১০:২৮ পূর্বাহ্ন

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অক্টোবর ৩, ২০২৩ ৯:৪১ পূর্বাহ্ন
কুমিল্লায় আগাম জাতের রূপবান শিম এখন বাজারে
কৃষি বিভাগ

কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে চাষ করা হয়েছে আগাম জাতের রূপবান শিম। এই শিম চাষ করে কৃষকের মুখে রাঙা হাঁসি ফুটেছে।
শিম শীতকালীন সবজি। কিন্তু গ্রীষ্মে আগাম লাগানো রূপবান জাতের শিম বিক্রি করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। কৃষকরা পাইকারি ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে শিম বিক্রি করছে আর খুচরা বাজারে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ২৫ হেক্টর জমিতে দুই শতাধিক চাষি আগাম শিম চাষ করেছেন। উপজেলার মোকাম ও ডুবাইচর গ্রামের মাঠে বেশি শিমের আবাদ হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাঠের পর মাঠ রূপবান জাতের শিমের আবাদে ভরে গেছে। অনেক কৃষক শিমের ক্ষেতে কাজ করছেন। আবার কেউ ক্ষেত থেকে শিম তুলছেন।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বাসসকে জানান, বুড়িচং উপজেলায় আগাম জাতের শিমের চাষ বেশি হয়েছে। এ এলাকায় শতাধিক কৃষক আগাম জাতের শিমের চাষ করেছেন। এসব চাষিদের সার, বীজ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাদের সার্বিকভাবে কৃষিবিষয়ক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১, ২০২৩ ৯:৪৮ পূর্বাহ্ন
কাজু বাদাম চাষে হোন লাভবান
কৃষি বিভাগ

কাজু বাদাম একটি শুকনো ফল হিসাবে খুব জনপ্রিয়। একটি গাছের উচ্চতা ১৪ মিটার থেকে ১৫ মিটার। এর গাছ ৩ বছরে ফল ধরতে প্রস্তুত হয়। কাজুর খোসাও ব্যবহার করা হয়। খোসা পেইন্ট এবং লুব্রিকেন্ট তৈরি করে। তাই এর চাষ খুবই উপকারী। কাজু গাছ উষ্ণ তাপমাত্রায় ভাল করে। ২০-৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা চাষের জন্য উপযুক্ত। এটি যে কোনো ধরনের মাটিতে জন্মানো যায় তবে লাল বেলে দোআঁশ মাটি এর জন্য ভালো।

 

একটি কাজু গাছ একবার লাগানো হলে তা বহু বছর ধরে ফল ধরে। গাছ লাগাতে সময় লাগে। এক হেক্টরে পাঁচশত কাজু গাছ লাগানো যায়। একটি গাছ থেকে ২০ কেজি কাজু বাদাম পাওয়া যায়। এক হেক্টরে ১০ টন কাজু উৎপন্ন হয়। বাজারে এক কেজি কাজুবাদাম বিক্রি হয় ১২০০ টাকায়।

 

এই বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে

  • ভাল বীজ চয়ন করতে হবে
  • কাজু গাছের জন্য ভালো জমি নির্বাচন করুন
  • কাজু জাত নির্বাচন করুন
  • কীটপতঙ্গ এবং রোগ নিয়ন্ত্রণ
  • ভাল সেচ ব্যবস্থা
শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩ ৯:৪২ পূর্বাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ কোটি টাকার আমন ধানের চারা বিক্রির প্রত্যাশা
কৃষি বিভাগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় চলতি আমন মৌসুমে ধানের চারা বিক্রির হাট জমে উঠেছে। এই বছর প্রায় ২ কোটি টাকার চারা বিক্রি হবে বলে প্রত্যাশা জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জেলার সদর উপজেলার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পাশে নন্দনপুর এলাকার বৃহৎ হাটটিতে দূর-দূরান্ত থেকে আসা কৃষকেরা বিভিন্ন ধরনের ধানের চারা ক্রয়-বিক্রয় করছেন। চারা ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় চারার হাটটি সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মুখরিত থাকে।

সরেজমিন বাজার ঘুরে দেখা যায়, জেলার সদর উপজেলার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পাশে নন্দনপুর এলাকার মৌসুমি চারার হাটটি বেশ পুরাতন। আমন মৌসুমে এই চারার হাট ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় বেশ জমজমাট। ক্রেতারা ঘুরে ঘুরে তাদের পছন্দ মতো চারা দেখে দাম বলছেন। বিক্রেতারাও তাদের চারা প্রকারভেদ অনুযায়ী দাম চাচ্ছেন।
হাটে চারা আঁটি ভেদে বিক্রি করা হয়। ছোট চারার আঁটি প্রকারভেদে ৭০ টাকা থেকে ১২০ ও বড় চারার আঁটি প্রকারভেদে ২০০-২৫০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। ক্রেতারা তাদের পছন্দ মতো চারা কিনে তাদের পছন্দ মতো বাহনে করে নিয়ে যাচ্ছেন। হাটে বিভিন্ন জাতের ধানের চারা বিক্রি হয়ে থাকে। এর মধ্যে বিআর-২২, খাসা, নাজির, ও বিনা ধান-৭ অন্যতম। জেলাসহ আশপাশের জেলা থেকে আসা কৃষক পাইকাররা এই ধানের চারা ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন।

বাজারে আসা ক্রেতারা জানান, এই হাটে চাহিদা অনুযায়ী কাঙ্খিত চারা পেয়ে বেশ খুশি। দাম নিয়েও সন্তুষ্ট ক্রেতা-বিক্রেতারা। অন্য দিকে বিক্রেতারা বলছেন, বিক্রিও ভালো হচ্ছে। সামনের দিন গুলোতে যদি এমনভাবে চারা বিক্রি হয় তাহলে তারা লাভবান হবেন।

জেলার সদর উপজেলার সুহিলপুর এলাকা থেকে চারা কিনতে আসা ক্রেতা মো. আবুল হাসেম মিয়া নামের কৃষক জানান, প্রতি বছরই এই হাট থেকে ধানের চারা (জালা) কিনে থাকি। বিআর-২২ জাতের ২০ মোটা চারা ১৫০০ টাকা দিয়ে কিনেছি। ১ কানি (৩০ শতাংশ ১ কানি) থেকে একটু বেশি জমিতে এই চারাগুলো বপন করতে পারবো। গত বছর থেকে এবার দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে। এই বাজারের চারার মান অনেক ভালো। চারা ভালো হলে ধানের উৎপাদন ও ভালো হয়।
জেলার নাসিরনগর উপজেলা নাসিরপুর থেকে আসা ক্রেতা মাখন দাস বলেন, আমন মৌসুমে এই অস্থায়ী চারার হাটটি জমে। আশপাশের বিক্রেতারা এখানে চারা বিক্রি করে থাকে। তার ৬ কানি জমির জন্য এখান থেকে চারা কিনবেন। ২৮ মোটা বিআর-২২ জাতের চারা ২৮২০ টাকা দিয়ে কিনেছেন। দেড় কানির মতো জমিতে এই চারা রোপণ করা যাবে। কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই নিজের পছন্দ মতো চারা কিনতে পেরে খুশি।

হাটে চারা বিক্রি করতে আসা সদর উপজেলার খাড়ি এলাকার বিক্রিতা সিরাজুল ইসলাম বলেন, এবার ২ কানি জমিতে ধানের চারা চাষ করেছি। চারা ভালোই বিক্রি হচ্ছে। প্রতি আঁটি প্রকার ভেদে ৮০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি করছি। এই হাটে বিআর-২২, খাসা, বিনা ধান-৭সহ বিভিন্ন জাতের ধানের চারা বিক্রি হয়ে থাকে। বিক্রি বেশ ভালোই হচ্ছে, আগামী দিনগুলোতে এমন বিক্রি হলে ভালো লাভবান হবো।

তিনি জানান, এই হাটে জেলার বিভিন্ন উপজেলার কৃষকসহ পার্শ্ববর্তী জেলার কৃষকেরা চারা ক্রয় করতে আসেন।
এই ব্রাহ্মণবাড়িয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা জানান, নন্দনপুরের চারার হাট প্রতিদিন বসে। এই বাজারে মান সম্মত চারা পাওয়া যায়। এই চারা জেলার বাহিরেও চাহিদা রয়েছে। উন্নত চারা তৈরির জন্য আমাদের কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই বাজারে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার চারা বিক্রি হয়ে থাকে। এই বছর প্রায় ২ কোটি টাকার চারা বিক্রি হবে বলে আশা করি।

তিনি আরো জানান, জেলায় চলতি আমন মৌসুমে ২ হাজার ৬৫৬ হেক্টর জমিতে ধানের চারা বীজতলা রোপণের লক্ষ্য মাত্রা ছিল। আবাদ হয়েছে ২ হাজার ৮৩২ হেক্টর। তিনি আরও জানান, এবার আমাদের রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫১ হাজার ৫ ০০ হেক্টর। এখন পর্যন্ত আবাদ হয়েছে ৫৫ হাজার ৪২ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ৯৯ ভাগ জমিতে রোপা আমনের চারা রোপণ করা হয়েছে।

 

সূত্র: বাসস

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩ ৬:৪৪ অপরাহ্ন
ভাদ্রে মাসের শাকসবজি চাষ
কৃষি বিভাগ

ভাদ্র মাসে লাউ ও শিমের বীজ বপন করা যায়। এজন্য ৪ থেকে ৫ মিটার দূরে দূরে ৭৫ সেমি. চওড়া এবং ৬০ সেমি. গভীর করে মাদা বা গর্ত তৈরি করতে হবে। এরপর প্রতি মাদায় ২০ কেজি গোবর, ২০০ গ্রাম টিএসপি এবং ৭৫ গ্রাম এমওপি সার প্রয়োগ করতে হবে। মাদা তৈরি হলে প্রতি মাদায় ৪ থেকে ৫টি বীজ বুনে দিতে হবে এবং চারা গজানোর ২ থেকে ৩ সপ্তাহ পর দুই-তিন কিস্তিতে ২৫০ গ্রাম ইউরিয়া ও ৭৫ গ্রাম এমওপি সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে।

এ সময় আগাম শীতকালীন সবজি চারা উৎপাদনের কাজ শুরু করা যায়। সবজি চারা উৎপাদনের জন্য উঁচু এবং আলো বাতাস লাগে এমন জায়গা নির্বাচন করতে হবে। জমি ভালোভাবে কুপিয়ে বা চাষ দিয়ে মাটি ঝুর ঝুরে করতে হবে। চাষের সময় ১ বর্গমিটার জমির জন্য ১০ কেজি জৈবসার এবং ৩০০ গ্রাম টিএসপি মাটির সঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে দিতে হবে। জমি তৈরি হয়ে গেলে এক মিটার চওড়া এবং জমির দৈর্ঘ্য অনুসারে লম্বা করে বেড তৈরি করতে হবে। দুই বেডের মাঝখানে ৬০ সেমি. ফাঁকা রাখতে হবে। এতে যে নালা তৈরি হবে তার গভীরতা হবে ১৫ সেমি.। বীজতলা হয়ে গেলে সেখানে উন্নত জাতের ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, টমেটো এসবের বীজ বুনতে পারেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩ ২:৪৯ অপরাহ্ন
কুমিল্লার গোমতীর চরে মুলার বাম্পার ফলন
কৃষি বিভাগ

কুমিল্লা জেলার গোমতী চরের কৃষকরা মুলা চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সবুজ গাছের গোড়ায় মাটি ভেদ করে উঁকি দিয়েছে সাদা মুলা। এই সাদা মুলা এবার গোমতীর পাড়ে বাম্পার ফলন হয়েছে। বিস্তৃত্ব চরজুড়ে এখন মুলার সাদা হাসি। সেই হাসি লেগেছে কৃষকের চোখে মুখেও।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুমিল্লার আদর্শ সদর ও বুড়িচং উপজেলার গোমতী নদীর চরে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। চর থেকে মুলা সংগ্রহ,পরিস্কার করে আঁটি বাঁধছেন। জমির পাশে অপেক্ষা করছেন পাইকাররা। মুলা সংগ্রহ ও পরিস্কারের পরেই গাড়িতে তোলা হয়। গোমতী চরের মুলা জেলার চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে রাজধানী শহর ঢাকা ও বন্দর নগরী চট্টগ্রামে।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের মুলা চাষি ফজর আলী। গোমতীর চরে তিনি ৪০ শতক জমিতে মুলা চাষ করেছেন। বীজ সার, কীটনাশক ও কৃষি মজুরি মিলিয়ে খরচ হয়েছে ৩৪ হাজার টাকা। এখন সেই মুলা বিক্রি করেছেন ৮০ হাজার টাকা। সব খরচ বাদ দিয়ে মাত্র এক মাসেই তার মুনাফা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। আর এ কারনেই তৃপ্তির হাসি লেগেছে সবজি চাষী ফজর আলীর চোখে মুখে। এই মুলা কিনেছেন চট্টগ্রামের পাইকারী সবজি ব্যবসায়ী জাহিদ হোসেন। তিনি বাসসকে জানান, ৭০ হাজার টাকার মুলার সাথে বহন খরচ হবে আরো ১০ হাজার টাকা। এই মুলা বিক্রি করবেন ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। চট্টগ্রামের মুলার চাহিদা বেশী বলে তিনি জানান।

কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আইউব মাহমুদ বাসসকে জানান, কৃষকদের জন্য মাঠে কৃষি কর্মকর্তারা আছেন। তারা যে কোন সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।

 

তথ্যসূত্র: বাসস

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩ ৭:০৭ অপরাহ্ন
মাশরুম চাষের এ টু জেড
কৃষি বিভাগ

মাশরুম এক বিশেষ ধরনের ছত্রাক। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই ছত্রাক সবজি হিসাবে ব্যবহৃত হয়। মাশরুম খুবই পুষ্টিকর খাদ্য এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রদান করে। কম খরচে বাড়ির মধ্যেই এর চাষ করা যায়। মাশরুম বিভিন্ন নামে পরিচিত, যেমনঃ ভুঁইফোড়, পাতালফোর, ব্যাঙেরছাতা, ছাতু প্রভৃতি।

 

কেন মাশরুম চাষ করবেন?

১. মাশরুম চাষে অল্প জায়গা লাগে ও সূর্যালোকের প্রয়োজন হয় না। তাই ঘরের ভিতরেই চাষ সম্ভব।

২. মাশরুম চাষে প্রয়োজনীয় উপকরণ যেমন খড়, বীজ সহজলভ্য এবং চাষের খরচ কম।

৩. মাশরুম একটি লাভজনক ফসল।

৪. এটি গ্রামের পুরুষ ও মহিলাদের গ্রহণযোগ্য প্রযুক্তি, এর দ্বারা পরিবারের বাড়তি আয় সম্ভব।

৫. মাশরুম খুবই পুষ্টিকর ও সুস্বাদু খাদ্য।

৬. এটি প্রোটিনের চাহিদা মেটায়। এছাড়া ভিটামিন ও খনিজ লবনে সমৃদ্ধ।

৭. কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা কম থাকায় ডায়াবেটিক রোগীর পক্ষে আদর্শ খাদ্য।

৮. ক্যালসিয়াম থাকায় হাড় ও দাঁতের গঠনে বিশেষ কার্যকরী।

৯. ফোলিক অ্যাসিড থাকায় রক্তাস্বল্পতা রোগীর পক্ষে বিশেষ ফলদায়ক।

 

চাষের জায়গাঃ

ঝিনুক তথা যেকোনো ছাতু চাষ করার জন্য ছায়াযুক্ত জায়গা প্রয়োজন। মাশরুম ঘরের মধ্যে আর্দ্রতা পরিমাণ বেশি থাকতে হবে এবং বাতাস চলাচল স্বাভাবিক থাকতে হবে। মাশরুম যেখানে চাষ হচ্ছে, সেখানে কোনো সময় যেন সরাসরি সূর্যের আলো বা বৃষ্টির পানি না পড়ে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৩ ৭:৩২ অপরাহ্ন
গোপালগঞ্জে ১৮০ কৃষক পেলেন প্রণোদনার বীজ ও সার
কৃষি বিভাগ

খরিপ-২ মৌসুমে মাসকলাই উৎপাদ বৃদ্ধির লক্ষে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় কৃষকদের মাঝে প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।
রোববার গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স চত্বরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহসিন উদ্দীন কৃষক ও কৃষাণীদের হাতে প্রণোদনার বীজ ও সার তুলে দেন।
এ সময় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সিদ্দিক সিকদার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নিরুন্নাহার ইউসুফ, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তার বলেন, মাসকলাই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ১৮০ জন কৃষক ও কৃষাণীর মধ্যে প্রণোদনার সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন,প্রত্যেক কৃষককে ৫ কেজি করে মাসকলাই বীজ, ৫ কেজি এমওপি এবং ১০ কেজি ডিএপি সার বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। এসব সার ও বীজ দিয়ে কৃষক ১৮০ বিঘা জমিতে মাসকলাই চাষাবাদ করবেন।এতে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা মাসকলাইয়ের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৩ ১২:২৯ অপরাহ্ন
পতিত জমিতে মাল্টা চাষে আলিম ও আলেয়ার দৃষ্টান্ত স্থাপন
কৃষি বিভাগ

জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার সীমান্ত সংলগ্ন চেঁচড়া গ্রামে পতিত জমিতে মাল্টা চাষ করে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ভাই-বোন আব্দুল আলিম ও আলেয়া বেগম। তারা ওই এলাকার ময়েন উদ্দিনের সন্তান।

জানা যায়, সীমান্ত এলাকায় বসবাস করলেও একটু লেখাপড়া জানার কারণে দুই ভাই-বোন মিলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে মাল্টা চাষের। সেই লক্ষ্য নিয়ে স্থানীয় মসজিদের নামে থাকা আড়াই বিঘা পতিত জমি লিজ নিয়ে দিনাজপুর থেকে উন্নত জাতের বারি-১ জাতের ২৩০টি চারা সংগ্রহ করে মাল্টা চাষ শুরু করেন। যেখানে তেমন কোন ফসল হয়না আবার বেশির ভাগ অংশ জুড়ে রয়েছে ঝোঁপঝাড়।

মসজিদ কমিটির নিকট থেকে দুই লক্ষ টাকা দিয়ে ১০ বছরের জন্য লিজ নিয়ে শুরু করে মাল্টা চাষ। জমি লিজ নেওয়া, বাগান তৈরি, সার কীটনাশক, লেবারসহ এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় ৭ লাখ টাকা বলে জানান আব্দুল আলিম।

তিনি জানান, ইউটিউব থেকে মাল্টা চাষের বিষয় দেখে আগ্রহ সৃষ্টি হলেও স্থানীয় কৃষি বিভাগ মাল্টা চাষে উদ্বুদ্ধ করা থেকে শুরু করে সব রকম পরামর্শ প্রদান করেছে।

স্থানীয় কৃষি বিভাগ জানায়, মসজিদের নামে থাকা আড়াই বিঘা পতিত জমি যেখানে তেমন কোন ফসল হতো না, সেখানে ভাই-বোন মিলে মাল্টা করে এলাকায় তাক লাগিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বর্তমানে বাগানের মাল্টার গাছ গুলোতে থোকায় থোকায় ঝুলে আছে মাল্টা, দেখে যেন মন শান্তি। তাই ভালো লাভের স্বপ্ন দেখছেন মাল্টা চাষি আব্দুল আলিম ও আলেয়া বেগম। আগামী সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে মাল্টা তোলা সম্ভব হবে।

মাল্টা বাগানের পরিচর্যায় ব্যস্ত আলেয়া বেগমরে দুই ছেলে আলফাজ ও আলী রাজ জানান, গত বছর প্রথম মৌসুমে ৮০ হাজার টাকার মতো মাল্টা বিক্রি করলেও এবার ফলন ভালো হওয়ায় ২/৩ লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি হবে এমন আশা প্রকাশ করেন তারা। বর্তমানে জমিতে থাকা মাল্টার বাগান দেখে মাল্টা ব্যবসায়ীরা দেড় লাখ টাকা দাম করছেন বলেও জানান, আলফাজ ও আলী রাজ।

মাল্টা চাষে সফলতা দেখে এলাকার অনেকেই মাল্টার বাগান করার আগ্রহ প্রকাশ করছেন বলে জানান, প্রতিবেশী রুস্তম আলী। পাঁচবিবি উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ লুৎফর রহমান বলেন, এখানকার মাটি লাল এটেলযুক্ত হওয়ায় মাল্টা চাষের উপযোগী। সে কারণে পড়ে থাকা অর্থাৎ পতিত জমিতে বিশেষ করে যে জমি গুলোতে তেমন ফসল হয়না এ সব জমিতে মাল্টা চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কৃষকদের মধ্যে আগ্রহ দেখে পাঁচবিবি উপজেলায় চলতি মৌসুমে ছোট বড় মিলে ১০০ টি মাল্টার বাগান করা সম্ভব হয়েছে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩ ৬:৩৬ অপরাহ্ন
স্কুটি চালিয়ে কৃষকদের অধিক সেবা দিচ্ছেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শর্মিলা শারমিন 
কৃষি বিভাগ

নেতিবাচক কথা ও প্রতিকূল পরিবেশকে হার মানিয়ে এগিয়ে চলছে নারীরা। গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর সড়কেও এখন নারীরা স্কুটি ও বাইক নিয়ে ছুটে চলছেন।এসব বাইকার নারীদের মধ্যে অধিকাংশই কর্মজীবী। অর্থ ও সময় সাশ্রয়ী এবং ভোগান্তিহীন যাতায়াত মাধ্যম হওয়ায় নারীদের মাঝে বাইক বা স্কুটির জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়ে চলেছে।পলাশবাড়ী কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শর্মিলা শারমিন একজন নারী বাইকার। অফিস,ব্লক পরিদর্শন ও কৃষকদের পরামর্শ দিতে স্কুটি চালাচ্ছেন এক বছরেরও বেশি সময় ধরে। স্কুটি থাকায় যাতায়াতের কাজটা অনেক সহজ হয়ে গেছে তার জন্য।
পৌর শহরের সুইগ্রাম এলাকায় সরেজমিননে স্কুটি বিষয়ক কথা হলে শর্মিলা শারমিন বলেন,আমার পৌরসভা ব্লকে ৪টি ওয়ার্ডে ৯ টি মৌজায় কৃষকের সংখ্যা ২০২০ ।মাঠ পরিদর্শন ও কৃষকদের সেবা দিতে পায়ে হেটে কিংবা ভ্যান-রিকশায় যাতায়াত করতে খুব কষ্ট হতো। অনেক সময় রাস্তায় বের হলে রিকশা-ভ্যান পেতে দেরি হতো,ভাড়াও বাড়তি।আমার ইচ্ছা অনুযায়ী কৃষকদের অধিক সেবা দিতে পারছিলাম না।কিভাবে সেবা বাড়ানো যায় এ বিষয়ে কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর গাইবান্ধা’র সাবেক জেঁলা প্রশিক্ষণ কমকর্তা  রেজাউল ইসলাম ও পলাশবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার ফাতেমা কাওছার মিশু স্যারের পরামর্শে স্কুটি কিনেছি। এখন কৃষকদের অধিক সেবা দিতে পারছি আর কোন সমস্যা হয়না। তিনি বলেন, চাকরির প্রয়োজনে মুলত স্কুটিটা কেনা।
স্কুটি চালাতে গিয়ে রাস্তায় কোন সমস্যা হয় কি না এ প্রশ্নে তিনি বলেন,প্রথমদিকে একটু ভয় ছিল,সংশয ছিল পাছে লোকে কিছু বলে এই নিয়ে। কিন্তু কয়েকদিন পরে সেই ভযটা কেটে যায। স্কুটি চালাতে গিয়ে অনেক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়। অনেকে বাজে মন্তব্য ছুড়ে দেয়। এখনো পথ চলতে কটু কথা শুনতে হয । রাস্তায় স্কুটি নিয়ে বের হলে কিছু ছেলে ইচ্ছা করে জোরে হর্ন দেয়। এসব আমলে না নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তনে নারীদের সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি জানান, স্কুটি নিতে পরিবার অনেক সাপোর্ট দিয়েছেন, প্রেরণা যুগিয়েছেন।এখন স্কুটি চালাতে সাচ্ছ্যন্দবোধ করি।তিনি বলেন,সময় বাঁচাতে স্কুটি চালাই। সময়ের আগেই কর্মস্থলে পৌঁছাতে পারি। ব্লকের কোন কৃষক ফোন দিলেই তাৎক্ষনিক সেবা দিতে পারি। অফিস, ব্লক পরিদর্শন, সন্ধ্যায় ব্লকের কিছু মৌজায় আলোক ফাদ শেষে কোয়ার্টারে ফিরি। এখন রিক্সা কিংবা পরিবহনের ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয় না। সব মিলিয়ে স্কুটি চলার পথ ও বিভাগীয় সেবা প্রদান অনেক সহজ করে দিয়েছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এক ইঞ্চি জমিও যেন পতিত না থাকে সে লক্ষ্য অনাবাদি পতিত জমিতে পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপণ সহ উদ্ধুদকরণের মাধ্যমে ভার্মি কম্পোস্ট, নিরাপদ সবজি উৎপাদন, সরিষার আবাদ বৃদ্ধি,ঔষধি, ফল ও ফুল বাগান, ধানের জাত পরিবর্তন, লাইনে ধান রোপন, শতভাগ পাচিং,আলোক ফাদ এর পরামর্শ দিচ্ছেন বলে জানান উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শর্মিলা শারমিন। ব্লকের কৃষি সেবা প্রদানে একজন নারী হয়েও কৃষক ও অফিসের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
সরেজমিনে উদয় সাগর গ্রামের কৃষক শামীম আহম্মেদ জানান, শর্মিলা শারমিন আপাকে ফোন করলেই উনি দ্রুত চলে আসেন ও পরামর্শ দেন। তার পরামর্শে আমার পতিত জমিতে সরিষা চাষাবাদ করে তেল ফসল আবাদ সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য পরপর দুই বার আমি জেলায় সেরা কৃষক নির্বাচিত হয়েছি।
শর্মিলা শারমিন বিগত ২০১৫ সালের ১৮ অক্টোবর অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যাল্যয়,কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর,রংপুর অঞ্চলে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। প্রথম কর্মস্থল গোবিন্দগঞ্জ কৃষি অফিস। পরবর্তীতে বদলী হন বর্তমান কর্মস্থল পলাশবাড়ী কৃষি অফিসে। তিনি তেল ফসলের আবাদ সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য  গাইবান্ধা জেলায় প্রথম ও রংপুর অঞ্চলে দ্বিতীয় হয়ে সম্মাননা প্রাপ্ত হন। তিনি এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জননী।
শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩ ৬:২৬ অপরাহ্ন
উপকারী সবজি হিসেবে কদর বেড়েছে কলার মোচার
কৃষি বিভাগ

উপকারী সবজি হিসেবে বেশ কদর রয়েছে কলার মোচার। অনেকের পছন্দের খাবার তালিকায় আয়রণ সমৃদ্ধ সবজি হিসেবে উল্লেখযোগ্য এটি। উৎপাদিত কলাবাগান ছাড়াও দেশের উত্তর জনপদসমূহের প্রায় বাসা বাড়ির পাশে আনাচে কানাচে কলাগাছ চোখে পড়ে।

কলাগাছ বেড়ে ওঠার ৮ থেকে ১০ মাসের মধ্যে গাছের আগায় মোচার বাদাড় দেখা দেয়। মোচা ধীরে ধীরে বেড়ে উঠার সাথে সাথে এর চারপাশ ঘিরে কলা গজাতে থাকে। এসময় কলার পিড় পরিপুর্ণ হওয়ার আগে মোচা খাওয়ার উপযোগী হয়ে উঠে।

বিশেষ করে সাগর কলা, কাচা কলা ও মালভোগ কলাগাছ থেকে মোচার ফলন খুব ভাল। স্থান ভেদে প্রায় সব ঋতুতেই কলার মোচা পাওয়া যায়।

গ্রাম কিংবা শহরের হাট বাজারগুলোতেও অন্যান্য সবজির পাশাপাশি স্বল্প দামে কলার মোচা বিক্রি হতে দেখা যায়। স্বাস্থ্য বিভাগের মতে, রোগ প্রতিরোধসহ কলার মোচার রয়েছে নানাবিধ পুষ্টিগুণ।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop