খালিয়াজুরিতে ৮৯টি হাওর। হাওরের একমাত্র ফসল বোরো। হাওরঞ্চলে ৩১০ কিলোমিটার ডুবন্ত (অস্থায়ী) বাঁধ রয়েছে। এরমধ্যে খালিয়াজুরিতে মোট ১৮১ কিলোমিটার ডুবন্ত অস্থায়ী বাঁধ আছে। এই বাঁধের ওপর খালিয়াজুরি ও মোহনগঞ্জের স্থানীয় কৃষকদের প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর জমির বোরো ফসল নির্ভর করে।

হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধগুলো মেরামতের জন্য এ বছর পাউবো প্রথম পযায়ে ৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৬১টি নির্মাধীন ফসল রক্ষা বাঁধের মধ্যে কাজ শুরু হয়েছে ১০০টির। কাজ শুরু বাকি রয়েছে এখনো ৬১ টি বাঁধের পিআইসি প্রকল্পের।

নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান বলেন, কয়েক দফা বন্যার কারণে হাওরের পানি নামতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। একারণে সময়মতো বাঁধের কাজ শুরু করা যায়নি। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা হবে। আমি নিজেও হাওরে গিয়ে বাঁধের কাজ তদারকি করছি।

নেত্রকোনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ হাবিবুর রহমান জানান, প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানিয়েছেন, ১ ইঞ্চি জমিও যেন পতিত না থাকে। সেই লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদেরকে কৃষি আবাদ বাড়াতে প্রয়োজনীয় পরামর্শসহ কৃষি প্রণোদনা দিয়ে আসছে।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ অঞ্চলে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে। এতে কৃষকরা অধিক লাভবান হবে।

নেত্রকোনা জেলা পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোহন লাল সৈকত বলেন, ‘হাওরে এবার পানি ধীর গতিতে নেমেছে। আর কার্যালয়ের জনবল শূন্য থাকায় একটু সমস্যা হচ্ছে। এরই মধ্যে জেলার ১৬১ টি পিআইসি মধ্যে ১শটির কাজ শুরু হয়েছে। বাকি গুলোর কাজও শিগ্রই শুরু করা হবে। আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই(আটাশ ফেব্রুয়ারি) কাজ শেষ করা হবে।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০২১ ১২:০৬ পূর্বাহ্ন
পটুয়াখালীর তরমুজ চাষিরা হতাশ!
এগ্রিবিজনেস

মাঠের পর মাঠ ঢেকে আছে পটুয়াখালীর চর অঞ্চলে সবুজে ঘেরা তরমুজ গাছ। এতে কৃষকদের মাঝে নেমে আসছে আনন্দের সমারোহ। তবে পোকার আক্রমণ ও গোড়া পচা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে তরমুজ গাছ। এতে হতাশারও ভাঁজ নেমে আসছে চাহনীতে।

উৎপাদন খরচই উঠবে কি-না এমন চিন্তায় দিন পার করছেন তরমুজ চাষিরা। তবে সঠিক সময়ে সঠিক মাত্রায় ও সঠিক বালাইনাশক ব্যবহারের মাধ্যমে রোগ ও পোকা দমন করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তা।

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার বিভিন্ন তরমুজ খেতে রোগ বা কাটুই পোকার আক্রমণ ও গোরা পচা রোগে তরমুজ গাছের গোড়ায় পচন ধরে হলদে বা লালচে রঙ্গের হয়ে মারা যাচ্ছে। এ সমস্যা থেকে তরমুজ গাছকে রক্ষা করতে না পারলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, চলতি বছর ৫ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। এ বছর নতুন করে অনেকে জমি প্রস্তুত করছেন তরমুজ চাষিরা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ডিসেম্বর থেকেই তরমুজের চাষ শুরু করেন কৃষকেরা। শীত শেষে এ ফসলটি বাজারজাত শুরু করার কথা রয়েছে। গত বছর উপজেলায় ৭ হাজার ৫১০ হেক্টর জমিতে এ রসালো ফলের চাষ করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম জানান, গতকাল কিছু এলাকা থেকে এমন অভিযোগ পেয়েছি। সরেজমিনে গিয়ে দেখতে চাই আসলে অবস্থা কেমন। অনেক সময় কাটুই পোকা গাছের গোড়া কেটে দেয় এতে গাছ মরে যেতে পার। কিংবা গোড়া পচা রোগের কারণে গাছ মারা যায়।

গাছগুলো ঢলে পরা রোগেও আক্রান্ত হতে পারে। রোগে আক্রান্ত জমিতে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে কীটনাশক প্রয়োগ না করে চাষ করা হয় তাহলে বারবার ওই জমিতে রোগে আক্রান্ত হওয়ার থাকবেই। তিনি আরও জানান, কৃষকের সেবায় কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক মাঠে থেকে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।

উপজেলার চর-ইমারশন গ্রামের তরমুজ চাষি মো. বেল্লাল জানান, গত বছরে তরমুজে তেমন লাভ করতে পারিনি। এবার ১ হেক্টরও জমিতে দেড় লাখ টাকা দিয়ে তরমুজ চাষ করেছি। তরমুজ চারা দেখে মন ভালো লাগলেও হঠাৎ করে তরমুজ গাছ মারা যাচ্ছে। বিষয়টি দেখে রোগ প্রতিরোধে নানান প্রকার কিটনাশক ব্যবহার করলেও কোনো প্রতিকার মিলছে না। এভাবে যদি তরমুজ গাছ মারা যায় তাহলে পথে বসে যেতে হবে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop