১০:৫৮ অপরাহ্ন

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ডিসেম্বর ২০, ২০২১ ৪:২৫ অপরাহ্ন
ব্ল্যাক এবং রেড রাইস চাষে উদ্ভাবনী কৃষক মনজুরের সাফল্য
কৃষি গবেষনা

কুমিল্লা জেলার সদর উপজেলার মনাগ্রামের কৃষক মনজুর হোসেন ৩০ একর জমিতে ২১ জাতের সবুজ আর বেগুনী পাতার কালো চাল ও লাল চালের (ব্ল্যাক অ্যান্ড রেড রাইস) ধানের আবাদ করে সাড়া ফেলেছেন।

জেলার কৃষি কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে হারভেস্টার মেশিনের মাধ্যমে জমির ধান কাটা শুরু হয়। ফলন ভালো হওয়ায় বেশ খুশি কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারাও।

সরেজমিনে জানা যায়, কৃষক মনজুর এবার ৩০ একর (১২ দশমিক ১৪ হেক্টর) জমিতে ব্লক পদ্ধতিতে জাপান, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, ভারত, কম্বোডিয়া, নেপাল, ক্যানডিয়ানসহ নানা দেশের মোট ২১ জাতের ধানের চাষ করেছেন। ২০ একর কালো চালের ও ১০ একর লাল চালের ধানের চাষ করেন তিনি। এসবের মধ্যে কোনো জাতের চাল অনেক বেশি কালো, কোনোটি লাল, আবার কোনটি লালচে লাল রঙের। রয়েছে সুগন্ধিযুক্ত ব্ল্যাক রাইসও।

স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ছালেকুর রহমান জানান, মনজুর হোসেন একজন উদ্ভাবনী কৃষক। তিনি ২০১৮ সালে মাত্র ২৭ টি বীজ দিয়ে ব্ল্যাক রাইস উৎপাদনের যাত্রা শুরু করেন। পরে বিভিন্ন দেশের বীজ সংগ্রহ করেন। বর্তমানে কালো চাল (ব্ল্যাক রাইস) থেকে ধানের চারা উৎপাদন করে জমিতে চাষ করছেন তিনি। কৃষি গবেষক ও কর্মকর্তারা চাষাবাদের তদারকি করেছেন। এবার ফলন অনেক ভালো হয়েছে।

কৃষি উন্নয়নের অবদান রাখায় একাধিক বার রাষ্ট্রীয় পদকপ্রাপ্ত কৃষক মনজুর হোসেন বলেন, এ মৌসুমে মোট ৩০ একর জমিতে ব্ল্যাক-রেড রাইসের চাষ করেছি। ফলন বেশ ভালো হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, আমরা ব্ল্যাক ও রেড রাইসের বীজ দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে চাই। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিডিউট ও কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তর একই সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২০, ২০২১ ২:৩৩ অপরাহ্ন
মিষ্টি গন্ধের নতুন আম বারি–১৮
কৃষি গবেষনা

আমের জগতে এল নতুন আরেক আম। নতুন এ জাতের নাম বারি আম-১৮। কৃষি মন্ত্রণালয়ের জাতীয় বীজ বোর্ড গতকাল রোববার সন্ধ্যায় ই-মেইলের মাধ্যমে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটকে (বারি) নতুন জাতের এ আমের নিবন্ধনের প্রত্যয়নপত্র দিয়েছে।

২০০২ সাল থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রে (আম গবেষণা কেন্দ্র) এ আম নিয়ে গবেষণা শুরু হয়। কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, সংকরায়ণের পর ২০০৭ সাল থেকে গাছে নিয়মিত ফল আসতে শুরু করে। দীর্ঘদিন পর্যবেক্ষণে রাখার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমটি অবমুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়। এরপর গতকাল সন্ধ্যায় নিবন্ধনের প্রত্যয়নপত্র পাওয়ার খবরটি ই-মেইলের মাধ্যমে জানানো হয়।

মিষ্টি গন্ধে ভরপুর রসাল বারি আম-১৮ মূলত সংকর জাতের আম। চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিখ্যাত গোপালভোগের সঙ্গে বারি আম-১-এর সংকরায়ণ ঘটিয়ে নতুন এ জাত সৃষ্টি করা হয়েছে।

সংকরায়ণের সঙ্গে যুক্ত আম গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জমির উদ্দীন বলেন, বারি উদ্ভাবিত আমগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে মিষ্টি। এ আমের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো মিষ্টি গন্ধ। গড়ে এ আমের ওজন ২৪০ গ্রাম। আমের ৭৫ শতাংশই খাওয়ার যোগ্য।

জমির উদ্দীন বলেন, প্রতিবছরই এ জাতের গাছে ফল ধরবে। জুন মাসেই ফল পাকবে। আর জুনের শেষ পর্যন্ত আমটি থাকবে। পাকলে এ আম হলুদাভ রং ধারণ করে। মে মাসের শেষের দিক থেকে জুনের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সুস্বাদু জাতের গোপালভোগ আমের মৌসুম শুরু হয়। এখন থেকে বাজারে সুস্বাদু জাতের চাহিদা মেটাবে মধ্য মৌসুমি বারি আম-১৮। আমটি দ্রুতই জনপ্রিয়তা অর্জন করবে বলে তিনি আশা করছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৯, ২০২১ ২:২৮ অপরাহ্ন
বগুড়ার বিষমুক্ত শিমের ক্ষেতে কৃষি বিজ্ঞানীরা
কৃষি গবেষনা

বিষাক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের বদলে নির্বিষ জৈব বালাইনাশক প্রযুক্তির মাধ্যমে শিম উৎপাদন ব্যবস্থাপনা দেখতে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বড় ও ছোট ফুলবাড়ীর শিমের ক্ষেত পরিদর্শন করলেন কৃষি বিজ্ঞানীরা।

গতকাল শনিবার সকাল থেকে বগুড়ার সবজি পল্লী খ্যাত শেরপুর উপজেলার বড় ফুলবাড়ীর শিমের ক্ষেতে উপস্থিত হয়ে সরাসরি কথা বলেন শিম ও সবজি চাষিদের সাথে। বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনের চাষিদের আগ্রহ, সমস্যা ও আগামী সম্ভাবনা নিয়ে তাদের চিন্তা ভাবনার কথা শোনেন। পরে মাঠ দিবস উপলক্ষে চাষি সমাবেশ করলেন তারা কথা বলেন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে।

এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কীটতত্ত্ববিদ ড. নির্মল কুমার দত্ত্ব। প্রধান অতিথি ছিলেন মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও জাতীয় মসলা গবেষণা কেন্দ্রের ইনচার্জ ড. মাজহারুল আনোয়ার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা যথাক্রমে ড. মো. সুলতান আহম্মেদ, ড.একেএম জিয়াউর রহমান ও জুলফিকার হায়দার প্রধান।

সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা বলেন, খাদ্যশস্য ও সবজি উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতার প্রেক্ষাপটে দেশে এখন মানবদেহের জন্য নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সরকারের দিক নির্দেশনায় তারা মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তারা কাজ করছেন কিভাবে কম খরচে বিষমুক্ত সবজির উৎপাদন করা যায়। বগুড়ার বড় ও ছোট ফুলবাড়ীর চাষিদের নিয়ে তাই শিম চাষের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সেটা সফল হলে আগামীতে পটলসহ অন্যান্য সবজি উৎপাদনের পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে তারা চাষিদের আশ্বস্ত করেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে শাকসবজি, ফল ও পান ফসলের পোকামাকড় ও রোগবালাই ব্যবস্থাপনায় জৈব বালাইনাশক ভিত্তিক প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের অর্থায়নে বগুড়ায় চলমান শিম চাষ প্রকল্পে দুটি সবজি পল্লীর চাষিরা যে সফলতা দেখিয়েছে সেটা উৎসাহজনক বলে মন্তব্য করেন পরিদর্শকদলের কৃষি গবেষক এবং বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৮, ২০২১ ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন
খরা-বন্যা সহিষ্ণু ধান উদ্ভাবন
কৃষি গবেষনা

নতুন জাতের একটি ধান উদ্ভাবন করেছে দিনাজপুুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও একদল শিক্ষার্থী। উচ্চ ফলনশীল এই ধান খরা ও বন্যা কবলিত অঞ্চলে চাষের জন্য বেশ উপযোগী। অন্য ধানের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি ফলন মিলবে বলে দাবি করেছেন গবেষকরা।

ধান চাষের জন্য বিখ্যাত দিনাজপুরে নানা জাতের ধানের আবাদ হয়। সেখানে যুক্ত হতে যাচ্ছে আরও একটি নতুন জাত। চলতি মৌসুমে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের গবেষণা মাঠে পরীক্ষামূলকভাবে নতুন জাতের এই ধান রোপন করা হয়। এটি উচ্চ ফলনশীল, ধানের গাছও বেশ শক্ত ও মজবুত। উত্তরাঞ্চলসহ বন্যা কবলিত এলাকায় এই ধান চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা দেখছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। শিক্ষকদের সাথে এই গবেষণায় অংশ নিয়েছেন শিক্ষার্থীরাও।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মোমিনুর রহমান জানালেন, নতুন জাতের এই ধানে গাছ মজবুত হওয়ায় রোপনের পর থেকে শেষ পর্যন্ত শক্তভাবে মাটিতে দাঁড়িয়ে থাকে। ফলন বেশি হওয়ায় এই ধান আবাদ করে কৃষক বেশি লাভবান হবে।

ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনার পর দ্রুত কৃষকদের মাঝে এই জাতের ধান ছড়িয়ে দেয়া হবে বলে জানালেন প্লান্ট প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষক দলের প্রধান মামুনুর রশিদ।

সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতা পেলে ধানের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন ও গবেষণা আরও বেগবান সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৫, ২০২১ ১১:৪১ পূর্বাহ্ন
ভালো বীজের অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক
কৃষি গবেষনা

ভালো বীজের অভাবে বাড়ছে না কাক্সিক্ষত উৎপাদন। বছরের পর বছর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষক। কৃষি বিভাগের তথ্যানুযায়ী, প্রতি বছর দেশে মোট ১৩ লাখ টন বিভিন্ন ফসলের বীজের চাহিদা রয়েছে। অথচ, মানসম্পন্ন বীজের জোগান দেওয়ার দায়িত্বে থাকা সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) সরবরাহ করতে পারছে দেড় লাখ টনেরও কম। এর মধ্যে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বীজের একটি অংশ সরবরাহ করলেও চাহিদার বড় অংশ মিটছে প্রান্তিক কৃষকদের প্রথাগত পদ্ধতিতে সংরক্ষিত বীজ থেকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব বীজের মান ঠিক না থাকায় ফলন কম হচ্ছে। বদলে যাচ্ছে জাত।

কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১০-১১ অর্থবছরে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৫ টন বীজ উৎপাদন করে বিএডিসি। ১১ বছর পর গত ২০২০-২১ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৫০২ টনে। ১১ বছরে প্রতিষ্ঠানটির বীজ উৎপাদন প্রবৃদ্ধি মাত্র ৩.৭৮ শতাংশ। এদিকে বাজারে মানসম্পন্ন বীজের চাহিদার এ বিশাল শূন্যতা পূরণে এ সময়ে গড়ে উঠেছে অসংখ্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। কিছু বীজ তারা দেশে উৎপাদন করছে, কিছু আমদানি হচ্ছে। তবে চাহিদার প্রায় ৩৮ শতাংশ বীজই আসছে কৃষকের ঘর থেকে। তবে এখানে বীজের মান বজায় রাখতে নেই সরকারি উদ্যোগ। অনেক ক্ষেত্রে এসব বীজে কাক্সিক্ষত ফসল হচ্ছে না। এতে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভালো ফসলের জন্য ভালো বীজ জরুরি। তবে এখনো বীজ উৎপাদনে সয়ংসম্পন্ন হতে পারছে না দেশ। এ খাতটিই সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে। মোট চাহিদার ১১ শতাংশের মতো বীজ সরবরাহ করছে বিএডিসি। সরকারিভাবে বীজ উৎপাদন বাড়লে কম দামে ভালো বীজ পেত কৃষক। কৃষক লাভবান হতো। মানসম্পন্ন বীজ কিনতে পারবে না ভেবে অনেক কৃষক নিজেই প্রথাগত পদ্ধতিতে বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিক্রি করছে। তাদের উৎপাদিত ফসল থেকে বীজ তৈরি করে বিক্রি করছে তারা। এসব বীজে কখনো ভালো ফসল হচ্ছে, কখনো একেবারে মাথায় হাত পড়ছে কৃষকের।
এ ব্যাপারে বিএডিসির সদস্য পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ৪৬ শতাংশ জনবল সংকট নিয়ে চলছে বিএডিসি। তার পরও সর্বোচ্চ সক্ষমতা ব্যবহার করে বীজ উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করছি। উৎপাদন বাড়ছেও।

জানা গেছে, দেশে সবচেয়ে বেশি চাহিদা ধান বীজের। এ জন্য ধানের বীজ উৎপাদনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয় বিএডিসি। তবে বোরো মৌসুমে ১৮ হাজার টন বীজের চাহিদা থাকলেও বিএডিসি জোগান দেয় ১৩ শ থেকে ১৪ শ টন। বাকিটা আসে বেসরকারি খাত থেকে। এ ছাড়া বোরো ধানের বীজের ২১৮টি নিবন্ধিত জাতের ২০৩টি আসছে বেসরকারি খাত থেকে। বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যেখানে বছরে ১ হাজার টন সবজি বীজ উৎপাদন করছে, সেখানে বিএডিসি উৎপাদন করছে মাত্র ১১৫ টনের মতো। উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড বীজের ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ আসছে বেসরকারি খাত থেকে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৩, ২০২১ ১২:৫৭ অপরাহ্ন
মাঠে ফিরছে ১শ’ প্রজাতির বিলুপ্ত ধান
কৃষি গবেষনা

বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলের বিলুপ্ত ১শ’ প্রজাতির স্থানীয় জাতের ধান মাঠে ফেরাতে সংরক্ষণ ও গবেষণা করছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)।

ব্রি ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর রাজবাড়ী ও  গোপালগঞ্জ জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সরাসরি কৃষকের মাঠে থেকে ও কৃষি সম্প্রসারণের সহযোগিতায় এসব ধান সংগ্রহ করে গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ে এনেছে। এই কার্যালয়ে জাতগুলোর বীজ বর্ধন ও বৈশিষ্ট্যায়নের কাজ চলছে। এখান থেকে এগুলো পিওর লাইন সিলেকশনের মাধ্যমে সম্ভাবনাময় বিশুদ্ধ জাত শনাক্তকরণ করা হচ্ছে। গবেষণার মাধ্যমে জাতগুলোকে উচ্চ ফলনশীল জাতে রূপান্তরিত করে ভবিষ্যতে অবমুক্ত করা হবে। এছাড়া কৃষকের মাঠে জনপ্রিয় বিলুপ্ত প্রজাতির স্থানীয় ধানের জাতের মূল্যায়নের ব্যবস্থা করা হবে। কৃষক এখান থেকে তাঁর পছন্দের স্থানীয় জাত বেছে নিয়ে চাষাবদ করে অধিক ধান উৎপাদন করবেন। এভাইে স্থানীয় বিলুপ্ত জাতের ধানের চাষাবাদ ফিরে আসবে।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্র জানায়, জনবহুল বাংলাদেশের আবহওয়া ও জলবায়ু ধান চাষের উপযোগী। কিন্তু এই দেশের জনসংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। বাড়িঘর, কল-কারখানা, হাট-বাজার ও সড়ক নির্মাণ এবং হাইব্রিড ও উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান চাষের ফলে স্থানীয় জাতের ধান বিলুপ্ত হতে চলেছে। স্থানীয় জাতের বান্দরজটা, লেতপাশা, উড়িচেঙড়া, ধলাকান্দি, কলারমোচা, গৌরকাজল, করচামুড়ি, খড়াদীঘা,কাপুড়াদীঘা খৈয়ামুরগী, মারচাল, রাজামোড়ল,বাঘরাজ,কালাহোরা এই অঞ্চল থেকে প্রায় বিলুপ্ত হতে চলেছে। তাই ব্রি, গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয় বিলুপ্ত ১শ’ প্রজাতির স্থানীয় জাতের ধান সংগ্রহ করেছে। এরমধ্যে থেকে হিজলদীঘা, খৈয়ামটর, শিশুমতি, দুধকলম, দেবমণি, বাঁশিরাজ, মানিকদীঘা, রায়েন্দা, জাবরা, লালদীঘা ধান গবেষণা মাঠে চলতি আমন মৌসুমে আবাদ করে জাত উন্নয়নে গবেষণা করছে।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া গ্রামের কৃষক মো. দবির উদ্দিন শেখ (৬৫) বলেন, বোরো ধান কাটার পর আমরা জমিতে দীঘাধান ছিটিয়ে দেই। কোন পরিচর্যা ছাড়াই বিঘাপ্রতি ৮/১০ মন ধান পাই। ব্রি, গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয় আমাদের কাছ থেকে দীঘা ধানের অন্তত ১৫টি জাত সংগ্রহ করে গবেষণা করছে। এই ধানের উচ্চ ফলনশীল জাত পেলে আমাদের ধানের উৎপাদন বহুগুণে বেড়ে যাবে। সেই সংগে এই ধান আবাদ করে আমরা লাভবান হতে পারবো।

ব্রি,গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ে প্রধান ও সিনিয়র সাইন্টিফিক ড. মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশে আগে সাড়ে ১২ হাজার প্রজাতির স্থানীয় ও দেশীয় ধান আবাদ হতো। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট  স্থানীয় ও দেশীয়  আট হাজার ধানের জাত সংগ্রহ করে জিনব্যাংক গড়ে তুলেছে। কৃষকের মাঠে বিদ্যমান একটি জাতকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করা বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের একটি বড় কাজ। এই লক্ষ্যে আমরা স্থানীয় ও দেশি ধানের জাত সংগ্রহ করে মূল্যায়ন ও বৈশিষ্ট্যায়নের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। এটি ধান গবেষণার জিনব্যাংক সমৃদ্ধকরণে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। এছাড়া স্থানীয় ও দেশি জাতের ধানের উন্নয়ন ঘটিয়ে নতুন করে বিলুপ্ত জাত  কৃষকের কাছে ফিরিয়ে দওিয়া হবে। এতে কৃষক স্থানীয় ও দেশি উচ্চ ফলনশীল ধানের আবাদ করে আমন সৌসুমে অধিক ধান ঘরে তুলবেন। এতে কৃষকের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটবে।

ব্রি,গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের সায়িন্টিফিক অফিসার ফারুক হোসেন খান বলেন, স্থানীয় জাতের ধানের মধ্যে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। এই পুষ্টিগুণের বৈশিষ্টগুলি উচ্চ ফলনশীল জাতের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে স্থানীয় জাতকে উচ্চ ফলনশীল জাতে পরিণত করা হবে। এতে বিলুপ্ত জাতের বৈশিষ্ট ফিরে আসবে। ভাতের মাধ্যমে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১২, ২০২১ ৬:৪০ অপরাহ্ন
সাধারণ ধানকে সুগন্ধি জাতে রূপান্তরের জিন প্রয়োগে সফল হয়েছে ‘ব্রি’ বিজ্ঞানীরা
কৃষি গবেষনা

বাংলাদেশে ক্রিসপার কাস-৯ পদ্ধতিতে ধানের জিন পরিবর্তন করে সাধারণ ধান থেকে সুগন্ধি চাল তৈরি ও রোগ প্রতিরোধী জাত উৎপাদনে জিন প্রয়োগে প্রথম সফল হয়েছেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)’র বিজ্ঞানীরা। এটি ফসলের জিন পরিবর্তন করার একটি আধুনিক প্রযুক্তি। এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফসলের কাঙ্খিত গুণাগুণ যোগ করে নতুন জাত উদ্ভাবন করা যায়।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কীটতত্ত্ববিদ ড. পান্না আলী জানান, পরীক্ষা করে দেখা গেছে ধানে ইঅউঐ২ জিন সক্রিয় থাকলে ২-এসিটাইল-১-পাইরোলিন (২অচ) উৎপাদন ব্যহত করে সুগন্ধি তৈরীতে বাধাগ্রস্ত করে। সব ধানেই সুগন্ধি বৈশিষ্ট্য রয়েছে কিন্তু ইঅউঐ২ জিন থাকার কারণে সুগন্ধি বৈশিষ্ট্য প্রকাশ হতে পারেনা।

ক্রিসপার ক্যাস-৯ পদ্ধতিতে ইঅউঐ২ জিনটি নিষ্ক্রিয় করে অধিক ফলনশীল যেকোনো ধানের যাতে সুগন্ধি বৈশিষ্ট তৈরী করা যায়। একই পদ্ধতিতে ধান গাছে সেরোটোনিন উৎপাদন ব্যাহত করে ধানের প্রধান অনিষ্টকারী পোকা বাদামি ঘাসফড়িং ও মাজরা পোকা প্রতিরোধী ধানের জাত উৎপন্ন করা যায়। এ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে ২০২০ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন জার্মানীর ইমান্যুয়েল শাপেন্টিয়ের ও যুক্তরাস্ট্রের জেনিফার ডোউডনা। এই সর্বশেষ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ২-৩ বছরের মধ্যে যে কোন ফসলের কাঙ্খিত গুণাগুণ (সুগন্ধি, রোগ ও পোকাপ্রতিরোধী) যোগ করে ট্রান্সজিনমুক্ত জাত উদ্ভাবন করা যায়।

কীটতত্ত্ববিদ ড. পান্না আলী বলেন, সভ্যতার শুরুতে বন থেকে সংগ্রহ করা বীজ কৃষকের মাঠে চাষাবাদের মাধ্যমে কৃষির সূচনা হয়। বিজ্ঞানীরা ফসলের জাত উদ্ভাবনের জন্য এতদিন নির্ভরশীল ছিলেন ইনট্রুডাকশন, ক্রসিং ও সিলেকশন, হাইব্রিডাইজেশন, মিউটেশন ইত্যাদি পদ্ধতির উপর। হাল আমলে ফসলের জাত উদ্ভাবনে জিএমও (জ্যানেটিকাল মডিফাইড ক্রপস) প্রযুক্তি আসলেও, জিএমও ফসল নিয়ে সারাবিশ্বে চলছে পক্ষ/ বিপক্ষ মতামত। কিন্তু ক্রিসপার কাস-৯ মূলত ফসলের জিন পরিবর্তন করার একটি আধুনিক বিতর্কমুক্ত একটি প্রযুক্তি।

সম্প্রতি কীটতত্ত্ববিদ ড. পান্না আলীর নেতৃত্বে ব্রি’র একদল গবেষক ২০২০সালের জুনে ক্রিসপার কাস-৯ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সুগন্ধি ও পোকা প্রতিরোধী ধানের ৩০ টি গাছ পেয়েছেন। তারা আমন মৌসুমের ব্রি ধান৮৭, এবং বোরো মৌসুমের ব্রি ধান৮৯ ও ব্রি ধান৯২ জাতে ক্রিসপার কাস-৯ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সুগন্ধি জিন ঢুকিয়েছেন। একই পদ্ধতিতে ওইসব গাছে সেরোটোনিন উৎপাদন ব্যহত করতে ওই জিন ঢুকিয়ে সফল হয়েছেন। সেরোটিন উৎপাদন ব্যহত হলে ধানের প্রধান অনিষ্টকারী পোকা বাদামি ঘাসফড়িং ও মাজরা পোকা প্রতিরোধী গুন তৈরি হয়।

সম্প্রতি গাছগুলো ফলন দিয়েছে। বর্তমানে ধানের শীষগুলো পাকতেও শুরু করেছে। ব্রি’র মহাপরিচালক মো. শাহজাহান কবির সহকর্মীদের নিয়ে ক্রিপার কাস পদ্ধতি ব্যবহার করে উদ্ভাবিত ওই ধান গাছ পরিদর্শন করেছেন।

ব্রির মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবির জানান, ধান চাষে চারটি বিষয়কে টার্গেট করে আমরা এ পদ্ধতি প্রয়োগ শুরু করেছি। বিষয়গুলো হলো ব্লাস্ট রোগের জীবানু ও বাদামী ঘাস ফড়িং আক্রমন সহায়ক জিন নক আউট করা, সাধারণ ধানে সুগন্ধি গুন ঢুকানো ও থার্মোসেনসিটিভিটি নিয়ন্ত্রণ করা।

তিনি আরো বলেন, বাজারে সুগন্ধি চালের দাম বেশি। গরিব অনেক মানুষ তা ক্রয় করতে পারে না। দেশে প্রচলিত সুগন্ধি জাতের ফলনও কম। কৃষকরা মাজরা ও কারেন্ট পোকার (বাদামি গাছ ফড়িং) এর কারণে প্রায় ১০-১৮ ভাগ ফলন হারান। এসব পোকা দমনের জন্য কৃষকরা প্রচুর পরিমাণ কীটনাশক ব্যবহার করেন, যা পরিবেশ ও মানব স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর। এ পদ্ধতি প্রয়োগ করে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে আমরা এক ধাপ এগিয়ে যাব।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৭, ২০২১ ১:৩৪ অপরাহ্ন
আবহাওয়া ও জলবায়ুর পরিবর্তনে প্রাণিরোগে সংক্রমিত হচ্ছে মানুষ
কৃষি গবেষনা

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কোথাও বরফ গলছে, আবার ভূ-পৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে আবহাওয়া ও জলবায়ুর তারতম্য বাড়ছে রোগব্যাধি।আমাদের শরীরে যেসব রোগব্যাধি দেখা দিচ্ছে তার অধিকাংশই আসছে প্রাণিদেহ থেকে। এমনটাই জানিয়েছেন মৎস্য, ডেইরি ও পোলট্রি সেক্টর সংশ্লিষ্ট প্রাণী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

প্রাণি সম্পদ অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক ডা. মোসাদ্দেক হোসাইন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশের চাহিদা পূরণে বাড়ছে (মৎস্য, ডেইরি ও পোলট্রি) বাণিজ্যিক খামার। তবে এসব খামারের বায়োসিকিউরিটি নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে নানা রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে খামার। এসব রোগ প্রতিরোধের জন্য যেসব ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে বা ব্যবহার করা হচ্ছে, তারও প্রভাব পড়ছে খামারে উৎপাদিত মাংস, দুধ এবং ডিমে। এসব মানবদেহে প্রবেশ করে নানা রকমের রোগ তৈরি করছে। সংক্রামিত গবাদিপশুর সান্নিধ্যে বা সহচর্যে যাওয়া মানুষের শরীরেও সরাসরি ঢুকছে পশু রোগ।

তিনি আরও বলেন, অনেক ক্ষেত্রে অনেক খাদ্য, পানীয়জলের সংস্পর্শে আসছে অনেক পশু- পাখি। তাদের লালা থেকেও ছড়িয়ে পড়ছে নানা রোগ। এছাড়াও রয়েছে ট্রান্স বাউন্ডারি নানা প্রাণি রোগ। বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে আসা নানা প্রাণি স্কানিং না করেই প্রবেশ করছে দেশের অভ্যন্তরে। এসব প্রাণিদের থেকেও আমরা সংক্রামিত হচ্ছি।

ঢাকা চিড়িয়াখানার সাবেক কিউরেটর ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, পৃথিবীতে মানুষের শরীরে যত রোগ হচ্ছে তার ৭৫ শতাংশ রোগ হচ্ছে পশুদের অর্জিন। সাধারণত প্রাণির সহচর্যে আসার কারণেই নানা রোগ ছড়িয়েছে। জীবন জীবীকা হোক বা পোষ মানানোসহ নানা করণে মানুষ প্রাণিকুলের সহচর্যে আসছে।

কেন্দ্রীয় পশু হাসপাতালের সাবেক প্রধান চিকিৎসক ডা. মো. শহীদউল্লাহ বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নতুন নতুন অনেক রোগ দেখা দিয়েছে। এসব রোগ এখন শুধু পশুতেই সীমাবদ্ধ থাকছে না। এসব পশুর মাংস, রক্ত, শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়ছে মানবদেহে। এ থেকে মানুষকে রক্ষার জন্য ওয়ার্ল্ড এনিমেল হেলফ অর্গানাইজেশনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কারিকুলাম তৈরি করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, বন্যপ্রাণির চিকিৎসার বিষয়টিও পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। অ্যানথ্রাক্স, রাণীক্ষেত, ক্ষুরা রোগ, যক্ষা, সোয়াইন ফ্লু, বার্ড ফ্লু, মার্স, সার্স, করোনাভাইরাস, জিকা ভাইরাস শক্তিশালী হয়ে মানুষের দেহে প্রবেশ করছে। প্রাণিরোগ মানুষের দেহে প্রবেশ করে তা মহামারি আকার ধারণ করছে। বর্তমানে করোনাভাইরাস সংক্রমণে বিশ্বে মহামারি আকার ধারণ করেছে। পরিবেশের তারতম্যের কারণে তা আবার নিজে নিজে বিবর্তিতও হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, কুকুরের কামড়ে জলাতঙ্ক রোগ হয় আমরা জানি। কিন্তু এ রোগে আক্রান্ত কুকুরের লালা যেখানে পড়বে সেখানে ২০-২৫ বছর পর্যন্ত সুপ্ত অবস্থায় থাকতে পারে। কেউ খালি পায়ে সে জায়গা দিয়ে গেলে (পায়ে খত বা কাটা থাকলে) সেও আক্রান্ত হতে পারে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের এক কর্মকর্তা বলেন, কিছু রোগ আছে যা পশু থেকে মানুষ এবং মানুষ থেকে প্রাণিতে ছড়ায়। এসব রোগের কারণে আমরা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি। আবার অনেক রোগ শক্তিশালী হচ্ছে। এসব রোগ নিরাময়ে দিতে হচ্ছে অতিরিক্ত মাত্রার ভ্যাকসিন।

তিনি বলেন, যাতে করে এসব রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায় এজন্য আমরা বনবিভাগ এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছি। যাতে করে ট্রান্স বাউন্ডারি রোগ দেশে ছড়াতে না পারে এজন্যও আমরা কাজ করছি। দেশের প্রতিটি ল্যান্ড ও সি পোর্ট এলাকায় একটি করে কোয়ারেন্টাইন (পশুর সঙ্গ রোধক করার) হাউস করার পাশাপাশি ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। আমদানি করা পশু অবজারভেশন এবং ল্যাবরেটরি টেস্ট করেই দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৩, ২০২১ ৪:২৯ অপরাহ্ন
চুয়াডাঙ্গায় তরুণ কৃষি উদ্যোক্তাদের নিয়ে উন্নয়ন কর্মশালা
কৃষি গবেষনা

সারা দেশের ২৬ জেলা থেকে আসা ৪৪ তরুণ কৃষি উদ্যোক্তার অংশগ্রহণে চুয়াডাঙ্গায় দুইদিনব্যাপি দক্ষতা উন্নয়ন কর্মশালা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে চুয়াডাঙ্গা পৌরএলাকার মুন্সিপাড়ায় মনমিলা গার্ডেনে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক ড. মেহেদি মাসুদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ড. হামিদুর রহমান ।

আয়োজক প্রতিষ্ঠান কৃষি বায়োস্কোপের পরিচালক কৃষিবিদ তালহা জুবাইর মাসরুর জানান, ডিজিটাল পদ্ধতির সহায়তায় কৃষি সম্প্রসারণ করার লক্ষে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে কৃষি বায়োস্কোপ। এরই ধারাবাহিকতায় সারাদেশের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তদের বিভিন্ন ব্যাচে প্রশিক্ষণে আয়োজন করা হচ্ছে। তরুণ এসব কৃষি উদ্যোক্তাদের সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে জাতীয় পর্যায়ের কৃষি বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানানো হয় চুয়াডাঙ্গায়। তাদের কাছ থেকে দিকনির্দেশনা নিয়ে অনেকেই সমৃদ্ধ হচ্ছেন।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংবাদিক ও গবেষক মিরাজ আহমেদ চৌধুরী এবং অনুসন্ধানী সাংবাদিক বদরুদ্দোজা বাবু। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কৃষি বায়োস্কোপের পরিচালক তালহা জুবাইর মাসরুর।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২৭, ২০২১ ৪:৫৪ অপরাহ্ন
বরিশালে ভাসমান কৃষির আধুনিক প্রযুক্তির উপর এসএএও প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
কৃষি গবেষনা

বরিশালে ভাসমান কৃষির আধুনিক প্রযুক্তির উপর এসএএও প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে (আরএআরএস) শনিবার এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষ, গবেষণা, সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয়করণ প্রকল্পের উদ্যোগে আয়োজিত প্রশিক্ষনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. মো. কামরুল হাসান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. মুহাম্মদ সামসুল আলম এবং বরিশাল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. তাওফিকুল আলম। দিনব্যাপী প্রশিক্ষনে সভাপতিত্ব করেন আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রফি উদ্দিন। গেস্ট অব অনার ছিলেন প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার।

আরএআরএস’র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম কিবরিয়া, পিএসও ড. মো. আলিমুর রহমান, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম, এসও মো. মাহবুবুর রহমান এবং এসও আমিনুর রহমানসহ অন্যান্যরা।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. মো. কামরুল হাসান বলেন, ভাসমান কৃষিকে আধুনিকায়ন করা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। কৃষকও লাভবান হবেন। তিনি আরও বলেন, ভাসমান কৃষির শস্য নিরাপদ। এ কারনে এর বাজার মূল্যও ভালো পাওয়া যায়।

প্রশিক্ষনে উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক সহকারি এবং বৈজ্ঞানিক সহকারিসহ ৬০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহন করেন।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop