৭:৪৭ পূর্বাহ্ন

বুধবার, ২৪ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মে ১৩, ২০২২ ২:৪২ অপরাহ্ন
রাজশাহীর বাজারে আজ থেকে মিলবে গুটি জাতের আম
এগ্রিবিজনেস

রাজশাহীতে আম পাড়ার সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে রাজশাহী জেলা প্রশাসন। আজ শুক্রবার (১৩ মে) থেকে বাজারে মিলবে রাজশাহীর আম। শুরুতে বাগান থেকে নামবে গুটি জাতের আম। তবে প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময়ের কারণে অন্যান্য জাতের আমের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরো সপ্তাহখানেক।

চলতি মৌসুমে আম নামানোর সময়সীমা নির্ধারণ করেছে রাজশাহীর জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ শরিফুল হকের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় জানানো হয়, ১৩ মে থেকে বাজারে গুটি আম নামবে। এছাড়া ২০ মে থেকে গোপালভোগ, ২৫ মে থেকে  লক্ষ্মণভোগ, লখনা এবং রাণীপছন্দ, ২৮ মে থেকে হিমসাগর, ক্ষিরসাপাত, ৬ জুন থেকে ল্যাংড়া, ১৫ জুন থেকে আম্রপালি ও ফজলি, ১০ জুলাই থেকে আশ্বিনা ও বারি আম-৪, ১৫ জুলাই থেকে গৌরমতি ও ২০ আগস্ট থেকে ইলামতি আম নামবে।

উল্লেখ্য, রাজশাহী মহানগর এবং ৯ উপজেলায় এ বছর ১৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে আমবাগান আছে। আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৭৬ মেট্রিক টন। হেক্টরপ্রতি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১১ দশমিক ৫৯ মেট্রিক টন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১১, ২০২২ ৩:৪১ অপরাহ্ন
মেহেরপুরে ৩২ কোটি টাকার লিচু উৎপাদনের সম্ভাবনা
এগ্রিবিজনেস

মেহেরপুর জেলায় চলতি মৌসুমে ৩২ কোটি টাকার লিচু উৎপাদনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। জেলার বিভিন্ন লিচু বাগান জুড়ে থকে থকে ঝুলছে সুস্বাদু রসালো লিচু। মেহেরপুরে লিচু চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা। লাভজনক হওয়ায় লিচু চাষে ঝুঁকেছেন তারা।

মেহেরপুর জেলা জুড়ে রয়েছে অসংখ্য লিচুবাগান। জেলায় এবার ৩০০হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে চলতি মৌসুমে ৪০০ মেট্রিকটন লিচু উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।

আম-কাঁঠালের পাশাপাশি জেলায় লিচুর চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। ভৌগলিক কারণে মেহেরপুরে আগাম জাতের লিচু চাষ হয়। দাম ভালো থাকায় জেলায় দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে লিচুর চাষ।

এবছর জেলায় দেশী ও আটি মোজাফ্ফর জাতের (গুটি লিচুও বলা হয়ে থাকে) লিচুর চাষ হয়েছে। সাধারণত বোম্বাই ও মোজাফফর লিচুর স্থানীয় জাতগুলোই এ নামে পরিচিত। তবে লিচুর মধ্যে আতা বোম্বাই সেরা। কারণ মাংসল, রসালো, সুমিষ্ট ও ছোট বিচির ও টকটকে লাল এ লিচু বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ লিচুর অন্যতম।

প্রথমে ব্যক্তি উদ্যোগে কেউ কেউ বাড়ির আঙ্গিনায় শখের বসে চাষ করে। এই লিচুর চাষ বর্তমানে সম্প্রসারিত হচ্ছে। উদ্যান উন্নয়ন বিভাগ থেকে টিএস-৪ ও চায়না ১৪ প্রজাতির লিচু এখন ব্যাপক। এগুলোও উন্নত জাত এবং বোম্বাই লিচু হিসেবে সর্বত্র পরিচিত। আর মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে বাজারে উঠবে মোজাফ্ফর জাতের লিচু। তার দিন পনের পরেই বোম্বাই লিচু পাক ধরবে ও বাজারে পাওয়া যাবে।

লিচু চাষি আমজাদ মিয়া জানান, নিজের ৫ বিঘা জমিতে লিচুর বাগান রয়েছে। লিচুগাছে ফুল আসার আগেই ৫ লাখ টাকায় লিচু ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন বাগান।

আরেক চাষি আবদুল আলিম জানান,  তিনবিঘা জমিতে লিচুর বাগান করেছেন। চলতিবছরসহ আগামী দুই বছরের জন্য আগাম ফল বিক্রি করে দিয়েছেন সাড়ে পাচ লাখ টাকায়।

মুজিবনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আলিমুজ্জামান খান বলেন, মেহেরপুরে ৮০ ভাগ বাগানে আটি লিচু চাষ হয়। এ লিচুর বৈশিষ্ট্যগুলো হচ্ছে- আটি মোজাফ্ফর জাতের লিচু আগাম পাকে। সংখ্যায় বেশি ধরে। পোকার আক্রমণ কম হয়। ফলের ৭০ ভাগই রসালো। জেলায় এ বছর ৪শ মেট্রিকটন লিচু উৎপাদন হবে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩২ কোটি টাকা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৯, ২০২২ ৩:০২ অপরাহ্ন
রাজশাহীর বাজারে উঠতে শুরু করেছে আগাম জাতের লিচু
এগ্রিবিজনেস

রাজশাহীতে দেশী জাতের লিচুর কেবলমাত্র রং ধরতে শুরু করেছে। জ্যৈষ্ঠ মাস আসতে এখনো ১৫ দিন বাকি, এর আগেই রাজশাহীর বাজারে দেখা মিলেছে অপরিপুষ্ঠ লিচুর। বিক্রিও হচ্ছে চড়া দামে।

বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) রাজশাহীর সাহেব বাজারে দেশি আগাম জাতের লিচু বিক্রি করতে দেখা গেছে। লিচু মিষ্টি ও রসালো হলেও বাজারে আসা এই লিচু টক বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। আর দামও চড়া। দেশি জাতের ছোট আকৃতির ১০০টি লিচু বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। এছাড়া শরীরে একটু কালো দাগ পড়া লিচু বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৮০ টাকা দরে।

ভরা মৌসুমে নগরীর সাহেববাজার, বিন্দুরমোড়, লক্ষীপুর, স্টেশন ও শালবাগান বাজার ছাড়াও শিরোইল বাস টার্মিনাল সংলগ্ন বিভিন্ন সড়কের দুই পাশে বাহারি এ ফলের পসরা সাজিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা। কিন্ত এদিন প্রথমবারের মতো কেবল সাহেববাজার জিরো পয়েন্টের কয়েকটি দোকানে কিছু লিচু দেখা গেছে।

লিচু ব্যবসায়ীরা জানালেন, বাড়তি লাভের আশায় আগেই বাজারে নিয়ে আসা হচ্ছে লিচু। বিক্রিও হচ্ছে চড়া দামে।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মোসা. উম্মে ছালমা জানান, দেশি লিচু পরিপুষ্ট হয়ে ১০ মে’র পর এবং ২০ থেকে ২৫ মে বোম্বায় জাতের লিচু বাজারজাত শুরু হবে। এর আগে বাজারে লিচু আসার কথা না। আর আসলেও সেটা পরিপক্ব না। আর পরিপক্ব লিচুর তেমন স্বাদ নাই।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৪, ২০২২ ৪:১৫ অপরাহ্ন
নিরাপদ সবজিতে সফল জয়পুরহাটের মনোয়ারা বেগম
এগ্রিবিজনেস

নিরাপদ সবজি চাষ করে নিজেকে সফল সবজি চাষির খাতায় নাম লিখেছেন মনোয়ারা বেগম। তাঁর সফলতা দেখে অনেকে এখন সবজি চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

সূত্রে জানান যায়, নিরাপদ শাক সবজি পেতে পারিবারিক পুষ্টি বাগানের বিকল্প নেই এমন চিন্তা থেকে জেলার পাঁচবিবি উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের পাঁচগাছী গ্রামের মনোয়ারা বেগম ৭ শতাংশ জমিতে গড়ে তুলেছেন পুষ্টি বাগান। পুষ্টি বাগানে রয়েছে পুঁই, কলমি, ডাটা, কাটুয়া ডাটা, কচু, জগন্নাথ ও লাল শাক। এ ছাড়াও অন্যান্য ফসলের মধ্যে রয়েছে মরিচ, বেগুণ, শসা, করলা ও ঝিঙা।

মনোয়ারা বেগম জানান, স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা “জাকস ফাউন্ডেশন’র” কারিগরি সহায়তায় এই পুষ্টি বাগান গড়ে তুলেছেন।

মনোয়ারা বেগম জানান, শাক সবজি চাষ করে সংসারের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ৫ হাজার ২ শ টাকার শাক সবজি বিক্রি করে বাড়তি আয় করেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা একটুকরা জমিও যেন পতিত না থাকে সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করছে স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ’জাকস ফাউন্ডেশন’।

জাকস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মো. নুরুল আমিন জানান, পল্লীকর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের দিক নির্দেশনায় বাড়ির আনাচে কানাচে পড়ে থাকা পতিত জমিতে নানা ধরনের শাক সবজি চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ কাজ করছে জাকস ফাউন্ডেশন।

মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন কারী কৃষি কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন শাহিন বলেন, সবজি চাষে সফলতা দেখে অনেকেই এখন বাড়ির পাশের পতিত জমিতে সবজি চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।

 

 

 

সূত্রঃ বাসস

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৩, ২০২২ ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন
হিমাগারে পচে গেল দেড় লাখ বস্তা আলু, ১০ কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা
এগ্রিবিজনেস

রাজশাহীর পবা উপজেলায় “আমান কোল্ড স্টোরেজে” রাখা আলুতে পচন ধরেছে। হিমাগারের শীতলীকরণ ও গ্যাস মেশিন খারাপ হওয়ার কারণে আলুগুলো পচে গেছে। এতে প্রায় ১০ কোটি টাকার আলু নষ্ট হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়।

জানা গেছে, হিমাগারের গ্যাস মেশিন খারাপ হওয়ার কারণে আলুর পচে গেছে। পবা উপজেলার মদনহাটি এলাকার ‘আমান কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেড’ নামে ওই হিমাগারে রাখা আলুর বিষয়ে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন কৃষকেরা। এ নিয়ে বুধবার সকাল থেকে শতাধিক কৃষক ও আলুচাষী স্টোরের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। তারা ক্ষতিপূরণের দাবিতে সেখানে অবস্থান করছেন। পরে হিমাগার কর্তৃপক্ষ ১০ দিনের মধ্যে তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেয়। এরপর কৃষকেরা শান্ত হন।

হিমাগার কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, সেখানে ১ লাখ ৬৬ হাজার বস্তা আলু রয়েছে। প্রতিটি বস্তায় আলুর পরিমাণ ৫০ কেজি। বর্তমান বাজারে ৫০ কেজি আলুর বস্তার দাম ৬০০ টাকা। সব আলু পচে গেলে ক্ষতির পরিমাণ ৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকা দাঁড়াবে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে সবগুলো নয় মেশিন ত্রুটির কারণে কিছু অংশের আলু পচে গেছে। সেগুলো এরই মধ্যে হিমাগার থেকে বের করে ফেলা হয়েছে।

কৃষকদের দাবি, সব আলুই পচে গেছে। বস্তায় একটা আলু পচে যাওয়া মানেই সব আলু নষ্ট হওয়া। এগুলো আর খাওয়ার উপযোগী থাকে না। এই হিমাগারে এমন পরিস্থিতিই তৈরি হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার ও বৃহস্পতিবার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গুদামঘর থেকে আলুর বস্তা বের করে স্টোরেজের ভেতরে কৃত্তিম উপায়ে বাতাস দেয়া হচ্ছিল। তখনই কৃষকেরা আলু পচে যাওয়ার কথা জানতে পারেন।

রানা সর্দার নামের এক সবজি ব্যবসায়ী বলেন, গতবছর আমি এই কোল্ড স্টোরেজে আলু রেখেছিলাম। বিক্রি করার পর ক্রেতারা অভিযোগ করেন যে আলুর মান ভাল না। নষ্ট হয়ে গেছে। এবার তিনি সব আলু অন্য হিমাগারে রেখেছেন। শুধু একটা ট্রলি ভুল করে আমানে ঢুকে পড়েছিল বলে সে ট্রলির ৫৭ বস্তা আলু এখানে রাখা হয়েছিল। এগুলো সব পঁচে গেছে।

হিমাগারের ব্যবস্থাপক ফারুক হোসেন বলেন, আলু নানা কারণেই পচতে পারে। আলুর মান খারাপ হলেও পচে যায়। কেন পচেছে তা জানি না। কী পরিমাণ পচেছে সে হিসাবও করা হয়নি। আমার মালিক ১০ দিনের সময় নিয়েছেন। এটা একদিনের ব্যবসা না। কীভাবে কী করা যায় তা দেখছি।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসার অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক ড. তৌফিকুর রহমান বলেন, যান্ত্রিকত্রুটির কারণে আলু পচে গেছে। কৃষকরা ক্ষতিপুরণের জন্য আবেদন করলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। ক্ষতিপূরণ আদায়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কৃষকদের সবধরণের সহযোগিতা দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২২, ২০২২ ২:৫০ অপরাহ্ন
কুষ্টিয়ায় পেঁয়াজের বাম্পার ফলন, তবুও লোকসানে কৃষক
এগ্রিবিজনেস

কুষ্টিয়ায় এবার পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিঘা প্রতি ফলন হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ মণ। এখন মাঠে মাঠে সেই পেঁয়াজ তোলার ধুম পড়েছে। কিন্তু ভাল ফলন নিয়েও হাসি নেই কৃষকের মুখে। কারন, বাজার হঠাৎ করেই নিম্নমুখী । এতে লোকসানে পড়েছে জেলার পোঁয়াজ চাষীরা। একদিকে বাম্পার ফলন ও অন্যদিকে বিদেশ থেকে আমদানির ফলে পেঁয়াজের দাম নেমে এসেছে ১৫ থেকে ১৭ টাকা কেজি দরে।

কৃষি বিভাগ জানায়, জেলায় চলতি মৌসুমে পেঁয়াজ চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। জেলায় এবার ১৩ হাজার ৭শ ৩৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। যা লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি।

কৃষকেরা জানান, গত বছরের চেয়ে কম দামে পেঁয়াজের বীজ ক্রয়, চারার মূল্য কম, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চাষিরা এবার ব্যাপকহারে পেঁয়াজ রোপন করছেন।

কৃষকেরা আরও জানান, যে পরিমাণ খরচ হচ্ছে তাতে করে পেঁয়াজের মূল্য বাজারে কম হওয়ায় তারা লাভের চেয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বেশি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করছে কৃষকরা। তাই তাদের দাবি ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করার। তা না হলে লোকসান আরো বেড়ে যাবে।

এদিকে বিদেশ থেকে আমদানির ফলে চাষিদের পাশাপাশি পেঁয়াজের পাইকারি ব্যবসায়ীরাও পড়েছেন চরম লোকসানে।

কুষ্টিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক বিষ্ণুপদ সাহা জানান, এবার প্রায় ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। পেঁয়াজের বাম্পার ফলনও হয়েছে। কিন্তু কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পেঁয়াজের দাম পাচ্ছেন না। এ বিষয়ে তিনি কৃষকদের বাড়িতে পেঁয়াজ সংরক্ষণের পরামর্শ দেন। সেক্ষেত্রে তারা একটি সময় ভালো দাম পেতে পারেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২২, ২০২২ ১২:৩১ অপরাহ্ন
প্লেনারি অ্যাকুয়া : খুবি শিক্ষার্থীদের এক সাফল্যগাঁথা উদ্যোগ
এগ্রিবিজনেস

শৈশব থেকে পড়ে এসেছি, আমরা মাছে-ভাতে বাঙালি। বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় অনেক কিছু বদলালেও বদলায়নি বাঙালির মাছ প্রীতি। এখনো মাছের বাজার সরগরম দেখা যায়। ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাই মাছ খেতে ভালোবাসেন। মাছের এই চাহিদা মেটাতে দেশের নানান প্রান্তে অনেকেই মাছের চাষাবাদ শুরু করেছেন। নদী-সমুদ্র থেকে এখন মাছ আহরণ অতীতের তুলনায় অনেক বেড়েছে।

২০২০ সালে করোনায় যখন লকডাউন শুরু হয়, সদ্য অনার্স শেষ করা যুবকের মাথায় চলে আসে সময়টাকে কাজে লাগাবার। ফিশারিজ গ্রাজুয়েট হবার দরুন বাঙালির মাছ প্রীতি বুঝতে একদমই কষ্ট হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে বিভিন্ন প্রকল্পে গবেষণা সহকারী হিসেবে কাজ করেন। সেখান থেকে মৎস্য খাতের গুরুত্ব ব্যাপকভাবে অনুধাবন করেন। তখনই সিদ্ধান্ত নেন, এই খাতে নিজস্ব উদ্যোগে কিছু করার। একে একে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীদের সাথে আইডিয়া শেয়ার করতেই তারা তা বাস্তবায়নে রাজি হয়ে যায়। যাত্রা শুরু করে এক চমকপ্রদ উদ্যোগ। বলছিলাম অনুপ কুমার (ফাউন্ডার), প্রেমা হাজরা (কো-ফাউন্ডার) ও তাদের উদ্যোগ প্লেনারি অ্যাকুয়া শুরুর কাহিনী। অনুপ কুমার ও প্রেমা হাজরা উভয়েই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ এন্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের সাবেক শিক্ষার্থী। তারা মূলত প্রোসেসড ফিশ উন্নত মানের প্যাকেজিং এর মাধ্যমে বাজারজাত করছেন। পাশাপাশি নানান জাতের মাছ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ক্রেতার হাতে পৌঁছে দিচ্ছেন। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তুলনামূলক নতুন এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে তাকে মোকাবেলা করতে হয়েছে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ, করতে হয়েছে কঠোর পরিশ্রম।

লকডাউনে যখন চারিদিকে স্থবিরতা, তখন ফুড ডেলিভারির মতো সার্ভিসগুলো থেমে ছিলো না। করোনার সংক্রমণ এড়াতে সবাই তখন অনলাইনে কেনাকাটায় জোর দেন। অনুপ কুমার এই সুযোগটাই কাজে লাগান। মানসম্মত ও সুস্বাদু মাছ ক্রেতার দোরগোড়ায় পৌঁছানোর মাধ্যমে আত্নপ্রকাশ করতে থাকে প্লেনারি অ্যাকুয়া। বর্তমানে প্লেনারি অ্যাকুয়া অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জনে সমর্থ হয়েছে। গত এক বছরে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার মাছ বিক্রি করতে সফল হয়েছে তারা। লাভের অংকটা বেশ স্বস্তিদায়ক হলেও পেছনের গল্পটাও বেশ কঠিন। উদ্যোগের শুরুতে কর্মীদের বেতন, অফিস থেকে শুরু করে বিভিন্ন খাতে খরচ সামাল দিতে চোখে সর্ষের ভূত দেখার উপক্রমও হয়েছে! তাদের এই সম্ভাবনাময় উদ্যোগকে আরও সুষ্ঠু ভাবে বাস্তবায়ন করার সংকল্পে বর্তমানে ওয়ার্ল্ড ফিশের সাথে একটা প্রকল্পে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে প্লেনারি একুয়া। ওয়ার্ল্ড ফিশ বিভিন্ন ভাবে এই সম্ভাবনাময় উদ্যোগে বিভিন্ন সহায়তা দিয়ে আসছে।

প্লেনারি অ্যাকুয়া নিয়ে অনুপের স্বপ্নটা অনেক বড়। রাখতে চান মাছ রপ্তানিতে অবদান। ফ্রোজেন ফিশ, ফিশ নাগেট, কাটলেট এর মতো নানান মুখরোচক খাবার প্রস্তুতির মতো দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তিনি আশাবাদী। তার কথায় দেশের মৎস্য শিল্পে দক্ষ জনবলের অভাবের কথা ফুটে আসে। প্রোডাক্ট কোয়ালিটি ডেভেলপমেন্ট নিয়ে ফিশারিজ গ্রাজুয়েটদের কাজের বেশ সুযোগ আছে। তবে যথাযথ সুযোগ না থাকার কারণে ফিশারিজ গ্রাজুয়েটরা অন্য খাতে ঝুঁকে পড়ছেন, হারিয়ে যাচ্ছে ফিশারিজ খাতে অবারিত সম্ভাবনা। সরকার ই-কমার্স থেকে শুরু করে দেশের মৎস্য শিল্পে আরো সুবিধাজনক পরিবেশ সৃষ্টি করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উদ্যোক্তা অনুপ কুমার বলেন, নিজেকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলার বিকল্প নেই। সরকারি থেকে শুরু করে বেসরকারি খাতে টিকে থাকতে দক্ষতার বিকল্প নেই। শুধু পাঠ্যপুস্তকের ওপর জোর দিয়ে বসে থাকলে চাকরি থেকে শুরু করে ব্যবসা খাতে টিকে থাকা কঠিন। তিনি বিশ্বাস করেন, দেশের যুবসমাজই পারে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে। সামনের দিনগুলোতে তাই যুবসমাজই হবে দেশের গেম চেঞ্জার।

নূর-ই-কুতুবুল আলম
সাবেক শিক্ষার্থী
এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১৮, ২০২২ ১:৪০ অপরাহ্ন
ভারত থেকে গম কেনার সিদ্ধান্ত মিশরের
এগ্রিবিজনেস

রাশিয়া-ইউক্রেনের অন্যতম বৃহত্তম গম ক্রেতা মিশর। কিন্তু দুই প্রতিবেশীর মধ্যে যুদ্ধের কারণে দেশটি এবার ভারত থেকে গম কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত শুক্রবার ভারতীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী পীযুষ গয়াল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিশ্বের মোট গম রপ্তানির ২৯ শতাংশই সরবরাহ করে রাশিয়া-ইউক্রেন। গম ছাড়াও অন্য ফসল উৎপাদনের জন্য সুপরিচিত এই অঞ্চলটি। কিন্তু প্রায় দুই মাস ধরে যুদ্ধে জড়িয়েছে প্রতিবেশী দেশ দুটি। স্বাভাবিকভাবেই খাদ্যশস্য উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থায় সংকট তৈরি হয়েছে। একারণে আমদানিকারক দেশগুলো এখন বিকল্প উৎসের সন্ধানে নেমেছে। এরইমধ্যে ভারত থেকে গম কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মিশর।

পীযুষ গয়াল এক টুইটে বলেন, ভারতের কৃষকরা এখন বিশ্বকে খাওয়াচ্ছেন। ভারতকে গম সরবরাহকারী হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে মিশর। বিশ্ব স্থিতিশীল খাদ্য সরবরাহে নির্ভরযোগ্য বিকল্প উৎসের সন্ধানে নামলে এগিয়ে যায় মোদি সরকার। কৃষক আমাদের শস্যভা-ার উপচে পড়া নিশ্চিত করেছেন এবং আমরা সারা বিশ্বকে তা পরিবেশন করতে প্রস্তুত।

২০২০ সালে রাশিয়া থেকে ১৮০ কোটি ডলারের ও ইউক্রেন থেকে ৬১ কোটি ৮০ লাখ ডলারের গম আমদানি করেছিল মিশর। সম্প্রতি ভারত থেকে ১০ লাখ টন গম আমদানি করতে চায় দেশটি। এর মধ্যে চলতি এপ্রিলেই নেবে ২ লাখ ৪০ হাজার টন।

ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গম উৎপাদক হলেও রপ্তানিতে তাদের অংশ ১ শতাংশেরও কম। দেশটির উৎপাদিত গমের সিংহভাগই ব্যবহৃত হয় অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে। বাকি অংশ বাংলাদেশ, ফিলিপাইন, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলোয় রপ্তানি হয়।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১৬, ২০২২ ১:৩৩ অপরাহ্ন
রাঙামাটিতে তরমুজের বাম্পার ফলন
এগ্রিবিজনেস

পাহাড়ি জেলা রাঙামাটিতে এবার তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং কাপ্তাই হ্রদের পানি যথা সময়ে শুকিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা জলেভাসা জমিতে তরমুজের চাষ করতে পেরেছেন।

দুর্গম উপজেলা বাঘাইছড়ি, লংগদু, নানিয়ারচর, বরকল ও জুরাছড়ির তরমুজ এখন যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। পাহাড়ে তরমুজ চাষে কৃষকদের সব ধরণের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিচ্ছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।

রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে পুরো জেলায় ২৪০ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করা হয়েছে। হেক্টর প্রতি উৎপাদন হয়েছে প্রায় চল্লিশ টন। হেক্টর প্রতি প্রায় নয় হাজার ছয়শ মেট্রিক টন তরমুজ উৎপাদন হয়েছে।

তরমুজের বাম্পার ফলন হলেও দাম বেশ চড়া হওয়ায় বছরের মৌসুমী ফলটি কিনতে মধ্যবিত্তদের কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে দাম বাড়তি থাকলেও মৌসুমী ফল তাই নিজেদের সাধ্যর মধ্যে থেকেই আকার বুঝে প্রিয় ফলটি কিনে বাড়িতে নিচ্ছেন ক্রেতারা।

বাঘাইছড়ি উপজেলার চাষি হৃদয় চাকমা বলেন, আমি গত বছর তরমুজ চাষ করে বেশি লাভ করতে পারিনি। এ বছর আবারো ঝুঁকি নিয়ে প্রায় তিন একর জমিতে তরমুজের চাষ করেছি। ফলন ভালো পেয়েছি, লাভও বেশ ভালো হয়েছে।

রাঙ্গামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষ্ণ প্রসাদ মল্লিক বলেন, কৃষকদের উন্নত জাতের বীজ এবং সার দিয়ে সহায়তা করেছেন। পরামর্শ দিয়েছেন। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে ছিলো বলে তরমুজের আবাদ ভালো হয়েছে। আর তাই কৃষক থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা ভালো দামে বিক্রি করতে পেরে মহাখুশি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১৫, ২০২২ ১২:৪৫ অপরাহ্ন
বৃষ্টিতে চা বাগানে স্বস্তি
এগ্রিবিজনেস

বৃষ্টিকে চা উৎপাদনের আশীর্বাদ হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। অনেকদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় মৌলভীবাজার চা বাগানগুলোতে বৃষ্টির জন্য হাহাকার চলছিল, কিন্তু টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে চা বাগানগুলোতে দেখা গেছে সজীবতা, বৃদ্ধি পেয়েছে চায়ের উৎপাদন। এখন চা পাতা উত্তোলনে ব্যস্ততা দেখা গেছে শ্রমিকদের মাঝে

বাগান মালিকরা জানালেন, কয়দিন আগেও তাপদাহের কারণে প্রচণ্ড দুশ্চিন্তায় ছিলেন চা বাগান কর্তৃপক্ষ। এখন টানা কয়েকদিন বৃষ্টি হওয়ায় চায়ের মান ভালো হওয়ার পাশাপাশি আয়ও বাড়বে।

মৌলভীবাজারের ৯২টি চা বাগানে এখন উৎসবের আমেজ। কারণ এবার চায়ের কুঁড়ি ফুটেছে বেশ আগেই। মৌসুমের শুরুতে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের কারণে কুড়িগুলো হয়েছে বেশ সতেজও। তাইতো আনন্দের শেষ নেই চা বাগান সংশ্লিষ্টদের।

মার্চের শেষ থেকে এপ্রিলের প্রথম দিকে সাধারণত চা পাতা উত্তোলন শুরু করে শ্রমিকরা। এবছরও নিয়ম মেনেই চা পাতা তুলতে শুরু করেছেন শ্রমিকরা। গত বছরের তুলনায় এবার বেশি পরিমাণ পাতা উত্তোলন করতে পারবেন বলে আশাবাদী তারা।

কমলগঞ্জের গোবিন্দপুর চা বাগানের ব্যবস্থাপক প্রশান্ত কুমার সরকার জানান, গত কয়েক দিনের মতো যদি বৃষ্টি অব্যাহত থাকে তাহলে চা পাতার মান ভালো থাকবে এবং উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে।

উল্লেখ্য, প্রতিবছর ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত এই চার মাস চা পাতা উত্তোলন বন্ধ থাকে।
শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop