৫:৩৮ পূর্বাহ্ন

শুক্রবার, ২৯ মার্চ , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মে ১২, ২০২১ ৪:০৯ অপরাহ্ন
সিভাসু’র সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা হবে অনলাইনে
ক্যাম্পাস

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু)-এর বিভিন্ন সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষা আগামী ১৫ জুন থেকে নেয়া হবে অনলাইনে।

আজ বুধবার (১২ মে)দুপুরে জুম অ্যাপের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ। সভা সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য সচিব মীর্জা ফারুক ইমাম।

উক্ত সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ, ফুড সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি অনুষদ ও ফিশারিজ অনুষদের বিভিন্ন সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষা অনলাইনে গ্রহণের পক্ষে শিক্ষকরা মত ব্যক্ত করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১১, ২০২১ ১০:১৭ অপরাহ্ন
পারিবারিক বিরোধে গুরুতর আহত বাকৃবি শিক্ষার্থী
ক্যাম্পাস

বাকৃবি প্রতিনিধি: ১০ বছরের ধরে চলছে পারিবারিক রেশারেশি। সেই রেশের জেরেই প্রতিপক্ষ হামলা চালায়। আহত হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থী মো. ফারুক হোসেনসহ তার পরিবার (মা এবং খালা )।

আজ মঙ্গলবার (১১ মে) সকাল ৯ টার দিকে ফারুকের নিজ এলাকা গুরুদাসপুর উপজেলায় ঘটনাটি ঘটে। বর্তমানে তারা গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসারত অবস্থায় রয়েছে।

মো. ফারুক হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী। বর্তমানে তিনি অ্যানিমেল ব্রিডিং এন্ড জেনেটিক্স ডিপার্টিমেন্টে মাস্টার্সে অধ্যায়ন করছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাজমুল আহসান হলের আবাসিক ছাত্র।

জানা যায়, আজ ফারুকদের বাসায় ছাদ ঢালায়ের জন্যে কাজ চলছিল। এসময় পাশের বাসার তাজু, মাজু, নাজিত, রবিসহ তারা ৬ ভাই ফারুকের বাসায় আসে এবং অভিযোগ করে যে ফারুকের বাসার ছাদ তাদের বাসার উপর উঠে যাচ্ছে। এ নিয়ে কথা চলছিল তাদের মধ্যে। কিন্তু এক পর্যায়ে ৬ ভাই মিলে ফারুকের পরিবারের উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এতে আহত হয় ফারুক, তার মা এবং তার খালা। পরে তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ফারুকের মাথায় ৩ টা, তার মায়ের মাথায় ৫ টি এবং তার খালার মাথায় ৭ টি সেলাই দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে হামলায় আহত ফারুক হোসেন বলেন, সকালে বাড়ির ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শুরু হলে নির্মাণাধীন অংশগুলো তারা ভেঙ্গে দেয়। এ সময় আমি প্রতিবাদ করলে হাতুড়ি দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে। আমি কিছুক্ষণের জন্য অচেতন হয়ে পড়ি। খানিক পরে জ্ঞান ফিরলে দেখি তারা আমার মা ও খালাকে নির্মমভাবে মারধর করছে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসি। এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানায় মামলা করা হয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১১, ২০২১ ১০:৫১ পূর্বাহ্ন
কুড়িগ্রামে সাম্মাম চাষে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর চমক
এগ্রিবিজনেস

কুড়িগ্রামের উলিপুরে সম্পূর্ণ অর্গানিক ও আধুনিক মালচিং পেপার পদ্ধতিতে উন্নতজাতের বিদেশি সাম্মাম ও রকমেলন/হানিমেলন চাষ করে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর বিভাগের শিক্ষার্থী ফারুক আহমেদ। প্রথমবারের মতো ফলটি এ অঞ্চলে চাষ হওয়ায় প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গার মানুষ দেখতে আসছেন তার ক্ষেতে। এ শিক্ষার্থী মনে করেন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে রকমেলন চাষ করা সম্ভব।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনার পাশাপাশি গত দুবছর ধরে ফেইসবুক পেজের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি সকল ধরনের উন্নতমানের বীজ, সার, কিটনাশক বিক্রিসহ ছাদ বাগানিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে আসতেন তিনি। কিন্তু মহামারী করোনায় সব বন্ধ হলে গ্রামে ফিরে আসেন তিনি। পরে এক প্রতিবেশির পতিত ১৫ শতক জমি লিজ নিয়ে বিভিন্ন সবজির পাশাপাশি উন্নত জাতের রকমেলন ও সাম্মাম চাষ শুরু করেন। উৎপাদনও হয়েছে বেশ। অল্প সময়ের মধ্যে উন্নত জাতের বিদেশি সাম্মাম ও রকমেলন এ অঞ্চলে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

ফারুক আহমেদ জানান, আমাদের কুড়িগ্রাম জেলা কৃষিতে অনেক পেছনে। এই এলাকার মানুষ এখনও ধান চাষে পড়ে আছে। ধান চাষের পাশাপাশি আধুনিক পদ্ধতিতে কম খরচে উচ্চ ফলনশীল বিদেশি রকমেলন ও সাম্মাম চাষ করলে বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব। এ এলাকার বেকার, শিক্ষিত যুবকরা যদি চাকরির আশায় না থেকে আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষি কাজ শুরু করে, তাহলে এক দিকে যেমন বেকারের সংখ্যা কমে যাবে, অন্যদিকে দেশ তথা আমাদের কুড়িগ্রাম অঞ্চল কৃষিতে এগিয়ে যাবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকতার্ সাইফুল ইসলাম বলেন, করোনাকালীন সময়ে সরকার কৃষকদের জন্য কৃষি ঋণের ব্যবস্থা করেছেন। তিনি চাইলে আমরা তাকে ঋণের জন্য সুপারিশ করা হবে। উচ্চমূল্যের বিদেশি রকমেলন ও সাম্মাম ফল খুবই লাভজনক। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই ফল চাষ করে অল্প সময়ের মধ্যে অনেকে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখতে কৃষি বাণিজ্যিকরণের বিকল্প নেই। বর্তমানে অনেক শিক্ষিত বেকার যুবক উদ্যোক্তা হিসেবে উচ্চমূল্যের ফসল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ফারুক আহমেদের মতো এ অঞ্চলের বেকার যুবকরা উচ্চমূল্যের ফলন চাষে এগিয়ে আসলে আমরা তাদেরকে সার্বিক সহযোগিতা করব।

উল্লেখ্য যে, আরবে এটি সাম্মাম বলে পরিচিত হলেও অস্ট্রেলিয়াতে এটি রকমেলন নামে পরিচিত। রকমেলন হল মাস্কমেলন গোত্রের একটি উচ্চমূল্যের বিদেশি ফল। পুষ্টিগুণে রকমেলন অনন্য। বিভিন্ন এন্টি-অক্সিডেন্ট সম্পন্ন এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ এবং সি, যা উচ্চ রক্তচাপ, এজমা কমিয়ে দেয়। এতে উপস্থিত বেটা ক্যারোটিন ক্যান্সার রোধ করে। এ ছাড়া এটি খুব রসালো ফল, ৯০% পানি, যা হাইড্রেশন বজায় রাখে ও হজমে সহায়তা করে। চুল ও ত্বকের জন্যও এই ফল খুবই উপকারি। সাম্মাম ফলের বাইরের অংশ হলুদ, ভিতরের অংশ লাল, রকমেলনের বাহিরের অংশ সবুজ ভিতরের অংশ লাল হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৬, ২০২১ ৬:২৯ অপরাহ্ন
সিভাসু‘র অফিসার সমিতির সভাপতি-খলিলুর, সম্পাদক আরিফ
ক্যাম্পাস

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) অফিসার সমিতির নতুন কার্যকরি কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটির সভাপতি মনোনীত হয়েছেন খলিলুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক আবু মোহাম্মদ আরিফ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার মীর্জা ফারুক ইমাম আজ বৃহস্পতিবার সমিতির নতুন কমিটি ঘোষণা করেন।

নতুন কার্যকরি কমিটির সভাপতি মনোনীত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের উপ-পরিচালক খলিলুর রহমান, সহ-সভাপতি হয়েছেন সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো: মহসিন মিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সেকশন অফিসার (চলতি দায়িত্ব) আবু মোহাম্মদ আরিফ।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন যুগ্ম-সম্পাদক মো: রেজওয়ান; কোষাধ্যক্ষ মো: গোলাম রাজ্জাক পাটোয়ারী; দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক সুদীপ চন্দ; সাহিত্য, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদক মোহাম্মদ গোলাম মাওলা এবং সমাজকল্যাণ সম্পাদক এ. এন. এম. জাহিদ হাসান। সমিতির কার্যকরি সদস্য মনোনীত হয়েছেন ডা. মো: রিয়াদ, ডা. অদিতি দে মৌ এবং মো: ইকবাল হোসেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৬, ২০২১ ৩:৫০ অপরাহ্ন
সরকারের কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পে বাকৃবি‘র সহযোগিতা
ক্যাম্পাস

বাকৃবি প্রতিনিধি: সরকারের ‘সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ’ প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়(বাকৃবি)।

এরই অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার(৬ মে) সকাল ১০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা মাঠের ধান ক্ষেতে শস্য মাড়াইয়ের বিভিন্ন যন্ত্রের গুণগত মান ও দক্ষতা যাচাই করা হয়।

কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের কারিগরি কমিটির সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি শক্তি এবং যন্ত্র বিভগের অধ্যাপক ড. চয়ন কুমার সাহা বলেন, কৃষিকে আধুনিকায়নে বিদেশের বিভিন্ন যন্ত্র এ প্রকল্পের অধীনে মাঠ পর্যায়ে কাজ করবে। শষ্য মাড়াই, শুকানোসহ নানা প্রকারের প্রায় ৪৬ টি কোম্পানির যন্ত্র নিয়ে আমরা কাজ করছি। এরমধ্যে যে যন্ত্র গুলোর দক্ষতা বেশী হবে সেগুলোকে বাছাই করে কৃষক পর্যায়ে পৌছে দেয়া হবে।

প্রকল্পের উপ পরিচালক আলতাফুন নাহার বলেন, বাকৃবির গবেষণা মাঠে ১০ টি কোম্পানির আলাদা কম্বাইন্ড হারভেস্টর, ১০ টি রিপার মেশিন (শস্য কর্তন যন্ত্র), ১০ টি থ্রেসার মেশিন (শস্য মাড়াই যন্ত্র) এবং ৫ ড্রায়ার মেশিনের (শস্য শুকানোর যন্ত্র) দক্ষতা যাচাই করার জন্য কাজ চলছে। যন্ত্রগুলোর দক্ষতার উপর ভিত্তি করে বাছাই করে কৃষকের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে।

মাঠ গবেষণা কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এ কে এম জাকির হোসেন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দিন, বাউরেসের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের কারিগরি কমিটির আহবায়ক ড. মো. আইয়ুব, কারিগরি কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. চয়ন কুমার সাহা, ড. মো. আনোয়ার হোসেন, মো. আকতারুল ইসলাম ও প্রকল্পের উপ পরিচালক আলতাফুন নাহার।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৬, ২০২১ ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন
তিন দলে বিভক্ত বাকৃবি আওয়ামীপন্থি শিক্ষক সংগঠন
ক্যাম্পাস

বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) আওয়ামীপন্থি শিক্ষক সংগঠন ৩ ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। পূর্বেই নীল দলের বিভক্ত হওয়া ছাড়াও সম্প্রতি গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম ব্যানারে চলমান আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠনের অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে।

২০১৯ সালে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম থেকে নেতৃবৃন্দের স্বেচ্ছাচারিতা, সাধারণ শিক্ষকদের হয়রানিসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে আলাদা হয়ে যায় নীল দল। তারা ২০০৬ সাল থেকে ১৩ বছর গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সাথে যুক্ত ছিলো। ২০১৯ সাল থেকে নীল দল আলাদা ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।

আরো পড়ুন: বাকৃবি‘তে বায়োইনফরমেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং নামে নতুন ডিগ্রি চালু

সম্প্রতি গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের নতুন কমিটি গঠন নিয়ে তৈরী হয় জটিলতা। কমিটি গঠন নিয়ে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে সংগঠনটি। গত ১৩ এপ্রিল সংগঠনটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক (১৪২৭ বঙ্গাব্দ কমিটি) অধ্যাপক ড. মো. মাহফুজুল হক রিপনসহ সংগঠনটির একাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এস মাহফুজুল বারিকে সভাপতি ও কৃষিতত্ত¡ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সালামকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৯ সদস্য বিশিষ্ট ১৪২৮ বঙ্গাব্দের জন্য কমিটি ঘোষণা করে। সাবেক সভাপতি (১৪২৭ বঙ্গাব্দ কমিটি) অধ্যাপক ড. মো. রকিবুল ইসলাম খান সহ সংগঠনটির অন্য অংশ নবগঠিত ওই কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করে পরবর্তীতে কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাইদুর রহমানকে সভাপতি ও ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৯ সদস্য বিশিষ্ট ১৪২৮ বঙ্গাব্দের জন্য নতুন কমিটি ঘোষণা করে।

আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠনের এমন বিভাজন এবং পাল্টাপাল্টি কমিটি গঠন নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে চলছে ব্যাপক সমালোচনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরী হচ্ছে বলেও মত দেন বিশিষ্টজনেরা।

আরো পড়ুন: বাকৃবিতে বাঁধনের সভাপতি কিবরিয়া সম্পাদক জাওয়াদ

ফোরাম থেকে বের হয়ে আসা আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের আরেক সংগঠন নীলদলের আহŸায়ক অধ্যাপক মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম নামে যে সংগঠন আছে তা প্রকৃতপক্ষে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন নয়। এতে বামপন্থি থেকে শুরু করে বিভিন্ন মতাদর্শের শিক্ষক রয়েছেন। আমরা কেবলই আওয়ামীলীগকে সমর্থন করি, এ কারণে নীল দল করছি। মূলত পদ, পদবী, ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধারের জন্যই গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম গঠিত হয়েছিল। আর এসব নিয়ে অসন্তোষ, কোন্দল সৃষ্টি হয়েছে যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষক বলেন, শিক্ষক রাজনীতির এই অন্তঃকোন্দলে শিক্ষা ব্যবস্থা আজ ক্ষতিগ্রস্থ। বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় বড় পদ দখল করতেই মূলত তারা রাজনীতিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমি আশা করবো ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধারের কাজে রাজনীতিকে ব্যবহার না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজ শিক্ষা, শিক্ষাপদ্ধতি, গবেষণা ও নতুন জ্ঞান সৃষ্টিতে মনোযোগী হবেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৫, ২০২১ ৩:০৭ অপরাহ্ন
বাকৃবি‘তে বায়োইনফরমেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং নামে নতুন ডিগ্রি চালু
ক্যাম্পাস

বাকৃবি প্রতিনিধি: বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বিএসসি ইন বায়োইনফরমেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং নামে একটি নতুন ডিগ্রি চালু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ থেকে ওই ডিগ্রি দেওয়া হবে।

চলতি বছরের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সমুহের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ২০২০-২০২১ সেশনে ১ম ব্যাচ চালু হবে বলে নিশ্চিত করেছেন কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. নূরুল হক।

জানা যায়, বাকৃবিতে ১৯৬৪-৬৫ শিক্ষাবর্ষে কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ চালু হয় । এ অনুষদের হতে বিএসসি ইন এগ্রিকালচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বিএসসি ইন ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং নামে ২টি ডিগ্রি চালু আছে। চলতি বছরে একই অনুষদ থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থীকে বিএসসি ইন বায়োইনফরমেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি‘টি দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ম্যাথম্যাটিক্স বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মো. মোস্তাগীজ বিল্লাহ বলেন, বায়োইনফরমেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়টি বর্তমান সময়পোযোগী। বিশ^বিদ্যালয়ের প্রায় ২২টি বিভাগ এই ডিগ্রির সাথে জড়িত।

এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. মো. নূরুল হক বলেন, গত বছরের আগস্ট মাসে ইউজিসি থেকে এ ডিগ্রিটি খোলার অনুমোদন পাই। এ বছর ৩০টি আসনে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হবে। বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়টি আমাদের কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ম্যাথম্যাটিক্স বিভাগ এবং বিশ^বিদ্যালয়ের বায়োলজি সম্পর্কিত বিভাগের সাথে খুবই সামঞ্জস্যপূর্ণ। বর্তমান কোর্স কারিকুলামের এই বিভাগের শিক্ষকরাই ক্লাস নিবেন।

এছাড়া আমরা ইউজিসিতে নতুন শিক্ষক নিযোগের জন্য অর্গানোগ্রাম পাঠিয়েছেন। অনুমোদন পেলেই আমরা শিক্ষক নিয়োগের সার্কুলার দেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৩০, ২০২১ ১১:২০ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে বাঁধনের সভাপতি কিবরিয়া সম্পাদক জাওয়াদ
ক্যাম্পাস

বাকৃবি প্রতিনিধি: স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন ‘বাঁধন’ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যায় (বাকৃবি) জোনাল পরিষদের ২০২১-২২ সালের জন্য নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে। ১৩ সদস্যবিশিষ্ট নবগঠিত কমিটিতে সভাপতি পদে মো. গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক পদে মো. জাওয়াদ মাহবুব মনোনীত হয়েছেন।

শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) ভার্চুয়ালি আয়োজিত ‘বার্ষিক সাধারণ সভা ও দায়িত্ব হস্তান্তর-২০২০’ অনুষ্ঠানে ওই কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সহ-সভাপতি আরিফুল মোল্লা, মো. রাজিবুর রহমান রাব্বি, সহ-সাধারণ সম্পাদক তহুরা আক্তার স্মৃতি, সাংগঠনিক সম্পাদক সাদিয়া তাসনিম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আজহারুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ রতন মিয়া, দপ্তর সম্পাদক নাফিউর রহমান সোহান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ¯িœগ্ধা আরেফিন, তথ্য ও শিক্ষা সম্পাদক মাহিন আফরিন এবং কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি হিসেবে মো. আবু হাসেম, মো. তারিকুর রহমান মনোনীত হয়েছেন। এছাড়াও এ কমিটিতে সদস্য হিসেবে বিশ^বিদ্যালয়ের সকল হল ইউনিটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন।

বাঁধন বাকৃবি জোনাল পরিষদের সদ্য বিদায়ী সভাপতি মো. তাজমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি ভিসি অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. জাকির হোসেন, বাকৃবি রিসার্চ সিস্টেমের পরিচালক অধ্যাপক ড. আবু হাদী নূর আলী খান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক, বাঁধনের কেন্দ্রীয় সদস্যরা, বাঁধন বাকৃবি জোনাল পরিষদের সাবেক সদস্যরা ও বিভিন্ন আবাসিক হল ইউনিটের বাঁধন কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৭, ২০২১ ২:৩৮ অপরাহ্ন
শেকৃবিতে শেরেবাংলার ৫৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
ক্যাম্পাস

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ও বাঙালি জাতীয়তাবাদের মহান নেতা শেরেবাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের ৫৯তম মৃত্যুবার্ষিকী স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে শেরেবাংলার প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পন করেন মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূ্ঁইয়া।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম, পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজের ডীন প্রফেসর ড. অলোক কুমার পাল, গবেষণা পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক প্রফেসর ড. মো. ফরহাদ হোসেন ও রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম।

এরপর মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া মোনাজাত করা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৪, ২০২১ ৪:১৯ অপরাহ্ন
সিভাসু‘তে “বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস” পালিত
ক্যাম্পাস

ভেটেরিনারি অনুষদীয় ছাত্র সমিতি, সিভাসু এবং ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ, সিভাসু‘র যৌথ উদ্যোগে আজ ২৪ এপ্রিল “বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস” পালিত হয়। কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ, সিভাসু এ বছর দিনটি উদযাপনের লক্ষ্যে একটি জুম ওয়েবিনারের আয়োজন করে।

ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন, অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্তে ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন সিভাসু‘র উপাচার্য অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ

এ বছর “বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস” এর মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল, “কোভিড-১৯ সংকটে ভেটেরিনারিয়ানদের কার্যক্রিয়া”। ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, সিভাসু‘র কোভিড ল্যাবের প্রধান এবং ওয়ান হেলথ ইন্সটিটিউট, সিভাসু‘র পরিচালক অধ্যাপক ড. শারমিন চৌধুরী

মূল প্রবন্ধে তিনি কোভিড-১৯ সংক্রমণের সময় ভেটেরিনারিয়ানদের কার্যক্রম ও ভুমিকা তুলে ধরেন। এরপর ওয়েবিনারের মুক্ত আলোচনা অংশে সিভাসু‘র বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবৃন্দ তাদের মতামত তুলে ধরেন।

মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন, ডা. ইফতেখার রানা, ড. আশুতোষ দাস, ড. ওমর ফারুক মিয়াজি, ড. মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন, ড. মাহমুদুল হাসান, ড. ভজন চন্দ্র দাস, ড. কবিরুল ইসলাম খান, ড. পরিতোষ কুমার বিশ্বাস।

বক্তারা তাদের আলোচনায় কোভিড-১৯ সংকটে নারী ভেটেরিনারিয়ানদের ভূমিকা, ভেটেরিনারি পেশাকে জররি সেবার অন্তর্ভুক্তকরণ, পি আর টি সি এর সার্বক্ষণিক সেবা কার্যক্রম, করোনা ল্যাব স্থাপন ও করোনা পরীক্ষা ও গবেষণায় জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণের বিষয়ে উল্লেখ করেন।

সিভাসু‘র উপাচার্য প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেশের যে কোন সংকটে ভেটেরিনারিয়ানদের সংশ্লিষ্টতা ও কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে গবেষণাকে এগিয়ে রাখার উপর জোর আরোপ করেন।

১৮০ জনের সংযুক্তিতে ২ ঘণ্টার এ আয়োজনের সমাপণী বক্তব্য প্রদান করেন ওয়েবিনারের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন। তিনি সবাইকে এ মহামারীতে নিরাপদে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে আহ্বান জানান। ওয়েবিনারটি সঞ্চালনা করেন সহযোগী অধ্যাপক ড. আমীর হোসেন সৈকত।

আরো পড়ুন: বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবসে শিক্ষার্থীদের ভাবনা

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop