১:১৪ পূর্বাহ্ন

শনিবার, ২০ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অক্টোবর ৪, ২০২৩ ১২:৩৭ অপরাহ্ন
ডিমওয়ালা ইলিশ চেনার উপায়
মৎস্য

ইলিশ পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়াও দুষ্কর। স্বাদে, গন্ধে এমনকি পুষ্টির দিক দিয়েও ইলিশ মাছ। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় বর্ষায় বাড়ে ইলিশ মাছের চাহিদা।

ইলিশ মাছ কিনতে গেলে কমবেশি সবাই দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। কোনটি নদীর আর কোনটি সমুদ্রের, কোন মাছটি সুস্বাদু কিংবা কোনটিতে ডিম আছে তা বুঝে উঠতে পারেন না অনেকেই।

অনকেরই ধারণা আছে, নদী আর সাগরের ইলিশের মধ্যে স্বাদে অনেক পার্থক্য আছে। তবে সব ইলিশই কিন্তু সুস্বাদু হয়। বিশেষ করে ইলিশ আকারে যত বড় হবে, তার স্বাদ তত বেশি হয়।

বড় ইলিশকে পাকা ইলিশও বলা হয়। আবার বর্ষাকালে যেসব ইলিশ বাজারে পাওয়া যায় সেগুলো বেশি সুস্বাদু হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিম ছাড়ার আগ পর্যন্ত ইলিশের স্বাদ সবচেয়ে বেশি থাকে।

ডিমওয়ালা ইলিশের স্বাদ তুলনামূলক কম। তবে ডিমওয়ালা মাছের চাহিদা বেশি। অনেকেই বাজার ঘুরে ডিমওয়ালা মাছ খোঁজেন। কীভাবে চিনবেন ডিমওয়ালা ইলিশ?

ডিমওয়ালা মাছ পাওয়ার সবচেয়ে সম্ভাব্য সময় হলো অগাস্ট মাসের পর থেকে। তখন শুরু হয় ইলিশের ডিম ছাড়ার মৌসুম। একটানা তা চলে অক্টোবর পর্যন্ত। যদিও বর্তমানে বাজারে বছরজুড়েই ইলিশ পাওয়া যায়।
সাধারণত ডিমওয়ালা ইলিশের পেট কিছুটা মোটা অর্থাৎ উঁচু থাকে। আকৃতি অনেকটা চ্যাপ্টা দেখায়। এছাড়া ডিমওয়ালা ইলিশের পেট টিপলেই পায়ুর ছিদ্র দিয়ে ডিম বেরিয়ে আসবে। এভাবে যাচাই করে সহজেই কিনতে পারবেন ডিমওয়ালা ইলিশ মাছ।

ইলিশ মাছের মতোই এর ডিমেও আছে নানা পুষ্টি উপাদান। ভিটামিন এ, ডি থেকে শুরু করে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড সবই পাবেন মাছের ডিমে। এমনকি রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়াতেও সাহায্য করে মাছের ডিম।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ৩, ২০২৩ ৯:৩৪ পূর্বাহ্ন
বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষে চুন প্রয়োগ
মৎস্য

আমাদের দেশের অনেকেই এখন মাছ চাষের দিকে ঝুঁকছেন। মাছ চাষের সময় মাছের নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়। তবে মাছ চাষের সময় পুকুর বা মাছ চাষের স্থানে চুন প্রয়োগ করলে বেশ কিছু উপকারিতা পাওয়া যায়। আজকের লেখায় আমরা জানবো পুকুর বা বায়োফ্লকে মাছ চাষে চুন প্রয়োগের উপকারিতা সম্পর্কে-

বায়োফ্লকে মাছ চাষে চুন প্রয়োগের উপকারিতাঃ
পুকুরে বা অন্য কোন স্থানে চুন প্রয়োগ করা হলে বেশ কিছু উপকারিতা পাওয়া যায়। নিচে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল-

চুন প্রয়োগ করা হলে পুকুরে উকুনের বংশ বিস্তার রোধ করে। প্রোটোজোয়া রোগ বা এককোষী রোগ দমন করতেও চুন বেশ ভালো কাজ করে। পুকুরে চুন প্রয়োগ করা হলে পুকুরের পিএইচ এর মাণ বাড়লেও তা কমাতে সাহায্য করে। এতে মাছ চাষের পানির গুণাগুণ ঠিক থাকবে এবং মাছের বৃদ্ধি দ্রুত হবে।

মাছ চাষের পুকুরে চুন প্রয়োগ করা হলে মাছের ক্ষত রোগ বা আঘাত জনিত সারিয়ে উঠতে সাহায্য করে। পুকুরে কিংবা বায়োফ্লকে মাছ চাষ করার সময় চুন প্রয়োগ করার ফলে মাছের শরীর ও পানি পরিষ্কার হয়ে যায়। আর মাছ চাষের পানি ও মাছের শরীর ঠিক থাকলে পুকুর বা জলাশয়ে মাছের বৃদ্ধি বাঁধাগ্রস্ত হবে না। ফলে মাছ চাষে উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় পাশাপাশি লাভ বেশি পাওয়া যাবে।

পুকুর বা জলাশয়ে চুন প্রয়োগ করার ফলে পুকুরের দূষিত পদার্থ, বর্জ্য ও আবর্জনা শোধিত হয়ে যায়। পুকুর বা জলাশয় দূষণমুক্ত হওয়ার ফলে মাছ চাষের পরিবেশ ঠিক থাকবে। চুন প্রয়োগ করার ফলে মাছের শ্বাসকষ্ট দূর হয়ে যায় ও মাছের শরীরের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩ ১০:০২ পূর্বাহ্ন
পুকুরে চিংড়ি মাছের লার্ভা প্রতিপালনের প্রস্তুতি
মৎস্য

পলিযুক্ত এঁটেল মাটি এই পুকুরের জন্য উপযুক্ত। পুকুরের তলার কাদা ৬ ইঞ্চি তুলে ফেলতে হবে। পরিশোধনের জন্যে ৩ কেজি বালির সাথে মিশিয়ে পুকুরে ছড়িয়ে দিতে হবে। তলার মাটি ভালোভাবে কর্মণকরতে হবে। পুকুরটির চারপাশে ৩ফুটের ডাল দিয়ে ঘিরে ফেলতে হবে। পুকুরের গভীরতা ৩-৪ ফুট, পুকুরের মাটি ১.৫-২ ইঞ্চি ফাটল ধরলে খালের পানি প্রবেশ করতে হবে।

খালের নোনা পানি ১-১.৫ ফুট ঢোকার পর পরিষ্কার পুকুর বা পাম্পের পানি ১-১.৫ ফুট মেশাতে হবে। এক্ষেত্রে পানির লবণাক্ততার উপর নির্ভর করে এই পরিমান ঠিক করতে হবে। পানি প্রবেশ করানোর সময় 80,000 ফাঁসের জাল দিয়ে হেঁকে পুকুরে ঢোকাতে হবে। জল পরিশোধনের জন্য ৩ কেজি গুঁড়ো তুঁতে মানাহীন গুলে রোদের সময় পুকুরে ছড়িয়ে দিতে হবে।

 

তার এক দিন পর ১৫ কেজি ব্লিচিং পাউডার রাত্রিবেলায় মশারির মধ্যে চেলে ধীরে ধীরে গোটা পুকুরে ছড়িয়ে দিতে হবে। ব্লিচিং পাউডার ছড়ানোর সময় সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। পরের দিন গাছের শুকনো ডাল, হররা, চেন দিয়ে বা পাম্প মেশিন চালিয়ে পুকুরের তলদেশের মাটি ঘেঁটে দিতে হবে। তার সাতদিন পর ডলোমাইট ৪-৫ কেজি এবং ১০ কেজি মিনারেল পানি গুলে দিনের বেলা মেশিন চালানোর সময় প্রয়োগ করতে হবে। মিনারেল দেওয়ার ১ দিন পর ৩ লিটার জৈবজুস হেঁকে পুকুরে ছড়িয়ে দিতে হবে।

 

পানির পিএইচ ৭.৫-৮.২ রাখতে হবে। ব্লিচিং পাউডার প্রয়োগের ১০ দিন পর নিষিক্ত ডিমযুক্ত স্ত্রী চিংড়ি ছাড়তে হবে। মাছ ছাড়ার পূর্বে পানির ভৌত ও রাসায়নিক বৈশিষ্ট্যগুলি ( পি এইচ অক্সিজেন, লবনাক্ত, ক্ষারকত্ব, অর্ডনেস । পরিমাপ করে নিতে হবে। মাছ মজুত করার পর পাম্প বা এয়ারেটর ভোর ৪ টা-৫টা, সকাল ৮টা-৯টা, দুপুর ১২ টা-১টা, বিকাল ৪ টা-৫টা, রাত্রি ৯টা-১০টা।

পানির তাপমাত্রা ২৬-২৯ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড এবং ১০-১২ পি.পি.টি. যুক্ত লবনাক্ত ডিম ফুটে বাচ্চা বেরিয়ে আস্তে লাগে প্রায় ১৭-১৮ দিন। একবার বাচ্চা বেরোনো শুরু হলে তা শেষ হতে ১-২ দিন সময় লাগে। বাচ্চাগুলি কিছু সময়ের জন্য পানির তলদেশে আশ্রয় নেয়।

 

কিছুটা শক্তি সঞ্চয় করে ভাসমান প্লাঙ্কটনের মতো জীবনযাত্রা শুরু করে। এই সময় লার্ভা তার লেজ উপরে এবং মাথা নিচে রেখে ভাসতে থাকে। বার্তা দেখা দিলে মেশিন চালানোর সময় বাড়াতে হবে এবং ৭ দিন অন্তর জৈব জুস ৫০০ গ্রাম মিনারেল ও ১০০ গ্রাম প্রোরিওটিক সকাল ৮-৯ টায় প্রয়োগ করতে হবে। এছাড়া জোয়া স্টেজ ও অবধি আর্টেমিয়া ফ্ল্যাক্স যাবার হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৬, ২০২৩ ১১:৫২ অপরাহ্ন
রঙিন মাছ চাষে চমক দেখাচ্ছেণ মর্তুজা
মৎস্য

ইউটিউব দেখে রঙিন মাছ চাষ শুরু তিন বছর আগে। বাড়ির ছাদে কয়েকটি প্লাস্টিকের ক্রেটে ছোট্ট পরিসরে এই মাছ চাষ শুরু করলেও ধীরে ধীরে পরিধি বাড়িয়ে বাণিজ্যিক রূপে পরিণত করেছেন। এখন বেশ কয়েকটি হাউজ তৈরি করা হয়েছে। প্রজননের মাধ্যমে উৎপাদিত রঙ বে-রঙয়ের মাছ বিক্রি করে প্রতি মাসে গড়ে বাড়তি আয় করছেন ১৫ হাজার টাকা। রঙিন মাছ চাষে এখন বর্ণিল ঠাকুরগাঁওয়ের গোলাম মর্তুজার জীবন।

অক্সিজেন মটর ব্যবহারের মাধ্যমে বিদ্যুতের সাহায্যে মাছের প্রজনন ঘটাচ্ছেন হাউজগুলোতে। গাপ্পি, মলি, গোল্ড ফিস, গোরামি, জেব্রা ফিসসহ একুরিয়ামের সৌন্দর্য বর্ধনে আঠারো থেকে বিশটি জাতের রঙিন মাছ উৎপাদন করছেন তিনি।

উৎপাদিত প্রতি পিস মাছ ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা পর্যন্ত দরে বিক্রি করছেন অনলাইন ও বাড়ি থেকে। সখের এ মাছ ক্রয়ে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা। অনেকে আবার তার মতো মাছ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করে পরামর্শও নিচ্ছেন।

রঙিন এ মাছের খামার দেখতে ও মাছ ক্রয় করতে আসা মানুষেরা জানান, উদ্যোক্তার ছাদে নানা প্রকার মাছ রয়েছে। আগে এসব মাছ ক্রয়ে অন্য জেলায় যেতে হলে এখন হাতে কাছে পাওয়া যাচ্ছে। যারা সৌন্দর্য বর্ধনে সখ করে একুরিয়ামে মাছ রাখে তাদের জন্য অনেক সুবিধা হয়েছে। এছাড়া তাকে দেখে অনেকেই এ ধরনের মাছ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করে পরামর্শও নিচ্ছেন বলে জানান তারা।

এ বিষয়ে উদ্যোক্তা গোলাম মর্তুজা জানান, ইউটিউব দেখে মাছ চাষ শুরুটা ছোট্ট পরিসরে হলেও এখন তা বাড়ানো হয়েছে। মাত্র তিন বছরে বিশ প্রকারের বেশি মাছ বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রত্যেকটি মাছ থেকে প্রজনন ঘটানো হচ্ছে। বর্তমানে মাছ বিক্রি করে কমপক্ষে পনের হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়তি আয় হচ্ছে। তেমন কোন পরিশ্রম নেই। কোন শ্রমিকেরও প্রয়োজন হয় না। মানুষ অনলাইনে ও বাড়ি থেকে মাছ ক্রয় করছে। ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের সরকারপাড়ায় নিজ বাড়িতে ২০২০ সালে এ রঙিন মাছ চাষ শুরু করেন মর্তুজা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৫, ২০২৩ ১১:০৭ অপরাহ্ন
পুকুরে মিলল ২০ ইলিশ
মৎস্য

খুলনার ডুমুরিয়ায় পুকুরে মিললো ২০টি ইলিশ মাছ। আশ্চর্যজনক এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই ইলিশ দেখার জন্য মানুষ ভিড় জমান স্থানীয় অনিমেষ মণ্ডলের পুকুর পাড়ে।

জানা যায়, খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার লতাবুনিয়া গ্রামের অনিমেষ মণ্ডল শুক্রবার (২৪ আগস্ট) বেলা ১১টায় জেলে নিয়ে মাছ ধরতে পুকুরে নামেন। এরপর তাদের জালে একে একে ২০টি তাজা ইলিশ মাছ ধরা পড়ে।

খুলনা জেলা মৎস্য অফিসার জয়দেব পাল জানান, ডুমুরিয়া উপজেলার সাহস ইউনিয়নের লতাবুনিয়া গ্রামের একটি পুকুরে ২০টি ইলিশ মাছ পাওয়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিটি ইলিশের গড় ওজন ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম।

তিনি বলেন, ‘চটচটিয়া নদীর ১০০ ফুট দূরে অনিমেষের ১২০ শতক জমির একটি ঘের রয়েছে। এই ঘেরে জোয়ারের সময় পানি তোলা হয়। এ কারণে ওই পানির সঙ্গে জাটকা ঘেরে আসতে পারে। আর ওই ঘেরের পাশেই রয়েছে অনিমেষের পুকুর। সেখানে ৬-৭ ফুট পানি থাকে। ঘেরের পানি ওই পুকুরে মেশে। আবার বর্ষার সময় এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে পানির সঙ্গে নদী থেকে জাটকা ঘের হয়ে পুকুরে আসতে পারে। আর ইলিশ গভীর পানির মাছ। হয়তো ছোট পোনা পানির সঙ্গে ঢুকে পড়ে বদ্ধ জায়গায় ৬-৭ ফুট পানিতে খাপ খাইয়ে নিয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাণিজ্যিকভাবে পুকুরে ইলিশ চাষ করা নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। দ্রুত এ বিষয়ে সুখবর পাওয়ার আশা করতে পারি।’

অনিমেষ মণ্ডল বলেন, ‘পুকুরে ইলিশ পাওয়ায় আমরা আনন্দিত। তবে বিষয়টি অবাক করার মতো। এর আগে আমরা কখনও পুকুরে ইলিশ মাছ দেখিনি। পুকুরে কীভাবে ইলিশ এলো তা আমাদের জানা নেই।

স্থানীয় প্রবীণ জেলে সুকুমার বলেন, ‘নদীর সঙ্গে ওই পুকুরের সরাসরি কোনও সংযোগ নেই। মাঝে ঘের রয়েছে। ঘেরে নদী থেকে পানি তোলা হয়। আবার বর্ষায় পানিতে সব একাকার হয়ে যায়। এ অবস্থায় ওই পুকুরে ইলিশ পাওয়া গেলো।’

ডুমুরিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘পুকুরে ইলিশ হয়– বিষয়টি এমন নয়। জোয়ারের পানি পুকুরে প্রবেশ করলে তখন নোনা পানির সঙ্গে ইলিশও প্রবেশ করতে পারে।’ স্থানীয় ইউপি সদস্য প্রশান্ত মল্লিক বলেন, ‘বিশ্বাস-অবিশ্বাসের বিষয় না। অনিমেষের পুকুরে ইলিশ মাছ পাওয়া গেছে।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৪, ২০২৩ ৭:২৮ অপরাহ্ন
বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষে চুন প্রয়োগ
মৎস্য

আমাদের দেশের অনেকেই এখন মাছ চাষের দিকে ঝুঁকছেন। মাছ চাষের সময় মাছের নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়। তবে মাছ চাষের সময় পুকুর বা মাছ চাষের স্থানে চুন প্রয়োগ করলে বেশ কিছু উপকারিতা পাওয়া যায়। আজকের লেখায় আমরা জানবো পুকুর বা বায়োফ্লকে মাছ চাষে চুন প্রয়োগের উপকারিতা সম্পর্কে-

বায়োফ্লকে মাছ চাষে চুন প্রয়োগের উপকারিতাঃ
পুকুরে বা অন্য কোন স্থানে চুন প্রয়োগ করা হলে বেশ কিছু উপকারিতা পাওয়া যায়। নিচে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল-

চুন প্রয়োগ করা হলে পুকুরে উকুনের বংশ বিস্তার রোধ করে। প্রোটোজোয়া রোগ বা এককোষী রোগ দমন করতেও চুন বেশ ভালো কাজ করে। পুকুরে চুন প্রয়োগ করা হলে পুকুরের পিএইচ এর মাণ বাড়লেও তা কমাতে সাহায্য করে। এতে মাছ চাষের পানির গুণাগুণ ঠিক থাকবে এবং মাছের বৃদ্ধি দ্রুত হবে।

মাছ চাষের পুকুরে চুন প্রয়োগ করা হলে মাছের ক্ষত রোগ বা আঘাত জনিত সারিয়ে উঠতে সাহায্য করে। পুকুরে কিংবা বায়োফ্লকে মাছ চাষ করার সময় চুন প্রয়োগ করার ফলে মাছের শরীর ও পানি পরিষ্কার হয়ে যায়। আর মাছ চাষের পানি ও মাছের শরীর ঠিক থাকলে পুকুর বা জলাশয়ে মাছের বৃদ্ধি বাঁধাগ্রস্ত হবে না। ফলে মাছ চাষে উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় পাশাপাশি লাভ বেশি পাওয়া যাবে।

পুকুর বা জলাশয়ে চুন প্রয়োগ করার ফলে পুকুরের দূষিত পদার্থ, বর্জ্য ও আবর্জনা শোধিত হয়ে যায়। পুকুর বা জলাশয় দূষণমুক্ত হওয়ার ফলে মাছ চাষের পরিবেশ ঠিক থাকবে। চুন প্রয়োগ করার ফলে মাছের শ্বাসকষ্ট দূর হয়ে যায় ও মাছের শরীরের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৩, ২০২৩ ৯:৫২ অপরাহ্ন
গুরুদাসপুরের মাছ রপ্তানি হয় ভারতে!
মৎস্য

সরকারি ও বেসরকারি জরিপ মতে, গুরুদাসপুরে বাণিজ্যিকভাবে পুকুরে চাষ করা কার্প এবং মিশ্র প্রজাতির ২০ হাজার টন মাছ বিক্রি করে গত বছর এসেছে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার বেশি। চলতি বছর সরকারিভাবে মাছের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সাড়ে ১৬ হাজার টন।

গুরুদাসপুর মৎস্য অফিসের তথ্যমতে- ২০২০ থেকে ২৩ সাল পর্যন্ত ৬ হাজার হেক্টর আয়তনের চাষযোগ্য বাণিজ্যিক পুকুর ছিল ১০ হাজারের বেশি। এসব পুকুর থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে মাছ উৎপাদন হয়েছে প্রায় ১৪ হাজার টন। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারি এ হিসাবের তুলনায় বর্তমানে উপজেলায় বাণিজ্যিক পুকুরের সংখ্যা এবং উৎপাদনের পরিমাণ আরও বেশি। এ ছাড়া ৯টি প্রবাহমান নদী, ৩টি খাল, ৬টি বিল থেকে বছরে প্রায় ১শ টন এবং ৩০টি প্লাবন ভূমি থেকে ১ হাজার ১৬ টন ও অন্যান্য জলাশয় থেকে ২শ টন মাছ উৎপাদন হয়েছে। সব মিলিয়ে বছরে মাছ উৎপাদন হয়েছে ১৫ হাজার টনেরও বেশি। খাল-বিল, নদী, জলাশয়ের মাছ উপজেলার অভ্যন্তরে বাজারজাত করা হয়। এ ছাড়া চাষের উৎপাদিত সব মাছই সারাদেশের অভ্যন্তরের বিভিন্ন আড়তে বিক্রি করা হয়। চলতি বছর মাছের উৎপাদন আরও বাড়বে বলবে আশা অধিদপ্তরের।

জানা যায়, মৎস্য দপ্তর থেকে গৃহীত পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় ২০২১-২২ নাগাদ মাছের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল সাড়ে ১৬ হাজার টন। কিন্তু বেসরকারি মাঠ জরিপে ২০২১-২২ সাল নাগাদ প্রকৃত উৎপাদন ২০ হাজার টন ছাড়িয়ে গেছে।

মাছ চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়- রুই, কাতলা, মৃগেল, কালবাউশ, সিলভার কার্প, ব্রিগেড, গ্লাসকার্প, ব্লাককার্প জাতের মাছ চাষ হয়। একইসঙ্গে প্রতিটি পুকুরে নিবিড় এবং আধা নিবিড় দুই পদ্ধতিতে মিশ্র হিসেবে কই, সিং, পাবদা, গুলসা-টেংড়াসহ বেশ কয়েক প্রজাতির মাছ চাষ করা হয়। এর মধ্যে মিশ্র প্রজাতির সুস্বাদু পাবদা, সিং, পাঙ্গাস মাছ ভারতে রপ্তানি করছেন চাষিরা। বিদেশে মাছ রপ্তানি করা চাষি আবদুস সালাম বলেন, পার্শ্ববর্তী

চলনবিল ও জলবায়ু রক্ষা কমিটির সদস্য সহকারী অধ্যাপক সাজেদুর রহমান জানান, দখল-দূষণের ফলে চলনবিলে কমেছে প্রাকৃতিক জলাধার। ফলে আশঙ্কাশজনক হারে কমেছে মিঠাপানির মাছ। তবে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গড়ে উঠেছে মাছ চাষের পুকুর। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বাণিজ্যিকভাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে চাষের মাছ। এমনকি বিদেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে।

গুরুদাসপুরের উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রতন চন্দ্র সাহা বলেন, উপজেলাজুড়ে বছরে মাছের চাহিদা সাড়ে চার হাজার টন। চাহিদার তুলনায় গুরুদাসপুরে মাছ উৎপাদন হচ্ছে প্রায় তিনগুণ বেশি। বিদেশে মাছ রপ্তানি করতে পেরে ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। এ উপজেলা থেকে আগামী বছর আরও বেশি মাছ রপ্তানি হবে বলে আমরা আশা করছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২১, ২০২৩ ১২:০৮ অপরাহ্ন
চিংড়ি মাছের বিশেষ গুণ
মৎস্য

পোকা নাকি মাছ- এই বিতর্ক ছাড়িয়ে চিংড়ির একটা গুণের কদর অন্তত করতেই হবে। আর তা হল আয়োডিন। বিভিন্ন জরিপের ফলাফল অনুসারে ‘ইট দিস নট দ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিশ্বের প্রায় দুইশ কোটি মানুষ আয়োডিনের অভাবে ভোগেন।দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ থাইরয়েড হরমোনের মাঝে আয়োডিনের উপস্থিতি মেলে। সেগুলো হলো থাইরক্সিন (টি-ফোর) এবং ট্রাইআইডোথাইরোনিন(টি-থ্রি)। থাইরয়েড’য়ের সুস্থতার জন্য দুটোই জরুরি।

‘অ্যানালস অফ পেডিয়াট্রিক এন্ডোক্রিনোলজি অ্যান্ড মেটাবলিজম[’য়ের পর্যালোচনা বলে, “থাইরয়েড’য়ের রোগের সঙ্গে শরীরে আয়রন বা লৌহের ঘাটতির গভীর সম্পর্ক পাওয়া গেছে।”

যুক্তরাষ্ট্রের ‘দ্য ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ হেল্থ বলছে, “থাইরয়েড-স্টিমুলেটিং হরমোন (টিএসএইচ)’য়ের অতি সক্রিয়তা বা অতিরিক্ত বৃদ্ধি থামাতে আয়োডিন প্রয়োজন হয়। ‘টিএসএইচ’য়ের ওই অতি সক্রিয়তা থেকেই দেখা দেয় ‘হাইপোথাইরয়েডিজম’ এবং ‘হাইপারথাইরয়েডিজম’।এই দুই রোগ সরাসরি থাইরয়েড হরমোনে সঙ্গে যুক্ত।

থাইরয়েড গ্রন্থি যখন পর্যাপ্ত পরিমাণে হরমোন তৈরি করে না তখন তাকে বলা হয় ‘হাইপোথাইরয়েডিজম’। এই সমস্যা ডেকে আনতে পারে অস্বাভাবিক স্থুলতা ও হৃদরোগ।

অপরদিকে ‘হাইপারথাইরয়েডিজম’য়ের ক্ষেত্রে থাইরয়েড গ্রন্থি অতিরিক্ত পরিমাণে থাইরয়েড হরমোন তৈরি করতে থাকে। এ থেকে আকস্মিক ওজন কমে যায়, চুল পাতলা হয়ে যায়, অবসাদ দেখা দেয়, মানসিক অস্বস্তি বাড়ে।

এই দুই রোগের সম্ভাবনা কমাতে প্রয়োজন শরীরে নিয়মিত আয়োডিনের সরবরাহ নিশ্চিত করা।

চিংড়িতে আয়োডিনের মাত্রা
তিন আউন্স চিংড়ি মাছে মিলবে প্রায় ১৩ মাইক্রো গ্রাম আয়োডিন। দৈনিক আয়োডিন চাহিদার ৯ শতাংশ পূরণ হয়ে গেল শুধু তিন আউন্স চিংড়ি দিয়েই। চিংড়িসহ অন্যান্য সামুদ্রিক খাবারে প্রচুর পরিমাণে আয়োডিন মেলে। আর চিংড়ির পদের রেসিপির অভাব হওয়া অসম্ভব।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২০, ২০২৩ ১০:০৭ পূর্বাহ্ন
জেনে নিন পুকুরে মাছ মারা যাওয়ার আগে ভেসে ওঠার কারণ
মৎস্য

মাছ চাষ করে দ্রুত আয় করা যায়। তবে এটি চাষ করতে বেশ কিছু সমস্যায় পড়তে হয় মাছ চাষিদের। যেমন, অনেক সময় পুকুরে মাছ ভেসে ওঠে। মাছ মারা যাওয়ার আগে মাছ পুকুরে ভেসে ওঠার মতো কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়।

পুকুরে মাছ ভাসার বেশ কয়েকটি কারণ আছে। এসব কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অক্সিজেন স্বল্পতা। মাছ অক্সিজেন গ্রহণ করে পানির ভেতর থেকে। আবার পুকুরের অন্যান্য অণুজীব ছাড়াও ফাইটোপ্লাঙ্কটন, জুপ্লাঙ্কটন অক্সিজেন গ্রহণ করে থাকে। এসবের পরিমাণ বেড়ে গেলে পুকুরে অক্সিজেনের ঘাটতি হয়।

মাছ পানির উপর স্তরে এসে খাবি খায় তখন সহজেই বোঝা যায় দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গেছে। এসময় অ্যারেটর যন্ত্র ব্যবহার করলে এবং হররা টানলে উপকার পাওয়া যায়। বেশি সমস্যা হলে অক্সিজেন পাউডার অথবা অক্সিজেন ট্যাবলেট ব্যবহার করতে হবে।

খাবার বেশি দিলে এবং খাবার হজমে সমস্যা হলে মাছ ভেসে উঠে। আবহাওয়ার পরিস্থিতি বুঝে খাবার দিতে হবে। পারতপক্ষে ভাসমান খাবার দিতে হবে। তাই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে, জানতে হবে মাছ ভাসার কারণ কি, প্রতিকার কি হতে পারে এবং কি পরিচর্চা নিলে অক্সিজেনের কমতি হবে না ।

এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে মাছের ঘনত্ব কমাতে হবে। পরিমিত জায়গার চাইতে বেশি পরিমাণ মাছ পুকুরে রাখলে মাছের অক্সিজেন ঘাটতি হয় এবং মাছ ভেসে ওঠে। সেই সঙ্গে মাছ মারা যায়।

মাছের খাবার হিসেবে ডুবন্ত খাবার ব্যবহার না করাই ভালো। ভাসমান খাবার ব্যবহার করলে মাছ কতটুকু খায় সে বিষয়ে জানা যায়। এক্ষেত্রে ভাসমান খাবার দিতে হবে। ফলে অতিরিক্ত খাবার পুকুরের তলায় পঁচে কোনো সমস্যা হওয়ার ভয় থাকে না।

বাড়িতে বা পুকুরের স্টোর রুমে অক্সিজেন ট্যাবলেট বা পাউডার রাখা দরকার। মাছ ভাসলে কিংবা অক্সিজেনের পরিমাণ খুবই কম মনে হলে সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নিতে হবে। মাছ সকালবেলা ভাসলে চুন দিয়ে দিতে হবে। যদি দুপুরে ভাসে তাহলে লবণ দিয়ে দিতে হবে। শতক প্রতি ২০০ গ্রাম কিংবা পরিমাণ অনুযায়ী।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৯, ২০২৩ ১০:১৯ পূর্বাহ্ন
ডিমওয়ালা ইলিশ চিনার উপায়
মৎস্য

ইলিশ পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়াও দুষ্কর। স্বাদে, গন্ধে এমনকি পুষ্টির দিক দিয়েও ইলিশ মাছ। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় বর্ষায় বাড়ে ইলিশ মাছের চাহিদা।

ইলিশ মাছ কিনতে গেলে কমবেশি সবাই দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। কোনটি নদীর আর কোনটি সমুদ্রের, কোন মাছটি সুস্বাদু কিংবা কোনটিতে ডিম আছে তা বুঝে উঠতে পারেন না অনেকেই।

অনকেরই ধারণা আছে, নদী আর সাগরের ইলিশের মধ্যে স্বাদে অনেক পার্থক্য আছে। তবে সব ইলিশই কিন্তু সুস্বাদু হয়। বিশেষ করে ইলিশ আকারে যত বড় হবে, তার স্বাদ তত বেশি হয়।

বড় ইলিশকে পাকা ইলিশও বলা হয়। আবার বর্ষাকালে যেসব ইলিশ বাজারে পাওয়া যায় সেগুলো বেশি সুস্বাদু হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিম ছাড়ার আগ পর্যন্ত ইলিশের স্বাদ সবচেয়ে বেশি থাকে।

ডিমওয়ালা ইলিশের স্বাদ তুলনামূলক কম। তবে ডিমওয়ালা মাছের চাহিদা বেশি। অনেকেই বাজার ঘুরে ডিমওয়ালা মাছ খোঁজেন। কীভাবে চিনবেন ডিমওয়ালা ইলিশ?

ডিমওয়ালা মাছ পাওয়ার সবচেয়ে সম্ভাব্য সময় হলো অগাস্ট মাসের পর থেকে। তখন শুরু হয় ইলিশের ডিম ছাড়ার মৌসুম। একটানা তা চলে অক্টোবর পর্যন্ত। যদিও বর্তমানে বাজারে বছরজুড়েই ইলিশ পাওয়া যায়।
সাধারণত ডিমওয়ালা ইলিশের পেট কিছুটা মোটা অর্থাৎ উঁচু থাকে। আকৃতি অনেকটা চ্যাপ্টা দেখায়। এছাড়া ডিমওয়ালা ইলিশের পেট টিপলেই পায়ুর ছিদ্র দিয়ে ডিম বেরিয়ে আসবে। এভাবে যাচাই করে সহজেই কিনতে পারবেন ডিমওয়ালা ইলিশ মাছ।

ইলিশ মাছের মতোই এর ডিমেও আছে নানা পুষ্টি উপাদান। ভিটামিন এ, ডি থেকে শুরু করে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড সবই পাবেন মাছের ডিমে। এমনকি রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়াতেও সাহায্য করে মাছের ডিম।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop