৩:৩৭ পূর্বাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুন ১৬, ২০২২ ১:১৩ অপরাহ্ন
গরুর খাবারের দাম বাড়ায় খামার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন খামারিরা (ভিডিও)
এগ্রিবিজনেস

ভারত থেকে গরু রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গেলো কয়েক বছরে বাংলাদেশ গবাদি পশু উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জন করেছে। ফলে বাংলাদেশে অনেকেই গরুর খামারে আগ্রহী হয় এবং লাভের মুখও দেখেন।কিন্তু, ক্রমাগত গোখাদ্যের দাম বাড়তে থাকায়, অনেকেই এখন খামার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন।

খরচ চালাতে না পেরে কেউ কেউ লোকসান দিয়ে খামার বিক্রি করে দিচ্ছেন। অনেক খামারি টিকে থাকতে দুধ বা দুগ্ধ পণ্যের দাম বাড়াচ্ছেন, এ কারণে আবার ক্রেতারা তাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।

এ রকম উভয় সংকটে দিন কাটছে অনেক খামারির।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

গোখাদ্যের দাম বাড়ায় কোরবানির ঈদে এবং দুগ্ধজাত খাবারে কী প্রভাব পড়তে পারে, এবং দীর্ঘমেয়াদে দেশের আমিষের চাহিদার উপর কী প্রভাব পড়বে তা জানতে দেখুন এই ভিডিওটি

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৫, ২০২২ ৮:২৯ অপরাহ্ন
প্রাণিসম্পদ খাত উন্নয়নে কাজ করছে এসিআই এনিমেল জেনেটিক্স – ড. এফ এইচ আনসারী
এগ্রিবিজনেস

ডিম আর মাংস উৎপাদনে আজ বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। দুধ উৎপাদনে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি, আরও এগোতে হবে। এর জন্য বাংলাদেশে রয়েছে অপার সম্ভাবনা। আর এর জন্য দরকার প্রয়োজনীয় কিছু উদ্যোগ যেমন, দুধ ও মাংস উৎপাদনশীলতার জন্য দরকার গবাদিপশুর জাতের দ্রুত উন্নয়ন বলে মন্তব্য করেন এসিআই এনিমেল এর প্রেসিডেন্ট ড. এফ এইচ আনসারী

আজ বুধবার (১৫ জুন) গাজীপুরের শ্রীপুরে এসিআই এনিমেল জেনেটিক্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

এসময় এসিআই এনিমেল এর প্রেসিডেন্ট ড. এফ এইচ আনসারী আরও বলেন, গবাদিপশুর জাতের দ্রুত উন্নয়নের জন্য উন্নতমানের পশুখাদ্যের পাশাপাশি দরকার উপযুক্ত ব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসা। আর এসিআই এনিমেল জেনেটিক্স এই সেক্টরগুলোতে আগামীতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এর মান আরও বৃদ্ধির কাজ করবে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, আজকে খুব আনন্দের সংবাদ হলো তরুণ প্রজন্ম প্রাণিসম্পদ সেক্টরে কাজ করার জন্য এগিয়ে আসছে। আর এক্ষেত্রে দেখা যায় অনেক সময় তারা উন্নত মানের বকনা বা ষাঁড় যোগাড় করতে পারে না। তাদের জন্য আমরা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে উন্নতমানের কিন্তু অনাদরে পড়ে থাকা ষাঁড় এনে বিতরণ করবো।

আরও পড়ুন: সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তারা প্রাণিসম্পদ খাতকে সমৃদ্ধ করছে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

ড. এফ এইচ আনসারী বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ এসিআই প্রাণিসম্পদ এর সুরক্ষা ও উন্নয়নের জন্য নিবেদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গবাদিপশুর খাদ্য ও পুষ্টি, চিকিৎসা ও প্রতিশেধক, খামার ব্যবস্থাপনা সামগ্রী, আধুনীক প্রযুক্তি সম্বলিত যন্ত্রপাতি সরবরাহ করাসহ নানাবিধ কাজ করে আসছে যা আরও বৃদ্ধি করা হবে। যাতে করে প্রাণিসম্পদ খাতে ‍আরও দ্রুত উন্নয় সম্ভব হয়।

এসিআই এনিমেল জেনেটিক্স এর এই ‍উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, গাজীপুর ৩ আসনের সংসদ ইকবাল হোসেন সবুজ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা, শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম, গাজীপুরের কালীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা ইয়াসমিন, শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির হিমু ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, এসিআই লিমিটেডের কর্মকর্তাগণ, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং প্রাণিসম্পদ খাতের উদ্যোক্তা ও খামারিগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২৫, ২০২২ ৩:৫২ অপরাহ্ন
হিলিতে কমেছে পেঁয়াজের দাম
এগ্রিবিজনেস

দিনাজপুরের হিলিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা ও পাইকারি বাজারে কেজিপ্রতি ৬ থেকে ১০ টাকা করে কমেছে পেঁয়াজের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে ভারতীয় পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৬-৮ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২২ টাকায় এবং দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২৬ টাকা কেজি দরে।

খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে দেশী পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধির কারণে কমেছে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম। পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমাতে স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে।

ক্রেতা আমিরুল ইসলাম জানান, পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। তবে রসুনের দাম হঠাৎ করে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। তেল, চিনি, ময়দা, চাল, ডালসহ নানা পণ্যের দাম বেশি। সেই তুলনায় আমাদের আয় বৃদ্ধি হচ্ছে না।

হিলি বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী শাহাবুল ইসলাম জানান, বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বেশি থাকায় ভারতীয় ও দেশি পেঁয়াজের দাম কমেছে। দাম আরও কমতে পারে কিন্তু রসুনের বাজার খুব চড়া, কেজিতে ৩০ টাকা বেঁড়ে ৭০ টাকা হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২৫, ২০২২ ১:১৮ অপরাহ্ন
জুলাইয়ে বাজারে আসছে রংপুরের হাড়িভাঙ্গা আম
এগ্রিবিজনেস

রংপুরের বিখ্যাত হাঁড়িভাঙা আম বাগানগুলোতে ডালে ডালে শোভা পাচ্ছে হাঁড়িভাঙা আম। পোক্ত হতে সময় লাগবে আরও মাস খানেকের বেশি। তাই জুলাই মাসে বাজারে আসছে হাঁড়িভাঙা। দু’বছর করোনার কারণে লোকসানের মুখে পড়েন বাগান মালিকরা। এরপর প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এবার ফলনও কিছুটা কম হয়েছে। জুনের মাঝামাঝি বাজারে এলেও ভালো লাভের আশায় জুলাইয়ে বাজারে আনতে এবার হিমাগারে সংরক্ষণের পরিকল্পনা করছেন বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা।

গাছে থাকা আম নীরোগ রাখতে শেষ মুহূর্তের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন বাগানিরা। সুস্বাদু ও আঁশবিহীন হাঁড়িভাঙা আম কিনতে দেশের বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীদের আনাগোনায় বাগানগুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। সরকার নির্ধারিত সময়ের আগে হাঁড়িভাঙা আম বাজারজাত বন্ধে প্রশাসনকে তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সচেতনরা।

কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, চলতি বছর ১ হাজার ৮৮৭ হেক্টর জমির বাগানে ৩০ হাজার মেট্রিক টন হাঁড়িভাঙা আম উৎপাদনের আশা করছে।

রংপুরের মিঠাপুকুর ও বদরগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি আমবাগান ঘুরে দেখা যায়, গাছে গাছে ঝুলছে প্রায় অপরিপক্ক আম। তবে এবার আমের ফলন তুলনামূলক কম। এ বছর কয়েক দফায় ঝড়ের কবলে পড়েছে আমবাগানগুলো। এতে গুটি থেকে যেমন অনেক আম পড়েছে, আবার শিলাবৃষ্টিতেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানগুলো। টিকে থাকা আম বাজারজাতে তাই বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।

মালিক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, হাড়িভাঙা আম অনেক দিন সংরক্ষণ করা যায়। এতে করে শেষের দিকে বাজারে আনলে দাম ওঠে ভালো।

হাড়িভাঙ্গা আম এবার রফতানির উদ্যোগ নিয়েছে সরকারের কৃষি বিপণন অধিদফতর। তৎপর কৃষি বিভাগও।

কৃষি বিপণন অধিদফতরের উপপরিচালক আনোয়ারুল হক বলেন, হাড়িভাঙা আম রফতানির লক্ষ্যে আমরা খামার বাড়িতে রফতানিকারদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। এ ছাড়া ঢাকার আড়তদার ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ আছে আমাদের। সম্প্রতি আমরা একটি মতবিনিময় সভা করেছি। সেখানে কৃষকরা তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন। আমরা তাৎক্ষণিক সমাধান দেয়ার চেষ্টা করেছি।

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ওবায়দুর রহমান মণ্ডল বলেন, গত বছরের তুলনায় ফলন কম হলেও গাছে সন্তোষজনক আম রয়েছে। এমন অবস্থায় আমরা আশা করছি, চলতি মৌসুমে হাঁড়িভাঙা আম লাভের মুখ দেখবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২৩, ২০২২ ১:৫৮ অপরাহ্ন
বিশ্বব্যাপী খাদ্য বিপর্যয় আসছে
এগ্রিবিজনেস

কোভিড-১৯, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যার পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ খাদ্য সংকটকে আরও ঘনীভূত করেছে। বিশ্বব্যাপী খাদ্য ব্যবস্থায় ব্যাঘাত ঘটেছে। দেখা দিচ্ছে খাদ্য বিপর্যয়।

ইউক্রেনের শস্য ও তেলবীজের রপ্তানির বেশিরভাগই বন্ধ হয়ে গেছে এবং রাশিয়ার রপ্তানিও হুমকির মুখে পড়েছে। বিশ্ববাজারে সরবরাহকৃত মোট ক্যালোরির প্রায় ১২ শতাংশ আসে এই দুই দেশ থেকে। চলতি বছরের শুরুর দিকে বিশ্ববাজারে গমের দাম ৫৩ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া উদ্বেগজনক তাপপ্রবাহের কারণে ভারত গত ১৬ মে গমের রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় আরও ৬ শতাংশ দাম বৃদ্ধি পেয়েছে এই খাদ্যশস্যের। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাপী বেড়ে গেছে জীবনযাত্রার ব্যয়। দেশে দেশে দেখা দিয়েছে রেকর্ড মূল্যস্ফীতি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিশ্বে খাদ্যের বড় একটি অংশ রপ্তানি করে ইউক্রেন ও রাশিয়া। গমের পাশাপাশি সূর্যমুখী তেলের অর্ধেকেরও বেশি উৎপাদন করে দেশ দুটি। খাদ্যশস্যের জন্য বড় আকারে রাশিয়া ও ইউক্রেনের ওপর নির্ভরশীল ইউরোপ-এশিয়া-আফ্রিকার অনেক দেশ।

বিশ্বজুড়ে লেনদেনকৃত মোট গমের ২৮ শতাংশ, বার্লির ২৯ শতাংশ, ভুট্টার ১৫ শতাংশ এবং সূর্যমুখী তেলের ৭৫ শতাংশ সরবরাহ করে রাশিয়া ও ইউক্রেন। লেবানন ও তিউনিসিয়ার আমদানিকৃত খাদ্যশস্যের প্রায় অর্ধেকই রাশিয়া ও ইউক্রেনের; লিবিয়া এবং মিসরের ক্ষেত্রে তা প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ।

জীবনযাত্রার ব্যয়-সংকটের ব্যাপকভাবে স্বীকৃত ধারণা সামনে কী হতে পারে সে বিষয়ে সঠিক পূর্বানুমাণ করতে পারছে না। গত ১৮ মে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, আগামী মাসগুলোতে বিশ্বব্যাপী খাদ্যে প্রচণ্ড ঘাটতি দেখা দেওয়ার হুমকি তৈরি হয়েছে, যা বছরের পর বছর ধরে স্থায়ী হতে পারে।

প্রধান প্রধান বিভিন্ন খাবারের উচ্চ মূল্যের কারণে পর্যাপ্ত খাবারের নিশ্চয়তা নেই এমন মানুষের সংখ্যা ইতিমধ্যে বিশ্বে ৪৪ কোটি থেকে বেড়ে ১৬০ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। আরও প্রায় ২৫ কোটি মানুষ দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন। যদি যুদ্ধ চলতে থাকে এবং বিশ্ববাজারে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সরবরাহ সীমিত হয়, তাহলে আরও কয়েক কোটি মানুষ দারিদ্র্যের কবলে পড়তে পারেন। এর ফলে রাজনৈতিক অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়বে, শিশুদের জীবন থমকে যাবে এবং মানুষকে অনাহারে থাকতে হবে।

যদি যুদ্ধ চলমান থাকে আর রাশিয়া এবং ইউক্রেন থেকে পণ্য সরবরাহে বিধিনিষেধ থাকে তাহলে আরও কয়েক কোটি মানুষ দারিদ্র্যতার মধ্যে পড়তে পারে। এছাড়াও বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়বে। শিশুর বিকাশ ও বৃদ্ধি থমকে যাবে, অনাহারে দিন কাটাবে মানুষজন।

 

 

 

সূত্র : দ্য ইকোনমিস্ট

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২২, ২০২২ ৩:৪৩ অপরাহ্ন
পাবনায় ৫০০ কোটি টাকার লিচু বাণিজ্যের সম্ভাবনা
এগ্রিবিজনেস

চলতি মৌসুমে পাবনা জেলায় লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। গত কয়েক বছর এ জেলায় লিচু চাষিরা আশানুরূপ লাভ পাননি। এ বছর লিচুর বাম্পার ফলনে প্রায় ৫শ’ কোটি টাকার লিচু বাণিজ্যের সম্ভাবনা দেখছেন কৃষি বিভাগসহ সংশ্লিষ্টরা।

লিচুর রাজধানী খ্যাত পাবনার ঈশ্বরদী, আটঘরিয়া, চাটমোহর ও সদর উপজেলায় বিভিন্ন বাগানে শোভা পাচ্ছে রঙিন রসালো ফল লিচু। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে এসব লিচু ঢাকা, চট্টগ্রাম, ফেনী ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়।

জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, জেলায় এবছর ৪ হাজার ৭৩১ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়েছে। বাগান থেকেই প্রতি হাজার লিচু বিক্রি হচ্ছে ১২শ’ থেকে ১৫‘শ টাকা।

লিচু চাষীরা জানান, লিচু সংরক্ষণাগার না থাকায় স্বল্প সময়ের এই রসালো ফল সংরক্ষণের অভাবে কৃষকরা ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে। এখানের কৃষকরা একটি লিচু সংরক্ষণাগার ও গবেষণা কেন্দ্রের দাবী জানিয়ে আসলেও কোন সুফল পাননি।

পাবনার সদর হেমায়েতপুর ইউনিয়নের হঠাৎপাড়া গ্রামের লিচু চাষি আলতাফ মাহমুদ জানান, এবার লিচুর ফলন ভালো হয়েছে, যদি কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় তাহলে এবার অনেক লাভবান হবো।

পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাইফুল আলম জানান, লিচুর ফলন উপযোগী আবহাওয়ার পাশাপাশি গ্রীষ্মের শুরুতে বড় আকারে ঝড়-বৃষ্টি না হওয়ায় এ বছর লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি বছরে জেলায় প্রায় ৫শ’ কোটি টাকার লিচু বিক্রি হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২০, ২০২২ ১২:০৫ অপরাহ্ন
ইউরোপের বাজারে সাতক্ষীরার হিমসাগর রপ্তানি শুরু
এগ্রিবিজনেস

দেশের গন্ডি পেরিয়ে সাতক্ষীরা থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে ১০০ টন বিষমুক্ত আম। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) দুপুরে কলারোয়া উপজেলার ইলিশপুর গ্রামের একটি বাগান থেকে এ আম রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়।

কলারোয়া উপজেলার কেরেলকাতা ইউনিয়নের ইলিশপুর গ্রামের কৃষক কবিরুল ইসলাম ডাবলুর বাগান থেকে ২ টন আম জিআই ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির মাধ্যমে ইউরোপে রপ্তানি শুরু হয়। বেলা ১১টার দিকে এই আম রপ্তানির কার্যক্রম উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ হুমায়ন কবির। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ীর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. নুরুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামসহ উপজেলা প্রশাসনের অনান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

এ বছর ফলন কম হলেও বাজার দরে খুশি আমচাষিরা। আবহাওয়ার আর মাটির গুনাগুণের কারণে দেশের অন্য জেলার তুলনায় সাতক্ষীরার আম আগেভাগেই পাকে। সে কারণে জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আনুষ্ঠানিকতায় ৫ মে গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, খিরসরাই, বৈশাখীসহ বিভিন্ন প্রজাতির পরিপক্ত নিরাপদ আম পাড়া শুরু হয়। আর ১৬ মে থেকে পাড়া শুরু হয়েছে হিমসাগর আম।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির বলেন, দেশের বাইরেও সাতক্ষীরা জেলার আমের সুনাম রয়েছে। বিশেষ করে হিমসাগর আমের। ইতিপূর্বে আমরা গাছ থেকে আম ভাঙার জন্য সরকারিভাবে দিনক্ষণ নির্ধারণ করে দিয়েছিলাম। জেলাব্যাপী ১৬ মে থেকে হিমসাগর আম ভাঙা শুরু হয়েছে। এ বছর মধ্যপ্রাচ্যের ইরাক ও আরব আমিরাত থেকে আম নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। পরীক্ষামূলকভাবে গোবিন্দভোগ আম গেছে হংকং। দিন দিন সাতক্ষীরার আমের রপ্তানি বাড়ছে।

তিনি আরও বলেন, সাতক্ষীরার আমের এই সুনাম ধরে রাখতে হবে। কৃষকদের বালাইনাশক প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত আম বাজারজাত করতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দেশে যদি সাতক্ষীরার আম রপ্তানি বাড়ানো যায় তবে আরও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ীর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ নুরুল ইসলাম জানান, এ বছর জেলায় ৪ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হয়েছে। এ বছর প্রথমবারের মতো সাতক্ষীরা থেকে হিমসাগর আম ইউরোপে রপ্তানি শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে গোবিন্দভোগ, ন্যাংড়া ও আম্রপালি মিলে মোট ১শ’ মেট্রিক টন আম ইউরোপের বিভিন্ন বাজারে রপ্তানি হবে। ১৯ মে প্রথম দফায় জি আই ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লিমিটেড ২ টন হিমসাগর আম ইউরোপের বিভিন্ন বাজারে রপ্তানির জন্য নিয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৯, ২০২২ ২:৫২ অপরাহ্ন
ভরা মৌসুমেও অস্থির চালের বাজার
এগ্রিবিজনেস

ধানের ভরা মৌসুমেও কমছে না চালের দাম। গত কয়েকদিন  ধরেই দফায় দফায় বাড়ছে চালের দাম। যেখানে দাম কমার কথা, সেখানে উল্টো বিভিন্ন অজুহাতে বাড়ছে চালের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে সব ধরনের চালের দাম কেজি প্রতি ২ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আর এর প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারেও।

কথা ছিলো নতুন ধান উঠলে কমবে চালের দর। কিন্তু বাজারে ভিন্ন চিত্র। চালের দাম বাড়ায় আয় ব্যয়ের হিসাব মেলাতে পারছেন না নিম্ন আয়ের মানুষ। উল্টো মোটা চালের দামই বেড়েছে বস্তায় ২৫০ টাকা। এতে করে বিপাকে পড়েছে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তরা।

এক ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, চালের দাম প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। এই বোঝা আমাদের মতো মধ্যবিত্ত মানুষের পক্ষে কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। গত সপ্তাহেও যে চাল ৬০ টাকায় কিনেছি আজ সেটা ৬৫ টাকায় কিনতে হলো।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, মিলাররা ধান-চাল মজুত করে রাখার কারনেই উর্ধ্বগতি চালের বাজার।

তবে সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা নজরদারিতে রয়েছে, কেউ দাম বৃদ্ধি করলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে খুচরা বাজারগুলোতে সব ধরনের চালে বাড়তি দাম রাখা হচ্ছে। পাইকারি বাজার থেকে ৩-৭ টাকা পর্যন্ত পার্থক্য দেখা গেছে।

ঢাকার কারওয়ান বাজারের এক পাইকারি ব্যবসায়ীকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বোরো ধানের বড় অংশই কৃষকের কাছ থেকে কিনে নিয়েছে ফড়িয়া ও মিলাররা। চাল করে বাজারে ছাড়ার কথা তাদের। তারা তা না করে গুদামে আটকে রেখেছে। মিলারদের কাছ থেকে চালের পর্যাপ্ত সরবরাহ বাজারে আসছে না। এ কারণেই বাজারে চালের সংকট ও দাম দুই বাড়ছে।

সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে খুচরা পর্যায়ে সরু চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০ টাকা থেকে ৬৮ টাকায়। এক বছর আগেও এই চালের দাম ছিল ৫৮ টাকা থেকে ৬৫ টাকা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৮, ২০২২ ৪:২১ অপরাহ্ন
ভারত থেকে গম আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা নেই: খাদ্যমন্ত্রী
এগ্রিবিজনেস

ভারত থেকে গম আমদানিতে সরকারি-বেসরকারিভাবে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। বুধবার (১৮ মে) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে চাল প্রক্রিয়াজাত করতে বিঘ্ন এবং পুরোপুরি চালের মৌসুম শুরু না হওয়ায় বাজারে দাম কিছুটা বেড়েছে। মিলওয়ালাদের ধান এখনও চাতালে। তারা উৎপাদনে যায়নি। এছাড়া বৃষ্টির জন্য ধান শুকাতে ২ দিনের বদলে ৫-৭ দিন লাগছে। তবে চিন্তার কিছু নেই। খুব শিগগিরই দাম সহনীয় হবে।

খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, একটি টিম সার্বক্ষণিক বাজার তদারকি করছে। শিগগিরই চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে। মজুদের খবর পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।

দেশে খাদ্য ঘাটতির সম্ভাবনা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, চালের জোগান কম নেই। ভারত প্রতিবেশী দেশের জন্য গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। আমরা চিঠি দিয়েছি। গম নিয়ে চিন্তা নেই।

খাদ্য সচিব নাজমানারা খানুম বলেন, সারা বিশ্বেই খাদ্যের সমস্যা আছে। তবে বাংলাদেশে কোনোভাবেই খাদ্য সঙ্কট হবে না। হাওড়ে অকাল বন্যা হলেও চাল সংগ্রহে সমস্যা হবে না।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৬, ২০২২ ১:৩০ অপরাহ্ন
ভোজ্যতেলের সরবরাহ স্বাভাবিক, অস্থির পেঁয়াজের বাজার
এগ্রিবিজনেস

ভোজ্যতেলের পর এবার অস্থিরতা দেখা দিয়েছে পেঁয়াজের বাজারে। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়ে দেশি পেঁয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা করে। অন্যদিকে, ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা করে। যা গত সপ্তাহের থেকে ১০-১৫ টাকা বেশি।

বিক্রেতারা জানালেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় বাজারে সরবরাহ কম। ফলে খুচরা বাজারে প্রকারভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিভিন্ন ওযুহাতে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছেই। কোনভাবেই স্বস্তি মিলছে না সাধারণ মানুষের। সরকারের পদক্ষেপে বাজারে ভোজ্য তেলের সরবরাহ এখন প্রায় স্বাভাবিক।

ক্রেতারা অভিযোগ করে বলেন, এভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেলে তারা কিভাবে চলবেন। রাত পেরোলেই বিভিন্ন পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে কিন্তু আমাদের আয় বাড়ছে না।

এদিকে, সরকারের নানা উদ্যোগ ও ভোক্তা অধিকারের তৎপরতায় বাজারে সয়াবিন তেলের সরবরাহ বেড়েছে। তবে দাম বাড়ানোর পরেই সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন ক্রেতা-বিক্রেতা। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমাতে নিয়মিত বাজার তদারকির দাবিও জানান তারা।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop