৫:১৩ পূর্বাহ্ন

শনিবার, ২০ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জানুয়ারী ২৭, ২০২৩ ৮:০৪ অপরাহ্ন
ফরিদপুরে বেড়েছে সূর্যমুখী ফুলের চাষ
প্রাণ ও প্রকৃতি

ফরিদপুরে বেড়েছে সূর্যমুখী ফুলের চাষ। স্বল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এর চাষ। ফরিদপুর বিএডিসির উৎপাদিত বীজ স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়।

বৈচিত্র্যময় কৃষির জেলা ফরিদপুর। এ জেলায় প্রায় সবধরণের ফসল উৎপন্ন হয়ে থাকে। সে কারণেই ফরিদপুরে শুরু হয়েছে অধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন সূর্যমুখী ফুলের চাষ। সূর্যমুখীর তেল কোলেস্টেরল মুক্ত। প্রচুর পরিমাণে প্রাণশক্তি থাকায় সূর্যমুখী তেল আমাদের শরীরের দুর্বলতা, কার্যক্ষমতা বাড়াতে অনন্যতম ভূমিকা রাখে। যেকোনো তেলের চাইতে সূর্যমুখী তেল দশগুণ বেশি পুষ্টি সমৃদ্ধ। আর সে কারণেই ফরিদপুরে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে সূর্যমুখী ফুলের চাষ।

ফরিদপুর জেলার নয়টি উপজেলার কৃষকরা চলতি মৌসুমে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। মাঠ জুড়ে হলুদ ফুলের সমারোহ। ফুলের সৌন্দর্য দেখতে আসছে দর্শনার্থীরাও। আর কৃষকেরা ভাল ফলন আশা করছেন।

ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন জানান, নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে সারিবদ্ধভাবে বীজ বপন করা হয়। বীজ বপনের ৯০ থেকে ১০০ দিনের মধ্যে ফসল তুলা যায়। সামান্য পরিমাণ রাসায়নিক সার ও দু’বার সেচ দিতে হয় এ ফসলে। প্রতি একর জমিতে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা খরচ হয়। আর এক একর জমির উৎপাদিত বীজ থেকে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা লাভ করা সম্ভব। সূর্যমুখী গাছ জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা যয়।

ফরিদপুর ডাল ও তৈলবীজ উৎপাদন খামার উপপরিচালক কৃষিবিদ মাহমুদুল ইসলাম খান জিয়া জানান, দিন দিন চাষিরা সূর্যমুখী ফুলের চাষাবাদের দিকে ঝুঁকছে। এই তেলে কোনো কোলেস্টেরিয়াল নেই, যে কারণে চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এটা অন্য ফসলের চেয়ে স্বল্প জীবন কাল ও লাভ জনক। সে কারণেই সূর্যমুখী ফুল চাষ করে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২৩, ২০২৩ ৮:৫৬ পূর্বাহ্ন
বিদায়ের পথে শীত
প্রাণ ও প্রকৃতি

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা গত ২৪ ঘণ্টায় তেঁতুলিয়ায় রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় তা ছিল ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সে হিসাবে ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

একই সময়ে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা টেকনাফে রেকর্ড করা হয়েছে ২৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ দিকে, ঢাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রা প্রায় ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে হয়েছে ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

রোববার আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বর্তমানে পুরো রংপুর বিভাগ, নওগাঁ ও মৌলভীবাজারে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। তবে ধীরে ধীরে এসব জায়গায় তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সামনে আর শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা নেই। দেশের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়বে। শীতের তীব্রতা কমবে।’

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গত শুক্রবার মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে গত ৩ বছরের মধ্যে দেশের সবচেয়ে কম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল। গতকাল শ্রীমঙ্গলের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ১৯, ২০২৩ ৭:৫৭ অপরাহ্ন
মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
প্রাণ ও প্রকৃতি

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ দেশের বিভিন্ন জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্য প্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, রাঙ্গামাটি, কমিল্লা, মৌলভীবাজার, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসহ রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগ সমূহের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
সারাদেশে আজ রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী তিন দিনে আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, এ সময় তাপমাত্রা বাড়তে পারে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বদলগাছীতে ৬ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে এবং সর্বোচ্চ টেকনাফে ২৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এছাড়াও শ্রীমঙ্গলে ৬ দশমিক ৫, তেঁতুলিয়ায় ৬ দশমিক ৮, সৈয়দপুর ৭ দশমিক ৮, ঈশ্বরদীতে ৭ দশমিক ৯, দিনাজপুর ও রাজারহাটে ৮ দশমিক ০, নেত্রকোনায় ৮ দশমিক ৪, চুয়াডাঙ্গায় ৮ দশমিক ৫, ডিমলায় ৮ দশমিক ৭ এবং তাড়াশে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৭, রাজশাহীতে ৯ দশমিক ০, রংপুরে ৯ দশমিক ৪, ময়মনসিংহে ৯ দশমিক ৪, সিলেটে ১০ দশমিক ৫, চট্টগ্রামে ১৪ দশমিক ৪, খুলনায় ১৩ দশমিক ৮ এবং বরিশালে ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

আজ সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এছাড়া মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
ঢাকায় আজ উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘন্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।
আজ সকালে ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮১ শতাংশ। ঢাকায় আজ সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৫টা ৩৫ মিনিটে এবং আগামিকাল সূর্যোদয় ভোর ৬টা ৪৩ মিনিটে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ৭, ২০২৩ ৪:১৯ অপরাহ্ন
সারাদেশে আরও বাড়বে শৈত্যপ্রবাহ
প্রাণ ও প্রকৃতি

সারাদেশে শৈত্যপ্রবাহ আরো বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

আজ সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় মাঝারী থেকে তীব্র শীতের অনুভূতি থাকতে পারে।

পূর্বাভাসে বলা হয়, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ,দিনাজপুর,নীলফামারী, পঞ্চগড়,যশোর,চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া,
সাতক্ষীরা ও বরিশাল জেলাসহ রাজশাহী বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে ২৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিনয়াস এবং সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে,উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে।

মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর বাড়তি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। শনিবার সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৫ টা ২৬ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৬ টা ৪৩ মিনিটে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৩০, ২০২২ ৯:১৩ পূর্বাহ্ন
রাজশাহীতে মধু চাষে স্বাবলম্বী ৫০ তরুণ!
কৃষি বিভাগ

রাজশাহীতে মধু চাষে তরুণদের আগ্রহ বাড়ছে। ইতোমধ্যে অনেক তরুণ মধু চাষে স্বাবলম্বী হয়েছেন। এখন সরিষার ক্ষেতের পাশে বাক্স বসিয়ে মধু চাষ করছেন অনেকেই। এতে মধু চাষি ও সরিষা চাষি উভয়ই লাভবান হচ্ছেন। মৌমাছি সরিষা ফুলে পরাগায়নের ফলে সরিষার উৎপাদন বাড়ছে। পাশাপাশি অধিক মধু আহরণ করতে পেরে লাভবান হচ্ছেন মধু চাষিরা।

জানা যায়, বর্তমানে রাজশাহীতে অন্তত ৫০জন তরুণ মধুচাষি মধু চাষ করছেন। কম খরচে মধু উৎপাদন করে আয় করছেন লক্ষাধিক টাকা। এতে করে ভাগ্য বদলের পাশাপাশি মধু চাষে স্বাবলম্বী হচ্ছেন বেকার তরুণরা। এদিকে বাণিজ্যিকভাবে মধু আহরণে মৌ চাষিরা যেমন লাভবান হচ্ছেন পাশাপাশি বাড়ছে সরিষা উৎপাদন।

রাজশাহী গোদাগাড়ী উপজেলার হাতনাবাদ গ্রামের যুবক সুমন আলী বলেন, আমি একসময় কাঠমিস্ত্রীর কাজ করতাম। ২০১৩ সালে রাজশাহীর বিসিক এলাকা থেকে মধু সংগ্রহের বক্স তৈরি করি। মধু সংগ্রহের ট্রেনিং নিয়ে সরিষা ক্ষেতে মধুচাষ শুরু করি। তারপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। মধু চাষ করে আমি স্বাবলম্বী হতে পেরেছি।

সুমন আরো বলেন, এবছর ৫০টির বেশি বক্স বসিয়েছি। গড়ে প্রতি সপ্তাহে তিনি আড়াই মন মধু সংগ্রহ করছি। আমাদের এখনকার উৎপাদিত মধুগুলো ২১ থেকে সাড়ে ২২ গ্রেডের হওয়ায় স্থানীয় ও মার্কেটে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আশা করছি এবছর আড়াই থেকে তিন লাখ টাকার মধু বিক্রি করতে পারবো।

রাজশাহী কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, রাজশাহীতে এবছর ৪০ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আবাদ হয়েছে ৪২ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে। এবছর রাজশাহীতে ৩ হাজার ৪০২টি মধু চাষের বক্স স্থাপন করা হয়েছে। এসব বক্স থেকে ৪০ হাজার ৮০০ কেজি মধু উৎপাদন হতে পারে। এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ২৩০ কেজি মধু সংগ্রহ করা হয়েছে। মধু চাষিরা লাভবান হওয়ার পাশাপাশি সরিষার ফলন বিঘা প্রতি ৩-৪ মণ বেড়েছে।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোজদার হোসেন বলেন, আমরা কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা করে আসছি। ফলে এবছর সরিষার আবাদ বেড়েছে। রাজশাহীতে তরুণরা মধু চাষে ঝুঁকছেন। মধু চাষ করে অনেক বেকার যুবক স্বাবলম্বী হয়েছেন। আর মধু চাষের ফলে সরিষার উৎপাদনও বেড়েছে ২৫ শতাংশ। ফলে সরিষা চাষিরাও লাভবান হচ্ছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৬, ২০২২ ১০:৪৪ অপরাহ্ন
দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতে মামুনের মধু
এগ্রিবিজনেস

ধোঁয়া সৃষ্টি করে মৌচাক থেকে প্রাকৃতিক মধু সংগ্রহ করেন মধু সংগ্রহকারীরা।তবে বর্তমানে প্রাকৃতিক মধুর চেয়ে বাণিজ্যিকভাবে মধু চাষ অনেক বেশি লাভজনক। মৌমাছির মাধ্যমে বিভিন্ন ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে সাফল্য পেয়েছেন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার মৌ চাষি মামুন আর রশিদ ওরফে মধু মামুন। কুষ্টিয়ায় উৎপাদিত মধু এখন অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশে যাচ্ছে। এ ব্যতিক্রম উদ্যোগ কুষ্টিয়ার মিরপুরের মৌ চাষি মামুনের।

মামুন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের গেটপাড়া গ্রামের মসলেম উদ্দিন মন্ডলের ছেলে। তাকে সবাই মধু মামুন বলেই চেনেন। মৌ চাষে আত্মনিয়োগ করে তিনি স্বাবলম্বী হয়েছেন। তার দেখানো পথে অনেকেই মধু খামার গড়ে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন। ব্যবসার ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী ধারণা ও দূরদৃষ্টি, অধ্যবসায় আর পরিশ্রম দিয়ে সফল হয়েছেন কুষ্টিয়ার মিরপুরের তরুণ মধু ব্যবসায়ী মামুন।

তিনি সরিষা ক্ষেতে মৌমাছি পালনের মাধ্যমে মধু উৎপাদন করে আসছেন দীর্ঘদিন। এখন স্থানীয় বাজারে বিক্রির পাশাপাশি সেই মধু অস্ট্রেলিয়াতে রফতানি শুরু করেছেন তিনি। বিষয়টি বেশ সাড়া ফেলেছে এলাকায়। মামুনের দেখাদেখি অনেকেই এখন মৌ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

জানা যায়, কারিগরি কোনো প্রকার প্রশিক্ষণ ছাড়াই ১৯৯৭ সালে মাত্র চারটি মধুর বাক্স নিয়ে শুরু হয় মধু মামুনের পথচলা। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। মামুন বলেন, শখের বসেই ১৯৯৭ সালে দুই হাজার ৬০০ টাকা দিয়ে মাত্র চারটি মধুর বক্স নিয়ে সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করা শুরু করি। এরপর ১৯৯৮ সালে তিনি মাস্টার্স পাস করেন। চাকরির আশা না করে শুরু করেন মধু চাষ। এখন তার তিনটি খামারে প্রায় সাড়ে ৪০০ মধুর বক্স রয়েছে। এখন এগুলোর প্রতিটির মূল্য আট থেকে নয় হাজার টাকা।

মধু মামুন জানান, নিজে কিছু করার চেষ্টা এবং অন্যদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করতেই আমার এ পথচলা। আমার খামারে উৎপাদিত মধু দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানোর পাশাপাশি বিদেশেও রফতানি করা হয়ে থাকে। বর্তমানে আমার তিনটি খামারে সাড়ে ৪০০ বক্সে মধু সংগ্রহ করা হচ্ছে। এরমধ্যে তাড়াশের কেন্দুয়িল, চাপাইনবয়াবগঞ্জের সুকনাপাড়া এবং কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ধুবইল মাঠে মধু সংগ্রহ করা হচ্ছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি ২০ টন মধু। গত বছর একটি খামার থেকে উৎপাদন করি ১০ টন।

তিনি আরো জানান, কুষ্টিয়ার মিরপুর এবং নাটোরের চলনবিলে সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ চলছে। প্রতি সপ্তাহে তিনটি খামারে ৫০০ থেকে ৬০০ কেজি মধু সংগ্রহ হচ্ছে। সংগৃহীত মধু দেশের গণ্ডি পেরিয়ে যাচ্ছে বিদেশেও। প্রতিটি বক্স থেকে প্রায় সাত থেকে আট কেজি মধু সংগ্রহ করা যায়। গত বছর খামার থেকেসহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা এবং কোম্পানির কাছে ৩০০ টাকা কেজি দরে মধু বিক্রি হয়েছে। এছাড়া আমার খামার থেকে প্রতিমাসে ১০০ কেজি মধু অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানো হয়।

মিরপুরের ধুবইল ইউনিয়নে স্থাপিত মধু মামুনের মৌ খামার পরিদর্শন শেষে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সরিষা ক্ষেতে মৌ চাষের ফলে একদিকে ফলন বাড়ছে এবং মধু সংগ্রহের ফলে পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত হচ্ছে। মামুন এ উপজেলার একজন মডেল মৌ খামারি। মধু চাষ করে তিনি স্বাবলম্বী হয়েছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৬, ২০২২ ৫:৫৭ অপরাহ্ন
ঝালকাঠিতে ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি বিষয়ে ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত
প্রাণ ও প্রকৃতি

বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি ঝালকাঠি ইউনিটের উদ্যোগে ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি বিষয়ে দিনব্যাপি ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

আজ সোমবার দুপুর ১১ টায় ঝালকাঠি প্রেসক্লাব মিলনায়তনে কর্মশালা উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির ঝালকাঠি ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন পান্না।

সভাপতিত্ব করেন রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি ঝালকাঠি ইউনিটের সহসভাপতি এডভোকেট মাহাবুবার রহমান। বক্তব্য রাখেন রেডক্রিসেন্টের সদস্য মনোয়ার হোসেন খান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা চিত্তরঞ্জন দত্ত, এফবিএফ প্রকল্পের সহকারী পরিচালক ও সমন্বয়কারি মো. শাহজাহান সাজু, জার্মান রেডক্রস- এর প্রতিনিধি ফাহিম আহম্মেদ প্রমুখ।

কর্মশালায় রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির ঝালকাঠি ইউনিটের ২৫ জন স্বেচ্ছাসেবক অংশগ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৩, ২০২২ ৯:০৩ পূর্বাহ্ন
রাজশাহীর তরুণরা স্বাবলম্বী হচ্ছেন মধু চাষে
কৃষি বিভাগ

রাজশাহী গোদাগাড়ী উপজেলার হাতনাবাদ গ্রামের যুবক সুমন আলী। একসময় ছিলেন কাঠমিস্ত্রী। এরপর ২০১৩ সাল থেকে সরিষা ক্ষেতে মধুচাষ করছেন। সরিষার মাঝে মৌমাছির সাহায্যে মধুচাষ করেই সুমন এখন সাবলম্বী। মধুচাষ করেই নিজের বাড়িটিও পাকা করেছেন। এবারও আশা করছেন আড়াই থেকে তিন লাখ টাকার মধু বিক্রির।

মধুচাষি সুমন জানান, রাজশাহীর বিসিক এলাকা থেকে মধু সংগ্রহরে বক্স তৈরি করে আনেন। এরপর মধু সংগ্রহের ট্রেনিং নিয়ে চাষ করা শুরু করেন। এবারও ৫০টির বেশি বক্স বসিয়েছেন। গড়ে প্রতি সপ্তাহে তিনি আড়াই মন মধু সংগ্রহ করছেন।

সুমন বলেন, আমাদের এখনকার উৎপাদিত মধুগুলো ২১ থেকে সাড়ে ২২ গ্রেডের হওয়ায় স্থানীয় ও মার্কেটে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আমাদের সব খরচ বাদ দিয়ে গড়ে প্রতি মৌসুমে আড়াই থেকে তিন লাখ টাকার মধু বিক্রি হয়।

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ফকিরপাড়া গ্রামের উত্তরপাড়ায় মৌচাষ করছেন মোঃ মমিন, নারায়ণ মন্ডল, হৃদয় মন্ডল, রুবেল, আলিম। মৌচাষি মোঃ মমিন বলেন, নাটোর এলাকা থেকে রানি মৌমাছি সংগ্রহ করে এবার ২০টি বক্সে মধু চাষ করছি। প্রতিটি বক্সে ৫টি করে চাক আছে। এগুলো থেকেই গতবার ভালো আয় হয়েছে। এবারও ভালো লাভের আশা করছেন তারা।

মমিন বা সুমনই নয়, রাজশাহীতে এখন অন্তত ৫০জন তরুণ মধুচাষি মধু চাষ করছে। কম খরচে মধু উৎপাদন করে আয় করছেন লাখ লাখ টাকা। এতে করে ভাগ্য বদল ও সাবলম্বী হচ্ছেন বেকার তরুণরা। একদিকে বাণিজ্যিক এই মধু আহরণে মৌ চাষিরা যেমন লাভবান হচ্ছেন পাশাপাশি বাড়ছে সরিষা উৎপাদন।

রাজশাহী কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, রাজশাহীতে এবার সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। যেখানে এবার সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪০ হাজার ২৫০ হেক্টর। সেখানে রাজশাহী জেলাতে সরিষা চাষ হয়েছে ৪২ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে। এসব জমিতে ৬৭ হাজার ৫০০ মেট্রিটন সরিষা উৎপান হতে পারে বলে ধারণা করছে কৃষি বিভাগ। রাজশাহীতে এবার প্রথমিক পর্যায়ে ৩ হাজার ৪০২টি মধু চাষের বক্স স্থাপন করা হয়েছে। এসব বক্স থেকে ৪০ হাজার ৮০০ কেজি মধু উৎপাদন হতে পারে। এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ২৩০ কেজি মধু সংগ্রহ করা হয়েছে। স্থানীয়দের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলার মৌ চাষি এসে মধু সংগ্রহ করছেন। এদিকে মৌ চাষ শুরু হওয়ার পর সরিষার ফলন বিঘা প্রতি ৩ থেকে ৪ মণ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৫, ২০২২ ৮:৫৪ অপরাহ্ন
পিদিম ফাউন্ডেশন আয়োজিত সেবার মান উন্নয়ন এবং ঝুঁকি মোকাবিলা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত 
পাঁচমিশালি

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: পিদিম ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে ‘সেবার মান উন্নয়ন এবং ঝুঁকি মোকাবেলার সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক গড়ে-তোলা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) পিদিম ফাউন্ডেশনের সেমিনার রুমে অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটি (এমআরএ) এর এক্স্রিকিউটিভ ভাইস-চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) মোঃ ফসিউল্লাহ্, পিদিম ফাউন্ডেশন এর সভাপতি শেখ ইমরান কিবরীয়া এর সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চেয়ারম্যান,সিডিএফ ও নির্বাহী পরিচালক পপি জনাব মি. মুর্শেদ আলম সরকার, নির্বাহী পরিচালক, সিডিএফ ও চেয়ারম্যান সাউথ এশিয়া মাইক্রো এন্টারপ্রেনারস নেটওয়াক মোঃ আব্দুল আউয়াল, এবং প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল অ্যাডভাইজার, অন্তর মোঃ ইমরানুল হক চৌধুরী।

সেমিনারে মূল প্রবদ্ধ উপস্থাপন করেন, প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক, পিদিম ফাউন্ডেশন এডভিন বরুন ব্যানার্জী।

জয়েস তিথি , সহকারী পরিচালক, আরটিডি সেল এবং তারিক সাঈদ হারুন, পরিচালক ( কোর প্রোগ্রাম) , কোস্ট ফাউন্ডেশন সঞ্চলনায় সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন হুমায়ুন কবীর সেলিম ( সিনিয়র পরিচালক,কার্যক্রম, পিদিম ফাউন্ডেশন), মোঃ শফিউল্লাহ শোভন, সিনিয়র পরিচালক ( মানব সম্পদ, প্রশাসন ও অডিট) পিদিম ফাউন্ডেশন প্রমুখ।

এছাড়া এসময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মোঃ ফসিউল্লাহ, পিদিম ভবনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন করেন এবং এর বিভিন্ন দিক ঘুরে দেখেন। পিদিম ফাউন্ডেশনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্নারের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং পিদিম ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহযোগিতায় অস্বচছল এবং মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে “বঙ্গবন্ধু উচ্চশিক্ষা বৃত্তি”র চেক প্রদান করা হয়েছে। এ বৃত্তির আওতায় প্রতি শিক্ষার্থী তাদের স্নাতকোত্তর পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে মাসে ৫ হাজার টাকা হারে শিক্ষাবৃত্তি পাবেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ ফসিউল্লাহ্ বলেন, ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠাণগুলো ঋণের বাইরে নানাবিধ সামাজিক ইস্যু নিয়ে কাজ করে সরকারকে নানাভাবে সহযোগিতা করছে। এ সেক্টরের সাথে প্রায় ৩ কোটি উপকারভোগী। যার অধিকাংশই নারী। জিপিতে এ খাতের অবদান প্রায় ২০ শতাংশ। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মো: আব্দুল আউয়াল বলেন, গরীব মানুষ আর্থিক সহযোগিতা চায় অনুদান নয়।

তিনি আরও বলেন, ক্ষুদ্রঋণের সা:চার্জ বাংলাদেশে বিশ্বের সবচাইতে। প্রতিবেশী দেশ ভারতে সা:চার্জ হচ্ছে ২৭ শতাংশ। তবে এ সেক্টরে আমরা আর্থিক কারিগরী এবং ডিজিটাইজেশনে এখনো পিছিয়ে আছি।

উক্ত সেমিনারে দেশের খ্যাতনামা ক্ষুদ্রঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৪০টি সংস্থার নির্বাহী পরিচালক এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ এবং আমন্ত্রিত অতিথিগণ অংশগ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২, ২০২২ ২:৪৮ অপরাহ্ন
কৃষাণীদের চমৎকার পিঠা উৎসব
প্রাণ ও প্রকৃতি

কৃষাণীদের একেকজন এক ধরনের পিঠা তৈরি করেছেন। কারো হাতে চিতল, কারো হাতে পুলি, নকশি, আর ভাপা পিঠা। আরও আছে দুধ চিতই, পাটিসাপটা, পাখন, তেলের পিঠা।

এদিকে জমির চারপাশে একতারা ও বাদ্যযন্ত্র হাতে নেচে নেচে গান গাইছেন একদল শিল্পী। এ যেন গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া সেই ঐতিহ্য ফিরে এসেছে।

ফসলের মাঠে নাচে-গানে পিঠা-পুলির আয়োজনের মধ্য দিয়ে ব্যতিক্রমী ধানকাটা উৎসব হয়েছে চট্টগ্রামের মিরসরেইয়ে।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার ১১ নং মঘাদিয়া ইউনিয়নের মিয়াপাড়ায় জমিতে পাকা আমন ধান কাটার মাধ্যমে উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট আইটি বিশেষজ্ঞ, চলচিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব মাহবুব রহমান রুহেল।

মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন মাস্টারের উদ্যোগে এই উৎসবে তিন শতাধিক কৃষক-কৃষাণী ছাড়াও স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শতাধিক কৃষক গায়ে সাদা গেঞ্জি, পরনে লুঙ্গি, মাথায় গামছা ও হাতে কাঁচি নিয়ে ধান কাটার জন্য সড়কের পাশের সারিবদ্ধভাবে অবস্থান করছেন। প্রধান অতিথি ধান কাটা উদ্বোধন করার পর পর একসঙ্গে সবাই প্রায় এক একর আমন ধান কাটেন। এরপর এক রঙ্গের শতাধিক নতুন শাড়ি পরিধান করে ছুটে আসেন গ্রামের কৃষাণীরা।

উৎসবে উপস্থিত কৃষক নুরুল মোস্তফা ও স্বপন চন্দ্র নাথ বলেন, আমার যখন ছোট ছিলাম তখন এমন উৎসব দেখেছি। এমন ধানকাটা উৎসব হারিয়ে গেছে। দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর পর আবার ধান কাটা উৎসবে একত্রিত হলাম, সবাই মিলে ধান কাটলাম অনেক ভালো লাগছে।

উৎসবের উদ্যোক্তা মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, আমাদের গ্রামেও শহরের যান্ত্রিকতা চলে আসছে। হারিয়ে গেছে গ্রামবাংলার সকল ঐতিহ্য। তাই হারিয়ে যাওয়া সেই ঐতিহ্যকে ফিরে পেতে আমাদের এই আয়োজন।

তিনি আরো বলেন, নতুন প্রজন্ম জানে না, ধান কাটা উৎসব কি, নবান্ন উৎসব কি নতুন প্রজন্মকে গ্রাম বাংলা সম্পর্কে বার্তা দিতে এমন আয়োজন করেছি। চার শতাধিক কৃষককে নতুন লুঙ্গি, গেঞ্জি, গামছা ও শতাধিক নারীর জন্য নতুন শাড়ির তৈরি করেছি।

ধানকাটা শেষে মঘাদিয়া নুরুল আবছার চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহবুব রহমান রুহেল বলেন, আমি ছোট বেলায় দেখেছি আমার দাদারা ধান কাটা নিয়ে অনেক আনন্দ করতেন। এখন তা হারিয়ে গেছে। মঘাদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন মাস্টার এমন চমৎকার আয়োজন করা জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়ে কিছুতেই তিন ফসলি জমি নষ্ট করা যাবে না। আমাদের অনাবাদি জমি চাষাবাদ করতে হবে। আমার কষ্ট লাগে কৃষকরা উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হন। এক শ্রেণির মধ্যস্বত্ত্বভোগী লাভবান হয়। কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে, কৃষক ছাড়া একটি দেশ কোন প্রকারেই খাদ্যে নিশ্চয়তা দিতে পারে না। তাই কৃষকদের কৃষি কাজে উৎসাহ দিতে বর্তমান সরকার ভর্তূকি ও বিনা মূল্যে সার, কিটনাশক ও বীজ সরবরাহ করে আসছে।

এসময় আরো বক্তব্য রাখেন মঘাদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন মাস্টার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নুরুল গনি, তথ্য-প্রযুক্তি ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক আরিফ মাঈনুদ্দীন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি তোফায়েল উল্ল্যা চৌধুরী নাজমুল, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবছার লিটন, কৃষকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন খোন্দকার হারুন।

আলোচনা সভা শেষে ধান কাটায় চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলকে ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop