৪:৪৮ পূর্বাহ্ন

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুলাই ৩০, ২০২২ ৭:২৬ অপরাহ্ন
শিম জাতীয় সবজির উৎপাদন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

অর্ঘ্য চন্দ, সিকৃবি প্রতিনিধি : সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের উদ্যোগে ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগীতায় শিম জাতীয় সবজির উন্নয়ন ও উৎপাদন কলাকৌশল নিয়ে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৩০ জুলাই) সিলেটের ধোপাদিঘীর পাড় এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর পর্যন্ত এই প্রশিক্ষণ চলে। এতে অর্থায়ন করেছে কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন।

এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ মোশাররফ হোসেন খান। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ দেবনাথের সঞ্চালনায় ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোহাম্মদ কাজী মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সূচনা বক্তব্য দেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ শহীদুল ইসলাম।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপজেলা পর্যায়ের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ ও প্রশিক্ষকবৃন্দ অংশ নেন যারা পরবর্তীতে মাঠপর্যায়ে চাষীদের এবিষয়ে প্রশিক্ষিত করবেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘শিম বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় সবজি ফসল যা প্রধানত শীতকালে চাষ হয়ে থাকে। বাংলাদেশে ইতিমধ্যে গ্রীষ্মকালীন শিমের বেশ কয়েকটি জাত জনপ্রিয় হয়েছে। যেহেতু শিম একটি আমিষ ও পুষ্টি সমৃদ্ধ সবজি তাই গ্রীষ্মকালীন সময়ে এ ফসলটি চাষ করতে পারলে আপামত জনগোষ্ঠির পুষ্টির উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন আনয়ন সম্ভব’।

অধ্যাপক ড. মোঃ শহীদুল ইসলাম শিম উৎপাদনের নানা কলাকৌশল নিয়ে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। উল্লেখ্য, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. মো: শহীদুল ইসলাম সিকৃবি শিম-১ (সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিম-১) ও সিকৃবি শিম-২ জাত আবিষ্কার করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৫, ২০২২ ১২:০৪ পূর্বাহ্ন
বশেমুরকৃবিতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ পালিত
ক্যাম্পাস

মো. গোলাম শাহারিয়া লিমন :  ‘নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ২৩-২৯ জুলাই দেশব্যাপী জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাপ্তাহিক বিভিন্ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে রবিবার বিকাল ৩ ঘটিকায় এক বর্ণাঢ্য র‍্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রদক্ষিণ করে মাৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের সামনে গিয়ে শেষ হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের সামনের পুকুরে পোনা অবমুক্তকরণ কর্মসূচি পালিত হয়।

এ উপলক্ষে বশেমুরকৃবি মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ আয়োজিত মাছের পোনা অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়া। তিনি তার বক্তৃতায় মাছের সাথে বাঙালি সম্পর্ক উল্লেখ করে বাংলাদেশে মাছ উৎপাদনে অন্য দেশের সাথে তুলনা করেন এবং মাছ খাওয়ার গুণাগুণের কথা উল্লেখ করেন।এছাড়াও বাংলাদেশ যে নিজের দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে মাছ রপ্তানি করছে তাও উল্লেখ করেন।এ উৎপাদনের বৃদ্ধির কৃতিত্ব দেন মৎস্যবিজ্ঞানীদের, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং সর্বোপরী মাছচাষীদের।পরিশেষে মৎস্য সপ্তাহ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
পরে মাৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. এস. এম. রফিকুজ্জামান তার বক্তব্যে উপস্থিত ভাইস- চ্যান্সেলর, ট্রেজারার, প্রক্টর ছাড়াও অনুষ্ঠান সাফল্যমন্ডিত করতে যারা ভূমিকা রেখেছেন তাদের ধন্যবাদ জানান।
তাছাড়াও পোনা অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তৃতা রাখেন মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের জেনেটিক্স এন্ড ফিস ব্রিডিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুস সালাম।


উক্তসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর তোফায়েল আহমেদ, প্রক্টর ড. মো. আরিফুর রহমান খাঁন সহ মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষক ও সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন অ্যাকুয়াচালচার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মৌসুমি দাস।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৪, ২০২২ ৪:৩৫ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ পালিত
ক্যাম্পাস

দীন মোহাম্মদ দীনু: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ স্লোগানকে সামনে রেখে উদযাপিত হয়েছে মৎস্য সপ্তাহ ২০২২।

রবিবার (২৪ জুলাই) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ উদযাপিত হয়। দিবসটি পালন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি, মাছের পোনা অবমুক্তকরণ ও মুক্ত আলোচনার আয়োজন করে বাকৃবি মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ।

এ উপলক্ষে সকাল ৯ টায় এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ থেকে শুরু হয়ে প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে ব্রহ্মপুত্র নদে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালি শেষে ব্রহ্মপুত্র নদে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়।

এ উপলক্ষে বাকৃবি উদিচী ঘাটে আয়োজিত মাছের পোনা অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ আবুল মনসুর এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. খান মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রক্টর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দিনসহ মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষক ও সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের আমিনুল হক ভবনের সভাকক্ষে এ উপলক্ষে মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৫, ২০২২ ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন
শেরে বাংলা গোল্ডেন এ্যাওয়ার্ড-২০২২ পেলেন ড. আবুল মনসুর
কৃষি বিভাগ

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো: আবুল মনসুর এবছর ‘শেরে বাংলা গোল্ডেন এ্যাওয়ার্ড-২০২২’ লাভ করেছেন।

বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন, ইকোনোমিক রিপোর্টারস ফোরাম মিলনায়তনে গত শনিবার এক সেমিনার ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে এ এ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে।

গত ৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বরাবর লেখা এক অবহিতকরণ চিঠিতে প্রফেসর ড. মো: আবুল মনসুর এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সেমিনারের বিষয়বস্তু ছিল ‘উপমহাদেশে শিক্ষা বিস্তারে শেরে বাংলার ভূমিকা’।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞ বিচারপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব খাদেমুল ইসলাম চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ক্রেস্ট প্রদান করেছেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. শরীফ সাকী ও আলহাজ্ব আব্দুস শক্কুর। সেমিনার উদ্বোধন করেন ব্যারিষ্টার জাকির আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন জনাব মুহাম্মদ আতাউল্লাহ্ খান। প্রফেসর ড. মো: আবুল মনসুর শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য এ সম্মাননা লাভ করেন। প্রফেসর ড. মো: আবুল মনসুর বিগত ৩৬ বৎসর যাবৎ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগে শিক্ষকতা করছেন।

তিনি দুইবার বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। একবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হলের প্রভোস্ট ছিলেন। ফিশ মিউজিয়াম এন্ড জার্মপ্লাজম সেন্টারের পরিচালক ছিলেন। বর্তমানে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন হিসেবে কর্মরত।

প্রফেসর ড. মো: আবুল মনসুর ১৯৯৫ সালে ইংল্যান্ডের হাল বিশ্ববিদ্যালয় হতে পি.এইচ-ডি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ২০০১ সালে জে.এস.পি.এস. পোস্ট-ডক ফেলোশীপে জাপানে পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা সম্পন্ন করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৩০, ২০২২ ৪:২৯ অপরাহ্ন
শিক্ষক হত্যার প্রতিবাদে সিকৃবিতে মানববন্ধন
ক্যাম্পাস

অর্ঘ্য চন্দ, সিকৃবি প্রতিনিধি: সম্প্রতি শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে পিটিয়ে হত্যা এবং অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে লাঞ্ছনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) সাড় ১২টার দিকে শিক্ষক সমিতির আয়োজনে প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন প্রধান সড়কে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।

শিক্ষক সমিতির (২০২২) সভাপতি প্রফেসর ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. এম এম মাহবুব আলমের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো : মতিয়ার রহমান হাওলাদার।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিকৃবি ছাত্র পরামর্শ ও নিদের্শনা দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মো : মোস্তফা শামসুজ্জামান, ডিন কাউন্সিলরের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো : রাশেদ আল মামুন ও শিক্ষক সমিতির শিক্ষকবৃন্দ। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মতিয়ার রহমান হাওলাদার বলেন, ছাত্রসমাজের একটা অংশের নৈতিক অবক্ষয় হয়েছে। তাই নৈতিক শিক্ষার উপর জোর দিতে হবে, যা পরিবার থেকে শুরু করতে হবে।

নৈতিক উন্নতি না হলে, কেবল অর্থনৈতিক উন্নতি দিয়ে প্রকৃত সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব না। আরো বক্তব্য রাখেন মো : আবু কাউসার ( সাধারণ সম্পাদক, ল্যাপস) , প্রফেসর ড. মো : আব্দুল আজিজ ( সাধারণ সম্পাদক, সাদা দল), প্রফেসর ড. মো : মোশাররফ হোসেন সরকার ( সাধারণ সম্পাদক, গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদ) প্রমুখ । মানববন্ধনের সমাপনী বক্তব্যে অধ্যাপক ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহম্মদ বলেন,আমাদের বিবেক জাগ্রত করা উচিত। সমাজের প্রতিটি পরিবারে সন্তানকে সুশিক্ষিত করতে হবে। সেই সাথে অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার পেছনে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শিক্ষকদের মাঝে একতা বজায় রাখতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৩০, ২০২২ ১১:০৫ পূর্বাহ্ন
ইউজিসিতে বিশ্ববিদ্যালয় সিটিজেন চার্টার কমিটির অবহিতকরণ সভা
ক্যাম্পাস

বাকৃবি প্রতিনিধি :বিশ্ববিদ্যালয় মাঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক আয়োজিত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিটিজেন চার্টার কমিটির ফোকাল পয়েন্টদের নিয়ে দিনব্যাপী অবহিত করন সভা ও ফিডব্যাক প্রদান কম’শালা অনুষ্ঠিত। গত ২৯ জুন অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সচিব, ইউজিসি

ড. ফেরদৌস জামান, প্রধানঅতিথি ছিলেন , সদস্য, ইউজিসি প্রফেসর ড. আবু তাহেরসহ পঁচিশটি বিশ্ববিদ্যালয় সভায় অংশ গ্রহণ করেছে।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ হতে ডেপুটি রেজিস্ট্রার ড. মোঃ জহিরুল আলম, প্রতিনিধিত্ব করেছেন ।
উল্লখ্য জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন এবং এ সম্পর্কিত সেবাদান কার্যক্রম স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা ও এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ কমিটি কাজ করে যাচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৮, ২০২২ ২:১৪ অপরাহ্ন
চুয়েটের সহকারী পরিচালক হিসেবে পদোন্নয়ন পেলেন রাশেদুল
ক্যাম্পাস

দীন মোহাম্মদ দীনু: চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর জনসংযোগ কর্মকর্তা জনাব মুহাম্মদ রাশেদুল ​ ইসলাম (রাশেদ পারভেজ) ‘সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ)’ হিসেবে পদোন্নয়ন পেয়েছেন।

সোমবার (২৭ জুন) অপরাহ্নে তিনি সহকারী পরিচালক পদে যোগদান করেন।

রাশেদুল ইসলাম বাংলাদেশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ সমিতি (বাপজস)এর ক্রীড়া সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করছেন।

উল্লেখ্য, গত ২৬শে জুন অনুষ্ঠিত চুয়েটের ১২৫তম সিন্ডিকেট সভার সুপারিশক্রমে তিনি এ পদোন্নয়ন লাভ করেন।

তিনি চুয়েটের জনসংযোগ কর্মকর্তা পদে গত ৩০ মার্চ ২০১৭ খ্রি. থেকে কর্মরত আছেন। প্রসঙ্গত, চুয়েটে যোগদানের পূর্বে রাশেদ পারভেজ দৈনিক আজাদীর স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে প্রায় তিন বছর (২০১৪-২০১৭) কর্মরত ছিলেন।

মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে ২০১৩ সালে প্রথম শ্রেণীতে বি.এস.এস (অনার্স) এবং ২০১৪ সালে একই বিষয়ে প্রথম শ্রেণীতে এম.এস.এস (মাস্টার্স) সম্পন্ন করেন। উল্লেখ্য যে, তিনি বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তায় নারী কৃষকের অবদানের স্বীকৃতি বিষয়ে প্রতিবেদনের জন্য ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর ঢাকায় যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক স্বেচ্চাসেবী সংগঠন ‘অক্সফাম’ ও দেশিয় গণমাধ্যম গবেষণা সংস্থা ‘সমষ্টি’ কর্তৃক “অক্সফাম ফেলোশীপ-২০১৫” মনোনীত হন।

এছাড়া চট্টগ্রামের পোল্ট্রি শিল্পের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে প্রতিবেদনের জন্য ওয়াচডগ বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রি সমন্বয় কমিটি কর্তৃক ২০১৬ সালের ২০ আগস্ট “সেরা প্রতিবেদক” হিসেবেও পুরষ্কার লাভ করেন। তিনি জার্মানির ডয়েচে ভেলে থেকে গণমাধ্যম বিষয়ক প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান থেকে পেশাগত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।

তিনি ১৯৯৩ সালের ০১লা জানুয়ারি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের শাইর মুহাম্মদ পাড়ার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আবদুল গফুর ও মাতার নাম মনোয়ারা বেগম। তিনি বড় চারবোনের পরিবারের কনিষ্ঠ সন্তান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৫, ২০২২ ৭:৩৯ অপরাহ্ন
স্বপ্নের পদ্মা সেতু অনন্য গৌরব, মর্যাদা ও অর্থনৈতিক সক্ষমতার প্রতীক: বাকৃবি ভিসি
ক্যাম্পাস

দীন মোহাম্মদ দীনু,বাকৃবি: স্বপ্নের পদ্মা সেতু অনন্য গৌরব, মর্যাদা ও অর্থনৈতিক সক্ষমতার প্রতীক বলেছেন বাকৃবি ভারপ্রাপ্ত ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম।

শনিবার সকাল ৯টায় বাকৃবি ভারপ্রাপ্ত ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে একটি আনন্দ র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

র‌্যালিটি প্রশাসন ভবন সংলগ্ন হেলিপ্যাড থেকে শুরু হয়ে বাকৃবি শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে এসে শেষ হয়। র‌্যালি উদ্বোধনের প্রাক্কালে প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, পদ্মানদী পদ্মা পাড়ের মানুষের শিক্ষা, শিল্প ও বাণিজ্যিক অগ্রযাত্রায় কঠিন বাধা ছিল। যা নিরসনে ২০০১ সালে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন এবং সকল ষড়যন্ত্রের জাল ও বাধা ছিন্ন করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণে সক্ষম হয়েছেন। স্বপ্নের পদ্মা সেতু অনন্য গৌরব, মর্যাদা ও অর্থনৈতিক সক্ষমতার প্রতীক।

এরপর সকাল ১০টায় বাকৃবি শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে বাংলদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কর্তৃক পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।

এসময় আরোও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. খান মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রক্টর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোঃ গোলাম ফারুক, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ মোঃ ছাইফুল ইসলামসহ শিক্ষক সমিতি,গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম, অফিসার পরিষদ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, তৃতীয় শ্রেণী কর্মচারী পরিষদ, তৃতীয় শ্রেণি কারিগরি পরিষদ, চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী পরিষদসহ বিভিন্ন শিক্ষক-ছাত্র, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৩, ২০২২ ৫:৩০ অপরাহ্ন
বাকৃবির আইএডিএস’র নতুন পরিচালক ড. ইসমত আরা
কৃষি বিভাগ

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) এর কৃষি অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ড. ইসমত আরা বেগম, ইনস্টিটিউট অব এগ্রিবিজনেস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিসের (আইএডিএস) পরিচালক পদে নিয়োগ পেয়েছেন ।

বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসানের নির্বাহী আদেশে তিনি আইএডিএসের নতুন পরিচালক পদে যোগদান করেন।

জানা যায়, আইএডিএসের পরিচালক পদে যোগদানের আগে ড. ইসমত আরা বিভাগীয় প্রধান, হল প্রভোষ্ট, প্রভোষ্ট পরিষদের কনভেনর, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচিত সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তির শিক্ষক সংগঠন গনতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের অনুষদীয় কমিটির সভাপতি, কেন্দ্রীয় কার্য্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও কোষাধ্যক্ষ, ও বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতি সমিতির সাংস্কৃতিক সম্পাদকসহ অনেক প্রশাসনিক, সামাজিক ও পেশাগত সংগঠনের দায়িত্ব সফলতার সাথে পালন করেছেন।

ড. ইসমত আরা বেগম ২০১৫ সালের জুলাই মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর হিসেবে পদোন্নতি পান। শিক্ষা জীবনের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে ডাবল স্টার প্রাপ্ত ড. ইসমত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রেকর্ড পরিমাণ নম্বর নিয়ে ১ম শ্রেনীতে ১ম স্থান সহকারে কৃষি অর্থনীতিতে বিএসসি (অনার্স) ও কৃষি অর্থনীতিতে (উৎপাদন) মাষ্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি অনার্স ও মার্ষ্টাস উভয় পরীক্ষাতেই রেকর্ড পরিমাণ মার্কস পেয়ে ডাবল গোল্ড মেডেল পান।

ড. ইসমত আরা বেগম জাপান সরকারের বৃত্তি (মনবুশু) নিয়ে হোক্কাইডো ইউনিভার্সিটি, জাপান থেকে কৃষি উন্নয়ন অর্থনীতিতে মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। পরবর্তীতে ঘেন্ট ইউনিভার্সিটি, বেলজিয়াম থেকে কৃষি অর্থনীতিতে পোষ্ট-ডক করেন।

ড. ইসমত কাহো লুভেন বিশ্ববিদ্যালয়, বেলজিয়ামে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ‘ইরাসমাস মুন্ডুজ’ ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে ‘ইকোলজিক্যাল ইকনমিক্স অভ গ্লোভাল ফুড প্রোডাকশন’ বিষয়ে স্নাতোকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষকতা করেন।

ড. ইসমত ক্রফোর্ড পাবলিক পলিসি স্কুল অষ্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, অস্ট্রেলিয়ায় এন্ডোভর ভিজিটিং ফেলো ও যুক্ত্ররাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব আরকানসাস এর ইউএল ফেলো হিসেবে কাজ করেন। তিনি অষ্ট্রেলিয়ান সরকারের অত্যন্ত মর্যাদাপুর্ণ জন ডিলন ফেলো নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি অষ্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অ্যাডজান্ক্ট গবেষক।

ড. ইসমত মর্যাদাপুর্ন মনবুশু, এন্ডোভর, অসএইড, ভিএলআরআই, ইরাসমাস মুন্ডুজ সহ ১০টির অধিক প্রতিযোগিতামুলত স্কলারশীপ ও ফেলোশীপ প্রাপ্ত হন। তিনি ২ বার ‘বেষ্ট প্রকাশনা অ্যাওয়ার্ড’ ও ২ বার ‘গ্লোবাল রিসার্চ ইপপেক্ট অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেন।

তিনি ৮০ এর অধিক আর্ন্তজাতিক ও জাতীয় জার্নাল আর্টিকেল, বই, সম্পাদীয় বইয়ে অধ্যায় ও থিসিস প্রকাশ করেন। তাছাড়া তিনি প্রায় ২০টির অধিক আর্ন্তজাতিক কনফারেন্স/সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন ও গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

তিনি এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ এর অধিক মাস্টার্স ও ৪ জন পিএইচডি/পোষ্ট-ডক এর গবেষণা (কো)-সুপারভাইজার করেছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৩, ২০২২ ৩:১৮ অপরাহ্ন
পদ্মা সেতু কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিতে গতিশীলতা আনবে-
কৃষি বিভাগ

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু ,বাকৃবি: পদ্মা সেতু চালু হওযার ফলে বাংলাদেশের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিতে বড় ধরনের গতিশীলতা আসবে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার কৃষিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। বিশেষ করে এ এলাকার কৃষক তার পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাবে এবং অল্প সময়ে কৃষি পণ্য ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠাতে পারবে। ফলে কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য নষ্ট হ্ওয়ার আশঙ্কা কমে আসবে ব্যাপকভাবে। খুলনা ও বাগেরহাটের মাছ, যশোরের সবজি আর ফুল, পটুয়াখালীর মুগডাল-তরমুজ-মাছ, মাদারীপুরে প্রচুর পেঁয়াজ-মসুর-সরিষা, বরিশালের ধান ও পানসহ পুরো দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষি অর্থনীতি চাঙ্গা হবে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর মুক্তিযোদ্ধের পক্ষের ও আওযামীপন্থী শিক্ষক সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম আয়োজিত গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম এর সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ আবু হাদী নূর আলী খান এর সভাপতিত্বে বাকৃবি শিক্ষক কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোঃ রমিজ উদ্দিন এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে মাগুরার লিচু চাষীরাই আগামী বছর থেকে প্রতি মৌসুমে অন্তত ৫০ কোটি টাকার বাড়তি লিচু বিক্রি করতে সক্ষম হবেন। লিচুর পাশাপাশি মাগুরায় প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি, ১২ হাজার হেক্টরে পেঁয়াজ ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জমিতে কাচামরিচের চাষ হয়।

পাট-পেঁয়াজ আবাদে দেশের মধ্যে অন্যতম ফরিদপুর জেলা। এসব পণ্য দ্রæত ঢাকার বাজারে পাঠানো সম্ভব হবে। যশোর ও ফরিদপুরের খেজুরের গুড়ের কদর আছে দেশ জুড়ে। এখানকার পরিত্যক্ত জমিতে বাণিজ্যিকভাবে খেজুর গাছের বাগানও করা যেতে পারে।

এখন অঞ্চলগুলোতে রপ্তানিমুখী কৃষি ভিত্তিক পণ্যগুলোর জন্য জোন চিহ্নিত করতে হবে। দেশে কৃষি পণ্যের জন্য উপযুক্ত কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে । কৃষির পাশাপাশি কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত না করে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে ভারী শিল্প কারখানা, সমৃদ্ধ হবে দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতিসহ পুরো বাংলাদেশ।

কৃষির উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি রপ্তানিমুখী কৃষিকে আরো সমৃদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা অতি দ্রুত গ্রহণ করতে হবে। সার্বিকভাবে বলা যায়, পদ্মা সেতুর ফলে দক্ষিণাঞ্চলের কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে এবং সেখানকার কৃষকদের জীবন ও জীবিকায় সূচনা হবে এক নতুন অধ্যায়ের।

প্রফেসর ড. মোঃ রমিজ উদ্দিন বলেন, এছাড়া প্রাণিসম্পদ খাতে পদ্মা সেতুর ভূমিকা হবে উল্লেখযোগ্য। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলো তে বিশেষকরে শরীয়তপুর এই বছরে উৎপাদন হয় ৮১ হাজার টন মাংস ও ১ লাখ ৫ হাজার টন দুধ।প্রতি বছর জেলার চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৪২ হাজার টন মাংস ও ৩২ হাজার টন দুধ উদ্বৃত্ত থেকে যায়। এতদিন ফেরিঘাটের ভোগান্তির কারণে উদ্বৃত্ত এসব মাংস ও দুধ ঢাকায় বিক্রি করা যায়নি। তুলনামূলক কম দামে বাড়তি মাংস ও দুধ বিক্রি করে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে খামারিদের। এখন সেতু চালু হলে মাত্র ২ ঘণ্টায় ঢাকায় পৌঁছাবে এসব দুধ ও মাংস।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশের মৎস্য সেক্টর বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের চিংড়ি খাত থেকে এরকম বিশাল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। প্রচলিত পদ্ধতিতে যে পরিমাণ চিংড়ি উৎপাদিত হচ্ছে তার বর্তমান স্থানীয় বাজার মূল্য হচ্ছে ২০ হাজার কোটি টাকার মত। চাষ পদ্ধতি একটু উন্নত করে আধা-নিবিড় প্রক্রিয়ায় চাষ করলে চিংড়ির উৎপাদন ৭ গুণ বাড়াানো সম্ভব, এবং যার ফার্মগেট মূল্য হচ্ছে ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা। যা দেশের জাতীয় বাজেটের প্রায় এক-চতুর্থাংশ। মৎস্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে বাংলাদেশে চিংড়ি খামারের আয়তন ও উৎপাদন ছিল যথাক্রমে ২৫৭৮৮৮ হেক্টর ২৭০১১৪ মেট্রিক টন। চিংড়ি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি পণ্য। সামগ্রিক কৃষিক্ষেত্রে চিংড়ি একমাত্র রপ্তানিযোগ্য পণ্য যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

চিংড়ি উৎপাদনের ৯০% এরও বেশি উৎপাদিত হয় খুলনা বিভাগের জেলাগুলোতে। প্রচলিত পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষের উৎপাদনশীলতা অত্যন্ত কম, যা বর্তমানে হেক্টর প্রতি এক মেট্রিক টনের মত। প্রচলিত পদ্ধতির এই চিংড়ি খামারগুলোতে আধা-নিবিড় পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ করলে হেক্টরপ্রতি উৎপাদন ৭ থেকে ৮ টনে উন্নীত করা সম্ভব। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সাথে সাথেই বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চিংড়ি চাষ এলাকায় ব্যাপক ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। পদ্মা সেতুর সুদূর প্রসারী প্রভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে স্থানীয় চাষীদের সাথে বিভিন্ন শ্রেণীর উদ্যোক্তাদের তথ্য ও জ্ঞানের আদান-প্রদান হবে। তাতে করে প্রচলিত পদ্ধতিতে পরিচালিত চিংড়ি খামারের উৎপাদনশীলতা বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে, আন্তর্জাতিক মানদন্ডে চিংড়ি উৎপাদিত হবে এবং বিদেশে চিংড়ি রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।

রপ্তানি বাজার এর পাশাপাশি স্থানীয় বাজারে বিশেষ করে রাজধানী শহর থেকে শুরু করে অন্যান্য বিভাগীয় শহরে চিংড়ির সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে, চাষিরা অধিক মূল্য পাবে এবং লাভবান হবে। অনেক দেশী-বিদেশী উদ্যোক্তা বিশেষ করে আধুনিক চিংড়ি চাষী, মৎস্য খাদ্য উৎপাদনকারী, ঔষধ সরবরাহকারী, মাছ-চিংড়ি বিপণনকারী, রপ্তানিকারক, ইত্যাদি বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারা এ সমস্ত অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত হবেন।

শিক্ষক নেতারা এসময় আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের উত্তরসূরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসীম সাহসিকতা ও দৃঢ় আতœবিশ্বাসের অবিশ্বাস্য এক রূপকথা পদ্মা সেতু। দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র ভেদ করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বাংলাদেশের সক্ষমতাকে আরও একবার জানান দিয়েছেন বিশ্ববাসীকে। তাই পদ্মা সেতু শুধু একটি সেতু নয়, এটি বাঙালি জাতির গৌরব, মর্যাদা আর অহঙ্কারের প্রতীক। এ সেতুর প্রতিটি পরতে পরতে জড়িয়ে আছে বাঙালি জাতির আবেগ ও জাতির পিতার সুযোগ্য উত্তরসূরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যয় ও দৃঢ়তার প্রতিচ্ছবি।

অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. মো: জয়নাল আবেদীন, বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. সুবাস চন্দ্র দাস, প্রফেসর ড. মো এনামুল হক, প্রোক্টর প্রফেসর ড.মুহাম্মদ মহির উদ্দীন, পরিচালক পরিকল্পনা ও উন্নয়ন প্রফেসর ড. মো: হারুন-অর-রশিদসহ বাকৃবি গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম এর শিক্ষক মন্ডলী এবং বাকৃবি সাংবাদিক সমিতির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop