৩:৫৯ অপরাহ্ন

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৬, ২০২২ ১০:৪৪ অপরাহ্ন
দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতে মামুনের মধু
এগ্রিবিজনেস

ধোঁয়া সৃষ্টি করে মৌচাক থেকে প্রাকৃতিক মধু সংগ্রহ করেন মধু সংগ্রহকারীরা।তবে বর্তমানে প্রাকৃতিক মধুর চেয়ে বাণিজ্যিকভাবে মধু চাষ অনেক বেশি লাভজনক। মৌমাছির মাধ্যমে বিভিন্ন ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে সাফল্য পেয়েছেন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার মৌ চাষি মামুন আর রশিদ ওরফে মধু মামুন। কুষ্টিয়ায় উৎপাদিত মধু এখন অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশে যাচ্ছে। এ ব্যতিক্রম উদ্যোগ কুষ্টিয়ার মিরপুরের মৌ চাষি মামুনের।

মামুন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের গেটপাড়া গ্রামের মসলেম উদ্দিন মন্ডলের ছেলে। তাকে সবাই মধু মামুন বলেই চেনেন। মৌ চাষে আত্মনিয়োগ করে তিনি স্বাবলম্বী হয়েছেন। তার দেখানো পথে অনেকেই মধু খামার গড়ে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন। ব্যবসার ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী ধারণা ও দূরদৃষ্টি, অধ্যবসায় আর পরিশ্রম দিয়ে সফল হয়েছেন কুষ্টিয়ার মিরপুরের তরুণ মধু ব্যবসায়ী মামুন।

তিনি সরিষা ক্ষেতে মৌমাছি পালনের মাধ্যমে মধু উৎপাদন করে আসছেন দীর্ঘদিন। এখন স্থানীয় বাজারে বিক্রির পাশাপাশি সেই মধু অস্ট্রেলিয়াতে রফতানি শুরু করেছেন তিনি। বিষয়টি বেশ সাড়া ফেলেছে এলাকায়। মামুনের দেখাদেখি অনেকেই এখন মৌ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

জানা যায়, কারিগরি কোনো প্রকার প্রশিক্ষণ ছাড়াই ১৯৯৭ সালে মাত্র চারটি মধুর বাক্স নিয়ে শুরু হয় মধু মামুনের পথচলা। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। মামুন বলেন, শখের বসেই ১৯৯৭ সালে দুই হাজার ৬০০ টাকা দিয়ে মাত্র চারটি মধুর বক্স নিয়ে সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করা শুরু করি। এরপর ১৯৯৮ সালে তিনি মাস্টার্স পাস করেন। চাকরির আশা না করে শুরু করেন মধু চাষ। এখন তার তিনটি খামারে প্রায় সাড়ে ৪০০ মধুর বক্স রয়েছে। এখন এগুলোর প্রতিটির মূল্য আট থেকে নয় হাজার টাকা।

মধু মামুন জানান, নিজে কিছু করার চেষ্টা এবং অন্যদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করতেই আমার এ পথচলা। আমার খামারে উৎপাদিত মধু দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানোর পাশাপাশি বিদেশেও রফতানি করা হয়ে থাকে। বর্তমানে আমার তিনটি খামারে সাড়ে ৪০০ বক্সে মধু সংগ্রহ করা হচ্ছে। এরমধ্যে তাড়াশের কেন্দুয়িল, চাপাইনবয়াবগঞ্জের সুকনাপাড়া এবং কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ধুবইল মাঠে মধু সংগ্রহ করা হচ্ছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি ২০ টন মধু। গত বছর একটি খামার থেকে উৎপাদন করি ১০ টন।

তিনি আরো জানান, কুষ্টিয়ার মিরপুর এবং নাটোরের চলনবিলে সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ চলছে। প্রতি সপ্তাহে তিনটি খামারে ৫০০ থেকে ৬০০ কেজি মধু সংগ্রহ হচ্ছে। সংগৃহীত মধু দেশের গণ্ডি পেরিয়ে যাচ্ছে বিদেশেও। প্রতিটি বক্স থেকে প্রায় সাত থেকে আট কেজি মধু সংগ্রহ করা যায়। গত বছর খামার থেকেসহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা এবং কোম্পানির কাছে ৩০০ টাকা কেজি দরে মধু বিক্রি হয়েছে। এছাড়া আমার খামার থেকে প্রতিমাসে ১০০ কেজি মধু অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানো হয়।

মিরপুরের ধুবইল ইউনিয়নে স্থাপিত মধু মামুনের মৌ খামার পরিদর্শন শেষে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সরিষা ক্ষেতে মৌ চাষের ফলে একদিকে ফলন বাড়ছে এবং মধু সংগ্রহের ফলে পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত হচ্ছে। মামুন এ উপজেলার একজন মডেল মৌ খামারি। মধু চাষ করে তিনি স্বাবলম্বী হয়েছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৪, ২০২২ ৯:০৭ পূর্বাহ্ন
কুল চাষে আগ্রহ বাড়ছে সাতক্ষীরার যুবকদের!
এগ্রিবিজনেস

সাতক্ষীরায় বাণিজ্যিকভাবে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে কুল চাষ। বাণিজ্যিকভাবে কুলের চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া যায় বলে যুবকরা কুল চাষে ঝুঁকছেন। এখানকার জমি ও আবহাওয়া কুল চাষের জন্য খুবই উপযোগী। ফলে কম খরচ ও কম পরিশ্রমে কুলের চাষ করে সহজেই লাভবান হওয়া যায়। দিন দিন এই এলাকায় কুল চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

জানা যায়, এ অঞ্চলের কৃষকদের মাঝে কুলের চাষ দিন দিন বেড়েই চলেছে। মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় জেলায় কুলের চাষ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। স্থানীয় অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে কুল বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করছে। এখানকার উৎপাদিত কুল স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়।

কুল চাষি হাবিবুর রহমান জানান, আগের বছরের তুলনায় এ বছর কুলের চাষও বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন কুলের ফলন বৃদ্ধি পাওয়ায় পাশাপাশি ফলন বেশ ভালো পাওয়া যাচ্ছে। এবার বছর পাইকারি হারে ৭০-৮০ টাকা দরে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। বাজারে দাম ভালো পেলে কৃষকরা লাভবান হবেন ও কুল চাষে আরও আগ্রহী হবেন।

আরেক কুল চাষি পাঞ্জাব আলী জানান, বিগত কয়েক বছর ধরেই কুল চাষ করে আসছেন তিনি। চলতি মৌসুমেও ৩ বিঘা পরিমাণ জমিতে নারকেল ও আপেল কুল চাষ করেছেন। জমি নিজের হওয়াতে উৎপাদন খরচ তুলনামূলক অনেক কম। কুল গাছে ভিটামিন স্প্রে, সার ও পোকা দমন ঔষধ ব্যবহারে তিন বিঘা জমিতে তার খরচ হয়েছে ৫৫ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে কুল বিক্রি শুরু করেছেন। তিনি আশা করছেন এবার বেশ লাভবান হবেন।

সাতক্ষীরা জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অরবিন্দ বিশ্বাস বলেন, আগের বছরগুলোর তুলনায় এবার কুল চাষিরা ভালো ফলন পেয়েছেন। কুল চাষিদের সব ধরণের সহযোগিতা করছেন বলে জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৯, ২০২২ ৯:২৯ পূর্বাহ্ন
বছরে প্রায় ৭ লাখ টাকার সবজি বিক্রি করেন কৃষক রুবেল
এগ্রিবিজনেস

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে ফুলকপি চাষ করে সফল হয়েছেন তরুণ কৃষক রুবেল। ফুলকপি ছাড়াও শীতকালীন বিভিন্ন সবজিরও বাম্পার ফলন হয়েছে। তার সফলতা দেখে অনেকেই বিভিন্ন সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। অনেক কৃষকই তার পরামর্শ নিয়ে ক্ষেতে-খামারে সবজির আবাদ করেছেন। রুবেল আহমেদ শায়েস্তাগঞ্জের বাগুনীপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে। তার বাবাও কৃষক ছিলেন। বাবার কাছ থেকেই কৃষি কাজে হাতেখড়ি রুবেলের। তিনি প্রতি বছর ৫-৭ লাখ টাকার বিভিন্ন সবজি বিক্রি করেন।

কৃষক রুবেল আহমেদ জানান, ৫০ শতাংশ জমিতে তিনি ৬ হাজার ফুলকপি চারা রোপণ করেন। আবহাওয়া ভালো হওয়ায় প্রতিটি গাছেই ভালো ফলন এসেছে। একেকটি ফুলকপি এক থেকে দেড় কেজি হয়ে থাকে। তিনি জানান, ফুলকপি চাষে তার খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। এরইমধ্যে ৭০ হাজার টাকার ফুলকপি বিক্রি করেছেন। আশা করছেন, বাকি ফুলকপি বিক্রি করে আরও ১ লাখ টাকা পাবেন।

এ ছাড়াও তিনি প্রায় ৩ একর জমিতে টমেটো, বেগুন, শিমসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন। এসব ফসলের পরিচর্যায় নিয়মিত ৪-৫ জন শ্রমিক কাজ করছেন। এতে শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি আর্থিকভাবেও লাভবান হচ্ছেন তিনি।

শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সুকান্ত ধর জানান, ‘রুবেল আহমেদ এখন অনেকেরই অনুপ্রেরণা। তার সফলতা দেখে অনেকেই বিভিন্ন সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এ বছর রবি মৌসুমে উপজেলায় ৭৭৫ হেক্টর জমিতে শীতকালীন শাক-সবজি চাষ হয়েছে, যা গত বছরের চেয়ে প্রায় ১৫০ হেক্টর বেশি।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৬, ২০২২ ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন
পিরোজপুরে জনপ্রিয় হচ্ছে শুঁটকি ব্যবসা
এগ্রিবিজনেস

পিরোজপুরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে শুঁটকির ব্যবসা। চাহিদা থাকায় দিনদিন বাড়ছে উৎপাদন। একই সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে সরবরাহ। ফলে ব্যস্ত সময় পার করছেন শুঁটকি পল্লীর শ্রমিকরা।

নাম শুনে কেউ কেউ নাক সিটকালেও শুঁটকির রকমারি ব্যবহারে অনেকেরই রসনা বিলাসের সঙ্গে ঘটে ভুরি ভোজও। দেশের বাইরেও বাড়ছে এর চাহিদা। ফলে তাল মিলিয়ে দিনদিন বাড়ছে সরবরাহ ও উৎপাদন।

প্রায় দু’শো বছর ধরে পিরোজপুরের পাড়েরহাটে চলে আসছে শুঁটকি মাছের ব্যবসা। বঙ্গোপসাগরের কাছে এবং জেলার চারিদিকে মিষ্টি পানির নদী ঘেরা থাকায় এ বাজারে মিষ্টি পানির মাছের আমদানি হয়। আর শুঁটকিকে কেন্দ্র করে বাদুরায় গড়ে উঠেছে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। এ কেন্দ্রে শতাধিক প্রজাতির সামুদ্রিক মাছের আমদানি হলেও লইট্টা, ছুড়ি, মর্মা, চিতলসহ প্রায় ৪০ প্রকারের সামুদ্রিক মাছের শুঁটকি করা হয়।

শুঁটকি ব্যবসায়ীরা জানায়, বাদুরা মৎস্যবন্দর থেকে মাছ কিনে এনে, এখানেই লোকজন নিয়ে শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণ শেষে কক্সবাজার পাঠানো হয়। এখানে কম করে ৪০ রকমের মাছের শুঁটকি তৈরি হয়।

প্রক্রিয়াজাতকরণে কেমিকেল ব্যবহার না করা এবং মাছ সুস্বাদু হওয়ায় এখানকার উৎপাদিত শুঁটকির জনপ্রিয়তা বাড়ছে। তাই সরবরাহ নিশ্চিতে শুটকি পল্লীর শ্রমিকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।

শুঁটকি পল্লীর শ্রমিকরা জানায়, এখানে শুঁটকি প্রক্রিয়ায় কোনো কেমিকেল ব্যবহার হয় না। ফলে এখানকার শুঁটকির চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কার্তিকে শুরু হয়ে প্রায় সাড়ে চার মাস চলে শুটকির ব্যবসা। এর প্রসারে প্রশিক্ষণসহ সার্বিক সহযোগিতা করছে স্থানীয় মৎস্য বিভাগ।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আব্দুল বারী বলেন, প্রথম পর্যায়ে মৎস্যজীবী ও শুঁটকি প্রক্রিয়ার কাজে জড়িত ২০ জনকে আমরা প্রশিক্ষণ দিয়েছিলাম। ভবিষ্যতে আরও বেশি জনবলকে প্রশিক্ষিত করা হবে। এছাড়া এখানে শতভাগ স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে শুঁটকি তৈরি হচ্ছে। আমরা নিয়মিত পরিদর্শন করে তাদের পরামর্শ দিচ্ছি।

বছরে জেলায় উৎপাদন হয় প্রায় লক্ষাধিক কেজি শুঁটকি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১৫, ২০২২ ১০:৪১ পূর্বাহ্ন
এক্সেলসিও (XCELSIO) : কি, কেন, কিভাবে…
এগ্রিবিজনেস

CTC GLOBAL এবং M.A.S Bangladesh এর যৌথ আয়োজনে গত ১১ অক্টোবর হোটেল লো মেরিডিয়ানে অনুষ্ঠিত হয় “A New Era of Bacterial Control & Gut Balancing” শীর্ষক সেমিনার । এই সেমিনারের মাধ্যমে CTC GLOBAL এর যুগোপযোগী ও অত্যন্ত কার্যকরী একটি প্রোডাক্ট এক্সেলসিও (XCELSIO) এর পরিচিতি তুলে ধরা হয় যা বাংলাদেশ বাজারজাত করবে M.A.S Bangladesh । নতুন এই প্রোডাক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক…

 

এক্সেলসিও (XCELSIO) কি ?

এটি মূলত ব্যাকটেরিওফেজ ফিড এডিটিভস । ব্যাকটেরিওফেজ হচ্ছে এক ধরনের ভাইরাস যা ব্যাকটেরিয়ার ভেতরে বংশবিস্তার করে ।

 

এক্সেলসিও (XCELSIO) কেন ব্যবহার ?

এক্সেলসিও ব্যবহারের পেছনে কিছু সুনির্দিষ্ট কিছু কারণ আছে । ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমনের বিরুদ্ধে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয় । বর্তমানে এন্টিবায়োটিকের যত্রতত্র ব্যবহারের ফলে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে চিকিৎসা ব্যবস্থা । মাল্টি ড্রাগ রেসিস্টেন্স, এন্টি মাইক্রোবিয়াল রেসিস্টেন্স (AMR) এইসব টার্ম নিয়ে সর্বত্র আলোচিত হচ্ছে । আবার খাদ্য নিরাপত্তা নিয়েও মানুষের সচেতনতা দিন দিন বাড়ছে কিন্তু প্রাণিদেহে নিয়ম না মেনে এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার এবং উইথড্রল পিরিয়ড না মানা – এইসব কারণে যদি খাদ্যে এন্টিবায়োটিকের উপস্থিতি পাওয়া যায় তাহলে সেই খাদ্য মানুষের জন্য নিরাপদ হয় । সামগ্রিকভাবে, এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার কমানো কিংবা বন্ধ করার কার্যকরী উপায় খুঁজছে বিজ্ঞানীরা । ব্যাকটেরিওফেজ হচ্ছে এন্টিবায়োটিকের বিকল্প যা সরাসরি ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে দারুণ কার্যকর পাশাপাশি মানবদেহ ও প্রাণিদেহে কোন ক্ষতি করে না ।

 

এক্সেলসিও (XCELSIO) কিভাবে কাজ করে?

আগেই বলা হয়েছে এক্সেলসিও হচ্ছে ব্যাকটেরিওফেজ/এক ধরনের ভাইরাস যা ব্যাকটেরিয়ার ভেতরে বংশবিস্তার করে । এটি ব্যাকটেরিয়ার ভেতরে প্রবেশ করে, নিজের বংশবৃদ্ধি করে, পরবর্তীতে এটি ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীর/সেল ওয়াল কে আক্রমন করে, ধ্বংস করে, ফলশ্রুতিতে ব্যাটরেরিয়া মারা যায় । আমাদের দেশে বহুল প্রচলিত একটি কথা আছে – “শত্রুর শত্রু, আমার বন্ধু” । এক্সেলসিও প্রাণীদেহে অবস্থিত ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে অথচ দেহের কোন ক্ষতি করে না । ফলে এন্টিবায়োটিকের দারুণ বিকল্প হচ্ছে এক্সেলসিও যা মানবদেহের জন্য বন্ধু। এই পণ্যের আরেকটি বিশাল গুণ হচ্ছে, এতে আছে B. Subtilis যা প্রোবায়োটিক হিসেবে কাজ করে । এক্সেলসিও শুধুমাত্র ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে এবং দেশের জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়ার কোন ক্ষতিই করে না ।

 

অন্যান্য বৈশিষ্ট্যঃ

  • ১৮ প্রজাতির ব্যাকটেরিয়ার বিরূদ্ধে দারুণ কার্যকর
  • খুব দ্রুত কাজ করে, টার্গেট ব্যাকটেরিয়া কে মাত্র ১০-২০ মিনিটের মাঝে মেরে ফেলে
  • মোড অফ অ্যাকশন শুধু অন্ত্রেই হয় না বরং বিভিন্ন ফার্ম সাইটেও হয়
  • মুরগির এফসিআর (FCR) কমে, মাংস বাড়ে, মৃত্যুহার কমে এবং ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়
  • তৈরীতে কোন কৃত্রিম মোডিফিকেশন হয় না
  • কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই, উইথড্রল পিরিয়ড নেই ।
  • এক্সেলসিও এর সকল ধাপ প্রাকৃতিকভাবে করা ।
  • পিএইচ (PH) ২-৮ এবং তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত দারুণ কাজ করে ।

 

 

ব্যবহার বিধিঃ

ব্রয়লারঃ ৫০০ গ্রাম/টন ফিড

লেয়ার ও ব্রিডারঃ ৩০০-৪০০ গ্রাম/টন ফিড

বাছুরঃ প্রতিদিন ১-১.৫ গ্রাম/বাছুর

ক্যাটলঃ প্রতিদিন ২-৩ গ্রাম/ক্যাটল বা ৫০০ গ্রাম/টন ফিড

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২ ১০:৪৬ অপরাহ্ন
“Technical Seminar on Rovabio PhyPlus” held by Adisseo
এগ্রিবিজনেস

Adisseo’s “Technical Seminar on Rovabio PhyPlus” was held in the capital. The seminar was held at Hotel Le Meridien on the evening of Wednesday (September 21). Through this seminar, the company’s new product Rovabio PhyPlus was introduced. Dr. Sujit Kulkarni – Commercial Director of Adisseo (Indian Subcontinent); Dr. Sujeta – Business Manager; Mr. Elouahli El Mehedi – Global Solutions Application Manager; Dr. Baris Bilen Yavuz – Scientific solution development on feed digest;  and high officials of various organizations involved in the poultry sector and renowned nutritionists of Bangladesh were present at the event.

The seminar was hosted by Dr. Sazzadur Rahman Palash – Country Manager of Adisseo in Bangladesh. He invited Dr. Jamil Hossain – Managing Director of Adyan Agro (Distributor of Adisseo in Bangladesh) for the welcome speech. Greetings Dr. Jamil said, “Our Poultry Industry is currently going through a Crucial Period where no one in the Sector is really in a good mood due to the increase in the price of feed additives and raw materials, the increase in the value of the dollar, and above all the increase in the price of feed in several steps”. He further said, “We started our journey with Adisseo since 2014, our relationship with the organization has grown stronger in these eight years. We supply the highest quality products and our progress would not have been possible without our customer’s support. Adisseo is not primarily a sales oriented company but a research oriented company; it focus on providing scientific solutions to customer problems, scientific trials, seminars etc.; Also maximum research and time is spent to bring a new product of Highest Quality”.

Then Adisseo’s Commercial Director (Indian Subcontinent) Dr. Sujit Kulkarni gave a speech. He highlighted the company’s profile, vision, ambition and key milestones in his speech. Global Solution Application Manager Mr. Elouahli El Mehedi showed the important process of making feed through feed mill, how to increase machine efficiency, use of liquid products, problems and solutions in feed pelleting etc. through a nice presentation.

Then the main speaker of the program Dr. Baris Bilen Yavuz spoke. In his speech, he highlighted the need of Phytase enzyme in poultry feed. He said, “About 25 percent of the food remains undigested in the chicken’s body, so if the digestibility can be increased, then broiler meat production will increase, FCR will decrease, production costs will decrease and the farmer will benefit the most; and Adisseo’s new product Rovabio PhyPlus will do this.” He also beautifully presented how this new product reduces anti-nutritional factors in broilers.

After the question and answer session of the guests, Dr. Protik Kanti Roy thanked everyone who attended the event. Finally, the program concludes with an evening feast.

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২ ৭:৪৭ অপরাহ্ন
এডিসিও (Adisseo) এর “Technical Seminar on Rovabio PhyPlus” অনুষ্ঠিত
এগ্রিবিজনেস

রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হলো এডিসিও (Adisseo) এর “Technical Seminar on Rovabio PhyPlus” । বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় হোটেল লো মেরিডিয়ানে এই সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। এই সেমিনারের মাধ্যমে  প্রতিষ্ঠানটির নতুন প্রোডাক্ট রোভাবিও ফাইপ্লাস (Rovabio PhyPlus) এর পরিচিতি তুলে ধরা হয় ।  অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এডিসিও এর কমার্শিয়াল ডিরেক্টর (ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট) ডা. সুজিত কুলকার্নি; বিজনেস ম্যানেজার ডা. সুজেতা; গ্লোবাল সল্যুশন এপ্লিকেশন ম্যানেজার এল মেহেদী; সায়েন্টিফিক সল্যুশন ডেভেলপমেন্ট অন ফিড ডাইজেস্ট ড. বারিশ ইয়াভুজ এবং পোল্ট্রি সেক্টরের সাথে জড়িত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও খ্যাতনামা নিউট্রশনিস্টগণ।

ডা. সাজ্জাদুর রহমান পলাশ এর সঞালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এডিসিও বাংলাদেশের পরিবেশক আদিয়ান এগ্রোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. জামিল হুসাইন। শুভেচ্ছা বক্তব্যে ডা. জামিল বলেন, আমাদের পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রি বর্তমানে একটি সংকটময় সময় অতিবাহিত করছে যেখানে ফিড এডিটিভস ও কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি, ডলারের মান বৃদ্ধি, সর্বোপরী কয়েক ধাপে ফিডের মূল্য বৃদ্ধির ফলে সেক্টরের কেউই আসলে ভালো অবস্থানে নেই। আমরা ২০১৪ সাল থেকে এডিসিও এর সাথে যাত্রা শুরু করি, এই আট বছরে প্রতিষ্ঠানটির সাথে আমাদের সম্পর্ক আরোও মজবুত হয়েছে। আমরা সর্বোচ্চ কোয়ালিটির পন্য সরবরাহ এবং আমাদের এই অগ্রযাত্রা আপনাদের সাপোর্ট ছাড়া সম্ভব হতো না।” তিনি আরোও বলেন, “এডিসিও মূলত সেলস ওরিয়েন্টেড কোম্পানি নয় বরং এটি রিসার্চ ওরিয়েন্টেড কোম্পানি; কাস্টমারদের সমস্যা সমাধানে সায়েন্টিফিক সল্যুশন দেওয়া, সায়েন্টিফিক ট্রায়াল, সেমিনার ইত্যাদিতেই মূল ফোকাস; পাশাপাশি সর্বোচ্চ গুনগতমানসম্পন্ন নতুন একটি পণ্য আনতে সর্বোচ্চ রিসার্চ ও সময় ব্যয় করা হয়” ।

এরপর বক্তব্য প্রদান করেন এডিসিও এর কমার্শিয়াল ডিরেক্টর (ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট) ডা. সুজিত কুলকার্নি । তিনি তার বক্তব্যে কোম্পানির প্রোফাইল, ভিশন, এমবিশন এবং কি মাইলস্টোন তুলে ধরেন । গ্লোবাল সল্যুশন এপ্লিকেশন ম্যানেজার এল মেহেদী প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে ফিড মিলে ফিড বানানোর গুরুত্বপূর্ণ প্রসেস দেখান, কিভাবে মেশিনের দক্ষতা বাড়ানো যায়, লিকুইড প্রোডাক্ট এর ব্যবহার, ফিড পিলেটিং এ সমস্যা ও সমাধান ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোকপাত করেন ।

এরপর বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের মূল আলোচক ড. বারিশ ইয়াভুজ, বক্তব্যে তিনি পোল্ট্রি ফিডে ফাইটেজ এনজাইমের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন । তিনি বলেন, “মুরগির শরীরে প্রায় ২৫ ভাগ খাবার আনডাইজেস্টেড থেকে যায়, ফলে যদি ডাইজেস্টেবিলিটি আরোও বাড়ানো যায় তাহলে ব্রয়লারের মাংস উৎপাদন বাড়বে, এফসিআর কমে আসবে, উৎপাদন খরচ কমবে সর্বোপরী খামারী লাভবান হবে; আর এই কাজটিই করবে এডিসিও এর নতুন প্রোডাক্ট Rovabio PhyPlus” । নতুন এই প্রোডাক্টটি কিভাবে ব্রয়লারে এন্টি-নিউট্রিশনাল ফ্যাক্টর কমায় তাও তিনি তার প্রেজেন্টেশনে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেন ।

এরপর অতিথিদের প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে সমাপনী বক্তব্য নিয়ে আসেন ডা. প্রতীক। তিনি অনুষ্ঠানে আগত সবাইকে ধন্যবাদ জানান। সবশেষে সান্ধ্যকালীন ভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৩, ২০২২ ৬:৩৯ পূর্বাহ্ন
লালমাই পাহাড়ে সবজি চাষ করে ভাগ্য পরিবর্তন করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা
এগ্রিবিজনেস

কুমিল্লা জেলার লালমাই পাহাড়ে সবজি চাষ করে ভাগ্য পরিবর্তন করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। পাহাড়ি মাটির সবজি সুস্বাদু হওয়ায় চাহিদাও বেশী। এখানকার সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ হয় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।

এদিকে চাষ বাড়াতে নানা উদ্যোগের কথা জানায় কৃষি অধিদপ্তর।

লালমাই পাহাড়ের লাল মাটিতে স্বপ্ন বুনে স্বাবলম্বী হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। বছর জুড়েই চিচিঙ্গা, ঢেড়স, লাউ, কচু, কচুমুখি, কলা, বরবটিসহ নানা রকম সবজি চাষ করছেন তারা।

স্থানীয় কৃষক মিজানুর রহমান জানান, বর্ষাকালে জেলার অন্য স্থানে তেমন সবজি চাষ না হলেও ব্যতিক্রম পাহাড়ি এলাকা। বর্ষাজুড়েই সবজি আবাদ হয় লালমাই পাহাড়ে। আর পাহাড়ের মাটি উর্বর হওয়ায় ফলনও হয় ভালো। পাহাড়ের এসব সবজি খেতে সু-স্বাদু। তাই এর চাহিদাও অনেক।

কৃষক সেলিম মিয়া জানান, পুরো বর্ষাকাল সবজি চাষ করেই চলে তাদের সংসার। এ বিষয়ে কুমিল্লা কৃষি সম্প্রাসরণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বাসসকে বলেন, দেশের এক ইঞ্চি জায়গাও অনাবাদি থাকবে না, প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লালমাই পাহাড়কে সবজি চাষের আওতায় আনা হয়েছে ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১৬, ২০২২ ৭:৪৮ পূর্বাহ্ন
ইউটিউব দেখে বালুর মাঠে মরুর খেজুর চাষ
এগ্রিবিজনেস

উটিউব দেখে দেশে কত কিছইনা হচ্ছে। তবে এবার ইউটিউবে সময় নষ্ট না করে, ইউটিউব দেখেই ভাগ্য পরিবর্তন করলেন নাটোরের লালপুরে শরিফুল ইসলাম (৩৫)। তিনি পদ্মার চরে করছেন মরুর খেজুর চাষ। বালি মাটিতে বাণিজ্যিকভাবে ৩ বিঘা জমিতে এ খেজুর চাষ শুরু করেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিলমাড়িয়ায় পদ্মার বুকে কাঁটাতারে ঘেরা জমিতে রসুনের সাথে বেড়ে উঠছে সৌদি আরবের খুরমা খেজুরের গাছ।

তিনি জানান, এটি মরুভূমির গাছ, যার ফলে আমাদের এই অঞ্চলে খাপ খাওয়াতে একটু বেগ পেতে হবে। গাছের গোড়ায় একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি দিতে হয়, পানি কম হলেও বাঁচবে না, আবার বেশি হলে পচে যাবে। এর সঙ্গে রয়েছে বিভিন্ন রোগ বালাইয়ের প্রাদুর্ভাব। নারকেল ও শুপারি গাছের নতুন রোগ হোয়াইট ফ্লাই ও শূতিমূলের আক্রমণটা বড় ভয় এ খেজুর গাছের। এ জন্য সব সময় খেয়াল রাখতে হয়। প্রয়োজনীয় কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। এর সঙ্গে রয়েছে ইঁদুরের জ্বালাতন। খেজুর গাছের শিকড় কেটে দেয়, আবার ফলও কাটে। ইঁদুরের জন্যও আমাদের সতর্ক থাকতে হয়।

নতুন কেউ সৌদির খেজুর চাষ করতে চাইলে তাদের জন্য শরিফুল ইসলামের পরামর্শ, কলম এবং বিচি দুইভাবেই সৌদির খেজুরের চারা তৈরি হয়। এ বিচির চারার বেশিরভাগ পুরুষ হয়ে যায়। যার ফলে ফল আসে না। তাই নতুন যারা শুরু করবেন, তাদের কলমের (অপশুট) চারা কিনতে হবে। তবে সবচেয়ে সতর্কবানী হচ্ছে হুট করে কেউ বাণিজ্যিকভাবে খেজুর চাষে নেমে ধ্বংস হবেন না। আগে জানতে হবে। আমিও ঠিকমতো জানিনা। কৃষি কর্মকর্তাদের সাহায্য নিয়ে আগাবো।

লালপুর উপজেলা কৃষি কর্মকতা রফিকুল ইসলাম বলেন, সৌদি আরবের আবহাওয়া ও জলবায়ু আমাদের এখানকার থেকে পৃথক হওয়ায় সৌদি জাতের খেজুরগাছগুলো এদেশে সাধারণত হয় না। হলেও সফলতার হার কম। আমরা সুবিধা অসুবিধা দুইটার কথায় তাকে বলছি। তারপরও কৃষক যথেষ্ট আগ্রহী। তিনি সফল্যের বিষয়ে খুবই আশাবাদী সেই সাথে আমরাও আশাবাদী। আমরা তাকে সকল প্রকার পরামর্শ দিয়ে যাবো।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১৫, ২০২২ ৯:২২ পূর্বাহ্ন
কুমিল্লায় পাটের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি
এগ্রিবিজনেস

পাট বাংলাদেশের অর্থ উপার্জনের অন্যতম মাধ্যম। পাট ছাড়া কারও জীবন একদিনের জন্য অতিবাহিত হওয়া সম্ভব না। এটি একটি বর্ষাকালীন ফসল। আর পাটকে বলা হয় বাংলাদেশের সোনালী আঁশ। পাট পরিবেশ বান্ধব, বহুমুখী ব্যবহারযোগ্য আঁশ ।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার কুমিল্লায় সোনালী আঁশ পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। পূর্ব লক্ষ্যমাত্রা থেকে এবার ৫শত হেক্টর বেশি জমিতে পাট চাষ হয়েছে। এবছর ভালো বৃষ্টিপাত ও সারের সঙ্কট না থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে বলে কৃষকরা মনে করেন।

কৃষক মোতালেব জানান, তিনি এবছর ২ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেন। প্রতি বিঘাতে প্রায় ৮ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। গতবারের তুলনায় এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। এখন পাটের আঁশ ছাড়াতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

জেলা কৃষি অফিস থেকে জানা যায়, এবছর জেলার প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। এতে দেশি ও তোষা জাতের পাট রয়েছে। পাটের মূল্য নাগালেই থাকায় ধীরে ধীরে বাড়ছে পাটের চাষ।

কুমিল্লার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং কৃষি বিভাগের সহযোগীতায় এবার পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষি বিভাগ চাষিদের সব ধরনের সহযোগীতা করবে বলে তিনি আশ্বাস রাখেন।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop