১:৫৪ অপরাহ্ন

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অগাস্ট ৩০, ২০২৩ ১১:৩২ পূর্বাহ্ন
এসডিজির গোল-৩ লক্ষমাত্রা অর্জনে ওয়ার্ল্ড হেল্থ সার্ভে প্লাস সহায়ক ভূমিকা রাখবে
পাঁচমিশালি

আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে আমাদের এসডিজির গোল-৩ এর লক্ষমাত্রা অর্জন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্তি সচিব নিলুফার নাজনীন। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন বাস্তবায়িত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং হেল্পএইজ ইন্টারন্যাশনালের সহযোগীতায় মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে ওয়ার্ল্ড হেল্থ সার্ভে প্লাস বাংলাদেশ-২০২৩ টেকশই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা (এসডিজি)’র সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ লক্ষমাত্রা অর্জনের অগ্রগতির তথ্য সংগ্রহের ৯ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের শেষ দিনে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এসডিজির এই ৩ নাম্বার গোল সারা বাংলাদেশের একটি ছবি। আর আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে আমাদের এসডিজির গোল-৩ এর লক্ষমাত্রা অর্জন করতে হবে। প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্য তিনি আরোও বলেন আপনাদের হেল্থ সার্ভের মাধ্যমে আমরা এসডিজির টার্গেটে কতটা পৌঁছাতে পারলাম তার চিত্র ফুটে উঠবে। তাই আপনার দায়িত্বশীতার পরিচয় দিয়ে সারা দেশে ঘরে ঘরে গিয়ে সঠিত তথ্য তুলে আনবেন। এসময় তিনি ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনসহ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং হেল্পএইজ ইন্টারন্যাশনালকে ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ।এছাড়া বক্তব্য রাখেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের প্রতিনিধি নির্মলা নাইডো, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কনসালটেন্ট ডা. জেম্স জস, হেল্পএইজ ইন্টারন্যাশনাল মায়ানমারের হেল্থ প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর পপি ওয়ালটন, হেল্পএইজ ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর জাহাঙ্গীর আলম এবং ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের ওয়ার্ল্ড হেল্থ সার্ভে প্লাসের কনসালটেন্ট ড. মোহাম্মদ হায়াতুন নবীসহ সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের কর্মকর্তাবৃন্দ।

গত সোমবার (২১ আগস্ট) সকাল থেকে শুরু হওয়া ৯ দিনের এই প্রশিক্ষণে বাংলাদেশের ৮টি বিভাগে ৬ হাজার পরিবার থেকে তথ্য সংগ্রহের জন্য ৮৮ জন প্রশিক্ষনার্থী অংশগ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১১, ২০২৩ ১০:৪১ পূর্বাহ্ন
ঢাকায় জিসিএফবি প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
পাঁচমিশালি

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনুঃ নবীনের হাত ধরে প্রবীণের নিরাপদ বার্ধক্য” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জেরিয়াট্রিক কেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ (জিসিএফবি) বৃহস্পতিবার ১০ আগস্ট জাতীয় প্রেস ক্লাব, ঢাকায় এর প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করেছে। এ উপলক্ষে সংগঠনটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা প্রবীণদের উপহারসামগ্রী প্রদানসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করে। তাদের র‍্যালিটি জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে শিল্পকলা একাডেমিতে এসে শেষ হয়। পরবর্তীতে জিসিএফবির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা: কাজী মোঃ ইস্রাফীলের সভাপতিত্বে শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে লাইফ স্টোরি শেয়ার, আলোচনা সভা ও বিভিন্ন বৃদ্ধাশ্রমে অবস্হানকৃত ৫০ জন বৃদ্ধকে সম্মাননা উপহার প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এর চেয়ারম্যান ড.কামাল উদ্দিন আহমেদ । এতে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ.কে.এম হাফিজ আক্তার, বিপিএম (বার),ঢাকা ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ ও জিসিএফবির উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ মোঃ হুমায়ূন কবীর বুলবুল, দৈনিক আমার কাগজ পত্রিকার সম্পাদক, জনাব ফজলুল হক ভূইয়া রানা । গেস্ট অব অনার হিসাবে উপস্থিত ছিলেন লাইফ স্টোরি শেয়ার কারিনী মাহমুদা চৌধুরী মিতা।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জিসিএসবির উপদেষ্টা, জনস্বাস্হ্য বিশেষজ্ঞ ও কনসালটেন্ট স্পোর্টস মেডিসিন প্রফেসর ডা: অনুপম হোসাইন।
ডিজিএইচএস এর ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা: মন্জুর আল মোর্শেদ চৌধুরী। আহবায়ক রাবেয়া শামস স্বাতীর সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন মীর গোলাম ফারুক, ডা: আমিনুল ইসলাম নাফিজ,শম্পা ফারহানা। এতে আরো উপস্হিত ছিলেন আফজাল খান, শহিদুল ইসলাম চন্দন, , জাবেদ হোসেন পলাশ, মুসা কাজেম স্বপন, নুর এ আলম, ইমু গাজী, তারিক তুহিন, মাসুদ আহম্মেদ, শাহাজাহান সাজু, বদরুল আলম রুবেল,নাসরিন সমাপ্তি, শেফালী রহমান, এডভোকেট শিমুল পারভীন, ইশরাত জাহান, মাহমুদা নাজু, প্রফেসর ডা: সালমা আফরোজ, গুলশান আরা নীলা,সামিরা তারান্নুম রাবেয়া মিতি, মিলি পারভীন, হাফিজুল রহমান,আসাদ ভুইঞা, নৃপেন বিশ্বাস সহ প্রমূখ।

বক্তারা বলেন প্রাতিষ্ঠানিক বৃদ্ধাশ্রম আমাদের বিবেচনার বিষয় নয়, প্রাতিষ্ঠানিক বৃদ্ধাশ্রমের প্রয়োজন আছে, অবহেলিত, অসহায় এবং অজ্ঞাত সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য ওল্ড হোম আছে এবং থাকবে। আমরা আতঙ্কিত আমাদের প্রত্যকের নিজেদের পরিবারে নিজেদের তৈরী বৃদ্ধাশ্রম গুলো নিয়ে। আমাদের সিনিয়রদেরকে ডিসিশন মেকিং এ নিয়ে আসতে হবে। তাহলে উনারা নিজেকে পরিবারের সক্রিয় সদস্য হিসাবে গন্য করবেন এবং আত্নার শান্তি নিয়ে হাসি খুশি ভাবে পরিবারের সবার সাথে বেঁচে থাকবেন। তার জন্য বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপের ব্যবস্হা করতে হবে।
পর্যায়ক্রমিকভাবে বাংলাদেশের সব জেলাতে জিসিএফবি মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সেমিনার সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপের আয়োজন করবে। র‍্যালি এবং সেমিনারে দুই শতাধিক বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রী ও বয়োস্করা অংশগ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৯, ২০২৩ ৮:৫৬ অপরাহ্ন
আমরা ক’জন মুজিব সেনা’র বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত
পাঁচমিশালি

দীন মোহাম্মদ দীনু: ১৫ ই আগস্ট “জাতীয় শোক দিবস-২০২৩” পালন উপলক্ষে “আমরা ক’জন মুজিব সেনা” ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর শাখা কর্তৃক এক বিশেষ বর্ধিত সভা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি ভবন ও কমিউনিটি সেন্টারে ৯ আগস্ট ২০২৩ দুপুর ১ঘটিকায় অনুষ্ঠিত হয় । উক্ত সভায় জেলা, মহানগর ও সদর শাখার বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করে ।

“জাতীয় শোক দিবস-২০২৩”- সফল ভাবে সম্পাদন করার জন্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তাদের মূল্যবান বক্তব্য প্রদান করেন।

আজকের এই বর্ধিত সভায় আমাদের ময়মনসিংহের গর্ব,  আমাদের সংগঠনের প্রানপ্রিয় অভিভাবক বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক জননেতা এ.কে.এম আফজালুর রহমান বাবু ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে আমাদের কর্মসূচীকে বেগবান করার জন্য তাঁর মূল্যবান দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।


কৃষিবিদ জনাব আরিফ জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে এই বর্ধিত সভা সঞ্চালনা করেন ময়মনসিংহ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো কাজী নুরে নবী শীপলু। পরিশেষে সভাপতি মহোদয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন পূর্বক সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচীকে সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষে সকলের সহযোগিতা কামনা করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন ।

জয় বাংলা ।
জয় বঙ্গবন্ধু ॥

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৬, ২০২৩ ৫:০৯ অপরাহ্ন
মাদকাসক্তি প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা কাম্য
পাঁচমিশালি

তরিকুল ইসলাম, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন: মাদক থেকে মুক্ত থাকার উপায়, মাদকাসক্তদের কিভাবে চিকিৎসার আওতায় আনা যায়, মাদকগ্রহনের ফলে কি কি মানসিক সমস্যা হতে পারে, মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে এবং শিক্ষার্থীদের মাদকাসক্তি প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য কি কি পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে সেই সম্পর্কে আহ্ছানিয়া মিশন মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের সহযোগিতায় মাদকাসক্তি প্রতিরোধ ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (৬ আগস্ট) বেলা ১১ টায় ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র যশোরের উদ্যোগে যশোর ভাতুড়িয়া স্কুল এন্ড কলেজেরে সেমিনার কক্ষে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোর ভাতুড়িয়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আরিফুজ্জামান। এসময় তিনি বাংলাদেশকে মাদকমুক্ত রাখার জন্য সদা প্রস্তুতসহ শিক্ষার্থীদের মাদক বিরোধী বিভিন্ন দিক নির্দেশনামূলক কথা বলেন।

এই সচেতনতামূলক কার্যক্রমের মুল আলোচক ঢাকা আহছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের সিনিয়র সাইকোলজিষ্ট এবং ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের অধীনে মনোযত্ন আউটডোর কাউন্সিলিং সেন্টারের ফোকাল রাখী গাঙ্গুলী মাদকাসক্তির প্রতিরোধ ও মানসিক স্বাস্থ্য শীর্ষক বিষয়ে আলোচনায় মাদকাসক্তির কারনে যে কি ধরনের মানসিক সমস্যা হতে পারে বা তার কি কি প্রতিকার রয়েছে তা নিয়ে আলোচনা ও স্লাইড উপস্খাপন করেন এবং শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলা এবং বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহনের আহ্বান জানান।

এসময় মাদক ও মাদকাসক্ত ব্যক্তির চিকিৎসা সেবা সম্পর্কিত ফ্রি তথ্যর জন্য ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পূণর্বাসন কেন্দ্র যশোরের ভেকুটিয়ার একটি মোবাইল নাম্বার ০১৭৮১ ৩৫৫৭৫৫ ও ওয়েব সাইট www.amic.org.bd সকলের জন্য উন্মুক্ত ঘোষনা করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৬, ২০২৩ ৫:০৭ অপরাহ্ন
শেখ কামালের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানালেন পাট গবেষণার পরিচালক ড. মাহমুদ আল হোসেন
পাঁচমিশালি

জাকির হোসেন হাওলাদার , দুমকি (পটুয়াখালী): বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ বিভাগের পরিচালক ড. মাহমুদ আল হোসেন । তাঁর নেতৃত্বে একঝাঁক বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী শনিবার (৫ আগস্ট) সকাল ১১ টায় বনানী কবরস্থানে শেখ কামালের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন । এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন একই প্রতিষ্ঠানের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. গোলাম মোস্তফা, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলমগীর সাঈদ, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. জাকির হোসেন প্রমুখ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৪, ২০২৩ ১১:২৯ অপরাহ্ন
বাংলাদেশ বিজ্ঞান উন্নয়ন সমিতি’র নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি, সভাপতি বাকৃবির অধ্যাপক ড. খন্দকার শরীফুল ইসলাম
পাঁচমিশালি

দীন মোহাম্মদ দীনু: বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের সর্ববৃহৎ প্ল্যাটফর্ম , বাংলাদেশ বিজ্ঞান উন্নয়ন সমিতির (বিএএএস) ২০২১-২২ কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন গত ২২ জুলাই ২০২৩ শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গাজীপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নব গঠিত কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত বিভাগের অধ্যাপক ড. খন্দকার শরীফুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন বিসিএসআইআর ল্যাবরেটরীজ, রাজশাহী এর পরিচালক ড. মোঃ সেলিম খান।

অন্যান্য পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন: সহ-সভাপতি ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, মহাপরিচালক, বিনা, ও অধ্যাপক ড. এম. মোফাজ্জল ইসলাম, উপাচার্য, ফাস্ট ক্যাপিটাল ইউনির্ভাসিটি অব বাংলাদেশ, চুয়াডাঙ্গা। কোষাধ্যক্ষ পদে ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, উপাচার্য (চলতি দায়িত্ব), বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা, যুগ্ম-সম্পাদক পদে ড. মোঃ ফারুক হোসেন, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট নির্বাচিত হয়েছেন।

কার্যকরী সদস্য পদে যথাক্রমে ড. মোঃ শাহজাহান কবীর, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, গাজীপুর, অধ্যাপক ড. অলোক কুমার পাল, উপ-উপাচার্য, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ড. এ. জে. এম. সিরাজুল করিম, অধ্যাপক (অব.), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, মোঃ শহিদুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক, বিসিএসআইআর, ও অধ্যাপক ড. এম. কামরুজ্জামান, উপাচার্য, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নির্বাচিত হয়েছেন।

এসময় বাংলাদেশ বিজ্ঞান উন্নয়ন সমিতি (২০২১-২২) এর গঠনতন্ত্র মোতাবেক ৯ টি সেকশনের সভাপতিও নির্বাচিত হয়। সেকশন ১ থেকে ৯. এর নির্বাচিত সভাপতিগণ হলেন: ড. মোঃ সোহেলা আক্তার, পরিচালক, টিসিআরসি, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, গাজীপুর, সেকশন ২, ড. ফারজানা আক্তার, অধ্যাপক, বোটানী বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী, সেকশন ৩, ড. জীবন পোদ্দার, অধ্যাপক, পদার্থবিদ্যা বিভাগ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, সেকশন ৪, ড. মোঃ খবির উদ্দিন, অধ্যাপক, পরিবেশবিদ্যা বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, সেকশন ৫, ড. কুয়াশা মাহমুদ, পরিচালক (গবেষণা), বাংলাদেশ সুগারক্রপ রিসার্চ ইনস্টিটিউট, সেকশন ৬, অধ্যাপক, ড. হারুন-উর-রশীদ, চেয়ারম্যান, কিডনী ফাউন্ডেশন, মিরপুর, সেকশন ৭, প্রকৌশলী অধ্যাপক ড. মোঃ কামরুজ্জামান, ডীন, ফ্যাকাল্টি অব মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ডুয়েট, সেকশন ৮, ড. পার্থ সারথী বিশ্বাস, মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, ও সেকশন ৯ ড. মোঃ রুহুল আমিন, অধ্যাপক, কীটতত্ত¡ বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

নির্বাচন পরিচালনায় দায়ীত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার ড. মোঃ আশরাফুল হক, অধ্যাপক, ইনস্টিটিউট অভ বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর ফলাফল প্রকাশ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৪, ২০২৩ ১০:০৩ পূর্বাহ্ন
রোটারি ক্লাব অফ রাজশাহী সেন্ট্রাল এর ৩৮ তম সভা ও ক্লাব সমাবেশ অনুষ্ঠিত
পাঁচমিশালি

গত ২২ জুলাই শনিবার বিকেল ৬ ঘটিকায় জেলা সমাজ সেবা কার্যালয় এর সেমিনার কক্ষে রোটারি ক্লাব অফ রাজশাহী সেন্ট্রাল এর ৩৮ তম সভা ও ক্লাব সমাবেশ (অ্যাসেম্বলি) অনুষ্ঠিত হয়। রোটারি ক্লাব অফ রাজশাহী সেন্ট্রাল এর প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান ডঃ মোঃ হেমায়েতুল ইসলাম আরিফ এর পরিচালানা ও সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রোটারি ক্লাব অফ ঢাকার পাস্ট প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান কাম্রুজ্জামান খান টিপু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রোটারি ক্লাব অফ যশোর ইস্ট এর পাস্ট প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান আমিনুল ইসলাম শাহিন, রোটারি ক্লাব অফ যশোর সেন্ট্রালের পাস্ট প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান জাহিদ আহম্মেদ লিটন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে, রোটারী প্রত্যয় পাঠ করেন রোটারীয়ান প্রফেসর ডঃ মোঃ জালাল উদ্দিন সরদার, ডাইরেক্টর (এডমিন), ও ডীন, ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদ, রা বি। ক্লাব সম্পাদক চৌধুরী মোখলেসুর রহমান ক্লাব এর কার্যক্রম বিশেষ করে গত ৮ জুলাই তারিখে ২৮তম সভা ও ২০২৩-২৪ রোটারী বর্ষের ১ম সুচনা সভা, ১৯ জুলাই তারিখে আরসিসি (আরসিসি হোপ পুকুরিয়া) গঠন ও যোথ অংশিদারি প্রকল্প হিসেবে- নিরাপদ আমিষ উৎপাদনের ল্ক্ষে বি এল এস এর সংগে ‘বি এল এস মডেল ভেটেরিনারি সেন্টার উদ্বোধন’ ও প্রাকৃতিক উপায়ে বজ্র নিরোধক তালগাছ এর চারা রোপণ সম্পর্কে অতিথিদের অবগত করেন। প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান ডঃ আরিফ একে একে গত সভা হতে অদ্য পর্যন্ত যে সকল সদস্যগনের জন্মদিন ও বিবাহ বার্ষিকী ছিল তাদের শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করেন।

রোটারি ক্লাব অফ রাজশাহী সেন্ট্রাল এর সদ্য মেয়াদ শেষ হওয়া প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান হাসিবুল হাসান নান্নু শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন। এ্যাসিসটেন্ট গভর্নর রোটারীয়ান আরিফ হোসেন এর শুভেচ্ছা বক্তব্য ও ক্লাব ফেলিসিটেটর রোটারিয়ান খাজা খালেদ লিজারের পরিচিতি ও মাই রোটারি অ্যাকাউন্ট কি ভাবে ওপেন করতে হবে তা দেখান। আনুষ্ঠানিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ক্লাব ডাইরেক্টর রোটারিয়ান ডঃ আব্দুল্লাহ আল ফিরোজ । আনুষ্ঠান শেষে সভাপতি আগামী ২৬ জুলাই বিকেল ৫.৩০ মানবসেবা অভিযান এর কর্মীদের ভবিষ্যৎ তহবিল হিসেবে আলীগঞ্জ মাদ্রাসায় বৃক্ষ, হস্তান্তর ও প্রাকৃতিক উপায়ে বজ্র নিরোধক তালগাছ এর চারা রোপণ, ডেঙ্গু সচেতনতা কর্মসুচি হিসেবে লিফলেট বিতরণে সকলকে অংশ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে সভার মুলতবি ঘোষণা করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২০, ২০২৩ ২:০৪ অপরাহ্ন
বিএলএস এবং রোটারি ক্লাব অব সেন্ট্রাল এর উদ্যোগে রোটারি কমিউনিটি ক্রপস ও মডেল ভেটেরিনারি সেন্টার উদ্বোধন
পাঁচমিশালি

গত বুধবার (১৯/০৭/২০২২৩) বিকাল ৬.০০ ঘটিকায় রোটারি ক্লাব অব রাজশাহী সেন্ট্রাল এবং বাংলদেশ লাইভস্টক সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে গ্রামভিত্তিক প্রাণিসম্পদ সংশ্লিষ্ট যাবতীয় সেবা এবং অন্যান্য জনহিতকর সেবা সমুহ প্রদানের লক্ষ্যে রাজশাহী জেলার পবা উপজেলার পুকুরিয়া নামক স্থানে “আরসিসি হোপ পুকুরিয়া” নামে নতুন সেবা প্রদান কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়। প্রাণিসম্পদ সংশ্লিষ্ট সকলকে সার্বিক সহায়তা যেমন-প্রশিক্ষণ, কারিগরী সহায়তা, গবাদিপ্রাণি ও পাখির সাধারণ ও শল্য চিকিৎসা প্রদান, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে সম্ভাব্য সব ধরণের সেবা প্রাপ্তির ব্যাপারে খামারী ও সেবা প্রদানকারী বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা প্রদান করার উদ্দেশ্যের পাশাপাশি গ্রামভিত্তিক সার্বিক উন্নয়নের মহৎ উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়নের মানসে গ্রামীন জনগোষ্ঠিকে বিভিন্ন ধরণের সেবার আওতায় নিয়ে এসে প্রাণিজ আমিষের যোগান ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, নারীর ক্ষমতায়ন এবং সুস্থ, সবল, মেধাবী আগামী প্রজন্ম উপহার দেয়ার ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা রাখার উদ্দেশেই শুরু হচ্ছে এ কেন্দ্রটির পথচলা।

রোটারি ক্লাব অব রাজশাহী সেন্ট্রাল তাদের আরসিসি (রোটারি কমিউনিটি ক্রপস) নামক ধারণার মাধ্যমে গ্রামকে উন্নয়নের সূতিকাগার হিসেবে গণ্য করে সেখান থেকে সকল ধরণের সেবামূলক কাজের বাস্তবায়নের মাধ্যমে কাংখিত উন্নয়ন সাধনের লক্ষ্যে কাজ করে। অলাভজনক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিএলএস এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যও এক। প্রকৃত পক্ষে যুগপৎভাবে সমন্বয় ও সহযোগিতার ভিত্তিতে সেবা প্রদান এবং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে জনগণকে নামমাত্র মূল্যে গুণগত সেবা প্রদান করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অবগত করেন। এখান থেকে সহজ শর্তে ও স্বল্প মূল্যে প্রদানকৃত সেবা থেকে প্রাপ্ত আয়ের অধিকাংশই এই সেবাকেন্দ্রের কল্যানে ব্যয় করা হবে বলে অনুষ্ঠানের সভাপতি, বিএলএস এর সাধারণ সম্পাদক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি চীফ ভেটেরিনারি অফিসার ড. মোঃ হেমায়েতুল ইসলাম আরিফ উল্লেখ করেন। অফিস সময়ের পরে এ ক্লিনিকে তিনি সেবা প্রদান করবেন এবং অর্জিত সেবা মূল্যের পুরোটাই তিনি সমিতির তহবিলে দান করবেন বলেও ঘোষণা দেন। তিনি আরও বলেন যে, এই কেন্দ্রটি আগ্রহী এবং উদ্যোমী ব্যক্তি বর্গের মধ্যে মানববিক গুণাবলী এবং দক্ষতার বিস্তার, বিনিময় ও বৃদ্ধির মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে।

 

রাজশাহী পোল্ট্রি এসোসিয়েশনের সভাপতি ও বাংলাদেশ লাইভস্টক সোসাইটির সহ-সভাপতি মোঃ এনামুল হক বলেন যে, বাংলাদেশ লাইভস্টক সোসাইটি নিঃস্বার্থভাবে বিনামূল্যে প্রাণিসম্পদ সংশ্লিষ্ট সকল ধরণের সেবা দিয়ে যাচ্ছে এবং চালু হতে যাওয়া এ প্রষ্ঠিানের মাধ্যমে তার সমধিক বিস্তার ঘটবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত পবা উপজেলার হড়গ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন যে, আমাদের তথা সেবা গ্রহীতাদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। দোরগোড়ায় স্বল্প বা বিনামূল্যে প্রাপ্ত সেবাকে গুরুত্ব দিতে হবে এবং সেবাদানকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞাতা প্রকাশের মানসিকতা তৈরি করতে হবে। রেটারি ক্লাব রাজশাহী সেন্ট্রাল এর বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রাণিসম্পদ সংশ্লিষ্ট এবং বহির্ভূত সকল ধরণের সেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

 

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এবং বিএলএস এর সভাপতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোঃ জালাল উদ্দিন সরদার বলেন যে, নতুন ও বর্দ্ধিত এ ঠিকানারমাধ্যমে বাংলাদেশ লাইভস্টক সোসাইটির কার্যক্রম আরও বিস্তৃত হবে এবং প্রাণিসম্পদ তথা জনকল্যানে বিএলএস আরও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। বিএলএস এর সাথে সহযোগিতা ও সমন্বয় করে বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করার জন্য তিনি রেটারি ক্লাব অব রাজশাহী সেন্ট্রাল, মানবসম্পদ সেবা অভিযান এবং জনপ্রতিনিধিসহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। মানব সেবা অভিযানেরপ্রধান নির্বাহী মোঃ খাইরুল আলম বলেন যে, অসহায় মানুষের জন্য তারা বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করে থাকেন এবং এ প্রতিষ্ঠানের সাথে তারা আন্তরিকভাবে ও গুরুত্বসহকারে সে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের জেলা ট্রেনিং অফিসার ড. মোঃ ইসমাইল হক, জনতা ব্যাংক হড়গ্রান শাখার ব্যবস্থাপক রোটারিয়ান মোঃ আরিফ হোসেন, রোটারি সিটি ক্লাব অব রাজশাহীর আইপিপি হাসিবুল হাসান নান্নু, রোটারি ক্লাব অব রাজশাহী সেন্ট্রাল এর সহ-সভাপতি এবং উত্তোরণ সেভিংস এন্ড ক্রেডিট মাল্টিপারপাস সমবায় সমিতির সত্বাধীকারী মোঃ মিজানুর রহমান, রাজশাহী সমাজসেবা বিভাগের সহকারি পরিচালক, রোটারিয়ান ড. আব্দুল্লাহ আল ফিরোজ, তুলি এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটার এবং বিএলএস এর সাংগঠনিক সম্পাদক মোসাঃ সেলিনা বেগম, বিএলএস এর যুগ্ম তথ্য ও যোগাযোগ সম্পাদকমোঃ জাহিদ হাসান, সদস্য মোঃ মাসুদ আলমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। দেশ ও জনকল্যানে এ প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে সকলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং নিজ নিজ ক্ষেত্র থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন।

আলোচনা অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা বিশেষ করে বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় হিসেবে তালগাছের চারা রোপন করা হয় এবং জানানো হয় যে, সৃজনকৃত তালগাছ রোপনের কর্মসূচী এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অব্যাহত রাখা হবে। আলোচনার শেষাংশে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার জন্য সর্বসম্মত মতামতের ভিত্তিতে মোসাঃ সেলিনা বেগমকে সভাপতি, মোঃ আরিফুল ইসলামকে সাধারন সম্পাদক, মোঃ সাইদুর রহমানকে কোষাধ্যক্ষ, মোঃ নকিরুল ইসলামকে সহ-সভাপতি, মোঃ জাহিদ হাসানকে সাংগঠনিক সম্পাদক এবং অন্য ৬ জনকে সদস্য করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট ১ বছর মেয়াদী একটি নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়। সকলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে হড়গ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদকে পরিচালনা কমিটির উপদেষ্টা নির্বাচন করা হয়।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১৮, ২০২৩ ৭:১৪ অপরাহ্ন
ময়মনসিংহে সুশাসন চর্চা ও তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ বিষয়ক সামাজিক সংলাপ অনুষ্ঠিত
পাঁচমিশালি

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু, ময়মনসিংহ: সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মকান্ডে সমন্বয় ও জবাবদিহিতা অধিকতর বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার ১৮ জুলাই ২০২৩ ময়মনসিংহে অনুষ্ঠিত হলো “ সুশাসন চর্চা ও তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ প্রয়োগের মাধ্যমে জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন” বিষয়ক এক সামাজিক সংলাপ।

ফ্রিডরিখ ন্যাউম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডম বাংলাদেশ (এফএনএফ বাংলাদেশ)-এর সহায়তায় এবং বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও এন্ড কমিউনিকেশন (বিএনএনআরসি) আয়োজিত এই সংলাপে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি, সরকারি- বেসরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক, আইনজীবী, নাগরিক সমাজ সংগঠনের প্রতিনিধি, সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মীসহ মোট ৪৫ জন অংশগ্রহণ করেন।
উক্ত সংলাপটি উদ্বোধন করেন এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ তথ্য কমিশনের মাননীয় প্রধান তথ্য কমিশনার জনাব ডক্টর আবদুল মালেক।


অনুষ্ঠানের শুরুতে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সংলাপের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য আলোচনা করেন বিএনএনআরসি’র প্র্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব এএইচএম বজলুর রহমান। তারপর এফএনএফ বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিত এবং কার্যক্রম উপস্থাপন করেন সংস্থার কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ জনাব ডক্টর নাজমুল হোসাইন।

সংলাপের এ পর্যায়ে ‘ময়মনসিংহের ভূমি, সমাজ ও স্বাস্থ্যসেবা: বর্তমান অবস্থা, চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সমাজকর্মী ও গবেষক জনাব মোঃ শহিদুল ইসলাম। প্রবন্ধে জনাব মোঃ শহিদুল ইসলাম সংক্ষেপে ময়মনসিংহ জেলার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও ভূ-আঞ্চলিক অবস্থান উল্লেখ করে জেলার  বিভিন্ন সরকারি অধিদপ্তর কর্তৃক প্রদত্ত সেবাসমূহ বিশেষ করে স্বাস্থ্য সেবা ও ভূমি ব্যবস্থাপনার  বর্তমান অবস্থা, অগ্রগতি এবং বিদ্যমান সমস্যা ও চ্যালেঞ্জসমূহ তুলে ধরেন।

পরবর্তীতে, আসপাডা পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক, লায়ন আলহাজ্ব মোহাম্মদ আব্দুর রশীদ- এর সভাপতিত্বে অংশগ্রহণকারীগণ অতিথিবৃন্দ এবং প্যানেল আলোচকদের কাছে জেলার সরকারী ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসমূহের সেবা; বিশেষ করে ভূমি ও স্বাস্থ্য সেবা প্রাপ্তির প্রক্রিয়া ও স্থানীয় পর্যায়ে মাদক, পর্যটন এলাকায় ও গণ পরিবহনে নারীদের যৌন হয়রানি, অবকাঠামোগত অব্যবস্থাপনা সম্পর্কে নানা প্রশ্ন করেন এবং সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা ও চ্যালেঞ্জসমূহ উল্লেখপূর্বক সমাধানের উপায় সম্পর্কে জানতে চান। পরে প্যানেল আলোচকগণ পর্যায়ক্রমে এসকল প্রশ্নের উত্তর দেন ও ব্যাখ্যা প্রদান করেন।

অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে প্যানেল আলোচকগণ বলেন, “আপনাদের উপস্থাপিত অভিযোগগুলো ময়মনসিংহ সিভিল সার্জন মহোদয়কে অবগত করা হবে এবং সে মোতাবেক সম্ভাব্য ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে”। এছাড়া সমাজসেবা অধিদপ্তরের সেবা সমূহ পাওয়ার ক্ষেত্রে যদি কেউ সমস্যার সম্মুখীন হয় তাহলে অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানোর  জন্য বলা হয়।
সংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব ডক্টর আবদুল মালেক, প্রধান তথ্য কমিশনার, তথ্য কমিশন বাংলাদেশ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব ডক্টর আবদুল মালেক বলেন- সকল শাসন সু-শাসন নয়। সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, ভুল তথ্য প্রচার ও প্রদান থেকে বিরত থাকতে হবে। পাশাপাশি পর্যটন এলাকায় ও গণ পরিবহনে নারীদের  যৌন হয়রানি প্রতিরোধ এবং তাৎক্ষনিক সমাধান পাওয়ার জন্য তিনি ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ার পরমর্শ দেন।

সংলাপে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র জনাব ইকরামুল হক টিটু বলেন, বাক-স্বাধীনতা, স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি জনাব মনিরা বেগম অনু বলেন জনগণের অধিকার সঠিকভাবে পেলে সুশান নিশ্চিত হবে। জনাব মো. ফরিদ আহমেদ (যুগ্ম-সচিব) পরিচালক বলেন জনগণের অধিকার বাস্তবায়নের জন্য আমরা নিরলসভাবে কাজ করছি।

জনাব পুলক কান্তি চক্রবর্তী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বলেন আপনারা নিয়মিত জাতীয় তথ্য বাতায়ন গিয়ে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের পোর্টাল থেকে সরকারি বিভিন্ন অধিদপ্তরের সেবা সম্পর্কে তথ্য  পেতে পারবেন। ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের পোর্টাল কেননা ৯০ ভাগ আপটেড এবং ১০০ ভাগ অথেনটিক । জেলা প্রশাসকের কার্যলয় থেকে কি কি সুবিধা পাওয়া যায় তার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট আইনগুলোও পোর্টালে দেওয়া থাকে এছাড়া জেলা প্রশাসকের পোর্টালের সাথে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অধিদপ্তরের লিংক দেয়া থাকে। জেলার অবকাঠামোগত উন্নয়ন পরিকল্পনা সম্পর্কে অংশগ্রহণকারীদের কবি ও সংস্কৃতি কর্মী জনাব স্বাধীন চৌধুরীর সঞ্চালনায় সংলাপে প্যানেল আলোচক হিসেবে ছিলেন- ময়মনসিংহ জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক জনাব আঃ কাইয়ুম, ময়মনসিংহ সদর ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার জনাব এইচ এম ইবনে মিজান, এবং ময়মনসিংহ সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা জনাব সৈয়দ জাবেদ হোসেন।

এছাড়াও সংলাপে আরো উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ তথ্য কমিশনের মাননীয় প্রধান তথ্য কমিশনার মহোদয়ের একান্ত সচিব জনাব শাহাদাৎ হোসেইন, ময়মনসিংহ জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক ও জেলা তথ্য কর্মকর্তা জনাব শেখ মোঃ শহীদুল ইসলাম সহ আরো অনেকে।
আশা করা হচ্ছে উক্ত সংলাপটি  সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সংশ্লিষ্ট সরকারী, বেসরকারী, স্বেচ্ছাসেবী ও ব্যক্তিগত সেবাদানকারী প্রভৃতি সকলের সক্রিয় ভ‚মিকা জোরালকরণ, স্থানীয় পর্যায়ে  সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ স্ব-প্রণোদিত হয়ে তথ্য ও সেবা প্রদানে এবং তথ্য প্রদানকারী এবং তথ্যগ্রহণকারী উভয় পক্ষের মধ্যে একটি যোগসূত্র তৈরিতে সহায়ক ভ‚মিকা পালন করবে।
উল্লেখ্য বিএনএনআরসি একটি গণমাধ্যম উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থা যা ২০০০ সালে আত্মপ্রকাশ করে এবং গণপ্রজাতন্ত্রী  বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন এনজিও বিষয়ক ব্যুরো থেকে নিবন্ধিত হয়। এটি জাতিসংঘের ইকোনোমিক এন্ড সোশ্যাল কাউন্সিল এর বিশেষ পরামর্শক মর্যাদা প্রাপ্ত সংস্থা এবং সংস্থাটি তথ্য সমাজ বিনির্মাণে অবদানের জন্য ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি জাতিসংঘের পুরস্কার-২০১৬ এর বিজয়ী এবং ২০১৭ এবং ২০১৯, ২০২০, ২০২১ এবং ২০২৩- এর চ্যাম্পিয়ন ।

বিএনএনআরসি নলেজ-ড্রাইভেন মিডিয়া ডেভেলপমেন্ট-এর ভূমিকায় দেশীয় আঞ্চলিক, ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে কাজ করে থাকে। বিএনএনআরসির কর্মপ্রচেষ্টা হলো গ্রামীণ জনপদে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর তথ্য অধিকার, সুশাসন এবং মানবাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের দ্রুত পরিবর্তনশীল বাস্তবতার চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ-সুবিধাসমূহ বিবেচনায় রেখে জ্ঞানভিত্তিক ও চলমান ইস্যু বিবেচনায় রেখে গণমাধ্যমের উন্নয়ন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৯, ২০২৩ ১:০১ অপরাহ্ন
কবুতর রোগাক্রান্ত হলে যা করবেন
পাঁচমিশালি

গ্রামের পাশাপাশি এখন শহরেও অনেকেই কবুতর পালন করে। শখের সাথে সাথে এটি এখন বাণিজ্যিকভাবে লালন করছেন অনেকে। তবে কবুতর পালন করতে গিয়ে শুরুতেই অনেকে ভুল করে ফেলেন। যার ফলে প্রত্যাশিত সফলতা লাভ করতে পারেন না। তাই কবুতর পালনের প্রাথমিক বিষয়গুলো জেনে নিতে হবে।

একটা বিষয় লক্ষ্য করে দেখা গেছে যারা কবুতর পালন করেন তারা প্রাথমিক অবস্থায় এর রোগ এবং তার প্রতিকার সম্পর্কে খুব একটা জ্ঞান রাখেন না। অথচ সামান্য একটু বিচক্ষণতার পরিচয় দিলে আপনি নিজের প্রিয় কবুতরটিকে রোগে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা দিয়ে সারিয়ে তুলতে পারেন।

কবুতর রোগাক্রান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে স্যালাইন (ইলেক্ট্রোমিন) এবং রাইস স্যালাইন (কলেরা রোগের চিকিৎসায় ব্যবহারযোগ্য যেকোন রাইস স্যালাইন) এই দুটি ওষুধ খাওয়াতে হবে। এগুলো খুবই স্বল্প মূল্যের সাধারণ ঔষধ। এতে কবুতর দ্রুত সেরে উঠবে। কবুতর পালনের প্রথম দিন থেকেই, কবুতরের সঙ্গী হিসেবে এই দুটি জিনিস বাড়িতে নিয়ে আসা উচিত।

কবুতরের ড্রপিংস পাতলা হলে, খাবার হজম না হলে, কবুতর না খেলে, বা খাবারের পর বমি করে খাবার ফেলে দিলে এবং এর সঙ্গে যখন তার মাঝে ঝিমুনির ভাব দেখা দেবে তখন রোগ সনাক্ত করে চিকিৎসার জন্য চেষ্টার শুরুতে কবুতরকে রাইস স্যালাইন খাইয়ে দিয়ে হবে।
অসুস্থতা দেখা দিলেই আগে আপনার কবুতরকে খাবার দিতে হবে। কবুতরের পানি শূন্যতা যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। খাবার পেলে কবুতর রোগের বিরুদ্ধে টিকে থাকবার জন্য হলেও শক্তি পাবে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop