৪:৩৯ পূর্বাহ্ন

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুলাই ২৫, ২০২২ ১০:২৯ অপরাহ্ন
কৃষিতে অবদানের জন্য এআইপি সম্মাননা পাচ্ছেন ১৩ জন
কৃষি বিভাগ

কৃষি খাতে অবদানের জন্য প্রথমবারের মত ১৩ জনকে কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এগ্রিকালচারালি ইম্পরটেন্ট পারসন-এআইপি) ঘোষণা করেছে সরকার। রোববার প্রকাশিত গেজেটে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে তাদের এ সম্মাননার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।

সরকার প্রতিবছর বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) ঘোষণা করে। তারা সরকারিভাবে বেশ কিছু সুবিধা ও সম্মান পান। সিআইপিদের আদলে এআইপিরাও বেশ কিছু সুবিধা ও সম্মান পাবেন।

এ সম্মাননা দিতে আগে থেকেই কাজ করছিল সরকার। এজন্য ‘কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নীতিমালা ২০১৯’ তৈরি করে সরকার। তবে কোভিড মহামারীর কারণে এ স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়া পিছিয়ে যায়।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্প্রসারণ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব বলাই কৃষ্ণ হাজরা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এবার দেওয়া হচ্ছে ২০২০ সালের পদক। ২৭ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা দেওয়া হবে।

এআইপির প্রথম সম্মাননা পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন

কৃষি উদ্ভাবন (জাত/প্রযুক্তি) ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক্স ও প্ল্যান্ট ব্রিডিং বিভাগের অধ্যাপক লুৎফুল হাসান, দিনাজপুরের এ আর মালিক সিডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউস সোপান মালিক, বাগেরহাটের ফিউচার অর্গানিক ফার্মের স্বত্ত্বাধিকারী সৈয়দ আব্দুল মতিন ও সিলেটের আলীম ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক আলীমুছ ছাদাত চৌধুরী।

কৃষি উৎপাদন, বাণিজ্যিক খামার স্থাপন ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প ক্যাটাগরিতে নাটোরের দৃষ্টান্ত এগ্রো ফার্মের মালিক সেলিম রেজা, ঠাকুরগাঁওয়ের মেহেদী আহসান উল্লাহ চৌধুরী, ঝালকাঠির এশা ইন্টিগ্রেটেড এগ্রিকালচালারাল ফার্মের মালিক মাহফুজুর রহমান, পিরোজপুরের জাগো কেঁচো সার উৎপাদন খামারের মালিক বদরুল হায়দার বেপারি, পটুয়াখালীর শাহবাজ হোসেন খান ও কুমিল্লার বিসমিল্লাহ মৎস্য বীজ উৎপাদন ও খামারের মালিক মো. সামছুদ্দীন কালু।

স্বীকৃত বা সরকার নিবন্ধিত সংগঠন ক্যাটাগরিতে নওগাঁর শাহ কৃষি তথ্য পাঠাগার ও জাদুঘরের উদ্যোক্তা জাহাঙ্গীর আলম শাহ।

এছাড়া বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কারে স্বর্ণপদক পাওয়া দুজনকেও এআইপি স্বীকৃতি দেওয়া হবে। তারা হলেন- পাবনার নুরন্নাহার কৃষি খামারের নুরন্নাহার বেগম এবং একই জেলার ঈশ্বরদীর মা-মনি কৃষি খামারের উদ্যোক্তা শাহজাহান আলী বাদশা।

‘কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নীতিমালা- ২০১৯’ অনুযায়ী এআইপি স্বীকৃতির মেয়াদ হবে এক বছর। এই এক বছরের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে তাদের একটি কার্ড দেওয়া হবে।

নির্বাচিত ব্যক্তিরা সচিবালয়ে ঢোকার পাস পাবেন, বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান এবং স্থানীয় সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হবেন, সরকার পরিচালিত গণপরিবহনে (বিমান, রেল, বাস ও নৌ ভ্রমণে) আসন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।

পাশাপাশি ব্যবসার কাজে এআইপিদের বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসকে উদ্দেশ্যে করে ‘লেটার অব ইন্ট্রোডাকশন’ ইস্যু করবেন, এআইপি ও তার নিকটাত্মীরা সরকারি হাসপাতালের কেবিনপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন এবং বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহারের সুবিধা পাবেন।

এ পুরস্কার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদক্ষেপ উল্লেখ করে অতিরিক্ত সচিব বলাই কৃষ্ণ বলেন, “কোভিডকালে কৃষিতে অবদান রাখার জন্য এনাদেরকে পুরস্কৃত করার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। যারা সিআইপি, আমরা দেখি শিল্পপতিরা অনেক সুবিধা পান। সেই সিআইপির আদলে আমরা এআইপি দিচ্ছি। এখানে এআইপিরা যথেষ্ট সুযোগ সুবিধা পাবেন।”

এতে শিক্ষিত সমাজ ও তরুণরা উদ্বুদ্ধ হবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রযুক্তিনির্ভর কৃষি আসছে, বাণিজ্যিক কৃষির কথা বলা হচ্ছে। রপ্তানি বাড়ছে। এসব কারণে মেধাবী তরুণরা কৃষিতে আসবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২১, ২০২২ ৬:৫৮ পূর্বাহ্ন
আশ্রয়নের রহিমার স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রীকে নিজ আঙিনার সবজি খাওয়ানো
কৃষি বিভাগ

নদীর পাড়ে আধাপাকা ঘর। সারি সারি ঘরগুলো আশ্রয়ণ প্রকল্প। এই ঘরগুলোতে থাকে গৃহহীন দরিদ্র মানুষগুলো। যাদের মধ্যে একজন রহিমা আক্তার। সহায় সম্বল হারিয়ে এখানেই বসবাস তার। ঘরের পাশেই করেছেন নানান রকম সবজির চাষ। সবুজের সমারোহে পুরো আঙ্গিনা যেন সাজছে নতুন করে। এই যেন এক অন্যরকম আমেজ। এই সবুজের তাজা সবজি প্রধানমন্ত্রী দিতে চান রহিমা আক্তার। তার জন্য তাঁর দীর্ঘ অপেক্ষা।

রহিমা আক্তার জানান, নদীতে সব ভেঙে নিয়ে গেলে আমরা সহায় সম্বলহীন হয়ে পড়ি। এরপর প্রধানমন্ত্রীর উপহার এই ঘর পেয়েছি। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া, আমরা এখন বেশ ভালো আছি। নিজেরা হাঁস-মুরগী, ছাগল পালন করছি। আর বাড়ির আঙিনায় যতটা সবজি হয়, তা সবাই মিলে ভাগ করে খাই। তবে কষ্টও কিছু আছে। হাসপাতাল অনেক দূরে, বাচ্চাদের জন্যও কাছে একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রয়োজন। আমরাও তো চাই লেখাপড়া শিখে আমাদের সন্তানরা বড় অফিসার হোক। এছাড়া মসজিদ, কবরস্থানসহ আরও কিছু বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

সরেজমিনে জয় বাংলা আশ্রয়ন প্রকল্প ঘুরে দেখা যায়, দুই শতাংশ জমির মালিকানাসহ সেমিপাকা ঘর করে দেওয়া হয়েছে এই মানুষগুলোকে। এর সঙ্গে আছে রান্নাঘর ও টয়লেট। আঙ্গিনায় হাঁস-মুরগি পালন ও শাক-সবজি চাষেরও জায়গাও আছে বেশ খানিকটা। এছাড়া নদীর পাড়ে হওয়ায় অনেকেই পালন করেন হাঁস।

এখানে আশ্রয় পাওয়া পরিবারগুলোর অধিকাংশ পুরুষরাই যেখানে পেশায় জেলে, সেখানে বাড়ির নারীরাও নিজের প্রচেষ্টায় এগিয়ে নিচ্ছেন সংসার আর সন্তানদের। তাই দেখে অন্য ঘরহীন মানুষও আশা জাগায় মনে- তাদেরও একদিন এমন ঘর হবে! আর সেই ঘর উপহার দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

এমনই স্বপ্ন দেখা একজন নারী রেণু বেগম। বয়সের ভারে ন্যুব্জ এই নারী বলেন, ‘এখানে আমার বোনের মেয়ে থাকে, ওর নাম বিবি জয়নাল। আমার ঘর তো নদীতে ভাসায়ে নিয়ে গেছে বাজান, তাই আমিও আবেদন করেছি এমন একটা ঘরের জন্য। আমারও এমন একটা সুন্দর ঘর হবে একদিন, এইটাই স্বপ্ন। ’

সার্বিক বিষয়ে কমল নগর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান জানান, যে মানুষগুলো নদী ভাঙনে সর্বস্ব হারিয়েছেন, এখন ঘর পেয়ে তাদের আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে গেছে। আমরা তাদের জন্য এখানে কবরস্থান করার চিন্তা করছি। আমরা জায়গা রেডি করেছি। আমরা এখানে একটা মসজিদ করে দেব। তাদের মধ্যে এখন একটা কমিউনিটি ডেভলপমেন্ট হচ্ছে। এখানে একটা প্রতিষ্ঠান আছে, আমরা খোলা একটু জায়গা রেখেছি, যেন সামাজিক অনুষ্ঠানগুলো তারা এখানে করতে পারে। আমরা উপজেলা প্রশাসন এবং জেলা প্রশাসন নিয়মিত তাদের দেখাশোনা করছি, খোঁজ-খবর রাখছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৫, ২০২২ ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন
শেরে বাংলা গোল্ডেন এ্যাওয়ার্ড-২০২২ পেলেন ড. আবুল মনসুর
কৃষি বিভাগ

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো: আবুল মনসুর এবছর ‘শেরে বাংলা গোল্ডেন এ্যাওয়ার্ড-২০২২’ লাভ করেছেন।

বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন, ইকোনোমিক রিপোর্টারস ফোরাম মিলনায়তনে গত শনিবার এক সেমিনার ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে এ এ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে।

গত ৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বরাবর লেখা এক অবহিতকরণ চিঠিতে প্রফেসর ড. মো: আবুল মনসুর এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সেমিনারের বিষয়বস্তু ছিল ‘উপমহাদেশে শিক্ষা বিস্তারে শেরে বাংলার ভূমিকা’।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞ বিচারপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব খাদেমুল ইসলাম চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ক্রেস্ট প্রদান করেছেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. শরীফ সাকী ও আলহাজ্ব আব্দুস শক্কুর। সেমিনার উদ্বোধন করেন ব্যারিষ্টার জাকির আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন জনাব মুহাম্মদ আতাউল্লাহ্ খান। প্রফেসর ড. মো: আবুল মনসুর শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য এ সম্মাননা লাভ করেন। প্রফেসর ড. মো: আবুল মনসুর বিগত ৩৬ বৎসর যাবৎ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগে শিক্ষকতা করছেন।

তিনি দুইবার বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। একবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হলের প্রভোস্ট ছিলেন। ফিশ মিউজিয়াম এন্ড জার্মপ্লাজম সেন্টারের পরিচালক ছিলেন। বর্তমানে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন হিসেবে কর্মরত।

প্রফেসর ড. মো: আবুল মনসুর ১৯৯৫ সালে ইংল্যান্ডের হাল বিশ্ববিদ্যালয় হতে পি.এইচ-ডি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ২০০১ সালে জে.এস.পি.এস. পোস্ট-ডক ফেলোশীপে জাপানে পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা সম্পন্ন করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৮, ২০২২ ২:১৪ অপরাহ্ন
চুয়েটের সহকারী পরিচালক হিসেবে পদোন্নয়ন পেলেন রাশেদুল
ক্যাম্পাস

দীন মোহাম্মদ দীনু: চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর জনসংযোগ কর্মকর্তা জনাব মুহাম্মদ রাশেদুল ​ ইসলাম (রাশেদ পারভেজ) ‘সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ)’ হিসেবে পদোন্নয়ন পেয়েছেন।

সোমবার (২৭ জুন) অপরাহ্নে তিনি সহকারী পরিচালক পদে যোগদান করেন।

রাশেদুল ইসলাম বাংলাদেশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ সমিতি (বাপজস)এর ক্রীড়া সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করছেন।

উল্লেখ্য, গত ২৬শে জুন অনুষ্ঠিত চুয়েটের ১২৫তম সিন্ডিকেট সভার সুপারিশক্রমে তিনি এ পদোন্নয়ন লাভ করেন।

তিনি চুয়েটের জনসংযোগ কর্মকর্তা পদে গত ৩০ মার্চ ২০১৭ খ্রি. থেকে কর্মরত আছেন। প্রসঙ্গত, চুয়েটে যোগদানের পূর্বে রাশেদ পারভেজ দৈনিক আজাদীর স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে প্রায় তিন বছর (২০১৪-২০১৭) কর্মরত ছিলেন।

মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে ২০১৩ সালে প্রথম শ্রেণীতে বি.এস.এস (অনার্স) এবং ২০১৪ সালে একই বিষয়ে প্রথম শ্রেণীতে এম.এস.এস (মাস্টার্স) সম্পন্ন করেন। উল্লেখ্য যে, তিনি বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তায় নারী কৃষকের অবদানের স্বীকৃতি বিষয়ে প্রতিবেদনের জন্য ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর ঢাকায় যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক স্বেচ্চাসেবী সংগঠন ‘অক্সফাম’ ও দেশিয় গণমাধ্যম গবেষণা সংস্থা ‘সমষ্টি’ কর্তৃক “অক্সফাম ফেলোশীপ-২০১৫” মনোনীত হন।

এছাড়া চট্টগ্রামের পোল্ট্রি শিল্পের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে প্রতিবেদনের জন্য ওয়াচডগ বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রি সমন্বয় কমিটি কর্তৃক ২০১৬ সালের ২০ আগস্ট “সেরা প্রতিবেদক” হিসেবেও পুরষ্কার লাভ করেন। তিনি জার্মানির ডয়েচে ভেলে থেকে গণমাধ্যম বিষয়ক প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান থেকে পেশাগত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।

তিনি ১৯৯৩ সালের ০১লা জানুয়ারি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের শাইর মুহাম্মদ পাড়ার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আবদুল গফুর ও মাতার নাম মনোয়ারা বেগম। তিনি বড় চারবোনের পরিবারের কনিষ্ঠ সন্তান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৯, ২০২২ ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন
পা হারিয়েও থেমে যাননি রুবিনা, সফল হলেন খামার করে
প্রাণিসম্পদ

উচ্চশিক্ষার স্বপ্নপূরণ না হলেও গরুর খামার করে স্থানীয়দের রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক মেধাবী শিক্ষার্থী রুবিনা খাতুন।

তার বাড়ি পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার দণ্ডপাল ইউনিয়নের শান্তিনগর জংলিপাড়া গ্রামে। বাবা হারানো রুবিনা ছোটবেলা থেকেই ছিলেন ব্যাপক মেধাবী।

পথচলায় বাধা হয়ে দাঁড়ায় একটি অনাকাঙ্ক্ষিত রেল দুর্ঘটনা। ২০১৮ সালে ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে পঞ্চগড়ের বাড়িতে ফেরার পথে হঠাৎই রেল দুর্ঘটনায় পড়ে দুই পা হারিয়ে পুঙ্গত্ব বরণ করেন। মা রহিমা বেগমও শরীরে টিউমার নিয়ে রয়েছেন শঙ্কায়। বড় বোন মানসিক প্রতিবন্ধী। একমাত্র ছোট ভাই রংপুরে পড়াশোনা করছে।

দরিদ্র পরিবারের হাল ধরতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌকাঠ থেকে ফেরা রুবিনা জানান, দুর্ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে এক লাখ, রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে দুই লাখ, বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন সংগঠন থেকে ৯২ হাজার টাকা চিকিৎসা সহায়তা পেয়েছে।

ত্রাণ হিসেবে পাওয়া টাকা দিয়ে তিনি তার চিকিৎসার ব্যয় মিটিয়ে হাতে কিছু থাকা টাকা দিয়ে দেশীয় গরু ও একটি বড় গরু কিনেছেন। এখন সেই গরু লালন পালন করে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন রুবিনা।

গরুটিকে অনেক যত্ন আর স্নেহে পালন করায় আদর করে নামও রেখেছেন স্বপ্নরাজ। বর্তমানে গরুটির ওজন ১ হাজার ১০০ কেজি। দাম হেঁকেছেন ৯ লাখ টাকা।

রুবিনা খাতুন জানান, ১ হাজার ১০০ কেজি ওজনের স্বপ্নরাজের কাঙ্ক্ষিত দাম পেলে পরিবারে অনেকটাই সচ্ছলতা ফিরে আসবে। তিনি সমাজের বিত্তবান মানুষের কাছে তার চলাচলের জন্য একটি ইলেকট্রিক হুইলচেয়ার সহায়তা চেয়েছেন।

রুবিনার মা রহিমা বেগম জানান, দরিদ্রতার কারণে নিজের চিকিৎসা করা তো দূরের কথা; পরিবারের চাহিদা মেটানো দায় হয়ে পড়েছে। রুবিনার স্বপ্নপূরণে এবং তার খামার সম্প্রসারণে সংশ্লিষ্ট সবার কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।

পঞ্চগড় জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবদুল হাই জানান, রেলপথ দুর্ঘটনায় পঙ্গুত্ব বরণ করা রুবিনার গরুর খামার সম্প্রসারণে প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করা হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৯, ২০২২ ৪:৫২ অপরাহ্ন
স্বাধীনতাপদক প্রাপ্ত প্রবীণ সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরীর মৃত্যুতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর শোক
প্রিয়মুখ

স্বাধীনতাপদক প্রাপ্ত প্রবীণ সাংবাদিক ও খ্যাতিমান লেখক আবদুল গাফফার চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি ।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

শোকবার্তায় মন্ত্রী বলেন, আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি গানের রচয়িতা আবদুল গাফফার চৌধুরী তার লেখনীর মাঝে অমর হয়ে থাকবেন। জীবদ্দশায় নানা পদকে ভূষিত এ বরেণ্য ব্যক্তিত্ব তাঁর মেধা, প্রজ্ঞা ও অনন্য কর্মপরিচয়ে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

উল্লেখ্য, ৮৬ বছর বয়স্ক বর্ষীয়ান লেখক ও সাংবাদিক আব্দুল গাফফার চৌধুরী বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। স্থানীয় সময় বুধবার রাতে ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লন্ডনে মারা যান তিনি।

যুক্তরাজ্যপ্রবাসী স্বনামধন্য এ সাংবাদিক স্বাধীনতাযুদ্ধে মুজিবনগর সরকারের মাধ্যমে নিবন্ধিত স্বাধীন বাংলার প্রথম পত্রিকা সাপ্তাহিক জয় বাংলার প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন। তিনি ভাষা আন্দোলনের স্মরণীয় গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’র রচয়িতা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৩০, ২০২২ ১১:১৬ পূর্বাহ্ন
সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের মৃত্যুতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর শোক
প্রিয়মুখ

সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি।

মন্ত্রী আজ এক শোক বার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

শোকবার্তায় মন্ত্রী বলেন, আবুল মাল আবদুল মুহিত ছিলেন একজন বরেণ্য অর্থনীতিবিদ ও রাজনীতিবিদ। স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত এ বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ দেশের অর্থনীতিতে অনবদ্য অবদান রেখে গেছেন। এ অবদান জাতি দীর্ঘকাল কৃতজ্ঞতাভরে স্মরণে রাখবে। বহুমাত্রিক প্রতিভায় সমৃদ্ধ আবুল মাল আবদুল মুহিতের মৃত্যু দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।

সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত রাত ১২:৫৬ টায় ইউনাইটেড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।(ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।

বার্ধক্যের নানা জটিলতায় সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টামণ্ডলীর বর্ষীয়ান এই সদস্য অসুস্থ ছিলেন। মাঝে তাকে কয়েক দফায় হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়। শারীরিক দুর্বলতার কারণে সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিতকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলে মার্চের প্রথম সপ্তাহে। হাসপাতালের চিকিৎসার পর অবস্থা কিছু ভালো হলে কয়েকদিন পর ঢাকার বনানীর বাসায় ফেরেন তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৮, ২০২২ ৮:৩১ অপরাহ্ন
প্রফেসর ড. মোঃ আবুল মনসুর (মিল্লাত) এর ‘অমর একুশে স্মৃতি সম্মাননা-২০২২’ লাভ
প্রিয়মুখ

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু, বাকৃবিঃ বাংলাদশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ এর মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ আবুল মনসুর (মিল্লাত) শিক্ষা ও সমাজ সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ‘অমর একুশে স্মৃতি সম্মাননা-২০২২’ লাভ করেছেন।

ঢাকার শাহবাগস্থ জাতীয় জাদুঘরের বেগম সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। ইউনাইটেড মুভমেন্ট ফর হিউম্যান রাইটস এর পক্ষ থেকে উক্ত সম্মাননাটি প্রদান করা হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে সুপ্রীম কোর্টের বিজ্ঞ বিচারপতি, অতিরিক্ত সচিব, সুপ্রীম কোর্ট অ্যাডভোকেট, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, প্রকৌশলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সহ সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন ।

প্রফেসর মনসুর বিগত ৩৬ বছর যাবত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগে শিক্ষকতা করছেন । এছাড়াও তিনি দুই মেয়াাদে বিভাগীয় প্রধান এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হলের প্রভোস্টের দায়িত্ব পালন করেছেন । বর্তমানে তিনি মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন হিসেবে কর্মরত আছেন ।

প্রফেসর ড. মোঃ আবুল মনসুর (মিল্লাত) গত ২৭ এপ্রিল ২০২২ বাকৃবি রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে এক অবহিতকরণ চিঠিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১৯, ২০২২ ২:৫৯ অপরাহ্ন
বরিশালের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব মোঃ শামসুদ্দোহার মৃত্যুতে আফতাব ফিড প্রোডাক্টস এর শোক প্রকাশ
প্রিয়মুখ

দেশের দক্ষিণাঞ্চলের পোল্ট্রি শিল্পের জনপ্রিয় মুখ, বরিশালের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শামসুদ্দোহা গত ১৮ মার্চ, ২০২২ এ মৃত্যুবরণ করেন  (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর এই অকাল মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের বেসরকারী ফিড উৎপাদনকারী অন্যতম শীর্ষ ও স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান আফতাব ফিড প্রোডাক্টস লিমিটেড । এক শোকবার্তায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব আবু লুৎফে ফজলে রহিম খান শাহরিয়ার বলেন, “আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শামসুদ্দোহা অত্যন্ত সৎ এবং খামারীবান্ধব ব্যবসায়ী ছিলেন, বরিশাল এবং তৎসংলগ্ন অঞ্চলে পোল্ট্রি শিল্পের বৈপ্লবিক পরিবর্তনে যে কয়েকজনের অবদান রয়েছে তার মাঝে অন্যতম হচ্ছেন শামসুদ্দোহা ভাই, তাঁর মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আমরা মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি” ।

শারীরিক অসুস্থতার জন্য বিদেশে চিকিৎসাধীন থাকায় আবু লুৎফে ফজলে রহিম খান শাহরিয়ার মরহুমের জানাজায় উপস্থিত থাকতে পারেননি, তাই তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন ।

উল্লেখ্য, দক্ষিণবঙ্গের পোল্ট্রি শিল্পের উন্নয়ন ও প্রসারে নিরলসভাবে কাজ করেছেন আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শামসুদ্দোহা, ফলে তাঁর মৃত্যুতে দেশের পোল্ট্রি শিল্পে এক শূন্যতা তৈরী হলে যা সহজে পূরণ হবার নয় ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২৫, ২০২২ ৪:১৩ অপরাহ্ন
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর বিশিষ্ট ভেটেরিনারি চিকিৎসক ডা. খন্দকার গোলাম মোস্তফার মৃত্যুতে কৃষিমন্ত্রীর শোক
প্রিয়মুখ

টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী উপজেলার বিশিষ্ট ভেটেরিনারি চিকিৎসক ডা. খন্দকার গোলাম মোস্তফার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি।

মন্ত্রী আজ এক শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও শোকসসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

প্রয়াত খন্দকার গোলাম মোস্তফা কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপির মেজো মামা। তিনি টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি গ্রামের খন্দকার বাড়ি নিবাসী ছিলেন। মামার স্নেহ ও ভালবাসার স্মৃতিচারণ করে শোকবার্তায় মন্ত্রী বলেন, ছোটোবেলা থেকে মামার অপত্য স্নেহ ও ভালবাসা পেয়েছি। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন অত্যন্ত সৎ ও পরোপকারী। তিনি এলাকাবাসীর বিপদেআপদে সবসময়ই এগিয়ে আসতেন, তাঁদের পাশে দাঁড়াতেন।

উল্লেখ্য, ডা. খন্দকার গোলাম মোস্তফা আজ সকালে ঢাকায় আনোয়ার খান মর্ডার্ন হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত কারণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন( ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। তিনি স্ত্রী, এক কন্যা ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop