৪:০২ অপরাহ্ন

শুক্রবার, ২৯ মার্চ , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুন ১৬, ২০২২ ১০:০৯ অপরাহ্ন
বরিশালে তিনদিনের ফল মেলার উদ্বোধন
কৃষি বিভাগ

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশালে তিনদিনের ফল মেলা শুরু হয়েছে। আজ নগরীর খামারবাড়ির চত্বরে ডিএই’র উদ্যেগে এই মেলার আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক হৃদয়েশ্বর দত্ত।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএই’র উপপরিচালক মো. হারুন-অর-রশীদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম কিবরিয়া, ডিএই’র জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মোসাম্মৎ মরিয়ম এবং আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন।

অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিএই’র অতিরিক্ত উপপরিচালক মো. রেজাউল হাসান, কৃষি প্রকৌশলী মো. মশিউর রহমান, কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক, ফলচাষি মো. গিয়াস উদ্দিন লিটু প্রমুখ।

প্রধান অতিথি বলেন, দেহের পুষ্টি সরবরাহে ফলের গুরুত্ব অপরিহার্য। তাই নিয়মিত সবার ফল খাওয়া দরকার। এর চাহিদা পূরণে দেশীয় ফলের আবাদ বাড়িয়ে আমাদের স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে। সে আলোকেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি অচিরেই এর শতভাগ পূরণ করতে পারব। মেলার স্টলগুলোতে দেশি-বিদেশি বাহারি ফলের সমরোহ ঘটে। এতে দর্শনার্থীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দিপনা সৃষ্টি হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৬, ২০২২ ৫:২৪ অপরাহ্ন
কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হলো আনোয়ার শীট ডিলার সম্মেলন
পাঁচমিশালি

হৃদয়ে বড় সাহেব, অদম্য সত্তার অগ্রযাত্রা” এই মূলমন্ত্রকে হৃদয়ে ধারন করে কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হলো আনোয়ার শীট ডিলার সম্মেলন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আনোয়ার গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ এর চেয়ারম্যান জনাব মানোয়ার হোসেন, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ওয়াইজ মোহাম্মদ আর. হোসেন, সিএফও কাজী মুস্তাক আহমেদ, বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস ডিভিশনের সিইও কাজী আমিরুল হক, আনোয়ার শীট এর ডিরেক্টর-বিজনেস- মোজাম্মেল হক, মার্কেটিং এন্ড কমিউনিকেশন বিভাগের জিএম মোল্লা ওমর শরীফ সহ সারা দেশের ডিলারবৃন্দ।

ডিলারদের সম্মাননা ও বার্ষিক পুরষ্কার প্রদান, মতবিনিময় পর্ব এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এর মাধ্যমে আয়োজনের সমাপ্তি হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৬, ২০২২ ১:৫০ অপরাহ্ন
আমরা ক’জন মুজিব সেনা,ময়মনসিংহ জেলা শাখা আয়োজিত ফ্রি ডেন্টাল ক্যাম্প শুক্রবার
পাঁচমিশালি

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু।। “আমরা ক’জন মুজিব সেনা”, ময়মনসিংহ জেলা শাখা আয়োজিত “ফ্রি ডেন্টাল ক্যাম্প” ১৭ জুন ২০২২ শুক্রবার সকাল ৮টা হতে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ সদরের বোররচর ইউনিয়নের ‘ইউনিয়ন পরিষদ’ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক এ.কে.এম আফজালুর রহমান বাবুর সার্বিক সহযোগিতায় “আমরা ক’জন মুজিব সেনা”, ময়মনসিংহ জেলা শাখা তাদের সামাজিক কর্মসূচীর অংশ হিসাবে এ ফ্রি ডেন্টাল ক্যাম্প পরিচালনা করবে।

ডেন্টাল ক্যাম্পেইনের প্রদত্ত সেবাসমূহ :
দাঁত ফেলা, স্থায়ী/অস্থায়ী ফিলিং, স্কেলিং/দাঁত পরিষ্কার, বিনামূল্যে ঔষধ প্রদান, বিনামূল্যে টুথপেস্ট প্রদান, দাঁত ও মুখের ক্যান্সার সনাক্তকরণ ও প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান
এবং পরবর্তীতে পূর্ণ চিকিৎসায় সাহায্য প্রদান।
পরিচালনায় : Humanity Services Bangladesh
(HSB)।

এই ক্যাম্পের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো সাধারন জনগণের মাঝে দাঁত ও মুখের যত্নে সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং দাঁতের যত্নে ডেন্টাল চেক-আপের বিষয়টি অবহতি করা।

No description available.

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থপিত থাকবেন এ.কে.এম. আফজালুর রহমান বাবু, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ
আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও সাবেক সভা পরিচালনা, আমরা ক’জন মুজিব সেনা, জাতীয় পরিচালনা পরিষদ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থপিত থাকবেন সাইদ আহমেদ বাবু, সভাপতি, আমরা ক’জন মুজিব সেনা, জাতীয় পরিচালনা পরিষদ। সৈয়দ আবু তোহা, সাধারণ সম্পাদক, আমরা ক’জন মুজিব সেনা, জাতীয় পরিচালনা পরিষদ। আশরাফুল আলম সাব্বির,চেয়ারম্যান, ৩ নং বোররচর ইউনিয়ন পরিষদ, বোররচর, সদর, ময়মনসিংহ।

এ উপলক্ষে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন আরীফ জাহাঙ্গীর, সভাপতি, আমরা ক’জন মুজিব সেনা, ময়মনসিংহ জেলা শাখা এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় থাকবেন মোঃ কাজী নূরে নবী শিপলু, সাধারণ সম্পাদক, আমরা ক’জন মুজিব সেনা, ময়মনসিংহ জেলা শাখা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৫, ২০২২ ১:২৭ অপরাহ্ন
নিষিদ্ধ ‘চায়না দুয়ারি’ জাল দিয়ে চলছে অবাধে মাছ শিকার
পাঁচমিশালি

নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নিষিদ্ধ ‘চায়না দুয়ারি’ জাল দিয়ে চলছে অবাধে মাছ শিকার। খালবিলে ও জলাশয়ে জাল দিয়ে ফাঁদ পেতে ব্যাপক হারে ছোট মাছ শিকার করছেন জেলেরা। এতে দেশি নানা প্রজাতির মাছের অবাধ বিচরণ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন সচেতন মহল। 

জানা গেছে, উপজেলার সর্বত্র চলছে মাছের মরণফাঁদ চায়না দুয়ারী জালের অবাধ ব্যবহার। লোহার রডের গোলাকার বা চতুর্ভুজ আকৃতির কাঠামোর চারপাশে চায়না জাল দিয়ে ঘিরে এই চায়না দুয়ারি ফাঁদ তৈরি করা হয়। এসব জাল ৫০-৮০ হাত পর্যন্ত লম্বা হয়। আর এ জালে শুধু দেশি জাতীয় ছোট মাছ নয় বরং এই জালে আটকা পড়ে সব প্রজাতির মাছ। স্বল্পব্যয়ে এবং পরিশ্রমে অধিক আয়ের উৎস হওয়ায় জেলেদের কাছে খুব দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এটি। উপজেলা সদরের সব বাজারেই চায়না দুয়ারি জাল দিয়ে ধরা ছোট ছোট মাছ বিক্রি হচ্ছে। এই ফাঁদ ব্যবহার করলে দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলে জানান সচেতনমহল।

এ বিষয়ে সৈয়দপুর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আতাউর রহমান জানান, আমরা এসব জাল ব্যবহার না করতে প্রচার চালিয়েছি। আমাদের অভিযানও অব্যাহত আছে। কেউ এই জাল দিয়ে মাছ শিকার করলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৪, ২০২২ ৩:৩৬ অপরাহ্ন
এক নারী রেসার কবুতরের দাম ১৬ কোটি ৪১ লাখ! 
পাঁচমিশালি

নিউ কিম নামে বেলজিয়ামের এক নারী ‘রেসার কবুতর’ অনলাইন নিলামে রেডর্ক ১ দশমিক ৬ ইউরোতে বিক্রি হয়েছে। যার বাংলাদেশি মুদ্রায় দাম ১৬ কোটি  ৪১ লাখ ৩ হাজার ৫৬ টাকা। কবুতরটিকে কিনেছেন রহস্যময় চীনা এক নাগরিক।

বেলজিয়ামের নিলাম হাউস পিপাতে দু’সপ্তাতশহ ধরে চলা নিলামের শেষ ৩০মিনিটে সুপার ডুপার এবং হিটম্যান ছদ্মনামের দুই চীনা ক্রেতা দাম বাড়িয়ে দেন।

গত ২ নভেম্বর নিউ কিমের নিলামে দাম শুরু হয় ২০০ ইউরো দিয়ে। তবে ৯০ মিনিটের মধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকার একটি গ্রুপ ১ দশমিক ৩১ মিলিয়ন ইউরো দাম করে। এরপর রোববার চীনের দুই সম্পদশালী কবুতরটির দাম নিয়ে প্রতিযোগিতায় নামেন।

অবশেষে নিলামে জিতে ‘সুপার ডুপার’ পাখিটি কিনে নেন। তবে চীনের এক শিল্পপতি যার আর্মান্ডো নামে একটি পুরুষ কবুতরও রয়েছে। ওই কবুতরটি তিনি লুইস হেমিলটন প্রতিযোগিতা ব্যবহার করেছেন। গত বছর কবুতরটি ১ দশমিক ২৫  মিলিয়ন ইউরোতে তিনি বিডারদের কাছ থেকে কিনেছিলেন। নিউ কিমও হয়ত তার কাছেই যাবে।

এদিকে এত দাম পেয়ে কবুতরের মালিক তো মহাখুশি। মালিক কার্ট ভ্যান ডি ওয়েভর জানান, তিনি রীতিমত অবাক, ভাবতেই পারেননি এত দাম পাবেন।

পিআইপিএর প্রধান নির্বাহী ও প্রতিষ্ঠাতা নিকোলাস গিজেলব্রেক্ট জানান, এই দাম অবিশ্বাস্য। সাধারণত পুরুষ কবুতরের থেকে নারী কবুতরের দাম অনেক কম হয়।

নিউ কিমের বয়স দুই বছর। ২০১৮ সালে রেস প্রতিযোগিতা অংশ নেয়। বেলজিয়ামের সেরা ‘তরুণ পাখি’র খেতাব অর্জন করে।

সূত্র:স্কাই নিউজ

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৩, ২০২২ ৭:৩৫ অপরাহ্ন
জমিতে সেচের পানি না পেয়ে কৃষকের আত্মহত্যা, গরু পেলেন স্ত্রী
কৃষি বিভাগ

জমিতে সেচের পানি না পেয়ে আত্মহত্যা করা কৃষক অভিনাথ মারান্ডির স্ত্রী রোজিনা হেমব্রমকে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য একটি বকনা গরু দিয়েছে রাজশাহী জেলা প্রশাসন।

সোমবার তিনটার দিকে রাজশাহী জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল তাঁর কার্যালয়ের সামনে রোজিনা হেমব্রমের কাছে গরুটি হস্তান্তর করেন। গরু পেয়ে রোজিনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

রোজিনাকে একটি গরু দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছিল বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)। এর পরিপ্রেক্ষিতেই গরুটি দেওয়া হলো।

গরু হস্তান্তরের সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার সোহরাব হোসেন, ব্লাস্টের জেলার সমন্বয়কারী আইনজীবী সামিনা বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। রোজিনার সঙ্গে এসেছিলেন প্রয়াত অভিনাথের ভাবি পার্বতী সরেন।

জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল বলেন, অভিনাথের মৃত্যুর পর বিষয়টি নিয়ে অনেক কিছুই হয়েছে। কিন্তু কেউ পরিবারটির পাশে দাঁড়ায়নি।

প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এর আগে জেলা প্রশাসন রোজিনাকে নগদ টাকা দিয়েছে। এবার গরু দেওয়া হলো। ছয় মাস পালন করলেই গরুটি প্রজননক্ষম হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) গভীর নলকূপ থেকে সেচের পানি না পেয়ে গত মার্চে একই দিনে বিষপান করেন অভিনাথ মারান্ডি ও তাঁর চাচাতো ভাই রবি মারান্ডি। এতে তাঁদের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় বিএমডিএর গভীর নলকূপ অপারেটর সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে দুটি মামলা করা হয়।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১২, ২০২২ ৩:১২ অপরাহ্ন
গুরুদাসপুরে পুকুরে বিষাক্ত ট্যাবলেট,১২ লাখ টাকার মাছ নিধন
পাঁচমিশালি

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বৃগড়িলা গ্রামে মো. মনতাজ আলীর পুকুরে রাতের আঁধারে বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে প্রায় ১২ লাখ টাকার মাছ নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা।

শনিবার ভোররাতে ওই গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্ত মাছ ব্যবসায়ী মো. মনতাজ আলী উপজেলার মহারাজপুর গ্রামের আজিম উদ্দিনের ছেলে। তিনি গত ৫ বছরের বেশি সময় ধরে পুকুরে মাছ চাষ করে মাছের ব্যবসা করেন।

মনতাজ আলী বলেন, বৃগড়িলা গ্রামের আব্দুর রশিদের কাছ থেকে সাড়ে ৪ বিঘা জমি লিজ নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেন। মাছগুলো বেশ বড় হয়েছিল। বিক্রির জন্য কথাবার্তা হচ্ছিল। শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পুকুরে এসে দেখি সব মাছ মরে পানির ওপরে ভেসে আছে। পুকুর পাড়ে ও পুকুরে বিষের ট্যাবলেট পেপার পাওয়া যায়। এ অবস্থায় এলাকার লোকজন ছুটে এসে জাল দিয়ে পুকুর থেকে কিছু মাছ তুলে বাজারে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুর্বৃত্তরা পুকুরে বিষাক্ত ট্যাবলেট দিয়ে সব মিলিয়ে প্রায় ১২ লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন করে আমাকে নিঃস্ব করেছে। তিনি এ বিষয়ে আইনের আশ্রয় নিবেন বলেও জানান।

গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল মতিন বলেন, বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১০, ২০২২ ৩:১৩ অপরাহ্ন
গরু ও ভেড়া ঢেকুর মালিককে দিতে হবে কর
পাঁচমিশালি

গরু ও ভেড়া ঢেকুর তুললে মালিককে এর জন্য দিতে হবে কর। এমন এক নিয়ম চালুর পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ক্ষতিকর গ্রিনহাউজ গ্যাস মিথেন নিঃসরণ কমাতে এ পরিকল্পনা নিয়েছে দেশটি। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নিউজিল্যান্ডই প্রথম দেশ যারা কৃষকদের পালন করা প্রাণী থেকে মিথেন নিঃসরণের জন্য কর আরোপের এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে। ৫০ লাখ মানুষের দেশ নিউজিল্যান্ডে গরু-ছাগলের সংখ্যা ১ কোটি এবং ভেড়ার সংখ্যা ২ কোটি ৬০ লাখ। দেশটির মোট গ্রিনহাউজ গ্যাস বিশেষত, মিথেনের প্রায় অর্ধেকই নিঃসরণ হয় কৃষিক্ষেত্র ও গবাদি পশু থেকে।

মিথেন গ্যাস তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিতে এবং জলবায়ু-সংকট ত্বরান্বিত করতে খুবই মারাত্মক। কার্বন ডাই অক্সাইডের তুলনায় মিথেনের উষ্ণায়ন ক্ষমতা ৮০ গুণেরও বেশি। তাই চটজলদি বিশ্ব উষ্ণায়ন প্রক্রিয়াকে ধীরগতির করতে মিথেন নিঃসরণ কমানো খুবই জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

বিবিসি জানায়, নিউজিল্যান্ডে মোট মিথেন গ্যাসের ৮৫ শতাংশের বেশি নিঃসরণ হয় দুটি কৃষি উৎস গবাদিপশুর ঢেকুর এবং গোবর থেকে। সাধারণত গরুর ঢেকুর থেকে ৯০-৯৫ শতাংশ মিথেন নিঃসরণ হয়। আর ৫ থেকে ১০ শতাংশ মিথেন নিঃসরণ হয় গরুর গোবর এবং পেট ফাঁপা থেকে।

নিউজিল্যান্ডের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী জেমস শ বলেছেন, আমাদের বায়ুমণ্ডলে যে পরিমাণ মিথেন ফেলছি তা কমাতে হবে। এর জন্য কৃষি খাতে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণের ওপর করারোপের কোনও বিকল্প নেই।

কর পরিকল্পনার আওতায় ২০২৫ সাল থেকে কৃষকদেরকে গ্যাস নিঃসরণের জন্য মূল্য দিতে হবে।

তবে, যে কৃষকরা খাদ্য সংযোজনীর মাধ্যমে গবাদিপশুর জন্য গুনগত মানসম্পন্ন খাবার এবং ফার্মহাউজে গাছ রোপনের মতো পদক্ষেপ নিয়ে গ্যাস নিঃসরণ কমাতে পারবে তাদেরকে প্রণোদনা দেওয়ারও পরিকল্পনা করেছে নিউজিল্যান্ড সরকার।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৮, ২০২২ ৫:৫৮ অপরাহ্ন
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকার,১০ জেলের জরিমানা
পাঁচমিশালি

সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারের দায়ে ১০ জেলেকে জরিমানা করা হয়েছে। একই সময় জরিমানার টাকা আদায় করে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

অর্থদণ্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন-আমির হোসেন, রিয়াজ ফরাজী, জাকির হোসেন, তারেক সরদার, মনির আকন, আজু, মাসুদ, মামুন, বাসু ও সিদ্দিক।

বুধবার (৮ জুন) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ ফাড়ির অফিসার ইনচার্জ আখতার মোর্শেদ।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চর বিজয় সংলগ্ন সাগরে  মাছ শিকার করার সময় তাদের আটক করা হয়। পরে রাতেই আটক জেলেদের কাছ থেকে মোট ৭৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা।

অর্থদণ্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন-আমির হোসেন, রিয়াজ ফরাজী, জাকির হোসেন, তারেক সরদার, মনির আকন, আজু, মাসুদ, মামুন, বাসু ও সিদ্দিক।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৭, ২০২২ ১১:০৮ পূর্বাহ্ন
গোখাদ্যেরে দাম বৃদ্ধি, সিলেটের ছোট ও মাঝারি খামার বন্ধের পথে!
পাঁচমিশালি

গত এক বছরের মধ্যে দ্রুততম সময়ে অস্বাভাবিক হারে গোখাদ্যের দাম বেড়েছে। গত বছর ৩৫ কেজি ওজনের প্রতি বস্তা গমের ভুসি বিক্রি হতো ১ হাজার ৪৩০ টাকায়। বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০ টাকায়। এক বছরের ব্যবধানে দাম বেড়েছে বস্তাপ্রতি প্রায় ৬২০ টাকা। গেল বছর ৫০ কেজি ওজনের প্রতি বস্তা লবণ বিক্রি হতো ৬০০ টাকায়। এবার বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০ টাকায়। এক বছরে প্রতি বস্তায় দাম বেড়েছে ৪৫০ টাকা। সিলেটের গোখাদ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলোয় দেখা মিলে এমন চিত্রের। যার ফলে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সিলেটের ছোট ও মাঝারি খামারগুলো।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গেল বছর ৭৭৫ টাকায় এক বস্তা ফিড পাওয়া গেলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০ টাকায়। এক বছরের ব্যবধানে প্রতি বস্তা ফিডের দাম বেড়েছে ২৪৫ টাকা। গেল বছর প্রতি বস্তা ভুট্টা বিক্রি হতো ১ হাজার ৩০০ টাকায়। বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৯০০ টাকায়। দাম বেড়েছে বস্তাপ্রতি ৬০০ টাকা। ৫০ কেজি ওজনের ১ হাজার ৭০০ টাকা দরের মিক্সার বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার টাকায়। দাম বেড়েছে ৩০০ টাকা। ৪০ কেজি ওজনের রাইস পলিশ বা আটা কুঁড়া ৪০০ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০০ টাকায়। এক বছরে দাম বেড়েছে ৩০০ টাকা। গোখাদ্যের এমন অস্বাভাবিক মূলবৃদ্ধির ফলে খামারিরা নিরুৎসাহিত হয়ে পড়ছেন।

সিলেটে সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নিজেও একজন খামারি। শহরতলির ভাটা এলাকায় তিনি গড়ে তুলেছেন বিশাল একটি খামার। তাতে রয়েছে কয়েক শ’ গরু। দুগ্ধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে তার খামারের রয়েছে ব্যাপক সুনাম। গোখাদ্যের বর্তমান মূল্যবৃদ্ধির ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শুক্রবার রাতে সিটি মেয়রের বাসভবনে সভা করেন সিলেটের খামারিরা। সভা থেকে সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে খামারিরা পাইকারি দুধের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। পাইকারি দামে প্রতি লিটার দুধ ৭০ টাকা ও খুচরা ৯০ টাকা করে নির্ধারণ করা হয়েছে।

সিলেট জেলায় ছোট-বড় প্রায় এক হাজার খামার রয়েছে। এ অঞ্চলে কাঁচা ঘাসের উৎপাদন কম। যে কারণে বাজার থেকে কেনা দানাদার জাতীয় গোখাদ্য ছাড়া বিকল্প খাবার তেমন থাকে না। এজন্য বাজার থেকে দানাদার খাবারের বিকল্প বের করার তাগাদা দিচ্ছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে সিলেট জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রুস্তুম আলী জানান, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ আন্তর্জাতিক কারণে দানাদার খাদ্যের দাম বাড়ছে। এ অবস্থায় পতিত জমিতে ঘাস চাষের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে। পাশাপাশি বর্ষায় পানি শুকানোর পর এ অঞ্চলের জমিতে মাষকলাইর চাষ করা যেতে পারে। দানাদার খাদ্যের ওপর নির্ভরশীলতা না কমালে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop