৭:৩৭ পূর্বাহ্ন

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জানুয়ারী ৪, ২০২৪ ১২:৩৪ অপরাহ্ন
খামারিদের জন্য পাইকারি আড়ত উদ্বোধন
পোলট্রি

ক্রেতার কাছে কমদামে সরাসরি খামারিদের উৎপাদন করা ডিম-মুরগি বিক্রির জন্য রাজধানীর শনির আখড়া গোবিন্দপুর বাজারে একটি পাইকারি আড়তের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) উদ্যোগে এ আড়তের উদ্বোধন করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিউজ্জামান। তিনি বলেন, উৎপাদক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে নানা স্তরে হাতবদলের ফলে পণ্যের দাম বেড়ে যায়। আবার কখনো কখনো এ মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে বাজার সিন্ডিকেট হয়, পণ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। এমন আড়তের ফলে এখন ক্রেতারাও কমদামে পণ্য পাবেন, খামারিরাও ভালো দামে পণ্য বিক্রি করতে পারবে।

 

তিনি বলেন, উদ্বোধনের পর এ আড়তে খামারিরা ১২০ টাকা ডজন ডিম বিক্রি করবে, যেখানে বাজারে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা। এছাড়া ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হবে ১৭৫ টাকা কেজিতে, যেখানে বাজারে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা। অর্থাৎ এতে খামারিও যেমন উপকৃত হবে, ভোক্তারাও উপকৃত হবে। এ এইচ এম শফিউজ্জামান বলেন, এমন ব্যবস্থা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় করা গেলে বাজারে সিন্ডিকেট বিপণন ব্যবস্থা ভেঙে যাবে।

 

এসময় বিপিএ সভাপতি সুমন হাওলদার বলেন, ডিম ও মুরগি বিক্রির ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত ন্যায্যমূল্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোক্তা মিলে এ উদ্যোগ নিয়েছি। নাজিফা পোল্ট্রি ফিড অ্যান্ড মেডিসিন নামে ডিম-মুরগির পাইকারি আড়তের মাধ্যমে আমরা বাজারের সিন্ডিকেট ভাঙতে এবং ডিম ও মুরগির বাজারে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, বিপিএর নিজস্ব অর্থায়নে ভাড়া করা ফিড মিলে পোল্ট্রি ফিড উৎপাদন করে খামারিদের ন্যায্যমূল্যে দেওয়া হবে। খামারিদের উৎপাদিত ডিম ও মুরগি ভোক্তা এবং পোল্ট্রি ব্যবসায়ীদের কাছে সরাসরি সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। সেজন্য যাত্রাবাড়ী থানার শনির আখড়া গোবিন্দপুর বাজারে বিপিএর প্রথম আড়ত উদ্বোধন করতে চাচ্ছি। পরবর্তীসময়ে ঢাকা মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান/বাজারগুলোতে বিপিএর আড়তের মাধ্যমে খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে ডিম ও মুরগি বিক্রির কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ১, ২০২৪ ৯:২৪ পূর্বাহ্ন
সোনালী মুরগির ডিম উৎপাদনে যা করবেন
পোলট্রি

আমাদের দেশে মুরগির মাংস এবং ডিমের চাহিদা ব্যাপক। এই মুরগির মাংস এবং ডিমের চাহিদা পূরণে গড়ে উঠেছে নানান মুরগির খামার। আর এসব খামারের মধ্যে অন্যতম হলো সোনালি মুরগির খামার। যা অনেক আগ থেকেই আমাদের দেশে গ্রামাঞ্চলে পালন করা হচ্ছে। এরমধ্যে অনেকে কেবল ডিমের চাহিদা পূরণেও এই সোনালি মুরগির খামার করে থাকেন।

ডিম উৎপাদনের জন্য সোনালী মুরগি পালনে যা করা জরুরীঃ

১। সোনালি মুরগি পালনের ক্ষেত্রে শুরুতেই মনে রাখতে হবে এটি একটি ব্যবসা। আর ব্যবসাকে হেলার চোখে দেখার কিছু নেই। সোনালী মুরগি পালনে উদাসীনতা দেখালে মুরগি পালনে লোকসান দেখা দিতে পারে। সেজন্য সোনালি মুরগি পালনের প্রতিটি পদক্ষেপ গুরুত্বের সাথে নিতে হবে।

২। সোনালীর ক্ষেত্রে ব্রূডিং এর সময় “এস্পারজিলোসিস” হবার অনেক সম্ভবনা থাকে। সেজন্য মুরগির ব্রূডিং কালে লিটারে তুঁতের পানি ছিটিয়ে ব্রূডিং করাতে হবে। এতে ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।

৩। সোনালি মুরগি পালনের ক্ষেত্রে অনেক খামারিরা ভ্যাকসিন প্রদান নিয়ে অনেকটা উদাসীনতা দেখায়। সময়মতো মুরগিকে ভ্যাকসিন দিনে না পারলে অনেক সময় খামারিদের লোকসানে পড়তে হয়। আর সেজন্য ভ্যাকসিনসূচী অনুযায়ী ভ্যাকসিন প্রদান করতে হবে।

৪। সোনালি মুরগি পালনের ক্ষেত্রে লেয়ার মুরগির মতোই আলোকসূচি মেনে চলতে হবে। লেয়ার মুরগির মতোই সোনালি মুরগিতে আলোক নিয়ম মানলে সবচেয়ে ভাল হয়।

৫। সোনালি মুরগি পালনের ক্ষেত্রে মুরগির বয়স ৮ থেকে ১০ সপ্তাহ হলে পুরুষ ও স্ত্রী সোনালী মুরগীগুলোকে পৃথক করতে হবে। সাধারনত মুরগী গুলোর ঝুটি ও পালক দেখেই পুরুষ ও স্ত্রী সোনালী মুরগী চেনা যায়। যেহেতু আপনার উদ্দেশ্য ডিম উৎপাদন তাই পুরুষ গুলো রাখার কোন প্রয়োজন নেই।

৬। সোনালী মুরগি সাধারনত দিনে ৮০ থেকে ১০০ গ্রাম খাবার গ্রহন করে। অতিরিক্ত বা কম খাবার দেয়া কোনটিই ঠিক না। এক্ষেত্রে মোট খাদ্যের ৬০% সকালে দিয়ে দিতে হবে। আর বাকি ৪০% খাবার ২০% -২০% করে দুপুরে ও বিকেলে দিতে হবে।

৭। খামারের মুরগিগুলোর বয়স ১৪ থেকে ১৬ সপ্তাহ হলে মুরগীগুলোকে খাঁচায় তুলতে হবে। মেঝেতে মুরগিগুলোকে না রেখে খাঁচায় রাখলে বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যায়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ১, ২০২৪ ৯:২১ পূর্বাহ্ন
Viruses in Animal Feed Need More Attention
পোলট্রি

Animal feed is a part of the food chain and has an impact on both the health and welfare of animals as well as the safety of human food. This article lists possible suggestions to prevent the spread of viruses by feed.

Many hazards may contribute to contaminated feed. Hazards are categorised as biological, chemical or physical. Bacteria, moulds, viruses, prions and parasites are examples of biological hazards. In fact, feed could be a possible source of this type of hazard and special attention has been paid to pathogenic bacteria. Many articles have been published and manufacturing procedures developed related to the control of salmonella as a zoonosis bacterium in feed which is responsible for causing feed/foodborne illness of animals and humans. Bacteria as live organisms can also replicate in feed.

Viruses can potentially exist in feed but they cannot reproduce by themselves. They can only multiply in a suitable host and not in the feed, thus for many years, viral contamination of feed has not been given a lot of attention in feed quality and safety management systems. However, feed is a potential vector to spread viruses to animals and humans. Global feed production is more than 1.1 billion tons annually and many consignments of feeds are transferred from one continent to another by trans-oceanic shipping.

In recent years, many viral diseases outbreaks have infected livestock and other animals. Foot and mouth disease (FMD), Newcastle disease, Avian influenza, Porcine epidemic diarrhoea (PED) and African swine fever (ASF) are recent instances of viral diseases in livestock. Many of the viral diseases do not infect humans but will affect the health of livestock, food supply chain and international trade.

One of the main potential routes of spreading viral diseases in animals within the borders of countries is the transit of live animals. When there is a viral disease outbreak, severe quarantine tasks are implemented preventing the transit of live animals to control animal diseases within the borders. However, these severe controls have not been implemented for feed in the same manner. Many of the viruses responsible for animal diseases are stable in feed and feed ingredients, even during long distance transportation.

 

Suggestions to prevent the spread of viruses through feed:

  • Measures should be taken to prevent contamination from infected areas to the clean areas.
  • Measures to prevent the spread of viruses should be considered in national and international policies, biosecurity protocols for farms and feed mills and feed quality management systems.
  • Early warning systems for infected areas and countries should be considered.
  • More awareness and attention should be given to potentially virus infected feed by government authorities for products that are internationally traded.
  • Suppliers of feeds and feed ingredients should consider the health status of the origin country or region along with price and nutritional value.
  • Feed manufacturers should buy feed ingredients from non-infected areas.
  • Bans on imported feed and ingredients from infected areas and countries should be considered by governments.
  • The use of potential anti-virus treatments in the manufacturing of feeds and feed ingredients such as chemical treatments (feed additives such as organic acids, fatty acids and essential oils), thermal treatments and legal fumigants to reduce or eliminate viruses should be considered.
  • Potentially infected materials should be kept quarantined prior to use to overcome the survival time of livestock pathogens, where possible.
  • Feed safety management systems, feed safety policies and biosecurity plans of feed mills and livestock farms should include risk mitigation protocols for viruses potentially transmitted in feed stuffs.
  • Virus survival time in feeds and feed ingredients are different and some feed stuffs are more high-risk. Products should be evaluated based upon risk and used in risk ranking models.
  • Vehicles that transport feed from feed mills to livestock farms are subjected to virus infection and should be cleaned and disinfected by effective methods between deliveries.
  • Appropriate methods of sampling and rapid detection of important viruses should be used in international trade of feed.
শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৭, ২০২৩ ৯:৫৭ পূর্বাহ্ন
পোল্ট্রি খামারে সহজে লাভের মুখ দেখার উপায়
পোলট্রি

অতীত কাল থেকে গ্রাম অঞ্চলের মানুষ হাঁস – মুরগি পালন করে তাদের সংসারের আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য এনেছেন । গ্রাম অঞ্চলের মানুষ কোনো রকম খরচ ছাড়া নিজের বাড়িতে ছোট্ট একটা ঘর করে মুরগি পালন করেন । মুরগি পালন করে যেমন ডিম মাংসের চিহিদা পূরণ করা যায় তেমন অর্থনৈতিক ভাবে কিছু উন্নতি লাভ করা যায় । তাই গ্রাম অঞ্চলের মানুষ এখন মুরগি পালনে উদ্যোগী হচ্ছে ।

বর্তমানে ডিম ও মাংসের ব্যাপক চাহিদা থাকায় পোল্ট্রি পালন এখন লাভজনক পেশায় পরিণত হয়েছে। অনেক বেকার যুবক এই পেশাকে এখন নিজের প্রধান জীবিকা হিসাবে নিয়েছে। এই পোল্ট্রি পালন করতে হলে কিভাবে করতে হবে আর জন্য কী কী পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে , কিভাবে পরিচর্যা করতে হবে , এবং এই পেশায় কেমন লাভ করা যায় ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

ডিপ – লিটার পদ্ধতিতে পোল্ট্রি পালন :
পোল্ট্রি পালন মূলত ডিপ – লিটার পদ্ধতিতে হয়ে থাকে। আলো বাতাসযুক্ত সাধারণ ঘরে বা কাঠের প্ল্যাটফর্মের ওপর খাঁচার মতো করে ঘর তৈরি করে নিতে হয় তারপর মেঝেতে চুম ও ব্লিচিং দিয়ে পরিষ্কার করে কাঠের গুঁড়ো , ধানের তুষ ইত্যাদি ছড়িয়ে ১০ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার পুরু করে লিটার তৈরি করা হয়।

জল ও খাদ্য পাত্র: পোল্টি ফার্মের জন্য জল ও খাদ্য পাত্রের বিশেষভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হয়।

পাত্রগুলো যাতে উল্টে না যায় তার জন্য বিশেষ ভাবে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। এর জন্য স্বয়ংক্রিয় খাবারের পাত্র এবং পানির পাত্র রাখতে হয়।
কিভাবে ডিপ – লিটারের পরিচর্যা নিতে হয় :
ডিপ – লিটারের বিশেষ ভাবে পরিচর্যা করতে হয় কারণ মুরগির বেড়ে উঠার অধিকাংশই নির্ভর করে এই লিটারের উপর।
১ লিটার সবসময় শুস্ক রাখা আবশ্যক।
২ লিটারের গভীরতা ঠিক রাখতে হয়
৩ বছরে অন্তত একবার লিটার পরিষ্কার করতে করতে হয়
৪ পোকামাকড়ের উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ঘরের দেওয়ালে দিয়ে স্প্রে করতে হয়।

মুরগির খাদ্য দ্রব্য:
মুরগির সঠিক ভাবে বেড়ে উঠার জন্য প্রোটিন যুক্ত খাদ্য সরবরাহ করতে হয়। মুরগির খাদ্য মূলত গম , ভুট্টা ,চালের গুঁড়ো ,শুকটি মাছ ইত্যাদি দিয়ে তৈরি হয়। আবার উপযুক্ত পরিমানে ভিটামিন অ ,ই ২,উ ৩ খাদ্যে মিশিয়ে দিতে হয়।

পোল্ট্রি পালন কতটা লাভজনক :
পোল্ট্রি পালন অনেকটাই লাভজনক। পুষ্টির গুণমানের জন্য এর চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে। ৩১ থেকে ৩৫ দিনের মুরগির গড় ওজন দেড় থেকে পৌনে দুই কেজি হয়ে থাকে। একটি ১০০০ পোল্ট্রি মুরগির ফার্ম তৈরি করতে খরচ হয় মোট ৮০ হাজার টাকা।
৪০ দিনের মাথায় মুরগি বাজারজাত করলে সমস্ত খরচ বাদ দিয়ে ইনকাম থাকে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা।পোল্ট্রি মুরগির রোগ প্রতিরোধ করার জন্য বিশেষভাবে যত্নবান হতে হয় সঠিক সময় মত ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হয় ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৭, ২০২৩ ৯:৫৫ পূর্বাহ্ন
ব্রয়লারের খামার যেভাবে জীবাণুমুক্ত রাখবেন
পোলট্রি

ব্রয়লার পালন লাভজনক হওয়ার কারণে বর্তমানে আমাদের দেশের অনেকেই মুরগির খামার গড়ে তুলছেন। খামারে ব্রয়লার মুরগি পালনে খামার জীবাণুমুক্ত না করার কারণে অনেক সময় খামারে মারাত্মক রোগের দেখা দেয়।

ব্রয়লার পালনে খামার জীবাণুমুক্ত রাখার কৌশল:

খামারের আগের মুরগি বিক্রি করার পর ফিডার, ড্রিংকার ম্যালাথিয়ন বা সেভিন ১০ মিলি/লিটার পানিতে রাখার পর পর্দা তুলে দিয়ে স্প্রে করতে হবে যাতে সেডের ভিতরে যত পোকা বা বিটল আছে সব মারা যায়। যদি এগুলো যদি বেঁচে থাকে তবে পরবর্তী ফ্লকে জীবানু নিয়ে যেতে পারে। এরপর ৪ লিটার পানিতে ১ লিটার ফরমালিন দিয়ে সম্পূর্ন ঘর স্প্রে করতে হবে।

ব্রয়লার মুরগির খামারে ফরমালিন স্প্রে করার কমপক্ষে ১২ ঘন্টা পর শেডের ভিতরের ফিডার, ড্রিংকার বের করে ফেলতে হবে।
ব্যবহৃত লিটারগুলো বস্তায় ভরে আগের স্থান থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে। যা বিক্রি করা যাবে অথবা সবজি ক্ষেতে সার হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

মেঝেতে নারিকেলের ঝাড়ু, প্লাস্টিক ব্রাশ দিয়ে ধূলিকনা, মাটি, মুরগীর পাখনা, আবর্জনা ইত্যাদি যদি থেকে থাকে তাহলে সেগুলো ভালোকরে পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।

জীবাণুমুক্ত করার সর্বশেষ ধাপ হচ্ছে ফিউমিগেশন করা। ফিউমিগেশন এর জন্য ঘরের আয়তন অনুযায়ী ফরমালিন ও পটাশ প্রয়োগ করতে হবে। এক্ষেত্রে জন্য ৪০ মিলি ফরমালিন এবং ২০ গ্রাম পটাশ ১০০ ঘন ফুট শেডের জন্য প্রয়োগ করতে হবে।

মেঝে থেকে সবকিছু সরানোর পরে পানি দিতে হবে। তবে ঘরে পানি ব্যবহার করার পূর্বে নিশ্চিত হতে হবে যে ইলেকট্রিক মেইন সুইস অফ করা হয়েছে। অফ করা না থাকলে তা অফ করে তারপর পানি ঢেলে দিতে হবে।

মেঝে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। তারপর কস্টিক সোডা ১.২৫ কেজি প্রতি ১০০০ বর্গফুট ফ্লোরে দিয়ে ২৪ ঘন্টা পানি দ্বারা ভিজিয়ে রাখতে হবে। ২৪ ঘন্টা পর কস্টিক সোডার পানি বের করে দিয়ে পরিস্কার পানি দিয়ে ফ্লোর ভালভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।

খামারে লিটার ঢুকানোর পূর্বেই ম্যালাথিয়ন ও ফরমালিন স্প্রে করে পরিষ্কার শেডে ঢুকাতে হবে। এতে আরও বেশি জীবাণুমুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৫, ২০২৩ ৮:৫০ পূর্বাহ্ন
শীতে পোলট্রি খামারীদের করণীয়
পোলট্রি

বাংলাদেশে ঋতু পরিক্রমায় আগমন ঘটে শীতের। মানুষের ওপর শীতের প্রভাব ঘটে, হাঁস-মুরগির ক্ষেত্রেও তেমনি প্রভাব পরে। তাই শীতের সময় খামার পরিচালনার ক্ষেত্রে খামারি ভাইদের বিশেষ নিয়মনীতি মেনে চলতে হয়। শীতের তীব্রতায় তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারণে ডিম পাড়া মুরগীর ডিম উৎপাদনের হার যেমন কমে যায়, তেমনিভাবে কতগুলো রোগের কারণে বাচ্চা মুরগিও মারা যেতে পারে। এ ছাড়া শীতের সময় ডিম দেয়া মুরগীর শরীরে প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা বজায় রাখার জন্য সরবরাহকৃত খাদ্য হতে প্রাপ্ত এনার্জি বেশি ব্যয় করে থাকে। শীতের সময় ঠাণ্ডার কারণে বিভিন্ন বয়সের মুরগির পীড়ন বেশি হয়।
*শীতের প্রারম্ভেই পোলট্রি শেডের যাবতীয় মেরামত কাজ করতে হবে। যেমন ঘরের জানলায় চটের পর্দা দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে অতিরিক্ত ঠাণ্ডা আবহাওয়া থেকে মুরগিকে রক্ষা করা যায়।
*হাঁস-মুরগি পালনের ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পোলট্রি শেডের/ঘরের তাপমাত্রা ঠিক রাখার জন্য লিটার ব্যবস্থাপনার দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। যদি পুরা ৩ লিটার থাকে তাহলে পরিবর্তন করে দেয়া ভালো। লিটারের উচ্চতা বাড়িয়ে ৭-৮ ইঞ্চি পুর করে দিতে হবে। শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকার কারণে পোলট্রি শেডে ধুলোবালি বেশি পরিমাণে জমা হয়। লিটারের আর্দ্রতা শতকরা ২৫% ভাগের চেয়ে নিচে নেমে গেলে লিটার থেকে ধুলা উড়তে থাকে; এতে শেডের পাখির ধকল বেড়ে যায় এবং শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সর্বোপরি শেডে সার্বিক তাপমাত্রা রক্ষা করা।
*শীতকালে দিনের সময় কাল কম থাকায় সূর্যের স্বাভাবিক আলো প্রাপ্তির সময় কম হয়। বিশেষ করে ডিম পাড়া মুরগীর ক্ষেত্রে দিনের আলো হিসাব করে রাতে নির্দিষ্ট পরিমাণ কৃত্রিম আলোর ব্যবস্থা করতে হবে।
*পোলট্রি শেডের আশপাশে ডালপালাযুক্ত গাছ থাকলে শীতকালে তা কেটে/ছেঁটে ফেলাই ভালো।
*পোলট্রি ব্যবস্থাপনায় লেয়ার/ব্রয়লার পালনের ক্ষেত্রে খাবার নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সঠিক মান অনুযায়ী সুষম খাদ্যের ফর্মুলা তৈরি করে সরবরাহ করতে হবে। অথবা কোনো উন্নত খাদ্য উৎপাদনকারী কোম্পানির খাদ্য খাওয়ানো যেতে পারে। শীতকালে মুরগির দেহে অধিক শক্তি যোগানোর জন্য উপাদানে পরিবর্তন আনতে হবে। খাদ্যে এনার্জির পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে এবং রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেতে পারে। লিটার পুরাতন হলে গুণগত মান ঠিক আছে কিনা সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
*খামারের বিভিন্ন বয়সের ও ভিন্ন ভিন্ন জাতের মুরগিকে আলাদা রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে ভালো কৌশল হলো “অল ইন আউট” বা “একত্র প্রবেশ একত্রে বাহির” পদ্ধতি অনুসরণ করা।
*খামারের প্রতিটি মুরগির জন্য পরিমাণমতো জায়গা রাখতে হবে এবং কম জায়গায় যেন বেশি মুরগি না থাকে সেদিকে খামারীদের লক্ষ রাখতে হবে।
*মুরগির ঘরে শীতের মুক্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে চারটি বিষয় বিশেষভাবে বিবেচনায় আনতে হবে।
*মুরগির শেডে/ঘরে সর্বত্র বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করা। যথাযথ মাত্রায় আর্দ্রতা রক্ষা করা।
*শেডের থেকে এমোনিয়া ও কার্বন ডাই অক্সাইডসহ খারাপ গন্ধ দূর করা।
*গরমের দিনের তুলনায় একটু বেশি খাবার সরবরাহ করতে হবে।
*খাদ্য দেয়ার পরপরই খুব তীক্ষè দৃষ্টিতে একনজরে সকল মুরগিকে শেডের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত অবলোকন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে অসুস্থ মুরগি থাকলে চিহ্নিত করে আলাদা ব্যবস্থা নিতে হবে।
*“পানির অপর নাম জীবন” খামারে বিশুদ্ধ পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখতে হবে। কোনোক্রমেই পুকুর, পাতকুয়ার পানি মুরগিকে খাওয়ানো যাবে না বা খাদ্য ও পানির পাত্র ও অন্যান্য ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি এ সব উৎসের পানি দিয়ে ধোয়া যাবে না। পানির পাত্র কমপক্ষে দিনে দু’বার পরিষ্কার করতে হবে।
*খামারের মুরগিকে যথাযথভাবে এবং নির্দিষ্ট সময়ে টিকা প্রদান করতে হবে এবং এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট রেজিস্ট্রার/খাতায় টিকা দানের তারিখ, শেডের নম্বর, বাচ্চার সংখ্যা, টিকার নাম লিপিবদ্ধ করতে হবে।
*খামারে কোন মুরগির রোগব্যাধি দেখা দিলে তাৎক্ষণিক ভাবে সেগুলোকে আলাদা করে রাখতে হবে। প্রকৃত রোগ শনাক্ত করে রোগ নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূলের জন্য সু-চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
*মৃত মুরগিকে যেখানে, সেখানে না ফেলে মাটির নিচে পুঁতে ফেলতে হবে।
*খামারে দর্শনার্থী ও বাইরের লোকজন যাতায়াত বন্ধ করতে হবে।
*খামারের প্রতিদিনের কাজের রেকর্ড রাখতে হবে। খাদ্য প্রদান, তাপমাত্রা, ভ্যাকসিনেশন ও রোগের প্রার্দুভাবের রেকর্ডসহ কখন কোন ঔষধ/টিকা প্রদান করা হলো তার রেকর্ড রাখতে হবে।
*প্রতিদিন মুরগির শেড/ঘরে আলগা ময়লা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করলে রোগ জীবাণু সহজে প্রবেশ করতে পারবে না।
*প্রতিটি শেড/ঘরের সম্মুখে জীবাণুনাশক পাত্র রাখতে হবে এবং ঘরে প্রবেশের পূর্বে পরিচর্যাকারীকে তা ব্যবহার করতে হবে।
*পরিচর্যাকারী মুরগির শেডে প্রবেশের পূর্বে যেন তার পরিধেয় পোশাক পরিবর্তন করে নেয় সে ব্যবস্থা রাখতে হবে।
*মুরগির শেডে/ঘরে যেন কোনো রকম পাখি, ইঁদুর ও অন্যান্য ক্ষতিকর প্রাণী প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে অবশ্যই খামারিকে খেয়াল রাখতে হবে।
*শীতে মুরগির দেহে পরজীবীর আবির্ভাব বেশি ঘটে, সে কারণে পরজীবী প্রতিরোধের আগাম ব্যবস্থা নিতে হবে।
*মুরগির ঝাঁক/দলের মধ্যে দুর্বল, অসুস্থ, ডিম উৎপাদনে অক্ষম, কম ডিম উৎপাদনশীল ও বিকৃত মুরগিকে সবসময় বাঁছাই/ছাঁটাইয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
*হাঁস/মুরগি পালনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পরামর্শের জন্য আপনার নিকটস্থ উপজেলা/জেলা পশু চিকিৎসা কেন্দ্রে যোগাযোগ করতে পারেন।
বিমল চন্দ্র সরকার*
* সাবেক সহকারী তথ্য অফিসার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর, আঞ্চলিক অফিস, বরিশাল
শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৪, ২০২৩ ৯:৫৭ পূর্বাহ্ন
কোটালীপাড়ায় আমান ফিডের ”আধুনিক খামার গড়ি” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
পোলট্রি

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় আমান ফিড লিমিটেডের আয়োজনে ও মেসার্স মোল্লা এন্টারপ্রাইজের সহযোগিতায় আধুনিক খামার গড়ি শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ৯টায় উপজেলা সদরের মোল্লা প্লাজায় এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান হাজরা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সেমিনার উদ্বোধন করেন।

আমান ফিড লিমিটেডের পরিবেশক মোঃ হান্নান মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমান ফিড লিমিটেডের জিএম ড. শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ, সিনিয়র এজিএম কাজী শহীদুজ্জামান, উজ্জল কান্তি রাহা, এজিএম মোঃ রইজ উজ্জামান সুমন, ডা. সালাউদ্দিন ভুঁইয়া, খামারী হেমন্ত রায় বক্তব্য রাখেন।সেমিনারে কোটালীপাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ৫০ জন খামারী অংশ নেন।

আমান ফিড লিমিটেডের জিএম ড. শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ বলেন, আমান ফিড কোটালীপাড়ায় পোল্ট্রি, মৎস্য ও গবাদি খামার সম্প্রসারণে কাজ করছে। খামারীকে আধুনিক খামার গড়ে দিতে আমরা নিয়োজিত রয়েছি। আধুনিক খামার গড়ে দিয়ে খামারীকে আমরা আর্থিক ভাবে লাভবান করে তুলবো। এতে কোটালীপাড়া উপজেলার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সেক্টর সমৃদ্ধ হবে। এ অঞ্চলের মানুষের প্রটিন ও আমিষের চাহিদা পূরণ করে খামারী অতিরিক্ত মাছ, মাংস অন্য জেলায় সরবরাহ করবেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২২, ২০২৩ ৯:২০ পূর্বাহ্ন
আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে মুরগির রোগ প্রতিরোধে যা করবেন
পোলট্রি

আমাদের দেশের ডিম ও মাংসের চাহিদা পূরণ করার জন্য এখন বিপুল সংখ্যক পোলট্রি তথা মুরগির খামার গড়ে উঠেছে। আবহাওয়া বা ঋতু পরিবর্তনজনিত কারণে খামারে অনেক সময় প্রভাব পড়ে থাকে। আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে মুরগির রোগ প্রতিরোধে করণীয় কি কি রয়েছে সেগুলো খামারিদের ভালোভাবে জেনে রাখা দরকার।

আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে মুরগির রোগ প্রতিরোধে করণীয়:
আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে খামারে বাচ্চা আসার সময় বক্স মর্টালিটি হয়। আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে ব্রুডিং অব্যবস্থাপনাজনিত কারণে মুরগির বাচ্চা মারা যায়।

লেয়ার মুরগির খামারের ক্ষেত্রে প্রোডাকশন কিছুটা কমে যায়। শীতকালের মত কম জায়গায় বেশি মুরগি পালনের ফলে মুরগির ওজন কম আসে।

খামারে পর্দা ব্যবস্থাপনার কারণে গ্যাস জমে এবং মুরগির চোখে এ্যামোনিয়া বার্ন হয়, এসসাইটিস দেখা দেয়। খামারে হঠাৎ মুরগির মড়ক দেখা দিতে পারে এবং খামারিদের লোকসান হয়ে থাকে।

আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত সমস্যায় করণীয়:
আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত সমস্যায় প্রথম এবং সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে বায়োসিকিউরিটিতে।খামারের মুরগি অসুস্থ হলে সব ঔষধ বন্ধ করে পরিস্কার পানি দেয়া এবং দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা প্রদান করতে হবে।

সঠিক ভাবে এলাকা উপযোগী ভ্যাকসিনেশন শিডিউল মেনে চলা।ব্রুডিংয়ের সময় মুরগীর অবস্থা বুঝে তাপ দেয়া। যেমন বাচ্চা ব্রুডারের নিচে গাদাগাদি করলে তাপ বাড়িয়ে দেয়া।

হঠাৎ অনেক বেশী মড়ক দেখা দিলে অতিদ্রুত পার্শ্ববর্তী ল্যাবে পরীক্ষা করানো।মুরগির খামারে সবসময় জীবাণুমুক্ত পানি সরবরাহ করতে হবে। রাতের বেলা কোন মতেই যেন পানি গ্যাপ না পড়ে তার দিকে খেয়াল রাখা। যদি গ্যাপ পড়ে যায় এবং পাত্র খালি হয়ে যায় তা হলে পরের বার পানি দেয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই পানির পাত্র বাড়িয়ে দিতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২৯, ২০২৩ ১১:২৯ পূর্বাহ্ন
অধিক লাভ পেতে সোনালি মুরগিকে যা খাওয়াবেন
পোলট্রি

অধিক লাভের আশায় এখন অনেকেই খামারে দিকে ঝুঁকছেন। গ্রামের প্রায় প্রতিটি এলাকায় খামাদের দেখা মিলে। পোল্ট্রির পাশাপাশি এখন অধিক লাভের আশায় সোনালি মুরগির খামারের দিকে আকৃষ্ট হচ্ছেন। সোনালি মুরগি পালনের পাশাপাশি যদি তার যত্ন কিভাবে করতে হয় তা জানা থাকে তাহলে আরো লাভবান হওয়ার সুযোগ থাকবে।

সোনালি মুরগির খাদ্য প্রদানে যা রাখবেন:
সোনালি মুরগিকে ব্রয়লার মুরগির মত সব সময় খাবার দেয়া দরকার বলে অনেকেই মনে করেন। কিন্তু এটা একটা ভুল ধারণা। মনে রাখা দরকার ব্রয়লার মুরগি খাদ্য রূপান্তরের হার এবং সোনালি মুরগির খাদ্য রূপান্তরের হার এক নয়।

সাধারণত সোনালি মুরগি ক্ষেত্রে প্রতি ১০০০ মুরগিতে ৪০ ব্যাগ হিসেবে সোনালি খাদ্য হিসাব করে ৮০০ গ্রাম গড় ওজন হিসাব করা হয়। কিন্তু সোনালি খাদ্যে কখনো কখনও ২ ব্যাগ বা ৩ ব্যাগ বেশি লাগতে পারে। আবার খুব ভাল হলে ২ ব্যাগ বা ৩ ব্যাগ কম লাগতে পারে।

যদি সোনালি মুরগিকে ব্রয়লার খাদ্য খাওয়ানো হয় তবে ১০০০ মুরগিতে সর্বোচ্চ ৩৪-৩৫ ব্যাগ খাদ্যে ৮০০ গ্রাম গড় ওজন হিসাব করা হয়। এক্ষেত্রেও আগের মতই ২ থেকে ৩ ব্যাগের যোগ বা বিয়োগ ধরে নেওয়া যেতে পারে।

সারাদিনে খাদ্য দেয়ার নিয়ম:
দিনে ৩ বার খাবার দিতে হবে। বিশেষ করে মনে রাখতে হবে যেন সকালে সর্বোচ্চ ৪ ঘন্টার মধ্যে খাদ্য খাওয়া শেষ হয়ে যায়, দুপুরে যেন সর্বোচ্চ ৩ ঘণ্টার মধ্যে খাদ্য শেষ হয় ও রাতে সর্বোচ্চ ৫ ঘণ্টা যেন খাদ্য খায়।

প্রয়োজনে মুরগি ক্রপ(খাদ্য থলি) পরীক্ষা করে খাদ্য দিতে হবে। যদি খাদ্য থলি ভর্তি থাকে তবে খাদ্য দেয়া কোন দরকার নাই। কারণ মনে রাখবেন, সোনালি মুরগিকে আপনি যতই খেতে দিবেন তারা ততই খাবে। কিন্তু এতে খাদ্য অপচয় হবে আপনাদের। খেয়াল করে দেখবেন ঘরে নিমপাতা বা যেকোন পাতা ঝুলিয়ে রাখলে তারা সেগুলোও খেয়ে শেষ করে। সেজন্য খাবার দেয়ার ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।

৩য় সপ্তাহ বয়সে পরে মুরগিকে ২০-২২ গ্রাম/ মুরগি হিসেবে খাদ্য পরবর্তী প্রতি সপ্তাহে ৪-৬ গ্রাম/মুরগি হারে খাদ্য বৃদ্ধি করে চলতে হবে। দিনের মোট খাদ্যের পরিমাণকে তিন ভাগে ভাগ করে ৪০%(সকাল)+২০%(দুপুর)+৪০%(রাত) খাদ্য প্রদান করতে হবে সোনালি মুরগিকে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২২, ২০২৩ ১২:২৫ অপরাহ্ন
ব্রয়লারকে টিকা দেওয়ার আগে যা করবেন
পোলট্রি

আমাদের দেশে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে বর্তমানে অনেকেই মুরগি পালন করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। এসব খামারিদের মধ্যে অনেকেই ব্রয়লার মুরগি পালন করছেন। তবে, খামারে ব্রয়লার মুরগি পালনে টিকা দেওয়ার আগের সতর্কতাগুলো খামারিদের সঠিকভাবে জেনে রাখতে হবে।

ব্রয়লার মুরগি পালনে টিকা দেওয়ার আগের সতর্কতা:
ব্রয়লার মুরগিকে টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন অসুস্থ মুরগিকে টিকা প্রদান করা যাবে না। এতে টিকার কার্যকারিতা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে। এমনকি মুরগি আরও বেশি অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। টিকা দেওয়ার জন্য আবহাওয়া যখন ঠান্ডা সেই সময়ে টিকা দিতে হবে। এতে করে টিকা কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে ও মুরগির রোগের আশঙ্কাও অনেকাংশেই কমে যায়।

টিকা দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত উপকরণসমূহ ফুটন্ত পানিতে সিদ্ধ করে নিতে হবে। এতে টিকার মাধ্যমে ব্রয়লার মুরগির শরীরে কোন জীবাণু প্রবেশ করতে পারবে না। ব্রয়লার মুরগিকে টিকা দেওয়ার সময় যত্ন সহকারে ধরতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যাতে কোনভাবেই মুরগি আঘাত না পায়। এতেও টিকার কার্যকারিতা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ব্রয়লার মুরগিকে টিকা দেওয়ার আগেই খেয়াল করতে হবে কোন ধকল আছে কিনা। ব্রয়লার মুরগিকে যে কোন ধরনের ধকলমুক্ত অবস্থায় টিকা প্রয়োগ করতে হবে। তা না হলে টিকার কার্যকারিতা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।টিকা জীবাণুমুক্তকরণের জন্য রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা যাবে না। এতে প্রদান করা টিকার কার্যকারিতা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop