৯:৫৭ অপরাহ্ন

মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : এপ্রিল ৫, ২০২৩ ৩:৫৬ অপরাহ্ন
জালে আটকা পড়লো ৩১ কেজির বাঘাইড়
মৎস্য

গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র নদে জেলের জালে ধরা পড়ে ৩১ কেজি ওজনের বাঘাইড় মাছ। আর এই মাছটি বিক্রি হয় ২১ হাজার ৭০০ টাকায়। পরে মাছটি ক্রেতারা ভাগাভাগি করে নেন।

মঙ্গলবার বিকালে পলাশবাড়ী পৌরশহরে বিশালাকৃতির এই বাঘাইড় মাছটি বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন এক জেলে। এ সময় উৎসুক মানুষের ভিড় জমে। এরই মধ্যে দাম হাঁকানো হলে প্রতি কেজি ৭০০ টাকা দরে ক্রয় করেন ভোক্তারা। যৌথভাবে মাছ কিনে নেওয়া হয় বলে জানান তারা।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে ওই জেলে (বিক্রেতা) জানান, গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র নদে জাল দিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে তার জালে বিশালাকৃতির বাঘাইড় মাছটি ধরা পড়ে। এরপর বিক্রির জন্য পলাশবাড়ী পৌর শহরে উঠানো হয়। গ্রাহকদের দর-দামের একপর্যায়ে ৩১ কেজি ওজনের বাঘাইড়টি ২১ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি করেন। এর আগেও ৪৫ কেজি ওজনের বাঘাইড় মাছ তার জালে আটকা পড়ছিল বলেও জানান তিনি।

পলাশবাড়ীর ক্রেতা সুমন মিয়াসহ অনেকে বলেন, বড় আকারের এই মাছটি দেখে কেনার আগ্রহ হয়। সামর্থ্য না থাকায় এককভাবে নেওয়া সম্ভব হয়নি। তাই আমরা কয়েকজন মিলে ৭০০ টাকা কেজি দরে মোট ২১ হাজার ৭০০ টাকায় ক্রয় করি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২, ২০২৩ ৫:৪৪ অপরাহ্ন
নদী দূষণে মরে যাচ্ছে মাছ
মৎস্য

চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে পানি দূষণে জাটকাসহ নির্বিচারে মারা পড়ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছসহ জলজ প্রাণী। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গার কল-কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য পানিতে মিশে দূষণের সৃষ্টি করেছে দাবি স্থানীয় জেলেদের।

পানির গুণাগুণ পরীক্ষা করে মৎস্য বিজ্ঞানীরাও প্রাথমিক পর্যায়ে এর সত্যতা পেয়েছেন। তারা বলছেন, নদী দূষণ বন্ধ করা না গেলে আগামীতে মেঘনায় ইলিশসহ সব মাছের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ঘুরে ঘুরে উড়ে উড়ে মনের আনন্দে উদরপূর্তি করছে এক ঝাঁক কাক, তবে কোনো অনুষ্ঠানের ফেলে দেয়া উচ্ছিষ্ট নয়। মেঘনা নদীর তীরে মরে পড়ে থাকা মাছ খাওয়ায় মেতে উঠেছে তারা।

শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এমন দৃশ্যের দেখা মিলছে মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল ইউনিয়নের বাবু বাজার এলাকার মেঘনা নদীর তীরে।

সম্প্রতি ওই ইউনিয়নে মেঘনার পানি দূষণের ফলে বাবু বাজার, ইস্পাহানির চর, গজারিয়া, ষাটনল, সটাকি, মহনপুর, এখলাসপুরসহ প্রায় তিন কিলোমিটার জুড়ে নদীর সকল মাছ মরে ভেসে উঠেছে তীরে। জাটকা, পোয়া, বেলে, চেউয়া, চিংড়ি, কাঁকড়া, শামুক, ঝিনুকসহ নদীতে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনাসহ বেঁচে নেই কোনো জলজ প্রাণী। নদীর তীরে পড়ে থাকা এসম মাছ পচে, গলে পরিবেশের বিপর্যয় ডেকে আনছে। দুগন্ধের পাশাপাশি কালচে বর্ণ ধারণ করে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে নদীর পানি।

মতলব উত্তর উপজেলার বাবু বাজার এলাকার জেলে রতন দাস বলেন, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন কল-কারখানার দূষিত বর্জ্য মেঘনা নদীতে ছড়িয়ে পড়ায় নদীতে থাকা সব মাছ মরে তীরে ভেসে উঠেছে। গত কয়েক দিন ধরে শতশত মানুষ মৃত মাছ সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছেন। অনেক মাছ নদীর তীরে পচে গন্ধ চড়াচ্ছে। কাক, চিল খাচ্ছে এসব মাছ। সরকার ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধিতে জাটকা রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। অথচ পানি পচে গিয়ে জাটকাসহ সকল মাছ মরে ভেসে উঠেছে। এখন নিষেধাজ্ঞা শেষে আমরা কী ধরবো নদীতে!

শনিবার দুপুরে গুণাগণ পরীক্ষায় নদীর পানি সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, নদী কেন্দ্র চাঁদপুরের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মেজবাবুল আলম। দূষণের কারণে পানিতে অ্যামোনিয়ার উপস্থিতি বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় মাছ মরে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১, ২০২৩ ৪:৩৫ অপরাহ্ন
জাটকা নিধন বন্ধ হলে দেশের মানুষ সুস্বাদু বড় ইলিশ খাওয়ার সুযোগ পাবে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মৎস্য

জাটকা নিধন বন্ধ হলে দেশের মানুষ সুস্বাদু বড় ইলিশ খাওয়ার সুযোগ পাবে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

শনিবার (০১ এপ্রিল) সকালে পিরোজপুরের হুলারহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৩ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, একটা মা ইলিশ ছয় লক্ষাধিক ডিম দেয়। কিছু দুর্বৃত্ত বালু উত্তোলন করতে গিয়ে ইলিশের প্রজননস্থলের পরিবেশ নষ্ট করে। নদী দূষণ করে ইলিশের ডিম ও পোনা নষ্ট করে। ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ সময়ে যত্রতত্র মাছ আহরণ করে মা ইলিশ ও জাটকা নিধন করে। একটা মা ইলিশ ধরা মানে ছয় লাখ ডিম নষ্ট করা। জাটকা ধরা মানে ছোট ইলিশ বড় হওয়ার পথ রুদ্ধ করে দেওয়া। যারা জাটকা ধরছে, এ মাছ বড় হলে তারাই ধরবে, বড় মাছ বিক্রি করে তারাই লাভবান হবেন। দেশের মানুষ সুস্বাদু বড় ইলিশ খেতে পারবে।

তিনি বলেন, একটা সময় দেশে মাছের আকাল ছিল। বর্তমান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আজ মাছের উৎপাদন অনেক বেড়েছে। ইলিশের উৎপাদন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে বিশ্বের মোট ইলিশের শতকরা ৮০ ভাগ শুধু বাংলাদেশে উৎপাদন হয়। ২০০৮-০৯ সালে দেশে ইলিশের মোট উৎপাদন ছিল ২ লাখ ৯৮ হাজার মেট্রিক টন। ২০২১-২২ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৫ লাখ ৬৭ হাজার মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা এবং তাঁর সরকারের অবদানের কারণে ইলিশের উৎপাদন অভাবনীয়ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

মন্ত্রী আরো যোগ করেন, সরকারের লক্ষ্য দেশের প্রতিটি ঘরে সুস্বাদু ও সুদৃশ্য ইলিশ পৌঁছে দেওয়া এবং উদ্বৃত্ত উৎপাদন হলে দেশের বাইরে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা। তাই মৎস্যজীবীদের কাছে আহ্বান, জাটকা যাতে কেউ ধরতে না পারে।

মন্ত্রী আরো জানান, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের অভিযাত্রায় স্মার্ট মৎস্য খাতের দিকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ও মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীদের নিরলস প্রচেষ্টায় বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির অনেক মাছ ফিরিয়ে এনে লাইভ জিন ব্যাংক করা হয়েছে। বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় মাছের পোনা দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। যে অঞ্চলে যে মাছ নেই, সে অঞ্চলে সে মাছের পোনা ছাড়া হচ্ছে। এভাবে ভাতে-মাছে বাঙালির বর্ণাঢ্য সংস্কৃতি আবার ফিরিয়ে আনা হবে।

শ ম রেজাউল করিম আরো যোগ করেন, দেশে মাছের উৎপাদন বাড়ার ফলে খাবারের যোগান বৃদ্ধি পাচ্ছে, পুষ্টি চাহিদা পূরণ হচ্ছে। মাছ চাষের মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে, বেকারত্ব দূর হচ্ছে, গ্রামীণ অর্থনীতি সচল হচ্ছে। মাছ উৎপাদন, পরিবহন, বিপণন ও রপ্তানির মাধ্যমে বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান হচ্ছে। অপরদিকে মাছ রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হচ্ছে যা দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।

মৎস্যজীবীদের উদ্দেশে এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, জিআই সনদপ্রাপ্ত রাষ্ট্রীয় সম্পদ ইলিশ বিলুপ্ত হলে বাঙালির গর্বের ইলিশের জিআই সনদ থাকবে না।
সেজন্য কোনোভাবেই মা ইলিশ ধরা যাবেনা, জাটকা ইলিশ নিধন করা যাবে না। জাটকা নিধন বন্ধ থাকাকালে মৎস্যজীবীদের ভিজিএফ দেওয়া হচ্ছে, বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইলিশ বড় হতে দিতে হবে। বড় ইলিশ মৎস্যজীবীরাই আহরণ করবে।

এ সময় তিনি আরো বলেন, জাটকা নিধন বন্ধ না করলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। যারাই জাটকা নিধনের অবৈধ কাজে জড়িত থাকবে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। তাদের মামলা ও জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, নৌপুলিশের ডিআইজি মো. মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন এস এম এনামুল হাসান, পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক। মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, পিরোজপুরের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাগণ এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শেষে জাটকা রক্ষায় জনসচেতনতামূলক প্রচারণার অংশ হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ, নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর প্রতিনিধিসহ কয়েকহাজার জেলে ও মৎস্যজীবীদের সাথে পিরোজপুরের হুলারহাট লঞ্চ ঘাট থেকে কচা নদীতে বর্ণাঢ্য নৌর‍্যালিতে অংশ নেন মন্ত্রী।

উল্লেখ্য, ‘করলে জাটকা সংরক্ষণ, বাড়বে ইলিশের উৎপাদন’-এ প্রতিপাদ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আজ থেকে শুরু হয়েছে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ, ২০২৩। চলবে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত। জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে মৎস্য অধিদপ্তর।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২৭, ২০২৩ ৬:৫৪ অপরাহ্ন
মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে ৩ জনের মৃত্যু
মৎস্য

শরীয়তপুরে নড়িয়ায় পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে তিন জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

রোববার (২৬ মার্চ) বিকেলে উপজেলার ঘড়িষার ইউনিয়নের বাহের কুশিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মৃতরা হলেন ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের এলাহী বক্স ওঝার ছেলে সিরাজ ওঝা (৩৫) এবং একই এলাকার আবুল বাসার মাঝির ছেলে শাহিন শেখ (৩৬), তিনি পেশায় মাঝি। নিহতদের একজনে পরিচয় জানা যায়নি।

ডিঙ্গামানিক ইউনিয়ন পরিষদের ৫নম্বার ওয়ার্ডের সদস্য বুলবুল আহম্মেদ বলেন, ঘড়িষার ইউনিয়নের বাহের কুশিয়া গ্রামে জানু মেম্বারের মাছের পুকুরে মাছ ধরতে গেলে ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের বাসিন্দা শাহিন শেখসহ কয়েকজন বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন। তাদেরকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক শাহিন ও সিরাজকে মৃত ঘোষণা করেন।

নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত তিন জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৯, ২০২৩ ৫:১৬ অপরাহ্ন
নদীতে ভাসছে লাখ লাখ মরা মাছ
মৎস্য

অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের ডার্লিং-বাকা নদীতে মারা গেছে বিভিন্ন প্রজাতির লাখ লাখ মাছ। আর এ ঘটনায় শোরগোল পড়ে গেছে মেনিন্ডি শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে।

মরা মাছের দুর্গন্ধে টিকতে পারছে না তারা। ফলে বন্ধ রাখতে হচ্ছে ঘরের দরজা-জানালা। খবর বিবিসি ও সিএনএনের।

মেনিন্ডি শহরে মাত্র ৫০০ জনের মতো মানুষ বসবাস করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা ধারণা করছেন, পচনশীল মাছগুলো পানি থেকে আরও অক্সিজেন শুষে নেবে, যার ফলে মারা যাবে আরও বেশি মাছ।

স্থানীয় বাসিন্দারা ধোঁয়া ও গোসলের জন্য নদীর পানির ওপর নির্ভর করে। কিন্তু লাখ লাখ মাছ মারা যাওয়ার কারণে নদীর পানি মৌলিক প্রয়োজনে ব্যবহার করা কঠিন হয়ে উঠেছে।

এর আগে গত শুক্রবার সকালে নদীতে লাখ লাখ মরা মাছ ভাসতে দেখেন শহরের বাসিন্দারা। স্থানীয় নদী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তীব্র গরমে পানি কমে মারা গেছে মাছগুলো।
অবশ্য তিন বছর আগে ২০১৯ সালের ৯ জানুয়ারি এ ধরনের আরেকটি ঘটনার মুখোমুখি হয়েছিলেন মেনিন্ডি শহরের বাসিন্দারা। তবে এবার মারা যাওয়া মাছের সংখ্যা অনেক বেশি।

নিউ সাউথ ওয়েলসের ডিপার্টমেন্ট অব প্রাইমারি ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিপিআই) বলছে, লাখ লাখ মরা মাছ দেখতে পাওয়া স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য পীড়াদায়ক অনুভূতি।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৭, ২০২৩ ৭:৪৮ অপরাহ্ন
৬০ দেশে দেশেই যাচ্ছে সুনামগঞ্জের হাওরের মাছ
মৎস্য

মাছ খেতে কার না ভালো লাগে। আর সেই মাছ যদি হাওর-নদীর দূষণমুক্ত সুস্বাদু হয় তাহলে তো কথাই নেই। দেশের সব অঞ্চলে মাছ কমবেশি থাকলেও হাওরের মৎস্য সম্পদের জন্য এখনও বিখ্যাত সুনামগঞ্জ। দেশের ২৬০ প্রজাতির মাছের মধ্যে শুধু সুনামগঞ্জের হাওর-নদীতেই দুইশো প্রজাতির অধিক মাছ পাওয়া যায়। হাওর অধ্যুষিত এ জেলায় কল-কারখানা না থাকায় বৃষ্টির পানিতে প্রাকৃতিক জলজ খাবার খেয়েই এসব মাছ বেড়ে ওঠে। আর পানি দূষণমুক্ত হওয়ায় এ মাছ খেতেও অনেক সুস্বাদু। তাই ঢাকাসহ সারাদেশেই এ মাছের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আবার দেশের আমিষের চাহিদা পূরণ করে বিশ্বের ৫০-৬০ দেশে রপ্তানি হচ্ছে সুনামগঞ্জের হাওর-নদীর মাছ।

জানা যায়, মৎস্য, পাথর ও ধান সুনামগঞ্জের প্রাণ। আদিকাল থেকেই সুনামগঞ্জের মাছের সুনাম ছড়িয়ে আছে দেশজুড়ে। এই সুনাম এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও। হাওরের রাজধানী কিংবা মাছের রাজধানী যে নামেই বলা হোক দেশের মিঠা পানির সর্ববৃহৎ জলাধার সুনামগঞ্জ।

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার বড়দৈই বিল। প্রায় ২৫০ জেলে এ বিলে মাছ ধরা ও বাছাইয়ের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। জেলেরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জাল দিয়ে মাছ ধরেন। পরে নৌকায় সেই মাছ বিলের খলায় (বিলে মাছ রাখার জায়গাকে খলা বলা হয়) নিয়ে আসেন। জেলেরা প্রায় ২০০ প্রজাতির ভিন্ন ভিন্ন সাইজের মাছ ধরে সাজিয়ে রাখেন সেখানে। এসব মাছের মধ্যে ১০-১৫ কেজি ওজনের রুই, বোয়াল, কাতল, গ্রাসকার্প ও কার্পজাতীয় মাছ রয়েছে।

একইভাবে চিতল, কালিবাউশ, শোল, গজার, পাবদা, টেংরা, কই, শিং, মাগুরসহ প্রচুর ছোট মাছ ধরে খলায় থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয়। প্রতিদিন সকাল থেকে পরদিন ভোর পর্যন্ত বিলে এই কর্মযজ্ঞ চলে। বছরে এই বিল থেকে ছোটবড় মিলিয়ে প্রায় ৫০০ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়। যার বাজারমূল্য প্রায় ২৫ কোটি টাকা।

সুনামগঞ্জ জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জের বিভিন্ন হাওরে দুইভাবে মাছের উৎপাদন হয়। মুক্ত জলাশয়ে এবং ইজারাদারদের তত্ত্বাবধানে। সুনামগঞ্জে নদী-খাল ছাড়াও এক হাজারের মতো জলাশয় বা বিল রয়েছে। মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির মাধ্যমে স্থানীয়রা মুক্ত জলাশয় ইজারা নেন সরকারের কাছ থেকে। এই জলাশয়গুলোকে স্থানীয়ভাবে বিল বলা হয়। ইজারাদার প্রতি দুই বা তিন বছর পর পর বিলে মাছ ধরেন। এই দু-তিন বছর হাওর-বিলে পোনা ছাড়া, গাছের ডাল দিয়ে অভয়াশ্রম বানানোসহ প্রাকৃতিকভাবে মাছের রক্ষণাবেক্ষণ করেন ইজারাদাররা। এই দু-তিন বছর পরপর মাছ ধরার কারণে মাছের সাইজ অনেক বড় এবং এর গুণগত মানও ভালো হয়।

সুনামগঞ্জে ছোটবড় প্রায় এক হাজার বিল রয়েছে। এসব বিল থেকে ৯০ হাজার মেট্রিক টন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ উৎপাদন হয়। যার বাজার মূল্য পাঁচ হাজার কোটি টাকা।

সুনামগঞ্জের হাওরের এই মাছ প্রতিদিন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। তবে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এখন বিশ্বের ৫০-৬০টি দেশে হাওর ও নদীর এই মাছ রপ্তানি হচ্ছে।

জেলেরা জানান, সুনামগঞ্জে অনেক প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়, যা অন্য কোনো জেলায় পাওয়া যায় না। বড়দৈই বিলের ইজারাদার মনোয়ার পীর জানান, আমাদের এই বিলের মাছ দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে।

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা প্রশান্ত দে জানান, সুনামগঞ্জের হাওরগুলো দেশীয় ছোট মাছের বৈচিত্র্যে ভরপুর। পানি দূষণমুক্ত এবং প্রাকৃতিক জলজ উদ্ভিদ খাওয়ায় এসব মাছ খেতে সুস্বাদু। সুনামগঞ্জের হাওর ও নদীর মাছ ৫০-৬০টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৭, ২০২৩ ১১:১৫ পূর্বাহ্ন
কাপ্তাই লেকে মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা
মৎস্য

কাপ্তাই লেকে সব ধরনের জাল দিয়ে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র (কপাবিকে) কর্তৃপক্ষ। কপাবিকের তালিকাভুক্ত জেলে ছাড়া এখন থেকে অন্য কোনো জেলে লেকে মাছ ধরতে পারবেন না বলেও কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এই নিষেধাজ্ঞা এখন থেকে (১৫ মার্চ) কার্যকর হবে বলেও কপাবিকে সূত্রে জানা গেছে।

কপাবিকের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এ টি এম আব্দুজ্জাহের গতকাল (১৫ মার্চ) গণমাধ্যমকে জানান, কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউটিলিটি সার্ভিসের আওতাধীন এলাকায় মাছ ধরার জন্য কপাবিকে কর্তৃক নির্ধারিত জেলে আছেন। নির্ধারিত জেলেরা ম্যাশ সাইজের জাল দিয়ে লেকের মাছ ধরবেন এবং কাপ্তাই প্রজেক্ট এলাকায় নির্দিষ্ট বাজারে মাছ বিকিকিনি করবেন। কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে তালিকাভুক্ত জেলা ছাড়াও অনেকে বিভিন্ন ম্যাশ সাইজের জাল দিয়ে কাপ্তাই লেকের মাছ শিকার করছেন। অত্যন্ত ছোট সাইজের জাল ব্যবহারের ফলে জালে সব ধরনের মাছ উঠে আসছে। বিশেষ করে সব ধরনের ডিমওয়ালা মাছ, ছোট রেণু এমনকি যে মাছ সদ্য পানিতে ডিম ছেড়েছে সেই মাছও ছোট জালে উঠে আসছে। সেই রেণু ক্ষুদ্র মাছের পোনা বা ডিম জালে উঠে এলেও সেটি কোনোভাবে হাতে ওঠে না এবং খাওয়াও যায় না। এই জাল ব্যবহারের ফলে কাপ্তাই লেক মাছশূন্য হয়ে পড়ছে। এখন এমনিতেই কাপ্তাই লেকে মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। তারপরও যা সামান্য পাওয়া যাচ্ছে ছোট ম্যাশ সাইজের জাল দিয়ে মাছ ধরার ফলে অচিরেই কাপ্তাই লেক মাছশূন্য হয়ে পড়বে। তাই মাছের বংশ রক্ষা করতে এবং আগামী দিনের শিশুরা যাতে মিঠা পানির মাছ খেতে পারে সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাপ্তাই লেকে নির্ধারিত জেলে এবং নির্ধারিত জাল ছাড়া অন্য কেউ মাছ শিকার করতে পারবেন না। এর ব্যতিক্রম করলে প্রশাসনিক কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান। এ ব্যাপারে কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসন, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার, হেডম্যান, কারবারি, পুলিশ, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিজিবিসহ সর্বস্তরের জনগণের কাছে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা চেয়েছেন কপাবিকের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এ টি এম আব্দুজ্জাহের।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৯, ২০২৩ ৬:৫৫ অপরাহ্ন
পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে আমাদের সবাইকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে – বাকৃবি ভিসি
ক্যাম্পাস

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে আমাদের সবাইকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। মাছ অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার, ভালো আমিষ আমরা মাছ থেকে পাই। বর্তমান সরকারও এবিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন। নিরাপদ মাছ উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে তা বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ভূমিকা রাখবে। এতে দেশের অর্থনীতির ব্যাপক উন্নতি হবে,

“বাংলাদেশের মাছ ও মুরগির মূল্য শৃঙ্খলে খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধিকরণ” ” শীর্ষক প্রদর্শনী ও প্রচার কর্মসূচি বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুর ১টায় ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার রুপালি হ্যাচারিতে ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফোর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএআইডি) ফিড দ্য ফিউচার ইনোভেশন ল্যাব ফর ফুড সেফটি (এফএসআইএল) প্রকল্পের অর্থায়নে ওই অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড লুৎফুল হাসান।

প্রকল্পের প্রধান গবেষক (বাংলাদেশ অংশের) এবং বাকৃবির কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান জানান, প্রকল্পটি ২০২১ সাল থেকে সাড়ে তিন বছর মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস স্টেট ইউনিভার্সিটি এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একদল গবেষকের সমন্বয়ে পরিচালিত হচ্ছে। এ প্রকল্পের যুক্তরাষ্ট্র অংশের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রফেসর ড. মদন মোহন দে।


প্রকল্পের প্রধান গবেষক (বাংলাদেশ অংশের) এবং বাকৃবির কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান, ফিশারিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল মনসুর, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ড. মো. আনিসুর রহমান, ময়মনসিংহের মৎস্য বিভাগের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়াও মাইক্রোবায়োলজি এন্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. কে. এইচ. এম নাজমুল হোসাইন নাজির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফাসহ রূপালি হ্যাচারির আশেপাশের মাছচাষীরা অংশ নেন।

এসময় রুই মাছ চাষাবাদে খাদ্য প্রস্তুত থেকে শুরু করে পোনা অবমুক্তকরণ, সময়ে সময়ে মাছের বৃদ্ধি ও ওজন নিরক্ষণ, নিয়মিত পুকুর পরিদর্শন, মাছ আহরণ ও বিক্রয় ইত্যাদি ক্ষেত্রে যে সমস্ত কার্যাবলী সম্পাদন করা হয়েছে এবং ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনাসমূহ কি হবে, সে সম্পর্কে আলোকপাত করেন অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান। হ্যাচারী প্রাঙ্গণে পরবর্তীতে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অধ্যাপক ড. কে. এইচ. এম নাজমুল হোসাইন নাজির গবেষণাগারে করা রুইমাছের মাইক্রোবায়োলজিক্যাল ফলাফল তুলে ধরে বলেন, দেশের বাজারে মাছ নিয়ে ভুল ধারণা রয়েছে তা হলো বাজারের মাছ খারাপ বা মাছে দূষিত এবং ভারি ধাতুর উপস্থিতি বেশি। কিন্তু আমরা মুক্তাগাছা বাজারের মাছ এবং আমাদের প্রকল্পের রুপালি হ্যাচারিতে চাষকৃত মাছের ব্যাকটেরিয়া এবং ভারি ধাতুর (আর্সেনিক, লেড, ক্যাডমিয়াম, ক্রোমিয়াম) পরীক্ষা করি। ফলাফলে দেখা যায় সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে দুই জায়গার মাছেই ব্যাকটেরিয়া এবং ভারি ধাতুর পরিমাণ কম রয়েছে। তবে আমাদের প্রকল্পের হ্যাচারিতে চাষকৃত মাছে ভারি ধাতুর পরিমাণ বাজারের মাছের তুলনায় কম ছিলো। ময়মনসিংহের বাজারের মাছ নিরাপদ এটি এ গবেষণার ফলাফলে উঠে এসেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা বলেন,
মাছ চাষের সকল কার্যক্রমে নারীদের ভূমিকা রয়েছে কিন্তু তাদের কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ ক্ষমতা নাই। নিরাপদ মাছ চাষে আরও অবদান রাখতে নারীদের একটি বড় সুযোগ রয়েছে। তবে তাদের সে সুযোগ করে দিতে হবে। নারীদের মতামতের গুরুত্ব দিবে হবে।

মাছ চাষী সৌরভ দাস জানান, আমরা অনেক ক্ষেত্রে সঠিক ও মানসম্মত পোনা নির্বাচনে ভুল করি। বছর শেষে অনেক ক্ষেত্রে উৎপাদন কম হয়।


আমরা তো আসলে জানি না যে কোন খাবার মাছের জন্য ভালো। কেউ যদি বলে যে এই খাবার ভালো বা কারো যদি দেখি যে একটি খাবার ব্যবহার করে উৎপাদন বেড়েছে। তাহলে আমরা সেটি ব্যবহার করি। কিন্তু সেটি নিরাপদ কি না জানি না। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলে আমরা নিরাপদ মাছের খাদ্য এবং মাছ পাবো।

প্রকল্পের প্রধান গবেষক (বাংলাদেশ অংশের) এবং বাকৃবির কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান এ প্রতিবেদককে জানান, প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হচ্ছে, নিরাপদ খাদ্য, বিশেষ করে নিরাপদ মাছ ও মুরগি উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও ভোগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের জ্ঞানের পরিধি, তাদের মনোভাব ও বাস্তব জীবনে তা অনুশীলন করার মাত্রা কেমন তা জানা, সে অনুযায়ী বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার রুপরেখা প্রস্ততকরণ এবং তা বাস্তবায়নের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট সকলকে কার্যকরী নীতিমালা প্রণয়নে উৎসাহিত করা।
এছাড়াও নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় উৎপাদিত অধিকতর নিরাপদ মৎস খাদ্য প্রয়োগের মাধ্যমে পাঙ্গাস, তেলাপিয়া ও রুই মাছ উৎপাদন করা এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় তা কতটুকু নিরাপদ তা নিরুপণ করা। একই সাথে প্রচলিত খাদ্য ব্যবস্থাপনায় চাষকৃত মাছসমূহ থেকে নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনায় উৎপাদিত মাছ প্রাপ্তিতে ভোক্তাদের চাহিদা কেমন বা ভোক্তারা কত দাম প্রদান করতে ইচ্ছুক তা অকশন বা নিলাম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্ণয় করা এবং নীতি নির্ধারক মহলে তা প্রকাশ করে নিরাপদ মাছ চাষের প্রসারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের স্বার্থে পরামর্শ প্রদান করাও এ প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য ।
তিনি আরও জানান, এই উদ্দেশ্য সাধনের জন্য প্রকল্প সংশ্লিষ্ট গবেষকবৃন্দ অধিকতর নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনায় ময়মনসিংহের ফুলপুরে দুটি পুকুরে তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস এবং মুক্তাগাছার একটি পুকুরে রুই মাষ চাষ করেছেন। স্থানীয় খাদ্য প্রস্তুতকারী একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মৎস্য বিজ্ঞানীদের পরামর্শ অনুযায়ী খাদ্য প্রস্তুত করা হয়েছে যেখানে কোন এন্টিবায়োটিক, হরমোন, বৃদ্ধি প্রবর্ধক কিংবা কোন ফিড এডিটিভস ব্যবহার করা হয়নি।

প্রকল্পের বিভিন্ন কর্মকান্ড যা ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে তা প্রদর্শনী ও প্রচারের উদ্দেশ্যে এ প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়, যেখানে নীতি নির্ধারণী কার্যে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন এমন ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে কৃষক পর্যায়ে অধিকতর নিরাপদ মাছ চাষে উৎসাহ প্রদানের স্বার্থে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ২০ এর অধিক মৎস্য উদ্যোক্তা ও চাষীকে।
অনুষ্ঠানে মৎস্যচাষী,সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা ও গবেষকগণ অংশ নেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৭, ২০২৩ ১:৪৮ অপরাহ্ন
পটুয়াখালীতে ৫ মন ওজনের ৭টি শাপলা পাতা মাছ জব্দ
মৎস্য

পটুয়াখালীর মহিপুরে অভিযান চালিয়ে ৫ মন ওজনের শিকার নিষিদ্ধ ৭টি শাপলা পাতা মাছ জব্দ করেছে নিজামপুর কোষ্টগার্ড।

সোমবার (৬ মার্চ) শেষ বিকেলে আলীপুর বিএফডিসি মার্কেট সংলগ্ন পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে এসব মাছ জব্দ করা হয়। কোস্টগার্গের উপস্থিতি টের পেয়ে পারিয়ে যাওয়ায় ওই ঘরের মালিক রহিম ভান্ডারিকে আটক করতে পারেনি কোষ্টগার্ড। রাতে এসব মাছ কোষ্টকার্ড স্টেশনের অদুরে মাটিতে পুতে ফেলা হয়।

নিজামপুর কোষ্টগার্ডের কন্টিজেন্ট কমান্ডার আরিফ মাহামুদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মৎস্য বন্দর আলীপুর বাজারের তালাবদ্ধ একটি ঘরে অভিযান চালানো হয়।

লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যান ও মৎস্য কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ঘরের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে মাছগুলো উদ্ধার করা হয়। ৭টি শাপলাপাতা মাছের ওজন প্রায় ২০০ কেজি। অসাধু জেলেদের বিরুদ্ধে কোষ্টগার্ডের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৫, ২০২৩ ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন
নওগাঁয় মাছ চাষের বিপ্লব!
মৎস্য

মাছ চাষে বিপ্লব এসেছে নওগাঁর বরেন্দ্রভূমিতে। ২০২১ সালে যেখানে মাছের বার্ষিক উৎপাদন ৬৩ হাজার টন ছিল। ২০২২ সালে উৎপাদন বেড়ে দাড়ায় ৮৩ হাজার ৮৬১ টন। ফলে দারিদ্র্য বিমোচন ও বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি বিশাল জনগোষ্ঠীর আমিষের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রফতানি হচ্ছে।

স্থানীয় মৎস্য অধিদফতর সূত্র জানিয়েছে, গত অর্থবছরে নওগাঁয় ৮৩ হাজার ৮৬১ টন, এর মধ্য থেকে ১২২ টন মাছ বিদেশে রফতানি করেছে ৩ প্রতিষ্ঠান। ৭ নদী, ১২৩ বিল জলাশয় ও ৪৮ হাজার পুকুরে নিবন্ধিত এ জেলার মাছ চাষি ৫২ হাজার। জেলায় বার্ষিক মাছের চাহিদা ৬১ হাজার টন কিন্তু উৎপাদন হচ্ছে ৮৩ হাজার টন। দৈনিক মাথাপিছু ৬০ গ্রাম মাছের চাহিদা হিসাবে মাছের উদ্বৃত্ত উৎপাদন ২২ হাজার ৮৭৮ টন। যেখানে আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৬৩ হাজার টন।

বার্ষিক চাহিদার ২০ হাজার টন বেশি মাছ উৎপাদন হচ্ছে। তবে মাছের খাবারের দর দফায় দফায় বৃদ্ধি মাছ চাষিদের দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে। বিদেশে মাছ রফতানির সুযোগ সৃষ্টি ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা বাড়ানোর দাবি উদ্যোক্তাদের।

রুক্ষ বরেন্দ্রভূমি নওগাঁর নিয়ামতপুরের কয়েকটি পুকুরে মাছ চাষিরা জানান, বরেন্দ্রভূমিতে গত দেড় দশকে মাছ চাষে এসেছে অভাবনীয় সাফল্য। লাভজনক হওয়ায় মাছ চাষের কারবারে এগিয়ে এসেছেন অনেক শিক্ষিত বেকার তরুণরাও।

স্বনির্ভর হওয়ার স্বপ্ন বোনা এসব উদ্যোক্তা পুকুরে চাষ করছেন দ্রুত বর্ধনশীল রুই, কাতল মৃগেল তেলা পিয়া, পাঙাশ দেশীয় হারিয়ে যাওয়া অনেক প্রজাতির মাছ। আর চাষ করা এসব জীবন্ত মাছ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তবে গত কয়েক মাস ধরে মাছের ফিডের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধিতে চিন্তায় ফেলেছে মাছ চাষি উদ্যোক্তাদের।

মাছ চাষি সাদ্দাম হোসেন বলেন, গত দু’বছর ভালো লাভ হলেও এখন ফিডের দাম বেশিতে লাভ কম হচ্ছে।

এদিকে পুকুর থেকে তোলা মাছ আড়তে বেচতে এসে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের জালে দরবঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি নানা হয়রানির শিকার মাছ চাষিরা।

নিয়ামতপুরের মাছ চাষি দুরুল ইসলাম জানান, আড়তে ৫০ কেজিতে মণ নেয়া ও সিন্ডিকেট করে দাম কমানোয় তারা বঞ্চিত হচ্ছেন।

উন্মুক্ত জলাশয় ও পুকুরে মাছ চাষ বাড়াতে আধুনিক কলাকৌশল প্রদানসহ উদ্যোক্তাদের সার্বিক সহযোগিতার কথা জানায় মৎস্য বিভাগ।

জেলায় নিবন্ধিত মৎস্যজীবীর সংখ্যা ১৭ হাজার ৭৫১ জন, সর্বমোট মৎস্য চাষির সংখ্যা ৩৩ হাজার ২৭৬ জন। জেলায় ৫টি সরকারি মৎস্য হ্যাচারি ও ২৮টি বেসরকারি মৎস্য হ্যাচারি রয়েছে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop